ফাটাকেষ্টই নাটের গুরু? বঙ্গ বিজেপি-তে হঠাৎ কেন জরুরি হয়ে উঠছেন মিঠুন চক্রবর্তী
Mithun Chakraborty: মিঠুন-বিষেই মৃত্যু হবে সবুজ বংশর! ঝিমিয়ে যাওয়া বঙ্গরাজনীতির মঞ্চে উঠছে এই জল্পনা।
মিঠুন-বিষেই মৃত্যু হবে সবুজ বংশর! ঝিমিয়ে যাওয়া বঙ্গরাজনীতির মঞ্চে দুর্নীতি ইস্যুতে নড়েচড়ে ওঠা কুশীলবদের বর্তমান অবস্থানে এই প্রশ্ন, এই জল্পনাই মাথাচাড়া দিয়েছে ফের। আবারও প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে পুরোদস্তুর রাজনীতিক বানিয়ে ফায়দা তুলতে চলেছে গেরুয়া শিবির? মুহূর্তেই জাত গোখরোর এক ছোবলে ছবির স্বপ্নকে ফের রাজনৈতিকভাবে সত্যি করতেই তৎপর হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব? বসে থাকা, একপ্রকার নিষ্ক্রিয় মিঠুনের ভোট-পরবর্তী হঠাৎ সক্রিয়তায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এই প্রশ্নই। কেউ কেউ বলছেন মহাগুরুই হতে চলেছেন আসল নাটের গুরু! আর সেই সুযোগেই মুকুলের রায়হীন বিজেপি শুভেন্দু-প্রভাবের আবহেও ফের চাঙ্গা হতে চাইছে গ্রামগঞ্জের নির্বাচনের আগে। ঠিক কেন উঠছে এই প্রশ্ন, কেন ফের এমন জল্পনার উপজীব্য হয়ে উঠছেন মিঠুন গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী? সেই উত্তরের আগেই দেখে নেওয়া প্রয়োজন মিঠুন ইতিহাসের খানিকটা।
মিঠুন-কথা
১৯৫০ সাল, ১৬ জুন জন্ম নেওয়া গৌরাঙ্গ, শ্যামলা বর্ণের ছিপছিপে চেহারার জোরে 'মৃগয়া' থেকে হয়ে উঠেছিলেন আজকের মিঠুন। ১৯৭৬ থেকে '৯০-এর দশক। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি 'ডিস্কো ড্যান্সার' এর জিমির। 'দালাল', 'জল্লাদ' ছাড়িয়ে 'ফাটাকেষ্ট'। একের পর এক ছবির জোরে অমিতাভ বচ্চন, পরবর্তীকালের শাহরুখ খান জমানায় তিনিই হয়ে উঠেছেন অনন্য। একাধিক জাতীয় পুরস্কার থেকে শুরু করে ১৯৮৯ সালে ১৯ ছবি মুক্তির রেকর্ড, মিঠুনের সঙ্গেই হয়েছে সব। প্রতি মুহূর্তে মিঠুন হয়েছেন দাদা, ডিস্কো ড্যান্সার। মুম্বই ছেড়ে উটি। চার সন্তানের বাবা, দ্বিতীয় স্ত্রী যোগিতা বালির সঙ্গে সংসারও করেছেন চুটিয়ে। সেই যে 'মৃগয়া'-র মিঠুন এগিয়েছিলেন, আর পিছনে ফিরতে হয়নি তাঁকে।
আরও পড়ুন: সমকামিতা থেকে শবরীমালা, বিতর্কিত রায়ে সবসময়ই নির্ভীক জাস্টিস চন্দ্রচূড়
বিজ্ঞাপন-কাঁটায় সারদা এবং মিঠুন
১৯৮৯ সাল। প্যানাসনিক কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর-সহ একাধিক কোম্পানির বিজ্ঞাপন করেও আলাদা জায়গা তৈরি করলেন মিঠুন। বলিউডে শত্রুও তৈরি হলো কমবেশি। ভালোই চলছিল সব। কিন্তু কেরিয়ারের কয়েক দশক পরে ২০১৩ সাল নাগাদ সার্থকভাবে মিঠুনের জীবনে এল বিজ্ঞাপন কাঁটা। কেন? এই সময়ের আগেই যদিও তিনি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে যোগ দেন ওই টিভি গোষ্ঠীর মালিকানাধীন চ্যানেল টেনের সঙ্গে। সারদা কোম্পানির সঙ্গে কাজ শুরু করলেন তিনি। কিন্তু সারদা চিটফান্ড দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই ফের 'কলঙ্কিত' হলেন মিঠুন! দিলেন টাকা ফেরত।
মিঠুনের পারিবারিক বিপর্যয়
১৯৭৯ সালে কেরিয়ারের শুরুর দিকেই মিঠুনের সঙ্গে বিয়ে হলো অভিনেত্রী হেলেনা লুকের। মাত্র ৪ মাসের সংসারে এল বিচ্ছেদ। এই বছরেই অভিনেত্রী যোগিতা বালির সঙ্গে ঘর বাঁধলেন মিঠুন। এক কন্যাসন্তান দত্তক নিয়েছেন। একমাত্র ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগেও বিদ্ধ হয়েছেন অভিনেতা।
রাজনীতির আঙিনায় মিঠুন
স্কটিশ চার্চ কলেজের পড়ুয়া থাকার সময় মিঠুনের সঙ্গে যোগ ছিল বাম ছাত্র সংগঠনের। তারপর জ্যোতি বসু থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সকলের সঙ্গেই সুসম্পর্ক ছিল অভিনেতার। মিঠুন যে বাম রাজনীতিতে বিশ্বাসী, প্রচারিত হতো এমনই। কিন্তু সব পাল্টে দিলেন রাজ্যের বর্তমান সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হলেন মিঠুন। এর আগে থেকেই মিঠুনের সঙ্গে মমতার সম্পর্ক ভালো ছিল। তাঁরা দু'জনই দাবি করতেন, তাঁদের মধ্যে ভাই-বোনের মতো সম্পর্ক। তৃণমূল নেতা মিঠুনকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা গিয়েছে বারবার।
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬। সারদা-আবহে বীতশ্রদ্ধ মিঠুন রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়লেন। পদত্যাগ করলেন অভিনেতা।
রাজনীতি-বিমুখ মিঠুন
২০১৬-র শীতের দুপুরের সেই আক্ষেপ তারপরের প্রায় ৫ বছর বজায় ছিল মিঠুনের। শারীরিক অসুস্থতা আর একাধিক টিভি রিয়্যালিটি শো, সঙ্গে সিনেমার কাজেই মগ্ন ছিলেন মিঠুন। রাজনীতি যে তিনি আবার চুটিয়ে করতে পারেন, একথা প্রায় ভুলেছিল দেশ, বাংলা।
মিঠুনের রাজনীতিতে কামব্যাক
২০০০ সালে বাংলা সিনেমায় কামব্যাক এর উদাহরণ তৈরি করা পর্দার 'এমএলএ ফাটাকেষ্ট' ২০২১-এর গ্রীষ্মে ফের ফিরলেন রাজনীতিতে। এবার ঘর বদলে গেরুয়া হলেন মিঠুন। লাল, সবুজকে প্রাক্তন বানিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী হলেন বিজেপি নেতা। খোদ নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে গেরুয়া পতাকায় লেখা হল বঙ্গের আগামী।
কিন্তু কোথায় আর কী! ব্রিগেডের সভা, বালিডোরা, জলডোরা ছাড়িয়ে 'জাতগোখরো মিঠুনে'র হুঙ্কারেও ক্ষমতা পায়নি বিজেপি। ফের ব্যর্থ মনোরথ এবং বিবাগী প্রেমিকের মতো বাংলা ছাড়তে হয়েছে প্রবাসী বাঙালি মিঠুনের।
ফের মিঠুন-উজ্জীবন
জুলাই, ২০২২। ফের কলকাতার মুরলীধর সেন লেনের গেরুয়া শিবির জমজমাট। আবার মিঠুনের আগমনে গমগম করে উঠল চারিদিক। নয়া সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সফরসঙ্গী হলেন মিঠুন। বালুরঘাট থেকে মালদহ ছাপিয়ে একের পর বৈঠকের মধ্যে দিয়ে যেন রাজনীতিতে নতুন জীবন পেলেন অভিনেতা। দীর্ঘকায় প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ শেখালেন সৌজন্যের পাঠ। মালদহে দাঁড়িয়ে বলে দিলেন, 'আমি সংবিধানে বিশ্বাস করি, লড়াই করব। হিংসায় নয়।' মিঠুন দর্শনে উদ্বুদ্ধ হল বিজেপি।
বিধায়ক-বিতর্কে মিঠুন
বঙ্গ-সফরে এবার আর গোখরো নয়, মিঠুনের মুখে উঠল বিধায়ক-কথা! দাবি করলেন, ৩৮ জন তৃণমূল বিধায়ক যোগাযোগ করছেন বিজেপির সঙ্গে। যাঁরা দুর্নীতি করেননি, ভালো মানুষ! যাঁর মধ্যে ২১ জন বিধায়ক নাকি সরাসরি রয়েছেন মিঠুনের সঙ্গে!
তোলপাড় হলো রাজ্য। ঘোড়া কেনাবেচার জল্পনার মধ্যেই মিঠুনকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিল তৃণমূল। বিজেপি বলল বাহ্! অবশেষে ফের ফিরলেন মিঠুন, বিধায়ক-মন্তব্যে বজায় রাখলেন দাদাসুলভ ক্যারিশমা! কিন্তু জল্পনা?
'মিঠুন-মুকুল সাদৃশ্য'
তৃণমূল ভেঙে বেরিয়ে আসা বঙ্গের রাজনৈতিক 'চাণক্য' মুকুলের ছোঁয়ায় ঘর ভেঙেছিল তৃণমূলের। মমতার একদা ডান হাত মুকুলের প্রভাবে ক্রমশ দুর্বল হচ্ছিল তৃণমূল। রাতারাতি দলবদলে সবুজ হচ্ছিল গেরুয়া। আর উদ্বৃত সম্পদে বাড়ছিল বিজেপি। বিধানসভায় খুব একটা কাজ না হলেও একধাক্কায় বহু আসন লাভ, আবার এর আগের লোকসভায় বিস্ময়কর ফলাফলে হাত ছিল মুকুলের! এমনই দাবি করেন কেউ কেউ। বিজেপির সেই সাময়িক স্বস্তির দিন কমেছে। মুকুল-বিদায় এবং শুভেন্দু-প্রভাবে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বঙ্গের বিজেপি-র নেতারা। ঠিক এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়েই মৌলিক কিছু ভাবনার প্রয়োগ ঘটাতে চাইছেন তাঁরা। এখানেই দাবার ঘুঁটি হচ্ছেন মিঠুন?
রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, মিঠুনকে দিয়ে ফের দল থুড়ি বিধায়ক ভাঙানোর খেলায় মত্ত হতে পারে বিজেপি। অর্থাৎ একের পর এক তৃণমূল বিধায়ক, যাঁরা বিজেপি-র সঙ্গে যোগ দিতে চান, এমন বিধায়কদের নিজেদের দিকে টেনে আনতে তাঁদের সঙ্গে চুক্তির ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা নিতে পারেন মিঠুন। দাবি, একপ্রকার নিশ্চিত হয়েই তিনি বলেছেন এই সংখ্যার কথা! কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব চাইছেন এই রাজ্যে উঠে আসা বিজেপি প্রভাব আরও বিস্তার করতে। বাঙালির মধ্যে, বাংলার কোণায় কোণায় বিকল্প হিসেবে ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করা হচ্ছে সবটা। বিধানসভার ব্যর্থতা, শুভেন্দু-আবহেও এই কাজ দ্রুত করতে চাইছেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। ঠিক এই কথা চিন্তা করেই কিছু কৌশল নিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি। যা বঙ্গের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে চাইছেন নেতারা, বলছেন কেউ কেউ।
মিঠুন-কৌশলে বিজেপি
রাজনীতিক কারবারিদের একাংশের মতে, মুকুল অনুপস্থিতে বিধায়ক ভাঙানোর খেলায় প্রধান খেলোয়াড় হতে পারেন মিঠুন।
স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অভিনেতার ইমেজকে কাজে লাগিয়ে জনমানসে আরও প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে এই দল। বাংলা এবং বাঙালির ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে দলের মুখ হিসেবে মিঠুনকে প্রতিষ্ঠার পথে ফের এগোতে পারে বিজেপি।
সার্বিকভাবে মিঠুনকে তুরুপের তাস করে রাজনৈতিকভাবে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে পারে বিজেপি!
পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং মিঠুন
রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, আগামী বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দলে আনার জল্পনা ছাড়িয়ে মিঠুনকে পেয়েই সুদে-আসলে সবটা করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। যেখানে বিধানসভা নির্বাচনে নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো-র প্রবাদের মতো সাম্প্রতিক সময়ের দুর্নীতি ইস্যু। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল, গরু-কয়লা পাচার, শিক্ষক-নিয়োগ দুর্নীতির আবহে তৃণমূলের চরম অস্বস্তির মধ্যের ফাঁককে মিঠুন দিয়েই খানিকটা ভরাট করতে চাইছে বিজেপি!
কোর কমিটি ও মিঠুন
জুলাইয়ের পর অক্টোবর, ২০২২। ফের জল্পনা জোরালো করেছেন মিঠুন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সুকান্ত-লকেট-দিলীপের সঙ্গে বঙ্গের গেরুয়া কোর কমিটির অলিন্দে জায়গা পাকা করেছেন মিঠুন। দলের কেন্দ্রের ঠিক করা তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পেয়েছেন অভিনেতা। বিধানসভা নির্বাচনের পর ফের দলে গুরুত্ব বেড়েছে মিঠুনের। এখানেও উঠেছে প্রশ্ন। শুরু হয়েছে আলোচনা। তাহলে কি ২০২৪, ২০২৬ এর নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই মিঠুনকে পাখির চোখ করছে বিজেপি!
মিঠুন বনাম শুভেন্দু-সুকান্ত ও বঙ্গ বিজেপি
দিলীপ-পরবর্তী বঙ্গের বিজেপি-তে মিঠুন ক্রমশ বাড়তে থাকায় একপ্রকার হাত নেই বঙ্গের বিজেপি নেতৃত্বের! সূত্রের দাবি, কোর কমিটি থেকে সফর, মিঠুনের সক্রিয়তার তার বাঁধা কেন্দ্রের ঘরেই। মোদী-শাহ-নাড্ডাদের অঙ্গুলিহেলনেই বঙ্গের রাজনীতিতে চলছেন মিঠুন। বিশেষত, বঙ্গের রাজনীতিক মিঠুন।
এখানেই দেওয়ালে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে এক সংশয়ের বানী! কেউ কেউ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী আবহে তাঁর 'মুখ্য' হওয়ার ভাবনায় জল ঢালছেন মিঠুন। সঙ্গে সুকান্ত-প্রভাবও খর্ব করছেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা! ঠিক এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে বঙ্গ বিজেপি-তে মিঠুনের বিরুদ্ধে বলার মতো কলিজা নেই কারও। কারণ, উপরওয়ালার নির্দেশ। সেখানে মুখ হওয়ার ইচ্ছায় যে মিঠুন জল ঢালছেন না, এই বিষয়ে সংশয় থাকছে না কারওর। এই প্রসঙ্গে, আমরা যোগাযোগ করেছিলাম বঙ্গ বিজেপি-র এক প্রবীণ নেতার সঙ্গে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নেতার দাবি, "মিঠুনদা বরাবর জনপ্রিয়। তাঁর একটা ফ্যানবেস আছে। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি যখন তৃণমূল বিধায়কদের যোগের কথা বলছেন সেটা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কিছু তো হবেই!'' আর সেই যোগের মধ্যেই কি মিঠুনই আগামীর গেরুয়া মুখ? "হতেই পারে! তিনি যে বিকল্প হিসেবে খারাপ হবেন না একথা আমাদের সকলেই জানেন। তাই তাঁর উঠে আসার মধ্যে কোনও কিন্তু রয়েছে বলে আমার মনে হয় না।'' তাহলে মিঠুন উত্থানে দলের অন্দরের একটা অংশের নেতাদের গোষ্ঠী কোন্দল বাড়বে না? "দলীয় নেতৃত্ব মানে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যা বলবেন সেটাই শিরোধার্য। সেখানে দলের মুখ কে, সেটা পরে ভাবা হবে। মিঠুনদা মুখ কি না, তা তো নিশ্চিত হয়নি, তাই এখনই কোন্দলের কোনও প্রশ্ন নেই। আর যাঁদের দিকে আপনি ইঙ্গিত করছেন, নিশ্চিত থাকুন আমরা তৃনমূলের মতো ছন্নছাড়া দল নই, নিয়ম আর নির্দেশ মানি। তাই এসবের কোনও সম্ভাবনা নেই।''
সামগ্রিকভাবে মিঠুনের সক্রিয়তা। বিধায়ক-যোগ থেকে কোর কমিটির সদস্য, মিঠুনের রাজনৈতিক গতিপথ আলোচিত হচ্ছে ফের। প্রতি মুহূর্তে মনে করাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি-তে একাধিপত্যের কথা! যে একাধিপত্য মানুষের সামনে নয়, খানিকটা নুইয়ে পড়া দল আর নেতৃত্বের ফের ঘুরে দাঁড়ানোয় দুর্নীতি সিবিআi-ইডি আবহে ফের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা! যে আবহে দলের অভ্যন্তরে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তারের মতো, বলছেন রাজনীতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।