রাখি, ইয়ারফোন, সেফটি পিন, বোতাম, চুলের ক্লিপ... কী নেই পেটে! কারণ জানলে অবাক হবেন

Stomach Pain : দিন কয়েক ধরেই বমি বমি ভাব দেখা যাচ্ছিল রোগীর। তারপর হঠাৎ ধূম জ্বর সঙ্গে মারাত্মক পেটে ব্যথা।

বয়স ৪০। দিন কয়েক ধরেই পেটে মারাত্মক ব্যথা। উপায় না দেখে ডাক্তারের শরণাপন্ন! ডাক্তাররা কোনও উপায় না পেয়ে অস্ত্রোপচারের শরণাপন্ন। পেটের মধ্যে নানাবিধ জিনিস পাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। অনেকসময় ডাক্তাররাই পেটে ছুরি কাঁচি রেখে বেমালুম ভুলে গিয়ে সেলাই মেরে দিয়েছেন। অনেককাল পরে যন্ত্রণা জানান দেওয়ায় সেসব কেটে ফের বের করা হয়েছে। অনেক সময় আবার অনেকেই নানা কিছু গিলে ফেলেছেন, পেরেক, সুতোর বান্ডিল! তবে পঞ্জাবের এই ব্যক্তির পেট থেকে যা যা বেরিয়েছে তাতে ডাক্তারদের চোখ চড়কগাছ ছাড়িয়ে সোজা শিবশক্তি পয়েন্টে! পঞ্জাবের মোগার একটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ওই ব্যক্তি পেট থেকে কী পাওয়া যায়নি তা বলাই বোধহয় বেশি সহজ!

অপারেশন করার সময় ওই ব্যক্তির পেটের ভিতরে ইয়ারফোন, লকেট, স্ক্রু, এমনকী রাখিও আবিষ্কার করেছিলেন ডাক্তাররা। দিন কয়েক ধরেই বমি বমি ভাব দেখা যাচ্ছিল রোগীর। তারপর হঠাৎ ধূম জ্বর সঙ্গে মারাত্মক পেটে ব্যথা। এই সব বিবিধ সমস্যা নিয়ে মোগার মেডিসিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই ব্যক্তিকে। তাতেও পেটের ব্যথা না কমায় ডাক্তাররা ব্যথার কারণ নির্ধারণের জন্যই পেটের এক্স-রে করার সিদ্ধান্ত নেন। ফলাফল দেখে তারা তাজ্জব!

এক্স রে করে দেখা যায় ওই ব্যক্তির পেটের ভিতরে বেশ কিছু ধাতব বস্তু রয়েছে। তিন ঘণ্টার দীর্ঘ অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা সফলভাবে তার শরীর থেকে বিবিধ জিনিসপত্র বের করে আনেন। কী কী মেলে? রোগীর পেট থেকে বের করা প্রায় শতাধিক জিনিসের মধ্যে ছিল ইয়ারফোন, ওয়াশার, নাট বল্টু, তার, রাখি, লকেট, বোতাম, প্লাস্টিকের মোড়ক, হেয়ারক্লিপ, জিপার ট্যাগ, একটি মার্বেল এবং একটি সেফটি পিন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ধরনের ঘটনা ওখানে এই প্রথম। এই রোগী দুই বছর ধরে পেটের সমস্যায় ভুগছিল। শরীর থেকে সমস্ত জিনিসপত্র সরানো হলেও তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল নয় বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসক। এই জিনিসগুলি দীর্ঘদিন ধরে তাঁর পেটে থাকায় অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করেছে।

শুধু চিকিৎসকরাই নন, রোগীর পরিবারও এসব দেখে হাঁ! কখন এবং কেন যে এই জিনিসগুলি ওই ব্যক্তি খেয়ে ফেলেছিলেন পরিবার জানে না। রোগীর বাবা-মায়ের কোনও ধারণাই নেই এইসব জিনিস একজন কীভাবে খেতে পারে! তবে পরিবার জানিয়েছে, মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি।

 

More Articles