বৃদ্ধ বয়সেও কীভাবে মনে মনে ভাস্কর্য গড়তেন রামকিঙ্কর বেইজ!
Ramkinkar Baij : মৃত্যুর দু’দিন আগে তাঁকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন সত্যজিৎ। ছাত্রের হাত ধরে কিঙ্কর বললেন, 'মানিক, একটা রিকশা ডেকে আমাকে বাড়ি পৌঁছে দাও!'
সব কিছুর মধ্যে যৌনতা আছে, যৌনতা ছাড়া সব কিছুই প্রাণহীন, ঊষর!
তবে,
রিয়ালিটির সবটাই কপি করতে নেই।
এ কথা বলতেন স্বয়ং রামকিঙ্কর। তিনি রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন,
আমি রামের চাকর, বুঝলি! যে রাম দেয়, তাকেই ভালোবেসে ইন্টারভিউ দিই। যা একটা রামের বোতল কিনে নিয়ে আয়।
বলেছিলেন,
মাস্টারমশাই শ্রদ্ধেয় নন্দবাবু ছিলেন ভীষণ গোঁড়া। তিনি ছিলেন জ্যান্ত মডেল ব্যবহারের ঘোর বিরোধী। বলতেন ও-সব পশ্চিমে চলে। কিন্তু আমি তার উপদেশ মেনে চলিনি। মডেল ব্যবহার করেছি।
প্র: আপনি যখন রবীন্দ্রনাথের পোর্ট্রেট করছিলেন, তখন উনি আপনাকে কী বলেছিলেন শিল্প সম্পর্কে?’’
রামকিঙ্কর স্মৃতিতাড়িত হয়ে একচোট হাসলেন। তারপর বলে চলেন,
উনি প্রথমে দেখে নিলেন কোথাও লোক আছে কিনা। কারণ অনেক সময় ওনার সঙ্গে লোক থাকত তো, সেক্রেটারিরা থাকতেন। সেই জন্য সব দেখে নিলেন। আমি ওধারে, পোর্ট্রেট করছি ওঁর। উনি বসে-বসে লিখছিলেন আর কী, তারপরই বললেন, দেখো, যখন কিছু দেখবে, বাঘের মতো ঘাড় মুচড়ে ধরবে। পিছনে আর তাকাবে না। এই হল শেষ কথা।
সালটা ১৯৭৫। ঋত্বিক (ঘটক) পৌঁছলেন প্রিয় কিঙ্করদার কাছে। উদ্দেশ্য, একটা ডকুমেন্টরি। টানা চারদিন তাঁকে অনুসরণ করে গেছেন ক্যামেরা হাতে নিয়ে। যদিও ছবির কাজ শেষ করতে পারেননি ঋত্বিক।
রামকিঙ্কর ছিলেন বোহেমিয়ান, non-conformist— অনেকটাই সামাজিক দায়বদ্ধতার ধার-না-ধারা একজন মানুষ। তথাকথিত মধ্যবিত্ত সমাজের মূল্যবোধের তোয়াক্কা করতেন না। কিন্তু তার জন্য খোলাখুলি অসামাজিক আচরণ করতে কেউ দেখেননি। তিনি ছিলেন আত্মভোলা, দিলদরিয়া, স্বচ্ছ মনের মানুষ।
রামকিঙ্কর বেইজ। পারিবারিক পদবি ছিল পরামানিক। তিনিই প্রথম বেইজ পদবি চালু করেন তাঁদের পরিবারে। সংস্কৃত বৈদ্য ও প্রাকৃত বেজ্জ-র পরিবর্তিত রূপ। জন্মেছিলেন বাঁকুড়ার যোগীপাড়ায়। যদিও তাঁর জন্মতারিখ নিয়ে ব্যাপক বিভ্রান্তি রয়েছে। মদ্যপ অবস্থায় তিনি একবার বলেছিলেন ১৯১০ সালে তাঁর জন্ম। তবে শান্তিনিকেতনসহ অন্যান্য জায়গায় এবং সরকারি নথিপত্র অনুযায়ী ১৯০৬ সালের ২৫শে মে তারিখটিকে তাঁর জন্মদিন বলে মনে করা হয়। তাঁর পাশের বাড়ির অনন্ত সূত্রধর তাঁর প্রথম শিল্পশিক্ষক। অনন্ত জ্যাঠা প্রতিমা গড়তেন, এবং তাঁর প্রতিমা তৈরির কাজে সহযোগিতা করতেন রামকিঙ্কর। তাঁর দেখাদেখি কাদা দিয়ে মূর্তি গড়েছেন, এভাবেই ভাস্কর্যশিল্পের প্রতি তাঁর আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। স্বশিক্ষিত শিল্পী বলতে যা বোঝায় রামকিঙ্কর বেইজ ছিলেন তাই। দু'চার আনার বিনিময়ে নিষিদ্ধ পল্লির রমণীদের মূর্তি গড়তে-গড়তেই তাঁর ভাস্কর্যের সহজপাঠ। নিষিদ্ধ পল্লীর মেয়েরাই ছিল তাঁর প্রথম মডেল। তাঁর দুর্গা।

নন্দলাল বসু
ছেলেবেলা থেকেই পাগলাটে স্বভাবের ছিলেন রামকিঙ্কর, ছবি আঁকার সরঞ্জাম কেনার পারিবারিক সামর্থ্য তাঁর ছিল না। তাই বলে কি থেমে থাকবে শিল্পকর্ম। তিনি কাগজের টুকরো সংগ্রহ করে লাল মাটি আর হলুদের মতো প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে তাঁর ছবি রং করতেন। সবুজ রঙের জন্য শিম পাতার রস হলুদ রঙের জন্য বাটনা বাটা শিলের হলুদ মেয়েদের পায়ের আলতা মুড়ি ভাজা খোলার ভুসোকালি আর পুঁইশাক থেকে বেগুনি রং নিয়ে চলত ছবি আঁকার কাজ। ছাগলের গলার লোম কেটে বাঁশ কাঠির ডগায় বেঁধে তৈরি হত তুলি। মধ্যকৈশোরে রামকিঙ্কর অসহযোগ আন্দোলনে বা নন-কোঅপারেশন মুভমেন্টে অংশগ্রহণকারী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ছবি আঁকতেন। এই সময় তিনি তেল রঙে জাতীয় কংগ্রেসের পোস্টারও এঁকে ছিলেন।
আরও পড়ুন-
দেওয়ালে, দরজায় সর্বত্র আঁকা পুরুষাঙ্গ! ভুটানের এই রহস্যময় রীতির আসল কারণ কী?
আনুষ্ঠানিকভাবে রামকিঙ্করের শৈল্পিক যাত্রা শুরু হয় ১৯২৫ সালে ১৯ বছর বয়সে, শান্তিনিকেতনের কলা ভবনে যোগদানের মাধ্যমে। সাংবাদিক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের সহায়তায় ভর্তি হয়ে গেলেন বিশ্বভারতীতে। শান্তিনিকেতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
শান্তিনিকেতনে এসে আমি অনেক কিছু দেখেছি... জীবনকে দেখতে শিখেছি।
১৯ বছরের রামকিঙ্করের কাজ দেখে মুগ্ধ হন নন্দলাল বসু। কলাভবনে তাঁর কাজ দেখে নন্দলাল প্রথম দিনই বললেন,
তুমি সবই জানো, আবার এখানে কেন?
একটু ভেবে তারপর বলেন,
আচ্ছা, দু-তিন বছর থাকো তো।
থেকে গেলেন কিঙ্কর। নাগাড়ে সাড়ে পাঁচ দশক শান্তিনিকেতনে কাটিয়ে মৃত্যুর কিছু দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন,
সেই দু-তিন বছর আমার এখনও শেষ হল না!
কলাভবনে কিঙ্করই প্রথম অয়েলে কাজ করেছেন। সে-নিয়েও বিতর্কের শেষ ছিল না। প্রথমে আপত্তি করলেও পরে নন্দলাল মেনে নেন ছাত্রের যুক্তি। রামকিঙ্কর রঁদা, সেজান ও পরবর্তী কিউবিস্ট ছবির সঙ্গে পরিচিত ছিলেন। তাঁর কাজে কিউবিস্ট প্রভাব নিয়েও নন্দলালের সঙ্গে বিরোধ ছিল। সে-বিরোধ মিটেও যায়। শান্তিনিকেতনেই তিনি প্রথম সমসাময়িক ইউরোপীয় শিল্প-জগতের সঙ্গে পরিচিত হন। কিন্তু পশ্চিম বিশ্বে এই পরিচিতি সত্ত্বেও, শান্তিনিকেতন কখনও তার ছাত্রদের উপর শিল্পের ঔপনিবেশিক আদর্শ চাপিয়ে দেয়নি, বরং নিজস্ব সংস্কৃতির সঙ্গে প্রোথিত থাকার উপর জোর দিয়েছিল। এই উদার শিক্ষা এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং নন্দলাল বসুর মতো গুরুদের নির্দেশনাই রামকিঙ্করকে অবশেষে তাঁর নিজস্ব মৌলিক শৈলী খুঁজে পেতে অনুপ্রাণিত করেছিল। কিন্তু সম্ভবত কিউবিজমই রামকিঙ্করের কল্পনাকে সত্যিকার অর্থে ধারণ করেছিল। তাঁর চিত্রকর্ম থেকে শুরু করে তাঁর ভাস্কর্য পর্যন্ত, কিউবিজমের প্রভাব স্পষ্ট। তবে, তিনি কেবল অনুকরণ করেননি। তাঁর শৈলী ছিল অনুকরণ নয়, বরং শান্তিনিকেতনে তিনি যা কিছু শিখেছিলেন তার সমস্ত কিছুর সংমিশ্রণ।

রামকিংকর বেইজ
শান্তিনিকেতন তাঁর ভাস্কর্যের মূল বিষয়বস্তু, প্রকৃতি এবং মানব রূপকেও প্রভাবিত করেছিল। এখানকার উন্মুক্ত পরিবেশ তাঁকে প্রকৃতির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আরও গভীর করতে উৎসাহিত করেছিল। সাঁওতালদের নিয়ে ব্যাপক শিল্পকর্ম প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন,
আমি তাদের (সাঁওতাল) প্রতি একটা আকর্ষণ অনুভব করি এর মূল কারণ হল তাদের জীবন ও প্রাণশক্তি তাদের পরিবারে, তাদের দৈনন্দিন কাজে, তাদের উৎসবে প্রতিফলিত হয়। তাদের জীবন আমাদের জীবনের মতো ঝগড়ুটে এবং নোংরা নয়।
তবে তাঁর সাঁওতালদের প্রতি এই আকর্ষণ ছিল পুরনো। ছোটবেলায়, তিনি মুগ্ধ হয়ে দেখতেন সাঁওতাল শ্রমিকরা ফসল কাটার মৌসুমে পাহাড়ি অঞ্চল থেকে সমতল অঞ্চলে চলে যায়। তাদের চলাফেরা তাঁকে বিশেষভাবে আকর্ষণ করত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিটি সম্ভবত রামকিঙ্করের সবচেয়ে বিখ্যাত প্রতিকৃতি। রামকিঙ্কর তাঁর চারপাশে ঘটে যাওয়া সামাজিক-রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রতি সাড়া দিয়েছিলেন। ১৯৪২ সালে তিনি যুদ্ধবিরোধী চিত্রকর্মের একটি সিরিজ তৈরি করেছিলেন এবং 'হারভেস্টার' শিরোনামের তাঁর ভাস্কর্যটি ছিল ১৯৪৩ সালের কুখ্যাত বাংলার দুর্ভিক্ষের প্রতিক্রিয়া।
I don’t bother for social response. I feel an inevitable impulse and it forces me to create.This inner inspiration compels me to paint or create. Does it really matter whether the rich and elite class demands my art works or not? The forms and figures which are born within me forcefully try to come out and while I give them some shape, I feel relieved.
রামকিঙ্করের ভাস্কর্যগুলি আকৃতিতে বেশ বড়। তিনি চোখের সামনে যা দেখেন তাই হয় মডেল।
What I see with my eyes in this world’s garden in the light of day, I represent in my painting; what I touch and feel in it’s darkness, I embody in my sculpture.
শান্তিনিকেতনের আগে রামকিঙ্করের অভিজ্ঞতা কেবল ক্যালেন্ডার প্রিন্ট এবং একাডেমিক তৈলচিত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। রামকিঙ্করকে একটি সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ওঁর কাজে রবীন্দ্রনাথের কোনও প্রভাব আছে কি না। তার উত্তরে বলেছিলেন, ‘আছে এবং নেই’। কথাটার ব্যাখ্যা করেছিলেন এই বলে যে, সরাসরি প্রভাব না থাকলেও, গুরুদেব যে স্বাধীনতা দিয়েছিলেন তাঁকে কাজ করার— সেটাই সবচেয়ে বড় প্রভাব। কচ ও দেবযানী মূর্তিটি ১৯২৯ সালে তৈরি। প্লাস্টারে করা এই ভাস্কর্যটির উচ্চতা ৩০ সেমি। রামকিঙ্করের পেশাগত জীবনের ভবিষ্যৎ স্থির হয় ১৯৩৪ সালে। তিনি কলাভবনের স্থায়ী শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পান এই সময়ে। ১৯৩৫ এবং ৩৬ সালে অনেকগুলি কাজ তিনি শেষ করেন। এই সময়ের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলির মধ্যে রয়েছে 'রিলিফ সাঁওতাল ও মেঝেন', 'সাঁওতাল দম্পতি', 'কৃষ্ণগোপিনী', 'সুজাতা'। ১৯৩৭ থেকে তিনি ছাত্রদের মডেলিং শেখানোর দায়িত্ব নেন। এই বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই রামকিঙ্করের তেলরং পর্বের শুরু বলে মনে করা যায়। ১৯৩৭ থেকে ১৯৪২ সালের মধ্যে তিনি অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ তৈল চিত্রের কাজ শেষ করেন। একই সময়ের মধ্যে শেষ হয় তাঁর অনেকগুলি বিখ্যাত ভাস্কর্যের কাজও। তাঁর সৃষ্টিকর্মের কাল বিচারে এটিই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সময় বলা যেতে পারে।

শক্তি চট্টোপাধ্যায়
বাংলা থিয়েটারের একজন পথিকৃৎ কিংবদন্তি অভিনেত্রী বিনোদিনী দাসীকে স্মরণ করে বেইজ বিনোদিনী ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেন। ভারতের প্রথম পেশাদার মহিলা অভিনয়শিল্পীদের একজন হিসেবে তিনি যে চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হয়েছিলেন এখানে তা প্রতিফলিত হয়।ষাটের দশকের মাঝামাঝি কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়, বন্ধু সমীর সেনগুপ্তকে নিয়ে এক বাসন্তিক বিকেলে হাজির হলেন শান্তিনিকেতন। রিকশা থামল অনিবার্যভাবে বাংলা মদের দোকান ‘আকর্ষণী’-তে। রিকশায় উঠল দু’ বোতল বাংলা। গন্তব্য রতনপল্লি, রামকিঙ্করের ডেরা।
শক্তি। কিঙ্করদা, ও কিঙ্করদা...
শক্তির হেঁড়ে গলায় হাঁক শুনে লুঙ্গি বাঁধতে-বাঁধতে বাইরে এলেন রামকিঙ্কর। মুখে সেই চিরচেনা হাসি।
রামকিংকর। আরে কবি এসেচিস—আয়, আয়, কিছু এনেচিস তো হাতে করে?...
সমীর সেনগুপ্তের স্মৃতিতথ্য অনুযায়ী
শুয়োরপোড়া এল, ফুরিয়ে গেল, একটি রিকশওলাকে ধরে আরও দুটো বোতল আনানো হল, সঙ্গে ছোলাভাজা, সে দুটোও ফুরিয়ে গেল। আবারও দুটো আনানো হল বেশি পয়সা দিয়ে, তখন রাত দশটা বেজে গেছে। তারপর আর আমার কিছু মনে নেই। শুধু মনে আছে, অফুরন্ত বাংলা মদ, অফুরন্ত বিড়ি, অফুরন্ত কথা, স্খলিত গলায় অফুরন্ত রবীন্দ্রনাথের গান।
তিনি বলেছিলেন,
বৃদ্ধ হয়ে গেছি। এখন তো আর আঁকতেও পারি না।... চোখে দেখতে পাই না কিছুই। পড়তেও পারি না, কেউ পড়ে দিলে শুনি। কেউ ধরলে হাঁটতে পারি। সমর্থ বয়সের অত্যাচার তার শোধ তুলে নিচ্ছে। মাঝে মাঝে অসহ্য মনে হয়। পাগল পাগল লাগে। কিন্তু কিছু করার নেই। একেবারে বাতিল হয়ে গেছি। চোখ চলছে না, হাত চলছে না, চোখ অন্ধ। মনে মনে আঁকছি।

সত্যজিৎ রায়
মৃত্যুর দু’দিন আগে তাঁকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন সত্যজিৎ। ছাত্রের হাত ধরে কিঙ্কর বললেন,
মানিক, একটা রিকশা ডেকে আমাকে বাড়ি পৌঁছে দাও!
তথ্যসূত্র:
১. 'দেখি নাই ফিরে', সমরেশ বসু
২. 'আমার বন্ধু শক্তি' : সমীর সেনগুপ্ত ঋত্বিক: সুরমা ঘটক
৩. 'ভুবনডাঙ্গার কিংকর' : আবির মুখোপাধ্যায়
৪. 'রবীন্দ্রনাথ ও রামকিঙ্কর' : ঋষি বড়ুয়া
৫. রং কাঁকর রামকিঙ্কর: মনীন্দ্র গুপ্ত উইকিপিডিয়া

Whatsapp
