অযোধ্যায় চাষিদের ঠকিয়ে, কোটি কোটি টাকায় জমি বিক্রি করা হয়েছে আদানি গোষ্ঠীকে?

Ayodhya Farmer Land Sold to Adani : সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা, যারা জমি সস্তায় বেচে দিয়েছেন। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্থানীয় জীববৈচিত্র্য।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যের সময়। অযোধ্যা তখন রাম মন্দিরের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। ঠিক সেই সময়েই টাইম সিটি মাল্টি স্টেট কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি নামে একটি ফার্ম সরযূ নদীর কাছে একটি ছোট জমি কিনেছিল, দাম ১.১৩ কোটি টাকা। সপ্তাহখানেক পরে, এই ফার্ম আদানি গ্রুপের কাছে ওই জমি তিনগুণেরও বেশি দামে বিক্রি করে – ৩.৫৭ কোটি টাকা! টাইম সিটি কোনও সাধারণ রিয়েল এস্টেট ফার্ম নয়। সাহারা গ্রুপের প্রাক্তন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট চন্দ্র প্রকাশ শুক্লা প্রতিষ্ঠিত টাইম সিটি গ্রুপের অংশ এটি। চন্দ্র প্রকাশ শুক্লা ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন এবং ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কাপ্তানগঞ্জের বিধায়কও ছিলেন। টাইম সিটি গ্রুপটি এখন চালান শুক্লার প্রাক্তন ব্যবসায়িক সহযোগী পঙ্কজ পাঠক। পঙ্কজ নিজে একজন বিজেপি সদস্য এবং বিজেপির রাজ্য শাখায় বহু বন্ধু রয়েছে তাঁর। টাইম সিটি মাল্টি স্টেট কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি ২০১৫ সালে রেজিস্টার্ড হয়। ২০১৭ সালে চন্দ্র প্রকাশ শুক্লা তিনটি কোম্পানিতে নিজের শেয়ার তুলে নেন, বস্তি জেলার কাপ্তানগঞ্জ বিধানসভা থেকে বিজেপির টিকিট পান। প্রায় ৭,০০০ ভোটে বহুজন সমাজ পার্টির রাম প্রসাদ চৌধুরীকে পরাজিত করেন। চন্দ্র প্রকাশ শুক্লার সাফল্যের পরে পঙ্কজ পাঠকও বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন কিন্তু ২০১৯ বা ২০২২, কোনও বিধানসভা নির্বাচনেই টিকিট জোটেনি।

এই টাইম সিটি গ্রুপের মুনাফা নিয়ে লখনউয়ের একটি থানায় প্রতারণার অভিযোগ এবং দু'টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। মন্দির নির্মাণের ফলে জমি কেনা বেচার হিড়িক পড়েছে অযোধ্যায়। আর এই সুযোগে আদানি গ্রুপ এবং লোধা-এর মতো বড় সংস্থাগুলি জড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় সুবিধাভোগীদের, যারা অধিকাংশই ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে যুক্ত, তারা এই সুযোগে লাভের গুড় তুলছে ঘরে।

চন্দ্র প্রকাশ শুক্লা (সামনে) ও পঙ্কজ পাঠক

এই গোটা বিষয়টিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা, যারা জমি সস্তায় বেচে দিয়েছেন। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্থানীয় জীববৈচিত্র্য। মাঝা জামথারার যে জমি আদানি গ্রুপের কাছে বিক্রি করা হয়েছিল তা সরযূ তীরের এক সংবেদনশীল জলাভূমির অংশ। এটি সারস, গ্রে হেরন এবং ভারতীয় শিয়ালদের আবাসস্থল। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে সরকারই এই এলাকায় কোনও নতুন নির্মাণ নিষিদ্ধ করেছিল। অথচ আদানি গোষ্ঠীরই একজন মুখপাত্র বলছেন, লেনদেন সম্পূর্ণ আইনি নিয়মেই হয়েছে এবং কোম্পানিটি প্রচলিত সার্কেল রেটেই জমি অধিগ্রহণ করেছে।

মাঝা জামথারা হলো ফৈজাবাদ, অযোধ্যা এবং সরযূ নদীর মধ্যবর্তী একটি বিস্তীর্ণ, জনবসতিহীন অঞ্চল। যেখানে এককালে বাবরি মসজিদ ছিল আর যেখানে এখন রাম মন্দির, সেই জায়গা থেকে প্রায় ৫ কিমি দূরে অবস্থিত এই জমি। দুই দশক আগেও এই এলাকার বেশিরভাগই ছিল নদীর গর্ভে। ১৯৯০-এর দশকে যখন সরযূ নদী পিছিয়ে গতিপথ পরিবর্তন করে, তখন জমিগুলি জেগে ওঠে, চাষ শুরু হয়। যাদব সম্প্রদায়ের কৃষকরাই চাষ করতেন এখানে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে, টাইম সিটি মাঝা জামথারায় এক হেক্টর জমি কিনেছিল। ওই জমিটি ছিল ঘানসিরা যাদব ও কবুত্রা দেবী যাদবের পরিবারের। কবুত্রা দেবীর নাতি অজয় যাদব ফৈজাবাদে একটি হার্ডওয়্যারের দোকান চালান। তিনি বলছেন, ২০১৯ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের রাম মন্দিরের রায়ের পরে তারা শোনেন যে সরকার এই অঞ্চলে জমি অধিগ্রহণ করতে চলেছে। সঠিক ক্ষতিপূরণ মিলবে কিনা নিশ্চিত ছিলেন না তারা। তাই বাজারে জমির যা দাম, তার চেয়ে কমেই একটি বেসরকারি সংস্থাকে জমি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন।

আরও পড়ুন- রাম ভগবান না কি ইতিহাসপুরুষ? যে প্রশ্ন গুলিয়ে দিচ্ছে রামমন্দির

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই যাদবরা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত ০.৫৬ হেক্টর জমি কানপুরের বাসিন্দা সুধা দীক্ষিতের কাছে ৩৩.৫৩ লাখ টাকায় বিক্রি করে। জমির সার্কেল রেটের তুলনায় এই দাম অত্যন্ত কম! বাজারে এই জমির দাম তখন ছিল ৭৭.৪৬ লাখ টাকা। সার্কেল রেট হচ্ছে জেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত জমির সর্বনিম্ন মূল্য। এই লেনদেনের একজন সাধারণ সাক্ষী ছিলেন সূর্যভান সিং, তিনি টাইম সিটির আইনি উপদেষ্টা।

দুই বছরেরও কিছু সময় পরে, ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর সুধা দীক্ষিত এই সম্পত্তিটি টাইম সিটির কাছে দু'টি চুক্তি করে ৪০ লাখ টাকায় বিক্রি করেছিলেন। দুই বিক্রির দলিলের সাক্ষী ছিলেন জয়ভান সিং এবং অবিনাশ সিং।

২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর যাদবরা ০.৪৪ হেক্টরের আরেকটি জমি বিক্রি করে। এবার সরাসরি টাইম সিটির কাছেই ৩৩ লাখ টাকায়। কিন্তু সেটিও সার্কেল রেট ৫৮ লাখ টাকার থেকে কম। চুক্তির সাক্ষী ছিলেন অবিনাশ সিং এবং সীতারাম যাদব। এই তিনটি লেনদেনের প্রায় সমস্ত সাক্ষীই স্থানীয় বিজেপি রাজনীতিবিদদের সঙ্গে যুক্ত।

সূর্যভান এবং জয়ভান বিজেপি কর্মী এবং অযোধ্যা জেলা পঞ্চায়েতের সদস্য চন্দ্রভান সিংয়ের ভাই। অবিনাশ হচ্ছেন চন্দ্রভানের ছেলে। সীতারাম যাদব ফৈজাবাদের আমানিগঞ্জের বিজেপি পৌর কাউন্সিলর সুমন যাদবের শ্বশুর। টাইম সিটি যাদবদের মালিকানাধীন ওই জমির জন্য মোট ৭৩ লক্ষ টাকা দিয়েছে। তিন-চার সপ্তাহের মধ্যেই, ২৫ নভেম্বর, টাইম সিটি আহমেদাবাদের হোমকোয়েস্ট ইনফ্রাস্পেস প্রাইভেট লিমিটেডের (HIPL) কাছে দু'টি চুক্তিতে ওই জমি ২.৫৪ কোটি টাকায় বিক্রি করে।

বীরেন রাজেশকুমার মাকওয়ানা HIPL-এর পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। তিনি হচ্ছেন আদানি রিয়েলটির 'ডেপুটি ম্যানেজার লিগ্যাল'। ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর কোম্পানির রেজিস্ট্রারের কাছে একটি চিঠিতে, HIPL আদানি প্রপার্টিজ প্রাইভেট লিমিটেডকে নিজের চূড়ান্ত হোল্ডিং কোম্পানি হিসাবে ঘোষণা করেছে। আদানি প্রপার্টিজ গৌতম আদানি এবং তার ভাই রাজেশ এবং বিনোদ আদানিকে 'মালিক' হিসাবে ঘোষণা করে।

২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর ঘানসিরা যাদবের ছেলে ভারত ভূষণ যাদব টাইম সিটির কাছে ৩৯.৯২ লক্ষ টাকায় ০.৪ হেক্টর জমি বিক্রি করেছিলেন। পনেরো দিন পরে, HIPL টাইম সিটির থেকে জমিটি ১.০২ কোটি টাকায় কিনে নেয়। রাজ্যের স্ট্যাম্প এবং রেজিস্ট্রেশন বিভাগের নথি বলছে, টাইম সিটি ১.১৩ কোটি টাকা মূল্যের চারটি লেনদেনে এই জমিটি কিনেছে এবং আদানি গোষ্ঠীর কাছে ৩.৫৭ কোটি টাকায় সম্পত্তি বিক্রি করেছে। লাভ করেছে ২.৪৪ কোটি টাকা।

আদানি গোষ্ঠীর মুখপাত্র বলছেন, হোমকোয়েস্ট ইনফ্রাস্পেস প্রাইভেট লিমিটেডের কাছে জমি বিক্রির আগে করা যে কোনও লেনদেনের জন্য টাইম সিটি মাল্টি স্টেট কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি তাদের সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দিয়েছে।

টাইম সিটির আদানির সঙ্গে চুক্তিগুলি আসলে সহজ ইস্যু নয়। উত্তর প্রদেশ সরকারের স্ট্যাম্প এবং রেজিস্ট্রেশন বিভাগের ওয়েবসাইটে লেনদেনের যে তথ্য মিলছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের এপ্রিলের মধ্যে টাইম সিটি মাঝা জামথারাতে ৩১টি জমি বিক্রির সঙ্গে জড়িত ছিল - সব মিলিয়ে তা ২.১৫ কোটি টাকা মূল্যের। এটি ০.৪৮ হেক্টর জমি ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে বিক্রি করেছে গড়ে ৪০০ টাকা প্রতি বর্গফুট হিসেবে।

এদিকে ফৈজাবাদের অজয় যাদব জানতেন না যে টাইম সিটি তার সম্পত্তি আদানি গোষ্ঠীর কাছে বিক্রি করেছে তিনগুণ লাভ তুলেছে। পঙ্কজ পাঠক এবং সূর্যভানকে অন্তত সাত-আট বছর ধরে চেনেন তিনি। জমি বিক্রি করে এমন ঠকে যাবেন ভাবতেও পারেননি।

শুধু জমির দামে ঠকে যাওয়া নয়। পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল অঞ্চলের জমি কীভাবে একটি বেসরকারি সংস্থাকে বিক্রি করা যায় তার বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ২০১৯ সালে জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনালের একটি কমিটি জানায়, মাঝা জামথারা জলাভূমির চারপাশের এলাকা রাজ্য সরকারের অন্তর্গত। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট মনিটরিং কমিটিকে ২০১৯ সালের মে মাসে অযোধ্যার একজন পুরোহিত মাঝা জামথারার জল দূষণের বিষয়ে প্রথম সতর্ক করেন। উত্তর প্রদেশের তৎকালীন অতিরিক্ত মুখ্য সচিব অবনীশ অবস্থির কাছে জগৎগুরু রামানুজ আচার্য অযোধ্যার সরয়ু নদীর অবস্থা নিয়ে অভিযোগ করেন। সীতা লেক নামে একটি মৃতপ্রায় জলাশয় নিয়েও সওয়াল করা হয়।

সমস্যা সমাধানের জন্য, এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি দেবী প্রসাদ সিং-এর নেতৃত্বে গঠিত কমিটি জেলা প্রশাসনকে জমির রেকর্ড খতিয়ে দেখতে এবং এককালে নদীর গর্ভে থাকা জমির অবস্থা চিহ্নিত করতে বলা হয়। জমির নথি বলছে, মাঝা জামথারায় আদানি গোষ্ঠীর কেনা জমির একটি বড় অংশই এই নিমজ্জিত এলাকার অধীনে।

আরও পড়ুন- মোদির রামরাজ্যে ঠিক কেমন আছেন সাধারণ মানুষ?

বিক্রির দলিল অনুসারে, আদানির ১.৪ হেক্টর সম্পত্তি গ্রামে ১৬টি প্লটে বিস্তৃত: ৫৭, ৫৮, ৫৯, ৬০, ৬৩, ৬৫, ৭৪, ৭৯, ৮০, ৮২, ৮৩, ৮৫, ৯৬, ১৫৩, ১৭২ এবং ০২। প্রশাসনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর মধ্যে ১২টি প্লট- ৫৭, ৫৮, ৭৪, ৭৯, ৮০, ৮২, ৮৩, ৮৫, ৯৬, ১৫৩, ১৭২ এবং ২০৯ জলমগ্ন এলাকার আওতায় এসেছে। জমিগুলি জমি মাফিয়ারা জোর করে দখল করে।

অযোধ্যা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভাইস-চেয়ারম্যান বিশাল সিংয়ের দাবি, মাঝা জামথারায় প্রায় ৩০০ একর জমি সরকারি জমি। বাকিটা ব্যক্তিগত। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ওই এলাকায় 'নতুন নির্মাণ করা যাবে না' বলে ঘোষণা করা হয়। এমনকী এই অঞ্চলে ব্যক্তিগত জমিতেও নির্মাণ নিয়ন্ত্রিত, শুধুমাত্র কাঠ, বাঁশ বা ঘাসের মতো পরিবেশবান্ধব উপাদান দিয়েই নির্মাণ চলতে পারে। কর্তৃপক্ষ বলছে, মাঝা জামথারা জলাভূমি হওয়ায় সেখানে কোনও নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হবে না। অথচ টাইম সিটি অফিস এবং এর পাঁচিল দুই-ই রয়েছে বহাল তবিয়তে।

মাঝা জামথারার কৃষকরা বলছেন, টাইম সিটির কর্মকর্তারা অন্তত ছয় বছর ধরে এই এলাকা পরিদর্শন করে চাষ করা জমি দখলের প্রস্তাব দিয়েছেন। স্থানীয় চাষি সোনু যাদব বলছেন, চার-পাঁচটি বড় গাড়িতে করে স্থানীয় পুলিশদের সঙ্গে নিয়ে লোক আসত। জমি না দিলে যে জোর করে কেড়ে নেওয়া হবে সেই হুমকিও মিলত। দু' বিঘা জমির বদলে তাঁকে দেওয়া হয়েছে মাত্র ৩.২ লাখ টাকা! ফৈজাবাদের টোটোচালক দীনেশ সোনকারের দাদু হাজারিলাল সোনকারের জমিতেই দাঁড়িয়ে টাইম সিটির অফিস। তিন বিঘা জমির বিনিময়ে তার পরিবারকে ২.৫ লাখ টাকা এবং অন্যত্র ৩ বিঘা জমির অফার দেয় টাইম সিটি। সোনকার প্রস্তাব মেনে নেন। কিন্তু আড়াই লাখ টাকা পেলেও ৩ বিঘা জমি জোটেনি।

টাইম সিটি গ্রুপের আইমি উপদেষ্টা সূর্যভান সিং বলেছেন, যাদব এবং সোনকার জমির মালিক নন, অবৈধ দখলদার তারা। মাঝা জামথারার অন্যান্য কৃষকরা বলেছেন যে তারা টাইম সিটির সঙ্গে আর কোনও চুক্তি সই করতে রাজি নন। এটা জেনেও যে সংস্থাটি প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক চন্দ্র প্রকাশ শুক্লার সঙ্গে যুক্ত।

২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর টাইম সিটি আদানি গোষ্ঠীর কাছে অযোধ্যার জমি বিক্রি করার ছয় দিন আগে লখনউয়ের গুদাম্বা থানা পঙ্কজ পাঠক এবং টাইম সিটি গ্রুপের অন্যান্য ১৬ জন ঊর্ধ্বতন কর্মীর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক বিশ্বাসঘাতকতা, প্রতারণা, জালিয়াতি, আঘাত করা, অন্যায়ভাবে আটকে রাখা, ভয় দেখানো এবং দাঙ্গা সৃষ্টি করার অভিযোগে মামলা করেছিল। এফআইআরটি দায়ের করেছিলেন গঙ্গা সাগর যাদব। তিনি গোরখপুরের বাসিন্দা এবং টাইম সিটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তাঁর দাবি, তিনি এই কোম্পানিতে ২০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন এবং তাঁর বন্ধু এবং পরিবারের কাছ থেকে মিলে এখানে ৫ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ এনেছেন৷ ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিনিয়োগের উপর রিটার্ন পেয়েও তারপর থেকে কিছুই হয়নি। এখন ফোনও ধরে না কর্তারা। সূর্যভান সিংয়ের নামও আছে এই অভিযোগের তালিকায়।

More Articles