৫জি-র দুনিয়ায় প্রবেশ আদানির, ফের শুরু হবে বিনামূল্যে ইন্টারনেটের দিন?

5G Technology: ৫জি টেলিকম ব্যবসাতে প্রবেশ করতে চলেছে আদানি গ্রুপের নিজস্ব টেলিকম সংস্থা। এখনও পর্যন্ত এই সংস্থার নাম নির্ধারণ না হলেও এই ব্যবসায় নামার জন্য প্রাথমিক লাইসেন্স জোগাড় করে ফেলেছে সংস্থাটি।

ইতিমধ্যেই ভারতের প্রায় সকলেই জেনে গিয়েছেন যে, ধনকুবের শিল্পপতি গৌতম আদানি এবার প্রবেশ করতে চলেছেন টেলিকম ব্যবসায়। ৫জি টেলিকম ব্যবসাতে প্রবেশ করতে চলেছে আদানি গ্রুপের নিজস্ব টেলিকম সংস্থা। এখনও পর্যন্ত এই সংস্থার নাম নির্ধারণ না হলেও এই ব্যবসায় নামার জন্য প্রাথমিক লাইসেন্স জোগাড় করে ফেলেছে সংস্থাটি। ফলে, প্রশ্ন উঠছে ভারতীয় টেলিকম জগতে কি এবারে বিরাট পরিবর্তন আসন্ন? টেলিকম সেক্টরের অবিসংবাদিত রাজা মুকেশ আম্বানির আসন কি এবার হতে চলেছে টলোমলো?

B2C মার্কেটে সরাসরি প্রবেশ না করলেও ভারতের স্পেকট্রাম দৌড়ে গৌতম আদানির অংশগ্রহণ অবশ্যই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। B2B মার্কেটেই মূলত কাজ করবে আদানীর টেলিকম সংস্থা। অর্থাৎ এয়ারপোর্ট, বন্দর, লজিস্টিক, পাওয়ার জেনারেশন, পরিবহণ এবং অন্যান্য কাজের জায়গায় এই সংস্থার টেলিকম কাজ করবে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ না থাকলেও ঘুরপথে ভারতের প্রত্যক্ষ টেলিকম ব্যবস্থার সঙ্গে অবশ্যই যুক্ত থাকবেন তিনি। ভারতের ৫জি টেকনোলজির জগতেও বেশ বড় কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে টেলিকম সেক্টরে আদানি গ্রুপের প্রবেশ।

B2B ও B2C মার্কেট, এই দুই আসলে কী?
প্রথমে কথা বলা যাক B2B মার্কেটের বিষয় নিয়ে। B2B পুরো কথায় বিজনেস টু বিজনেস মার্কেট আদতে এমন একটি মার্কেট, যেখানে কোনও একটি ব্যবসায়িক কোম্পানি তাদের তৈরি করা প্রোডাক্ট সরাসরি কোনও একটি কোম্পানিকে বিক্রি করে। এখানে লেনদেন হয় সরাসরি দু'টি কোম্পানি, অথবা দু'টি এন্টারপ্রাইজের মধ্যে। সাধারণ ক্রেতার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ এই ধরনের মার্কেটে সম্ভব নয়। যদি কোনও সাধারণ ব্যবহারকারী দ্বিতীয় এন্টারপ্রাইজে গিয়ে প্রথম এন্টারপ্রাইজটির তৈরি করা কোনও প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন, তবেই ক্রেতার সঙ্গে প্রথম এন্টারপ্রাইজের যোগাযোগ সম্ভব হতে পারে। তবে এই যোগাযোগের সম্ভাবনা সব জায়গায় থাকে না। তাই এই B2B মার্কেট সরাসরি ক্রেতার সঙ্গে যুক্ত নয়।

আরও পড়ুন: অল্প লগ্নিতে আয় বাড়বে বহুগুণ, জেনে নিন এই স্টক শেয়ারের সুবিধেগুলি

B2C, অর্থাৎ বিজনেস টু কনজিউমার মার্কেট হল এমন একটি মার্কেট যেখানে কোনও একটি এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে সরাসরি কোন একজন ক্রেতার যোগাযোগ থাকে। অর্থাৎ, কোনও একটি কোম্পানির তৈরি করা কোনও প্রোডাক্ট যদি কোনও ক্রেতা সরাসরি ক্রয় করতে পারেন, তাহলে সেটা হয়ে যায় বিজনেস টু কনজিউমার মার্কেট। এই দু'টি মার্কেটের কাজ করার ধরন পরস্পরের থেকে অনেকটাই আলাদা। সঙ্গেই আলাদা এই মার্কেটের টার্গেট। বিজনেস টু কনজিউমার মার্কেটটি অনেকটা বেশি বড় এবং এই মার্কেটে লাভের সম্ভাবনাও থাকে অনেকটাই বেশি। কিন্তু বিজনেস টু বিজনেস মার্কেট একটি ছোট টার্গেটের ওপর কাজ করে। লাভের সম্ভাবনা এখানেও রয়েছে, তবে এই মার্কেটে কোম্পানির সংখ্যা অপেক্ষাকৃত বিজনেস টু কনজিউমার মার্কেটের থেকে কম হয়।

টেলিকম জগতে এই মুহূর্তে যে সমস্ত বড় বড় টেলিকম কোম্পানিগুলি রয়েছে, তাদের মধ্যে প্রত্যেকটি সংস্থাই কিন্তু বিজনেস টু কনজিউমার মার্কেটের সঙ্গে যুক্ত। আপনি নিজে যদি কোনও কোম্পানির সিম কার্ড ব্যবহার করতে পারেন, অথবা কোনও কোম্পানির ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে বুঝে নেবেন সেটা বিজনেস টু কনজিউমার মার্কেটের সঙ্গে সংযুক্ত। এরকম কনজিউমার টার্গেটেড কোম্পানির মধ্যে রয়েছে রিলায়েন্স জিও, এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া এবং বিএসএনএল।

এই মার্কেট থেকে সরে গিয়েই বিজনেস টু বিজনেস মার্কেটের দিকে নজর রাখতে চাইছেন গৌতম আদানি। তবে এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয়টা হলো, বিজনেস টু কনজিউমার মার্কেটে আধিপত্য থাকার পাশাপাশি এয়ারটেল কোম্পানিটি বিজনেস টু বিজনেস মার্কেটেও কিন্তু বেশ জনপ্রিয়। রিলায়েন্স জিও এখনও পর্যন্ত বিজনেস টু বিজনেস মার্কেটে তেমন একটা সুবিধা করতে না পারলেও ভবিষ্যতে অবশ্যই এই মার্কেটের টার্গেট নেবেন মুকেশ আম্বানি। তাই আপাতত ধরে নেওয়া যায় গৌতম আদানির সঙ্গে সরাসরি মোকাবিলায় কিন্তু নামতে চলেছেন সুনীল ভারতী মিত্তল অর্থাৎ এয়ারটেল।

কেন এই ব্যবসায় নামছেন আদানি?
গৌতম আদানি ভারতের ৫জি ইকোসিস্টেমে প্রবেশ করার জন্য ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন। ইন্ডাস্ট্রিয়াল মার্কেটে প্রবেশের জন্য ইতিমধ্যেই স্পেকট্রামের নিলামে নাম লেখানো হয়ে গিয়েছে তার। কিন্তু হঠাৎ এই ব্যবসায় কেন নামতে চাইছেন গৌতম আদানি? আদানির এই সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে মূলত তিনটি কারণ।

প্রথমত, এতদিন পর্যন্ত ভারতে ৪জি সার্ভিস চলে আসলেও ৫জি টেকনোলজি হতে চলেছে ভারতের জন্য একেবারে নতুন। এই মার্কেটে এখনও কোনও কোম্পানি জায়গা করে নিতে পারেনি। বিশ্বের দিক থেকে দেখতে গেলেও, ৫জি টেকনোলজি বেশ নতুন। তাই পুরনো ৪জি মার্কেটে নেয় এসে একেবারে নতুন ৫জি থেকেই নিজেদের কোম্পানির টেলিকম যাত্রা শুরু করা ভালো বলে মনে করেছেন গৌতম আদানি।

দ্বিতীয়ত, তিনি বেছে নিয়েছেন B2B মার্কেটকে। এই মুহূর্তে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেলিকম মার্কেটে রিলায়েন্স জিও খুব একটা বেশি জায়গা দখল করে না। B2C মার্কেটের টেলিকম কোম্পানির মধ্যে শুধুমাত্র এয়ারটেল এমন একটি কোম্পানি, যাদের কিনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল মার্কেটে কিছুটা জায়গা রয়েছে। বলতে গেলে, এই মার্কেট খুব ছোট একটি মার্কেট এবং এই মুহূর্তে খুব একটা বেশি খেলোয়াড় এই মার্কেটে নেই। পাশাপাশি, ভারতীয় ইকোসিস্টেমে যদি ৫জি প্রবেশ করে, তাহলেও কিন্তু এই টেকনোলজির দাম কিছুটা বেশি হবে। মোবাইলের ক্ষেত্রে এই টেকনোলজি চালু করতে গেলে সরকার বেশ ভালো পরিমাণ টাকা গ্রহণ করবে স্পেকট্রাম মূল্য হিসেবে। ফলে টেলিকম কোম্পানিগুলিকেও নিজেদের ব্যবসা চালানোর জন্য অগত্যা দাম বৃদ্ধি করতেই হবে। ফলে, ভারতীয় সাধারণ মানুষের কাছে ৫জি ঠিক কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অনেকেই হয়তো এমন থাকবে, যারা ৪জি-তেই থেকে যেতে চাইবে। তাই B2B মার্কেট শেয়ার কিছুটা কম হলেও ৫জি ইকোসিস্টেমের ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রি সেক্টর খুব একটা অলাভজনক নয়।

তৃতীয়ত, গৌতম আদানির প্রধান ব্যবসার জায়গাটা হলো সমুদ্রবন্দর এবং বিমানবন্দর। বিশেষত, সমুদ্রবন্দরের ওপরেই তিনি সিংহভাগ নির্ভর করে থাকেন। তাঁর সংস্থা APSEZ ভারতের প্রায় প্রত্যেকটি উপকূলবর্তী রাজ্যে অন্তত একটি করে বন্দরের দায়িত্বে রয়েছে। এছাড়াও বিমানবন্দরের ক্ষেত্রেও এই মুহূর্তে বেশ কিছু ডোমেস্টিক এবং বেশ কিছু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে গৌতম আদানির অধীনে। তাই এই পরিস্থিতিতে যদি তিনি নিজে টেলিকম সেক্টরে চলে আসেন তাহলে নিজের বিমানবন্দর এবং সমুদ্রবন্দরে টেলিকম পরিষেবার জন্য অন্য কোনও কোম্পানির দ্বারস্থ হতে হবে না তাকে। ফলে একদিকে যেমন অনেক কম খরচের মধ্যে বন্দর এলাকায় টেলিকম ব্যবস্থা পেয়ে যাবেন তিনি, একই সঙ্গে এন্টারপ্রাইজ টেলিকম মার্কেটে নিজের একটা ভালো অবস্থান তৈরি করে নিতে পারবেন।

এয়ারটেলের লাভ-ক্ষতি
গৌতম আদানির টেলিকম সেক্টরে প্রবেশ করার ঘোষণায় রিলায়েন্স জিও-র খুব একটা বেশি অসুবিধে না হলেও সব থেকে বেশি অসুবিধে হয়েছে ভারতী এয়ারটেলের। ইতিমধ্যেই শেয়ার মার্কেটে লাগাতার পড়তে শুরু করেছে এয়ারটেলের শেয়ার। বিগত ১৯ সপ্তাহের মধ্যে গতকালই সবথেকে বেশি পতন হয়েছে এয়ারটেলের শেয়ারের। এখানেও রয়েছে তিনটি আলাদা আলাদা কারণ।

এর মধ্যে প্রথমটি হলো, আদানি গ্রুপের অত্যন্ত আক্রমণাত্মক বিডিং। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, ভারতের ক্ষেত্রে মূলত ৩টি আলাদা আলাদা ব্যান্ডে ৫জি স্পেকট্রাম ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই তিনটি ব্যান্ড হলো, ৭০০ মেগাহার্টজ (কভারেজ), ৩.৫ গিগাহার্টজ (৫জি কভারেজ এবং ক্যাপাসিটি) এবং ২৬ গিগাহার্টজ (ক্যাপাসিটি এবং লো ল্যাটেন্সি)। এটা ধরে নেওয়া যেতে পারে, যেহেতু কনজিউমার সার্ভিসের জন্য আদানি গ্রুপ টার্গেট নিচ্ছে না, তাই মূলত ৩.৫ গিগাহার্টজ (৫জি কভারেজ এবং ক্যাপাসিটি) এবং ২৬ গিগাহার্টজ (ক্যাপাসিটি এবং লো ল্যাটেন্সি), এই দু'টি ব্যান্ডের ওপরেই প্রধানত লক্ষ্য রাখছে আদানি গ্রুপ। তবে এয়ারটেলের সমস্যা ঠিক এই জায়গাতেই। এই দু'টি ব্যান্ডে কাজ করবে, এরকম টেলিকম সংস্থা খুব কম রয়েছে আর স্বভাবতই তাদের মধ্যে সবথেকে বড় সংস্থা এয়ারটেল। তাই এই মার্কেটে যদি কোনও নতুন সংস্থা এসে কম দামে বিডিং করতে শুরু করে, তখন অন্যান্য কোম্পানিগুলির জন্য ব্যাপারটা চাপের হয়ে উঠতে পারে।

দ্বিতীয়ত, এই মুহূর্তে আদানি গ্রুপ বিজনেস টু বিজনেস মার্কেটের দিকে নজর রাখছে। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে যে বিজনেস টু কনজিউমার মার্কেট অর্থাৎ পাবলিক মার্কেটে আদানির সংস্থা প্রবেশ করবে না, এটা কে বলতে পারে। এই মুহূর্তে ক্যাপটিভ নন-পাবলিক নেটওয়ার্ক লাইসেন্স গ্রহণের কারণে বিজনেস টু কনজিউমার মার্কেটে প্রবেশ করতে পারছেন না গৌতম আদানি। কিন্তু এই মার্কেটে নিজের পসার তৈরি হয়ে গেলে খুব সহজেই একটি ইউনিফাইড লাইসেন্স তৈরি করে দু'টি মার্কেটে একসঙ্গে প্রবেশ করে যেতে পারেন আদানি। সেক্ষেত্রে ছোটখাটো টেলিকম সংস্থাগুলি আরও চাপে পড়ে যাবে।

আর তৃতীয়ত, বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই ৫জি পরিষেবা কিন্তু সবথেকে বেশি ব্যবহার হবে এই এন্টারপ্রাইজের মার্কেটেই। যেহেতু এই পরিষেবার দাম ৪জি-র থেকে অনেকটাই বেশি হবে, তাই ৫জি সিম ক'জন মানুষ ব্যবহার করবেন, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাই অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভারতের সর্বমোট ৫জি স্পেকট্রাম রেভিনিউ-র মধ্যে ৪০% আসবে এই বিজনেস এবং এন্টারপ্রাইজ ব্যবসা থেকেই। আর এই মার্কেটে আদানির প্রবেশ এই মার্কেটের অন্যান্য সংস্থাগুলির অবস্থা ভবিষ্যতে আরও খারাপ করে দিতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ভোডাফোন আইডিয়ার কীভাবে সুবিধা হচ্ছে?
এই মুহূর্তে শুধুমাত্র বিজনেস টু বিজনেস মার্কেটের দিকে নজর দিলেও সম্ভাবনা রয়েছে আগামী দিনে বিজনেস টু কনজিউমার মার্কেটের দিকেও এগোতে পারেন গৌতম আদানি। তবে, আদানি নিজেও নিজের সংস্থা নিয়ে বিজনেস টু কনজিউমার মার্কেটে আসতে পারেন অথবা কনজিউমার মার্কেটের একটি দুর্বল প্রতিদ্বন্দ্বী ভোডাফোন আইডিয়াকে অধিগ্রহণ করে নিতে পারেন। তবে, কনজিউমার মার্কেটে ভোডাফোন আইডিয়ার হাল আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনা খুব একটা সহজ কাজ হবে না। এই মুহূর্তে ভোডাফোন আইডিয়ার হাল ফেরানোর জন্য একটা বড় অঙ্কের টাকার প্রয়োজন আছে। তাদের ৪জি নেটওয়ার্কের উন্নতির পাশাপাশি ৫জি নেটওয়ার্ক রোল আউট করার জন্য একটা বড় অঙ্কের টাকার প্রয়োজন। পাশাপাশি, পুনরায় মার্কেট শেয়ার ফিরিয়ে আনার জন্যও প্রয়োজন হবে একটা বড় অঙ্কের টাকা। সেই টাকা গৌতম আদানির সংস্থার কাছে রয়েছে। যদি গৌতম আদানি ইচ্ছা করেন, তাহলে ভোডাফোন আইডিয়াকে আবার পুরনো জায়গায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে পারেন। এই মুহূর্তে ভিআই-এর যা পরিস্থিতি, তাতে যদি গৌতম আদানি এই কোম্পানিকে অধিকরণ করেন, তাহলে আখেরে এই কোম্পানির সুবিধাই হবে।

ইন্ডাস টাওয়ার্স কীভাবে উপকৃত হবে?
যদি গৌতম আদানি ভারতের টেলিকম মার্কেটে প্রবেশ করেন তাহলে সব থেকে বেশি লাভ হবে ইন্ডাস টাওয়ার্স কোম্পানির। এই কোম্পানিটি ভারতের সবথেকে বড় টাওয়ার কোম্পানি। যদি ইন্ডাস্ট্রিয়াল মার্কেটের পাশাপাশি কনজিউমার মার্কেটেও কোনওভাবে গৌতম আদানি প্রবেশ করেন তাহলে প্রয়োজন বাড়বে ইন্ডাস টাওয়ার্স কোম্পানির টেলিকম টাওয়ারের। সারা ভারতেই এই ইন্ডাস টাওয়ার্স কোম্পানির টাওয়ার ছড়িয়ে রয়েছে। তাই কনজিউমার মার্কেটে প্রবেশ করলে এই কোম্পানির মাধ্যমেই তাদের স্পেকট্রাম ছড়াতে হবে আদানি গ্রুপকে। সেক্ষেত্রে একটা বড় লাভ চোখে দেখতে পারে এই ইন্ডাস টাওয়ার্স কোম্পানিটি।

রিলায়েন্স জিও-র কোনও সমস্যা হবে কি?
২০১৬ সালে যে পদ্ধতি ব্যবহার করে রিলায়েন্স জিও ভারতে প্রবেশ করেছিল, সেই একই মার্কেটিং স্ট্র‍্যাটেজি কনজিউমার মার্কেটে প্রবেশ করতে ব্যবহার করতে পারেন গৌতম আদানি। যদি আবারও এই বিনামূল্যে ইন্টারনেট দেওয়ার স্ট্র‍্যাটেজি চালু করা হয়, তাহলে একটা বড় অংশের মানুষ রিলায়েন্স জিও থেকে সরে গিয়ে গ্রহণ করবেন আদানি গ্রুপের কানেকশন। সঙ্গেই, গ্রাহক হারাবে রিলায়েন্স জিও। তবে এখনও পর্যন্ত এরকম কিছু হওয়ার সম্ভাবনা কমই রয়েছে। শুধুমাত্র, একভাবেই এটা সম্ভব, যদি গৌতম আদানি ভোডাফোন আইডিয়াকে অধিগ্রহণ করে নেন।

 

More Articles