কাঁটা উপড়ে ফেলতে দক্ষ মোদি! ক্ষমতায় আসতে কাকে কাকে পথ থেকে সরিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি?
Narendra Modi: ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে একে একে কত নেতাকে সরিয়েছেন পথ থেকে, তালিকা দীর্ঘ! নরেন্দ্র মোদি ২০০১ সালে কেশুভাই প্যাটেলের জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব কাঁধে নেন।
সবকিছুই তো ফেয়ার, প্রেমে, রণে, রাজনীতিতে। আজ যে বন্ধু, পাশ ফিরলেই শত্রু হতে ভগ্নাংশ সেকেন্ডও লাগে না। রাজনীতিতে এই উত্থান-পতন, কাউকে ফেলে, মেরে তরতরিয়ে উঠে আসা কোনও নতুন ঘটনা নয়। তবে তা দক্ষভাবে করতে পেরেছেন কমজনই। পেরেছেন আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মোদি। ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে একে একে কত নেতাকে সরিয়েছেন পথ থেকে, তালিকা দীর্ঘ! নরেন্দ্র মোদি ২০০১ সালে কেশুভাই প্যাটেলের জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব কাঁধে নেন। কিন্তু তাঁর এই দায়িত্বগ্রহণের আগের ইতিহাসটি ভয়াবহ!
মোদি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের হাত ধরেই রাজনীতিতে আসেন। কিন্তু প্রকৃত রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জনের জন্য আরএসএসের আদর্শিক ক্ষেত্র থেকে পৃথক হয়ে তাঁকে বিজেপিতে যোগ দিতে হয়েছিল। ১৯৮৭ সালে প্রথম মোদিকে গুজরাতের সংগঠন সম্পাদক হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। রাজ্য আরএসএসের হয়ে তিনিই বিজেপির তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন। বিজেপির রাজ্য বা জাতীয় সভাপতিদের থেকে এই পদ ছিল ভিন্ন। আরএসএসের সংগঠন সম্পাদক পর্দার আড়ালে থেকেই দলকে নির্দেশ দেওয়া এবং আরএসএস ও এর রাজনৈতিক সহযোগীদের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজটি করতেন।
গুজরাতের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে মোদি যে আট বছর কাজ করেছিলেন সেই সময়কালে রাজ্য বিজেপির দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে। ১৯৮৫ সালে রাজ্য বিধানসভার ১১টি আসন ছিল বিজেপির। এক দশকে তা বেড়ে হয় ১২১! গুজরাত বিজেপির প্রাক্তন দুই সভাপতি কেশুভাই প্যাটেল এবং শঙ্করসিংহ ভাঘেলা রাজ্য দলের নেতৃত্বে ছিলেন। তবে তাঁদের পাশাপাশি মোদি ক্রমেই তৃতীয় শক্তি কেন্দ্রে পরিণত হন। জোট গঠন, রাজ্য ও জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে তাঁর মতামত গুরুত্ব পেতে থাকে।
আরও পড়ুন: শংসাপত্র দিয়ে কেবল মুসলিমদেরই ওবিসি করা হয়েছে? শেষ দফার আগে যে তাস খেলছেন মোদি
এই সময়ের মধ্যে, গুজরাতে সাম্প্রদায়িক তিনটি গুরুতর দাঙ্গা ঘটেছিল। ১৯৮৫ সালের দাঙ্গায় ২০৮ জন, ১৯৯০ সালে ২১৯ এবং ১৯৯২ সালের সাম্প্রদায়িক হিংসায় ৪৪১ জন মারা যায়। এই ক্রমবর্ধমান সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে বিজেপির বিপুল সুবিধা হয়। তারা রাজ্যের হিন্দু ভোটকে একজোট করে। এই হিন্দু ভোট ও উত্তেজনাকে পুঁজি করতে বিজেপি একাধিক রোডশো-র আয়োজন করেছিল। ১৯৮৭ সালে ন্যায় যাত্রা এবং ১৯৮৯ সালে লোক শক্তি রথযাত্রা। ১৯৯০ সালে বিজেপি সভাপতি এল কে আদবানি অযোধ্যা রথযাত্রা শুরু করেছিলেন। এই রথযাত্রার পরিণতিতেই শেষ পর্যন্ত বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়ে যায়। এর পরের বছর, মোদি প্রথম জাতীয় দায়িত্ব পান। বিজেপির নতুন সভাপতি মুরলি মনোহর যোশীর নেতৃত্বে একতা যাত্রার সংগঠক হন মোদি।
একতা যাত্রার সময় মোদিই যাত্রপথ ঠিক করতেন। যাত্রা কোথায় দাঁড়াবে, কী করবে তা ঠিক করতেন। মুরলি মনোহর জোশীর নির্দেশ থেকে প্রায়ই সরে যেতেন মোদি। জোশী বারেবারে অনুরোধ করতেন যাত্রায় যারা হাঁটছেন, বড় জাতীয় নেতা থেকে শুরু করে ক্ষুদ্রতম স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক সবার একসঙ্গে খাওয়া উচিত কিন্তু মোদি প্রায়ই উধাও হয়ে যেতেন এই সময়। এর জন্য তিরস্কৃতও হন। মোদি যাত্রা শেষে যখন গুজরাতে ফিরে আসেন, তখন আরও বেপরোয়া হয়ে, নির্দেশের বাইরে গিয়ে কাজ করতে থাকেন তিনি। এই সময়ই শঙ্করসিংহ ভাঘেলার সঙ্গে বিবাদ শুরু হয় তাঁর। মোদির থেকে দশ বছরের সিনিয়র তিনি, বিজেপির মধ্যে বেশ ক্ষমতা ধরেন। শঙ্কর ভাঘেলাকে আবার পিছনে ফেলে দেন রাজ্য দলের সবচেয়ে বরিষ্ঠ নেতা কেশুভাই প্যাটেল। বিজেপি ক্ষমতায় এলে কেশুভাই প্যাটেলই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছিলেন। মোদিকে আরএসএস এবং বিজেপির মধ্যে 'সেতু' বলে মনে করা হলেও দেখা যায় মোদির নিজের মতো চলা, নিজে নির্দেশ দেওয়া এবং একা কাজ করার প্রবণতা বিজেপি নেতাদের সঙ্গে তাঁর একটা দ্বন্দ্ব তৈরি করে ফেলে। মোদি কেশুভাই এবং শঙ্করসিংহ ভাঘেলার সমান হতে চেয়েছিলেন।
তবে আরএসএস আর বিজেপি রাজ্যব্যাপী নির্বাচনে জয়লাভ করার লক্ষ্যে একই অবস্থানে ছিল। অথচ বিজেপির কর্মীরা তখনও ভোটার পরিচালনার সূক্ষ্ম শিল্পে দড় নন খুব। ভোটার রেকর্ড রাখা, অসুস্থ এবং বয়স্কদের জন্য পরিবহণের ব্যবস্থা করা এবং আরও নানা ব্যবস্থাপনার অভাব ছিল দলে। সেই সময় একসঙ্গে কাজ করে, মোদি, ভাঘেলা এবং প্যাটেল ১৯৯৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের ঠিক আগে একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির জন্য আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং এবিভিপির থেকে দেড় লক্ষ কর্মীকে একত্রিত করেন এবং এই প্রচেষ্টার সুফলও মেলে।
১৮২ সদস্যের বিধানসভায় বিজেপি তার আসন প্রায় দ্বিগুণ করে, ৬৭ থেকে ১২১-এ পৌঁছয়! কংগ্রেস পায় মাত্র ৪৫ টি আসন। কেশুভাই প্যাটেল হন বিজেপির নতুন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সুযোগ বুঝে মোদি কেশুভাইয়ের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাতে শুরু করেন। ভাঘেলা বুঝতে পেরেছিলেন, মোদি আর কেশুভাই মিলে তাঁর বিরুদ্ধে একটি জোট তৈরি করছেন। ভাঘেলার ধৈর্যচ্যুতি ঘটে। ১৯৯৫ সালে তিনি বিজেপির অর্ধেক বিধায়ককে মধ্যপ্রদেশের একটি রিসর্টে নিয়ে যান এবং বলেন বিজেপি কেশুভাই প্যাটেলকে সরিয়ে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী না করলে সরকার ফেলে দেবেন তিনি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। অটল বিহারী বাজপেয়ীকে শান্তি চুক্তির জন্য গুজরাতে পাঠানো হয়। কেশুভাই প্যাটেলের জায়গায় সুরেশ মেহতা মুখ্যমন্ত্রী হন এবং মোদিকে, শাস্তি হিসাবে বিজেপির জাতীয় সম্পাদক হিসাবে কাজ করার জন্য দিল্লিতে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং জম্মু ও কাশ্মীরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
১৯৯৬ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভাঘেলা হেরে যান! এর জন্য তিনি আরএসএস, মোদি এবং প্যাটেলকেই দায়ী করেন। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে একটি নতুন দল গঠন করেন। সুরেশ মেহতার সরকারের পতন ঘটে এবং কংগ্রেসের সমর্থনে ভাঘেলা মুখ্যমন্ত্রী হন।
অন্যদিকে শাস্তি হলেও মোদির জন্য দিল্লিতে নির্বাসিত হওয়া আশীর্বাদ হয়ে দেখা দেয়। দলের সদর দফতরে মোদি জাতীয় বিজেপি নেতাদের সঙ্গে প্রতিদিন যোগাযোগ করতেন। মোদি ভাঘেলার এই দলত্যাগের সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণ সুযোগ নেন। ১৯৯৮ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিলে মোদির আবারও পদোন্নতি হয়। তিনি জাতীয় দলের সংগঠন সম্পাদক হন অর্থাৎ সমগ্র ভারতের হয়ে বিজেপি এবং আরএসএস-এর মধ্যে সেতুবন্ধনের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে।
১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধ এবং পরবর্তীতে বাজপেয়ী আর জেনারেল পারভেজ মোশারফের মধ্যে ব্যর্থ শান্তি আলোচনার সময়, মোদি ঘন ঘন প্রেস কনফারেন্স করেন, প্রায়শই তাঁকে টেলিভিশনে উপস্থিত হতে দেখা যায়। চড়া আক্রমণ শানাতে থাকেন, হিন্দুত্ববাদী সুর সপ্তমে ওঠান। পাকিস্তানের উস্কানির জবাব কীভাবে দেওয়া যায় সেই সম্পর্কে একটি টেলিভিশন বিতর্কে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে, মোদি উত্তর দেন, "চিকেন বিরিয়ানি নয়, বুলেটের জবাব বোম দিয়ে দেব"।
ওদিকে, কংগ্রেস সমর্থন প্রত্যাহার করার পরে স্বল্পস্থায়ী ভাঘেলা সরকারের পতন ঘটে এবং কেশুভাই প্যাটেল আবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ফিরে আসেন। সঞ্জয় যোশী, হরেন পাণ্ডিয়া এবং গোরধন জাদাফিয়ার মতো তরুণ বিজেপি নেতাদের একটি নতুন গোষ্ঠী গড়ে ওঠে। মোদি কিন্তু তখনও দিল্লিতে। কেশুভাই প্যাটেলের অধীনে বিজেপি ২০০১ সালে কয়েকটি স্থানীয় সংস্থার নির্বাচন এবং দু'টি উপ-নির্বাচনে হেরে যায়। কচ্ছ অঞ্চলে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি সামলানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হওয়ার প্রভাব পড়ে ভোটে। মোদি এই সুযোগে ফের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে প্রাক্তন বন্ধু কেশুভাই প্যাটেলের বিরুদ্ধে কথা বলতে থাকেন।
মোদি ক্রমাগত তলে তলে প্রচার করে যেতে থাকেন কেশুভাই শুধুমাত্র উন্নয়নে আগ্রহী, হিন্দুত্বের বিস্তাতে তাঁর মতি নেই। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মোদির নিজের নাম নানাভাবে সকলের মাথায় ঢুকিয়ে দিতে থাকেন। বাজপেয়ীর কাছ থেকে সমর্থন পান তিনি। এমভি কামাথকে এক সাক্ষাত্কারে মোদি বলেছিলেন, একজনের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি শ্মশানে গেছেন সবে। সেই সন্ধ্যায় বাজপেয়ীর কাছ থেকে একটি ফোন আসে। বাজপেয়ী তাঁকে দেখা করতে বলেন। দেখা হওয়ার পর বাজপেয়ী মোদিকে বলেন, “দিনরাত পাঞ্জাবি খাবার খেয়ে মোটা হয়ে গেছো। তোমাকে একটু রোগা হতে হবে। এখান থেকে যাও"। মোদি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন কোথায় যাবেন? উত্তরে বাজপেয়ী বলেন, "গুজরাতে যাও, ওখানেই কাজ করতে হবে।" মোদি কামাথকে বলেছিলেন, "তখন আমি জানতাম না যে অটলজি আমাকে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম গুজরাতের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে নাকি অন্য কোথাও? তখন অটলজি বলেন, ‘না, না, তোমাকে নির্বাচনে লড়তে হবে।’ আমি যখন জানতে পারলাম যে আমাকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য ভাবা হচ্ছে। তখন আমি অটলজিকে বলেছিলাম, ‘এটা আমার কাজ নয়। আমি দীর্ঘ ছয় বছর গুজরাত থেকে দূরে। ওখানকার সমস্যাগুলোও আমার জানা নেই। আমি ওখানে কী করব? আমি কাউকে চিনি না।” এত কিছুর পরে দলের সিদ্ধান্ত মেনে গুজরাত চলে যান মোদি।
আরও পড়ুন:মোদির কথা শুনতে চাইছে না মানুষ! কেন সোশ্যাল মিডিয়াতে হু হু করে কমছে মোদির ‘ভিউ’?
মোদি হাড়ে হাড়ে জানতেন, গুজরাত বিজেপি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করবে না কারণ গুজরাতের নেতারা জানতেন মোদি নিজেকে ছাড়া কিচ্ছু ভাবেন না। এই কাজটা ঘটাতে গেলে উপরে থেকেই হতে হবে। রাজ্যের বিজেপি বিধায়করা যাতে কোনও বাধা দিতে না পারেন তা আটকাতে মোদির সঙ্গে আসেন বিজেপির প্রাক্তন জাতীয় সভাপতি কুশাভাউ ঠাকরে এবং অন্য একজন বরিষ্ঠ নেতা মদন লাল খুরানা। জিতে যান মোদি। সেই থেকে তাঁর সফর চলছে। নিজেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদ অবধি নিয়ে গেছেন মোদি। কেশুভাই বা ভাঘেলাদের যথাযথ সময়ে সরিয়ে দিয়ে মসনদে বসেছেন মোদি। তারপর থেকেই নিজের টক্করের যে কাউকে পথ থেকে সরিয়ে দিতে দ্বিধা করেননি তিনি। অটলবিহারী তাঁকে রাজধর্ম পালন করতে বলেছিলেন, মোদি আদবানির ঘনিষ্ঠ হন। তারপর সেই আদবানিকেই এমন দূরে সরান যে রামমন্দিরের উদ্বোধনে তাঁকে আমন্ত্রণ করেও আসতে বারণ করে দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে যশবন্ত সিংকে টিকিট পেতে দেননি মোদি। সেই বছরই মুরলি মনোহর জোশীকে তাঁর আসন বারাণসী থেকে টিকিট না দিয়ে কানপুরে প্রার্থী করেন মোদি। বারাণসীতে নিজে দাঁড়ান। আর ২০১৯ সালে মুরলি মনোহর যোশীকে সরাসরি আদবানির মতোই অবসরে পাঠানো হয়। সুষমা স্বরাজকেও বিদেশনীতির নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত রাখা হচ্ছিল। ২০২১ সালে নীতিন গড়করি বলেছিলেন জওহরলাল নেহরু, অটল বিহারী বাজপেয়ীরা আদর্শ নেতা। পরের বছরই সংসদীয় কমিটি থেকে গড়করিকে বাদ দেওয়া হয়।
ক্ষমতা এক দম দেওয়া পুতুল! যার যোগ্য ব্যবহার জানেন মোদি। ক্ষমতালোভী নেতার শাসনে দশটা বছর কাটিয়ে দেওয়া দেশ জানে, অনেক উঁচুতে উঠতে গেলে এভাবেই পিষে ফেলতে হয় কাউকে কাউকে। আর এই খেলায় দক্ষ শিল্পী নমো!