নেপালের জেন জি-র বিক্ষোভের কারণ, কারা এই নেপোকিডস?
Nepo Kids: আন্দোলনকারীদের অভিযোগ এই নেপোকিডসরা তাদের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে সব ক্ষেত্রেই বাড়তি সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। চূড়ান্ত বিলাসিতার ছবি তারা সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। যার ফলে তৈরি হচ্ছে ভেদাভেদ।
ছাত্র-যুবদের আন্দোলনের চাপে মঙ্গলবার দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন নেপালের চার বারের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। সামাজিক মাধ্যমে নেপাল সরকারের নিষেধাজ্ঞা-র প্রতিবাদে ৮ সেপ্টেম্বর রাস্তায় নামে জেনারেশন জি। প্রথমে অনলাইনে প্রতিবাদ শুরু হয়। নেপালের তরুণ প্রজন্মের ক্ষোভের কেন্দ্রে রয়েছে 'নেপো কিডস'দের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। কারা এই 'নেপোকিডস'? কী কী অভিযোগ উঠে আসছে তাদের বিরুদ্ধে?
জেনারেশন জি-র আন্দোলনের চাপের মুখে পড়ে একে একে পদত্যাগ করেন রাষ্ট্ৰপতি রামচন্দ্র পৌদেল, স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্রী রমেশ লেখক, অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পাওয়েলকে, কৃষি ও পশু পালন মন্ত্রী রামনাথ অধিকারী, জল সরবরাহ মন্ত্রী প্রদীপ যাদব। ফলে কোণঠাসা হয়ে পড়ে কেপি ওলি সরকার। নেপো কিডস ও তাদের বিলাসবহুল জীবন যাপন ক্ষোভ বাড়িয়ে দেয় জেন জি-র।
আরও পড়ুন- ১৭ বছরে ১৪ বার সরকার বদল, কেন কোনো স্থায়ী সমাধান খুঁজে পেল না নেপাল?
'নেপোকিডস' কারা?
নেপালের ধনী রাজনীতিবিদ ও ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের সন্তানদের এই নামে ডাকা হচ্ছে। নেপোটিজম বা স্বজনপোষন থেকে এই নাম দেওয়া হয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ এই নেপোকিডসরা তাদের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে সব ক্ষেত্রেই বাড়তি সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। চূড়ান্ত বিলাসিতার ছবি তারা সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। যার ফলে তৈরি হচ্ছে ভেদাভেদ। সাধারণ মানুষ তাদের জীবন নিয়ে হতাশ হয়ে পড়ছেন। বিক্ষোভকারীদের একাংশ মনে করছেন, এই বিলাসিতার পুরো টাকাটা আসছে দুর্নীতি থেকে, যা ছড়িয়ে আছে নেপালের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। এভাবে ধনীরা দিন দিন ফুলে ফেঁপে উঠলেও গরিবের অবস্থা হচ্ছে আরও শোচনীয়।
নেপালে হ্যাশট্যাগ নেপো কিডস কথাটা সমাজ মাধ্যমে একটি ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ২০২৪ সালে নেপালে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সি তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ২০.৮ শতাংশ। একদিকে চরম বেকারত্ব, অপরদিকে নেপো কিডসদের বিলাসী জীবন তরুণদের মধ্যে হতাশা তৈরি করেছে। সেই হতাশা পরিণত হয় রাগে।
আরও পড়ুন- চিনের গোলামিই নেপালে কেপি ওলির পতন ডেকে আনল?
নেপালে মাথা পিছু সমাজ মাধ্যম ব্যবহারের হার দক্ষিণ এশিয়ায় সব থেকে বেশি। সেক্ষেত্রে আন্দোলনের এক বড় হাতিয়ার সমাজ মাধ্যম। বিভিন্ন সমাজ মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করেই প্রথমে সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে নেপালের আমজনতা। সেকারণেই ওলি সরকার তড়িঘড়ি আন্দোলন থামাতে সমাজ মাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
Whatsapp
