উৎপাদন কমছে পশ্চিমবঙ্গে! ভরসা এখন গুজরাতের ইলিশ?

Ilish Fishy Business: কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার, দীঘা, শংকরপুর-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ইলিশ ভর্তি লরি আসত এই বাজারে। তবে এবারে তা হয়নি।

বর্ষা মানেই ইলিশ মাছ। ভাপা, পাতুরি, কালো জিরে দিয়ে পাতলা ঝোল— পাত জুড়ে থাকে ইলিশের নানা পদ। এখন বাঙালিদের ঘরে ঘরে চলে ইলিশ পার্বণ। ইলিশের মূল যোগান দেয় পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশ। কিন্তু এবার প্রধান সরবরাহকারী হিসেবে যুক্ত হল গুজরাতের ভরুচ (Bharuch) অঞ্চল। এ বছরে গুজরাত থেকে রেকর্ড পরিমাণ ইলিশ আমদানি করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।

গত কয়েক বছরে, পশ্চিমবঙ্গে ইলিশের উৎপাদন অর্ধেক হয়ে গেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে আসা ইলিশের পরিমাণও কমছে। এই পরিস্থিতিতে ইলিশের চাহিদা পূরণ করতেই ভরুচ ইলিশের গুরুত্ব বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গবাসীকে ভরসা করতে হচ্ছে গুজরাতের ইলিশে।

আরও পড়ুন- বাজারে পদ্মার ইলিশ কিনতে গিয়ে ঠকছেন? কীভাবে চিনবেন নদীর মাছ, যে তথ্য জানতেই হবে

অন্যান্য বছর হাওড়া স্টেশন লাগোয়া পাইকারি মাছ বাজারে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ইলিশ মাছ আসত। কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার, দীঘা, শংকরপুর-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ইলিশ ভর্তি লরি আসত এই বাজারে। তবে এবারে তা হয়নি। মাছের উৎপাদন কমে যাওয়ায় সেভাবে আর ইলিশ ভর্তি লরিও আসছে না। এখন ইলিশের লরি আসছে গুজরাতের ভারুচ থেকে।

ভরুচে এই বর্ষায় ৪,০০০ টন ইলিশ আহরণ হয়েছে। এই ইলিশই এবার দেশের ব্যাপক চাহিদা পূরণ করেছে। প্রথমে তা কলকাতায় আসে—সেখান থেকেই অন্যান্য বড় বড় শহর মুম্বাই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাইয়ে পাঠানো হয়।

পদ্মার ইলিশ এবার প্রায় মেলেনি পশ্চিমবঙ্গের বাজারে। প্রতি বছর দুর্গা পুজোর আগে পুজোর উপহার হিসাবে বাংলাদেশী সরকার পদ্মার ইলিশ কলকাতায় পাঠাত। একমাস ধরে ইলিশের যোগান দিত বাংলাদেশ। যেহেতু এবার বাংলাদেশেও ইলিশের উৎপাদন কম তাই এই নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। এবারে পুজোয় বাঙালির ভরসা গুজরাতের ইলিশেই।

More Articles