চিন কি রাশিয়াকে টপকে যাবে অস্ত্র ব্যবসায়?
সুইডিশ সংস্থা সিপ্রি-র তথ্য অনুযায়ী ২০১৫-১৯ সালে চিন ছিল বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ। তবে ২০২০-এর পর থেকে তারা জার্মানিকে পিছনে ফেলে চতুর্থ স্থানে উঠে আসে।
৩ সেপ্টেম্বর ‘বিজয় দিবস’-এর কুচকাওয়াজে ড্রাগন বাহিনীর দাপট দেখে বিস্মিত বিশ্ব। উপস্থিত ছিলেন ২৬টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, রোবট কুকুর, লেজার অস্ত্র, আত্মঘাতী ড্রোন, জে-২০এস জেট ও এলওয়াই-১ রণতরীবাহী লেজার সিস্টেম সব মিলিয়ে চিন দেখাল আধুনিক যুদ্ধশক্তির এক নতুন রূপ।
বেজিংয়ের কুচকাওয়াজে দেখা গেছে এইচকিউ-১৯ স্যাটেলাইট বিধ্বংসী ব্যবস্থা ও ডিএফ-৫সি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র, যা আমেরিকার যেকোনও শহরে আঘাত হানতে সক্ষম বলে দাবি করছে তারা। নজর কেড়েছে জে-২০এস স্টেল্থ জেট ও এলওয়াই-১ লেজার সিস্টেমও।
সুইডিশ সংস্থা সিপ্রি-র তথ্য অনুযায়ী ২০১৫-১৯ সালে চিন ছিল বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ। তবে ২০২০-এর পর থেকে তারা জার্মানিকে পিছনে ফেলে চতুর্থ স্থানে উঠে আসে। এখন বিশ্ববাজারে চিনের অংশীদারিত্ব ৫.৯%। তালিকায় শীর্ষে আছে আমেরিকা ৪৩%, এরপর ফ্রান্স ৯.৬% ও রাশিয়া ৭.৮%।
আরও পড়ুন- একযোগে বরখাস্ত নয় জেনারেল! কেন শাস্তির মুখে চিনের সেনা শীর্ষকর্তারা?
প্রধান ক্রেতা দেশগুলি
পাকিস্তান প্রধানত জে-১০সি, জেএফ-১৭ জেট ও চিনা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবহার করে। রাওয়ালপিন্ডির জেনারেলরা জে-৩৫এ স্টেল্থ জেটের প্রথম গ্রাহক হতে চলেছে। ২০১০-২০ সালে চিনের অস্ত্রের ২০% বাংলাদেশ, ১১% মায়ানমার, ৩.২% থাইল্যান্ড ও ২.৬% ইন্দোনেশিয়ায় গেছে। সিপ্রি-র রিপোর্টে দেখা গেছে চিন এশিয়ার মাত্র তিনটি দেশ পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও মায়ানমারে ৮০% অস্ত্র রপ্তানি করে। তবে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, গুণগত মানে এখনও চিনের অস্ত্র পশ্চিমা দেশগুলো বা রাশিয়ার কাছে পিছিয়ে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স ও জার্মানির অস্ত্রই যুদ্ধের ফলাফল বদলাতে বেশি সক্ষম, যা চিন এখনও প্রমাণ করতে পারেনি।
ভারতও নিজস্ব আকাশ প্রতিরক্ষা, রণতরী, পারমাণবিক ডুবোজাহাজ ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে অস্ত্র ব্যবসায় পা বাড়াচ্ছে। রাশিয়ার অস্ত্র বিক্রি কমার কারণ মূলত পশ্চিমি নিষেধাজ্ঞা। এই নিষেধাজ্ঞা উঠলেই ক্রেমলিনের অস্ত্রের চাহিদা আবার বাড়বে, বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধের সময় তা কাজে লাগবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
Whatsapp
