বাহাদুরগঞ্জের মানুষের জন্যে খোলা চিঠি
Sharjeel Imam: তারা আমাদের কখনো ভাবতে দেবে না। আমাদের এই দলগুলোর কবল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অন্তত সেখানে যেখানে আমরা আমাদের রাজনীতি করতে পারি।
আজ দেশের পরিস্থিতি কেমন, তা আপনাদের বলার দরকার নেই। বিশেষ করে আমাদের সঙ্গে কী ধরনের ব্যবহার করা হচ্ছে, তা আপনারা নিজের চোখে দেখছেন। এই পরিবেশে একটাই প্রশ্ন আমাদের যুবকদের, পড়াশোনা করা মানুষদের এবং সাধারণ জনগণের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে— এখন আমরা কী করব, কোন পথ বেছে নেব? মনে হচ্ছে আমরা একেবারে অসহায়, কিছুই করতে পারছি না, শুধু একসঙ্গে এসে সেই দল বা প্রার্থীকে ভোট দেব যারা বিজেপিকে হারানোর প্রতিশ্রুতি দেয়, এমনকি সেই আসনেও যেখানে বিজেপি লড়াই করছে না। এই প্রতিশ্রুতি ছাড়া কি আর কিছুর প্রয়োজন নেই? এই ব্যবস্থায় কি এমন কোনো ত্রুটি নেই যা ঠিক করার জন্য আমাদের একত্রিত হওয়া উচিত? সীমাঞ্চলের মতো এলাকায়, যেখানে আমরা আমাদের নেতৃত্বকে আমাদের সম্প্রদায়ের এবং আঞ্চলিক সমস্যার ভিত্তিতে বেছে নিতে পারি পারি, সেখানেও কি আমরা শুধু বিজেপির ভয়ে ভোট দেব?
এ প্রসঙ্গে আমি আমার সম্পর্কে দু'একটি তথ্য দিতে চাই। আমার পৈতৃক বাড়ি জাহানাবাদে, তবে আমি বড় হয়েছি পাটনায়, সেখানেই পড়াশোনা করেছি। আমার নানির বাড়িও পাটনায় ছিল। তাঁর গ্রাম ’৪৬ সালের দাঙ্গায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল শৈশবেই উদ্বাস্তু হয়ে পাটনায় চলে এসেছিলেন তিনি। আমার জীবনের প্রথম বেলায় বাবা-মা ছাড়া নানির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। যাই হোক, সেখান থেকে আমি আইআইটি বোম্বাইয়ে ভর্তি হতে পেরেছিলাম, আমি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিগ্রি পাই। এই সময়ে আমি ২০০৯ সালে কয়েক মাস ডেনমার্কে চাকরিও করেছি। ২০১১ সালে আমি কয়েক লাখ টাকার প্যাকেজ নিয়ে বেঙ্গালুরু চলে যাই। কিন্তু শৈশব থেকে যা শুনেছি, দেখেছি, তা আমাকে কখনো চুপ করে থাকতে দেয়নি, শান্তির জীবন বেছে নিতে দেয়নি। তাই একটা স আমি সেই চাকরি ছেড়ে দিই, যে চাকরি কোটি কোটি মানুষের কাছে স্বপ্নের মতো, আর একটি সাধারণ চাকরি নিয়ে ইতিহাস পড়তে জেএনইউ, দিল্লি চলে আসি।
দুর্ভাগ্যবশত, সেই বছরই আমার বাবার মৃত্যু হয়। তিনি তাঁর জীবন জনগণের সেবায় উৎসর্গ করেছিলেন। সমস্যা বাড়ল, কিন্তু আমি হতাশ হইনি এবং ইতিহাস নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাই, পাশাপাশি চাকরিও করি। এমনকি ২০১৯-২০২০ সালে সিএএ-এনআরসি আন্দোলনে, প্রায় ৩২ বছর বয়সে, আমাকে জেলে পাঠানো হয়। শাহিন বাগ চক্কা জাম আন্দোলনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালনের কারণে আমার বিরুদ্ধে অনেক ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়।
আরও পড়ুন- অবশেষে জামিন শার্জিল ইমামের, তবু কেন জেলের অন্ধকারেই দিন কাটাতে হবে মেধাবী গবেষককে
ইতিহাস নিয়ে আমার গবেষণা থেকে আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি:
১. ১৯৪৭ সালের পর থেকেই মুসলিমদের রাজনৈতিকভাবে এই ব্যবস্থার কাঠামোর মাধ্যমে প্রান্তিক করে দেওয়া হয়েছে।
২. পথ খুলবে তখনই, যখন আমরা সেই মৌলিক পরিবর্তনগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করব, যা আমাদের জরুরি প্রয়োজন। আমি প্রথম ব্যক্তি নই যে এই কথা বলছি— ১৯৪৭ সালে হাসরত মোহানি থেকে জাস্টিস সচার কমিটির রিপোর্টে এই বিষয়গুলোর উল্লেখ পাওয়া যায়।
সেই মৌলিক পরিবর্তনগুলো কী? প্রথমত, নির্বাচনের পদ্ধতি বদলাতে হবে— অর্থাৎ, যে দল যত শতাংশ ভোট পাবে, তাকে তত শতাংশ আসন পেতে হবে। ভেবে দেখুন, এতে কি আমাদের সঠিক প্রতিনিধিত্বের দরজা খুলবে না? বর্তমান পদ্ধতিতে, আপনি কোনো আসনে ৪০% ভোট পেয়েও হেরে যান, আর শেষে পুরো রাজ্যে মাত্র ৫-৭% বিধায়ক পান। এই নির্বাচন পদ্ধতি বড় অন্যায়— শুধু আমাদের জন্য নয়, অন্যান্য পিছিয়ে পড়া এবং ছোট সম্প্রদায়ের জন্যও। উদাহরণস্বরূপ, উত্তর প্রদেশে বিএসপি (মায়াবতী) ২০১৭ ও ২০২২ সালে ১০% এর বেশি ভোট পেয়েছে, কিন্তু আসন পেয়েছে মাত্র ২-৩টি। ১০% ভোট পেলে কি বিএসপির ৪০-৫০টি আসন পাওয়া উচিত নয়? ধরুন, যদি বিহারে কোনো দল বারবার ১৫% ভোট পায়, তাহলে কি তাদের ৩৬ জন বিধায়ক পাওয়া উচিত নয়?
মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুর জন্য আসন সংরক্ষণ
যদি আমাদের জনসংখ্যা ১৮% হয়, তাহলে প্রতিটি ক্ষেত্রে ১৮% সংরক্ষণ এবং তার মধ্যে অর্ধেক বা দুই-তৃতীয়াংশ পশমান্দা মুসলিমদের জন্য। অন্ততপক্ষে অতি-পিছিয়ে পড়া মুসলিমদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষণ নিশ্চিত হওয়া উচিত।
ধর্মীয় স্বাধীনতা
যে কোনো ধর্মীয় বিষয়, যা তাদের ধর্মীয় ব্যাপারের সঙ্গে সম্পর্কিত, তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার শুধু সেই ধর্মের মানুষেরই থাকবে। উদাহরণস্বরূপ, ওয়াকফের বিষয়— বর্তমান ওয়াকফ ব্যবস্থায় ত্রুটি থাকতে পারে, কিন্তু তা সংশোধনের অধিকার, দায়িত্ব এবং ক্ষমতা শুধু মুসলিম জনগণেরই থাকবে, যারা গণতান্ত্রিকভাবে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে তাদের কথা বলবে।
এরকম আরও অনেক মৌলিক বিষয় আছে যা এই ব্যবস্থার কাঠামোর সঙ্গে জড়িত। আমি শুধু এগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। যতক্ষণ না আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করব, যতক্ষণ না আমরা সেই বীজ বুনব যা ভবিষ্যতে গাছ হয়ে উঠবে, ততক্ষণ আমরা আমাদের ভোটকে নষ্ট করছি— আর একটা খারাপ জায়গায় আটকে আছি।
আজ হিন্দুত্বের বিষ যেভাবে আমাদের ঘিরে ফেলেছে, ঘৃণার রাজনীতি আমাদের অসহায় করে দিয়েছে, আরএসএস-বিজেপি এই সিস্টেমের প্রতিটি কোণ কব্জা করে নিয়েছে— এসব সত্য। কিন্তু যেখানে তাদের রাজনৈতিক ভিত্তি নেই, সেখানেও যদি আমরা ভয়ে আমাদের চিন্তাশক্তিকে মেরে ফেলি, আমাদের মনকে বন্ধ করে দিই, তাহলে আমরা এই লড়াই আগেই হেরে গেছি।
কাশ্মীর, পশ্চিম উত্তর প্রদেশ, মালাবার, হায়দ্রাবাদ, মুম্বই, পশ্চিম আসাম, পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহারের সীমাঞ্চলে আমরা আমাদের মৌলিক সমস্যা এবং সংবিধানের ত্রুটিগুলো নিয়ে আলোচনা করে একটি আন্দোলন গড়ে তুলতে পারি। এটি আপনাদের দায়িত্বও বটে, সুযোগও বটে। বিশেষ করে বিহারে, যেখানে বিজেপি অর্ধেক আসনে লড়েই না, আমরা একটি পরিকল্পনা করে, ঝুঁকি নিয়ে আমাদের আন্দোলন গড়ে তুলতে পারি।
বাহাদুরগঞ্জ থেকে নির্বাচনে লড়ার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই যে, আজ যে বিপদ আমরা আসামে দেখছি, উত্তর প্রদেশে দেখছি, সেই একই বিপদ বিহারেও রয়েছে। দেশ এমন একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, আমাদের চিন্তাধারাকে একটা নতুন পথ দেখাতে হবেই। কেন আমরা নতুন পথের কথা ভাবতে পারছি না? এর সবচেয়ে বড় কারণ, আমাদের দিনরাত বিজেপির ভয় দেখানো হচ্ছে, এমনকি সেখানেও, যেখানে বিজেপি লড়ছে না। আর কংগ্রেসের মতো দল, যারা এই ব্যবস্থা তৈরি করেছে, এর সুযোগ নিয়েছে এবং আমাদের এই দুরবস্থায় ফেলে দিয়েছে, তারা চায় না আমরা এই ব্যবস্থার ত্রুটিগুলোর দিকে নজর দিই। তারা চায় আমরা সবসময় তাদের সামনে অসহায় হয়ে থাকি, যেন আমরা বলি, “আমাদের বিজেপির হাত থেকে বাঁচাও, আমাদের বাঁচতে দাও।” তারা আমাদের কখনো ভাবতে দেবে না। আমাদের এই দলগুলোর কবল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অন্তত সেখানে যেখানে আমরা আমাদের রাজনীতি করতে পারি। যেখানে আমাদের জনসংখ্যা কম, সেখানে আমরা বিজেপিকে হারানোর জন্য ভোট দেব, কিন্তু যেখানে আমরা নিজেরা জিততে পারি, সেখানে আমরা এই রাজনীতি করব না কেন?
অন্যদিকে, যে দলগুলো গত ৩০-৪০ বছর ধরে শুধু আবেগপ্রবণ স্লোগান আর ভাষণের ওপর চলছে, তারা কখনো সংবিধানের ত্রুটিগুলো নিয়ে কথা বলার সাহস করেনি। এই সময়ে তাদের রাজনীতি থেকে কী অর্জন হয়েছে? পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। আপনারা যে ব্যক্তিকে বিধায়ক বানিয়েছেন তাদের আবেগপ্রবণ বক্তৃতা শুনে— তারা দল বদলেছে দু'দিন পর। এমন মানুষ কি ভরসার যোগ্য হতে পারে? যখন কোনো পরিকল্পনা থাকে না, শুধু আবেগপ্রবণ স্লোগান আর লোভ থাকে, তখন এমন মানুষই জনতার প্রতিনিধি হতে চায়।
আমি যাদের বিরুদ্ধে লিখছি, তারা নিশ্চয়ই বলবে আমি ভোট কাটার কাজ করছি, বলবে পাগল, আরও নানা তকমা জুটবে!
পাগল তো আমি বটেই— চাকরি করলে এতদিনে আমার বেতন কোটি টাকায় পৌঁছে যেত। সেই চাকরি ছেড়ে, আরাম-আয়েশ ত্যাগ করে আমি আমার সম্প্রদায়ের সমস্যাগুলো বোঝার জন্য বেরিয়েছি, আর এখন সাড়ে পাঁচ বছর ধরে জেলের কুঠুরিতে বন্দি আছি, যেখানে শুধু আল্লাহ আমার সঙ্গী আর কিছু বই, যা অন্ধকারে আলোর মতো।
আমি মুম্বই থেকে নির্বাচন লড়ছি না যে টাকা রোজগার হবে। আমি ভারতের সবচেয়ে দরিদ্র এলাকা থেকে নির্বাচন লড়ছি। বিজেপি তো সেখানে লড়েই না।
সাড়ে পাঁচ বছরে ছয়টি মামলায় জামিন পেয়েছি, একটিতে এখনও বাকি আছে। দোয়া করবেন, যেন জামিন হয়ে যায়। শুনানি শেষ হয়েছে। না হলেও সুপ্রিম কোর্ট আছে, আমি আশা করি, ইনশাআল্লাহ, শিগগিরই বেরিয়ে আসব। কিন্তু যখন বেরোব, তখন কিছু কথিত “হিতৈষী” নিশ্চয়ই বলবে, এই যে এসে গেছে বিজেপির পক্ষে কাজ করতে। যাদের বাড়িতে গত দশ বছরে পুলিশ, ইডি কিছু যায়নি, তারা আমাকে বিজেপির এজেন্ট বললে হাসি তো পাবেই।
কে বিজেপি আর আরএসএসের শত্রু, আর কার যৌবন জেলে কাটছে, তা অনেকেই বুঝে গেছে। এখন আমি আপনাদের জিজ্ঞাসা করি, এটা কি স্পষ্ট নয় যে সম্প্রদায়ের উন্নতি আর অধিকারের জন্য কে ত্যাগ করছে? জনগণ কি এটা বুঝতে পারবে না কে দুনিয়ার আলোর পিছনে ছুটছে আর কে ন্যায়ের জন্য লড়ছে?
আরও পড়ুন- অক্লান্ত নির্ভীক গৌরী লঙ্কেশরা মরণজয়ী
বিহার ভারতের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া রাজ্যগুলোর একটি, আর সীমাঞ্চল বিহারের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া এলাকা। শিক্ষার হার, স্কুল, হাসপাতাল, কারখানা, ফোনের কাগজপত্র— এই সবই এখানে সবচেয়ে কম। ভোটার তালিকার নামে যা হচ্ছে, তা আপনাদের সামনে। আমাদের বুঝতে হবে, আসামের তুলনায় সীমাঞ্চলে এনআরসি-র ক্ষতি বেশি হবে। আসামের জনগণ প্রস্তুত ছিল, তাই তারা বেশি ক্ষতি করতে পারেনি, কিন্তু তখন থেকে তাদের নজর সীমাঞ্চলের ওপর। এনআরসি-র হুমকি তাই ছড়ানো হয়েছিল, কিন্তু দেশ এমন একটা আন্দোলন দেখেছে যে এটা তাদের গলার কাঁটা হয়ে গেছে। তাদের পিছু হটতে হয়েছে। কিন্তু তারা আবার চোরাগোপ্তা পথে এনআরসি আনার চেষ্টা করছে। আমাদের এর বিরুদ্ধে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আমি বলতে চাই, আপনারা যদি আমাকে বেছে নেন, আমি সেই দলের সঙ্গে থাকব যারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে। আমাদের লড়াই জুলুমের বিরুদ্ধে এবং ন্যায়ের জন্য। আমরা প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কাজ করব যারা আমাদের মৌলিক সমস্যা এবং ব্যবস্থার ত্রুটিগুলো নিয়ে কথা বলবে। দ্বিতীয়ত, বাহাদুরগঞ্জের জনগণের কাছে আমার প্রতিশ্রুতি, আমি এখানে মৌলিক সুবিধার জন্য কাজ করব। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দক্ষতা— এই তিনটি বিষয় আমার প্রচেষ্টার শীর্ষে থাকবে। স্কুল, হাসপাতাল, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা এবং শিক্ষিত, দক্ষ মানুষদের আনা আমার দায়িত্ব হবে। আমি আইআইটি থেকে আমার সহপাঠীদের কাছ থেকে যতটা সম্ভব সাহায্য নিয়ে আসব। আমি একজন টেকনোক্র্যাট, প্রযুক্তিগত মানুষ, কিছু সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা আমার আছে। বন্যা ত্রাণ এবং তার সমাধানে কাজ করাও আমার দায়িত্ব হবে। অপরাধের বিরুদ্ধে এবং আইন ও শান্তির পক্ষে কাজ করা আমাদের কর্তব্য। বিনা পক্ষপাতে অত্যাচারীকে রুখতে হবে, নির্যাতিতকে ন্যায় দিতে হবে। নারীদের নিরাপত্তা, শিক্ষা এবং তাদের স্বাবলম্বী করা, তাদের আইনি অধিকার দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। মেয়েদের জন্য স্কুল যেন কাছাকাছি হয়, এটা জরুরি। আমি আরেকটি প্রতিশ্রুতি দিতে পারি— বিধানসভায় আমি যেভাবে আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করব, তেমনটি হয়তো আর কেউ পারবে না। আগামী নির্বাচন থেকে সীমাঞ্চলের রাজনীতি একটা নতুন মোড় নিতে চলেছে। যতদিন বেঁচে আছি, সীমাঞ্চলই আমার রাজনীতির কেন্দ্র থাকবে, ইনশাআল্লাহ। আপনাদের সবাইকে অনুরোধ, আমার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের এই লড়াইয়ে সঙ্গ দিন। আগামী দিনে পুরো সম্প্রদায় এবং দেশের বঞ্চিত সমাজ সীমাঞ্চলকে উদাহরণ হিসেবে চিনবে।
Whatsapp
