এসএসসি-তে র‍্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি হারালেন কারা? কী পরিণতি তাঁদের?

SSC Recruitment Verdict: মূলত তিন ধরনের ‘অযোগ্য’ রয়েছেন— যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, যাঁরা প্যানেল-বহির্ভূত ভাবে বা প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরে চাকরি পেয়েছেন এবং যাঁরা ‘র‍্যাঙ্ক জাম্প’ করে চাকরি প...

আদালত এসএসসি-র ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে জানিয়েছিল, আবারও পরীক্ষা নিতে হবে। চাকরিহারা শিক্ষকদের আবার পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। কিন্তু এসএসসি-র নিয়োগপ্রক্রিয়ায় ‘র‌্যাঙ্ক জাম্প’ করে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া যাবে না। এই শিক্ষকদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার আর্জি খারিজ করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই বিষয়ে দেশের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না যে রায় দিয়েছিলেন, তা একেবারে সঠিক। অর্থাৎ এই 'র‍্যাঙ্ক জাম্প' করা চাকরিহারারা নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় যোগ দিতে পারবেন না।

‘র‌্যাঙ্ক জাম্প’ কী?

এসএসসি-র মেধাতালিকার পিছনের দিকে থেকেও বাকি যোগ্যদের চেয়ে নিজের নাম আগে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে যাঁদের, তাঁরা স্বাভাবিকভাবেই এই পরীক্ষায় অযোগ্য ছিলেন। তাঁরা নির্দিষ্ট ‘র‌্যাঙ্ক’-এ পিছিয়ে থেকেও অন্যদের টপকে উপরে উঠে এসেছেন। এই 'অযোগ্যরা' চাকরি পাওয়ার ফলে ক্রমতালিকায় উপরে থাকা প্রার্থীরা, যাঁরা পরীক্ষায় তুলনামূলক ভালো ফল করেছিলেন, তাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন। তাই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরীক্ষায় বসতে পারবেন না ‘র‌্যাঙ্ক জাম্প’ করা চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা বা শিক্ষাকর্মীরা।

র‍্যাঙ্ক জাম্প ছাড়াও, এই প্যানেলে ‘অযোগ্য’ তাঁরা, যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন বা যাঁদের নাম প্যানেলেই ছিল না বা প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন। উল্লেখ্য, দুর্নীতির অভিযোগে এসএসসি ২০১৬ সালের যে প্যানেল সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করেছিল তাতে ২৫,৭৩৫ জন চাকরি হারান। এই ‘অযোগ্য’ হিসাবে চিহ্নিতদের বেতনও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া থেকেও বাদ পড়লেন তাঁরা।

মূলত তিন ধরনের ‘অযোগ্য’ রয়েছেন— যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, যাঁরা প্যানেল-বহির্ভূত ভাবে বা প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরে চাকরি পেয়েছেন এবং যাঁরা ‘র‌্যাঙ্ক জাম্প’ করে চাকরি পেয়েছেন। তৃতীয় পর্যায়ের চাকরিহারারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এই তৃতীয় প্রকারের চাকরিহারারাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, তাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে তাঁরা চাকরি পাননি। প্যানেলেও নাম ছিল। অর্থাৎ পরীক্ষা দিয়েছেন। তাই নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়াতেও তাঁদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেবি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেন বিচারপতি খান্নার নির্দেশ নির্ভুল ছিল, তাই তাতে আর হস্তক্ষেপ করবে না আদালত।

More Articles