দিলীপ ঘোষ 'Missing'
Bengal BJP: কেউ কেউ তো বলেই ফেলছেন, 'পড়ে পড়ে মার খেল শুধু কর্মীরা! দিলীপ দা নেতৃত্ব দিলে...'
কাট ওয়ান: 'ডোন্ট টাচ্ মি, আমাকে মহিলা পুলিশ টাচ্ করছেন কেন!' ইংরেজি-বাংলামিশ্রিত শুভেন্দু-বাণীতে সবেমাত্র উত্তাল হচ্ছে বঙ্গ-মিডিয়া। বিজেপি-র নবান্ন অভিযানের প্রস্ততি তখন চরমে। রণডঙ্কা বাজার আবহেই দেখা গেল রণভঙ্গর ছবি! রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, পুলিশের নির্দেশে (কেউ কেউ বলছেন, অনুরোধে) সোজা গিয়ে উঠলেন প্রিজন ভ্যানে! নবান্ন অভিযান গিয়ে থামল লালবাজারে! বঙ্গ-বিজেপির বহুপ্রতীক্ষিত মমতা-অভিযানের সকাল গুরুত্ব পেল এভাবেই।
কাট টু: ধরা যাক, একই পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে বচসা চলছে আর সামনে দাঁড়িয়ে দিলীপ ঘোষ। কী হত তাহলে? অতিবড় দিলীপ-বিরোধী তৃণমূল, সিপিএম নেতাও বলবেন, একটা কিছু তো হতই! আর এই কী হত আর কী হল-র দোলাচলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় বিজেপি ঠিক কতটা দুর্বল, তা নিয়ে প্রশ্নও তুললেন কেউ কেউ। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, ঢাল আর তলোয়ারহীন নিধিরাম সর্দাররা হম্বিতম্বি করলেও কাজের কাজ আর কই! শুধুই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার ছাড়া মঙ্গলবার সারাদিন কাঁসার থালাই বাজিয়ে গেলেন নেতারা? যেখানে শুধুই রুখে দাঁড়াতে দেখা গেল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিজেপি কর্মীদের। তাঁরা লড়লেন, কিন্তু পারলেন আর কই! যে ভরসায় লড়বেন তাঁরাই তো! এই দাবি আমাদের বা রাজনৈতিক মহলের একাংশের শুধু নয়; সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী নেতৃত্বাধীন বঙ্গ-বিজেপি-র এই ব্যর্থতায় মন ভাল নেই অনেক বিজেপি নেতারই।
কেউ কেউ তো বলেই ফেলছেন, 'পড়ে পড়ে মার খেল শুধু কর্মীরা! দিলীপ দা নেতৃত্ব দিলে...' কেমন যেন গেরুয়া-নেতাদের পুলিশ ধরার আগেই প্রিজন ভ্যানের অন্দরেই শেষ হয়ে গেল লড়াই! পুলিশের অস্ত্র জল কামানের সামনে নিজেদের উজার করলেন মাঠে-ঘাটে লড়াই করা তৃণমূলস্তরের কর্মীরা! আর নেতারা? তাঁরা আটক হলেন। সভ্যতার চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে চলে গেলেন পুলিশের সুখ-জিম্মায়!
আরও পড়ুন: হাই কোর্টে ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের! কেন বিতর্ক সোনালি চক্রবর্তীকে নিয়ে?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বহু টালবাহানার পর ১৩ সেপ্টেম্বর, রাজ্য বিজেপি নবান্ন অভিযানের ডাক দেয়। অভিযানের তারিখ প্রথমে অন্য থাকলেও পরে আদিবাসী অনুষ্ঠানের কারণ দেখিয়ে পিছিয়ে দেওয়া হয়। বঙ্গ-বিজেপি-র তরফে আজই নির্দিষ্ট করা হয় এই অভিযানের জন্য। নবান্ন অভিযানের আবহে বিরাট প্রস্তুতি সারে বিজেপি। একাধিক পরিকল্পনা করেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীরা।
বিপরীতে প্রস্তুত ছিল পুলিশ-প্রশাসনও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর জেলা সফরে নবান্ন-অনুপস্থিতির মধ্যেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন পুলিশকর্তারা। নবান্ন তো দূর, নবান্নের কাছে যাতে ঘেঁষতে না দেওয়া হয়, সেই নির্দেশ গিয়েছিল প্রায় ২০০০ পুলিশকর্মী এবং ৪০ -এর বেশি পুলিশ আধিকারিকের কাছে। ছক কষছিল হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট। নবান্ন অভিযানের আগে মুরলীধর সেন লেনের দফতরে চিঠি পাঠিয়ে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের তরফে বলা হয়, 'নবান্ন বিল্ডিং এবং তার পাশের অঞ্চল স্পর্শকাতর। তাকে সর্বসময় উচ্চ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রাখা হয়। ওই এলাকায় এই কারণে ১৪৪ ধারা জারি থাকে বেশি সময়েই।' এই কারণ দেখিয়েই সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দান এলাকায় বিজেপি-র জমায়েত ও নবান্ন অভিযানে 'নিষেধ' করে পুলিশ। বিরোধী রাজনৈতিক দলের যেকোনও কর্মসূচিতে রাজ্য প্রশাসনের অনুমতি না দেওয়া এখন এই রাজ্যে স্বাভাবিক, এই অভিযোগকে মান্যতা দিয়েই বারবার কর্মসূচির দিকে এগিয়ে যান রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দল। আর এই অবস্থাতেই বিজেপি নেতা-কর্মীদের কলকাতামুখী হতে দেখা যায় সোমবার থেকেই। একাধিক রেল স্টেশনে বিজেপি কর্মীদের অবরুদ্ধ করার অভিযোগ ওঠে। মমতা-প্রশাসন ভয় আতঙ্কেই এই কাজ করছে, অভিযোগে সরব হয় গেরুয়া-শিবির। বিতর্ক আর আলোচনার আবহেই মঙ্গলের বৃষ্টিস্নাত আবহাওয়ায় শুরু হয় বিজেপির অভিযান। দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, গরু-কয়লায় অভিযুক্ত বীরভূমের 'বেতাজ বাদশা' অনুব্রত মণ্ডল এবং শাসকদলের বিরুদ্ধে একের পর অভিযোগে বিধ্বস্ত তৃণমূলকে আর একটু অসুবিধার মধ্যে ফেলতে, বিড়ম্বনা বাড়াতে এই অভিযানের দিকে এগোয় বিজেপি। যেখানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায় এক প্রান্তে। অন্য দিকে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে, দিলীপ ঘোষদের পাশে রেখে শুরু হয় অভিযান। মুহূর্তেই উলোটপুরান! খেই হারায় বিজেপি-র অভিযান।
হাওড়া নয়, কলকাতাতেই আটক করা হয় নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দুকে। কলকাতার উচ্চ আদালতে মামলা, মমতা-বিরোধিতায় খানিকটা সরব আর মিডিয়া-বাইটের মধ্যেই লালবাজারে পৌঁছয় প্রিজনভ্যান। সঙ্গে রাহুল সিনহা। এদিকে হাওড়ায় ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা, জলকামান, লাঠির আঘাতের সামনে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। ভাঙচুর, রবীন্দ্র সরণিতে একটি গাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগও ওঠে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। এদিকে লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। এভাবেই শেষ হয় অভিযান!
আগামী লোকসভা নির্বাচন এবং তার আগের পঞ্চায়েত নির্বাচনের এই প্রাক্-মুহূর্তে গেরুয়া শিবিরের শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা কেন থমকাল? আসলে মমতার সঙ্গে 'সেটিং' তত্ত্বেই কি মান্যতা দিল বিজেপি? এই প্রশ্ন এবং আলোচনার অবকাশে যে বিতর্ক ফের সামনে আসছে তা হল, দিলীপ ঘোষ এবং বর্তমান বিজেপি-র অবস্থানের প্রসঙ্গ। অনেকেই বলছেন, দিলীপ ঘোষের তথাকথিত দলীয় 'নিষ্ক্রিয়তা' এবং নেতৃত্বের সঙ্গে ঠান্ডা লড়াই যে অন্দরে নয়, বিজেপির প্রকাশ্য কর্মসূচিতেও স্পষ্ট, তা প্রমাণ হচ্ছে বারবার। যেখানে দিলীপ এবং তাঁর সভাপতিত্বে বঙ্গ-বিজেপির ঘুরে দাঁড়ানোর সঙ্গে তুলনা টানা হচ্ছে সুকান্ত, শুভেন্দু-কৌশলের।
কেন? রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, ২০১৪ পূর্ববর্তী বঙ্গের বিজেপি 'খায় মাথায় দেয়'- তা শুধু বোঝা যেত রাহুল সিনহার নাটকীয় ভাষণে। যা আমূল পরিবর্তিত হয় বঙ্গের রাজনীতিতে উল্কাসম দিলীপ-উত্থানের পরেই। তৃণমূল শাসনের আবহ, বাম-কংগ্রেসের উপস্থিতিতে মোদি ঝড়কে পাথেয় করে বঙ্গের বিজেপির হাল ধরেন দিলীপ ঘোষ। একের পর এক মন্তব্য, সংগঠনের বিস্তারে দলকে প্রাসঙ্গিক করেন বঙ্গে। ২০১৯ -এর লোকসভা নির্বাচন। তৃণমূল নেতাদের নিজের দলে আনার ক্ষেত্রে খানিকটা আপত্তি থাকলেও দিলীপ-আবহে ক্রমশ বেড়েছে বিজেপি। ২০২০ সালের নবান্ন অভিযান, দিলীপ-নেতৃত্বে 'হিট' না হলেও খুব একটা 'ফ্লপ' হয়নি। এর পরেই ২০২১ -এর অক্টোবর। বিজেপি যুবমোর্চা এবং তাদের ডাকে নবান্ন অভিযান। তেজস্বী সূর্যের উপস্থিতি। রঙিন জলের পুলিশি কামান, রাসায়নিক, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়; একাধিক ঘটনাবলীর আবহেই খানিকটা মাইলেজ দেয় বিজেপিকে। ততদিনে দলে ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছেন দিলীপ ঘোষ।
ঠিক এই আবহেই হাত বদলায়। দিলীপ-আসনে বসেন সুকান্ত। দলের খানিকটা নিয়ন্ত্রণ যায় শুভেন্দু অধিকারীর হাতেও। সূত্রের খবর, এর পর থেকেই প্রায় সমস্ত কর্মসূচি, সংগঠনের কাজের ক্ষেত্রেও আর আমল পান না দিলীপ! ঝাঁঝালো বক্তব্য আর তীব্র তৃণমূল বিরোধিতার প্রকাশ্য আবহেও দিলীপ থাকেন ব্রাত্যই। মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানের আগে আগুনে বক্তব্য শোনা গেলেও অভিযানের বিরাট পরিকল্পনায় ঠিক কতটা প্রভাব দিলীপের ছিল, তার উত্তর দিতে পারছেন না বিজেপি নেতারাও।
আর এখানেই উঠে আসছে আর একটি প্রসঙ্গ। বলা হচ্ছে, দিলীপের নিষ্ক্রিয়তা এবং বিজেপির সামগ্রিক অবস্থানে ঘুরছে পরিস্থিতি। এক সময়ে বাম থেকে রামে যাওয়ার প্রবণতা বুমেরাং হচ্ছে ফের। আর এখানেই রাজ্যে তৃণমূল বিরোধী হিসেবে ক্রমশ এগোচ্ছে বামেরা। অনেকেই বলছেন, দুর্নীতি-নিয়োগ বিতর্ক; বামনেতা-আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য এবং সিপিএমের যুব ব্রিগেড, সোশ্যাল-বিদ্রোহ ও নানা কর্মসূচি, বিজেপি-র বিরোধী ভিত্তিতে ফাটল ধরাচ্ছে। আর এখানেই ফের ২০১১-র আগের পরিস্থিতিতে ফেরার চেষ্টা করছেন বামেরা।
কেন উঠছে এই প্রশ্ন? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মত একটু দেখে নেওয়া যাক।
প্রথমত, আন্দোলনের তীব্রতা। অর্থাৎ, আলোচনাসভা আর সোশ্যাল মিডিয়া নয়, মমতা-বিরোধে জনসভা এবং জেলায় জেলায় কর্মসূচিতে অল আউট খেলছে সিপিএম। যেখানে একাধিক জেলায়-শহরে-গ্রামে ছোট ছোট পথসভা করে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের বার্তা। তৃণমূল বিরোধিতায় বড় কর্মসূচির তুলনায় আপাতত এই কৌশলে এগোচ্ছে বাম নেতৃত্ব।
দ্বিতীয়ত, যুব মুখ। বঙ্গের 'বুড়ো সিপিএম' বদনাম ঘুচিয়ে বর্তমানে নতুন মুখদের এগিয়ে দিচ্ছেন বাম নেতৃত্ব। যেখানে নির্বাচনের টিকিট থেকে শুরু করে জেলায় জেলায় প্রধান বক্তা হিসেবে জায়গা করে নিচ্ছেন মীনাক্ষী, দীপ্সিতা, ঐশী, সৃজনের মতো নেতারা।
তৃতীয়ত, আইন-অস্ত্র। শুধু রাজ্যের জেলায় নয়, দুর্নীতি ইস্যু এবং সরকার বিরোধী যেকোনও ক্ষেত্রে আদালতের মাধ্যমে প্রাসঙ্গিক হচ্ছে সিপিএম। যেখানে, আইন-কৌশল এবং বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মতো দুঁদে আইনজীবী, বাম নেতারা মানুষের দৈনন্দিন না পাওয়াকে হাতিয়ার করছেন। অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলের।
চতুর্থত, সংখ্যালঘু ভোট। রাজ্যে একচেটিয়া মমতা-পন্থী সংখ্যালঘু ভোটকে কাছে আনতে চেষ্টা করছে বামেরা। যেখানে, বিজেপি-র বিরুদ্ধে মুসলিম বিদ্বেষ প্রচার এবং মমতার প্রতি সংখ্যালঘুদের একাংশের অসন্তোষ কাজে লাগিয়ে, সেই অংশের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে বামেরা।
পঞ্চমত, জমি না ছাড়ার মনোভাব। সম্প্রতি বর্ধমানে আইন-অমান্য বিক্ষোভ এবং বাম কর্মীদের তীব্র আন্দোলন চাপে ফেলে পুলিশ প্রশাসনকে। গ্রেফতার করা হয় অনেককে। মুহূর্তেই লন্ডভন্ড হয় ওই এলাকা। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে, তৃণমূল বিরোধিতা এবং মমতার বিপক্ষের শক্তি হিসেবে মানুষের মধ্যে বাম বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার একটা কৌশল দেখা গিয়েছে। যেখানে প্রায় দিলীপ-হীন ঝাঁঝহীন বঙ্গ বিজেপি-কে চাপে ফেলেছে বামেরা। বর্ধমানে নাস্তানাবুদ পুলিশকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন বামনেতা আভাস রায়চৌধুরি।
একটু পিছিয়ে গেলেই দেখা যায়, কামারহাটিতে মদন মিত্রের সামনেই 'চোর চোর' স্লোগানে উত্তপ্ত হয়েছে পরিস্থিতি। সেলিম থেকে সুজন, প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে নওশাদ সিদ্দিকি-র দল বা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হবে কি না, এই প্রশ্নের আবহেই বামেরা বিজেপিকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টাতেই ব্রতী হয়েছে! এখানেই উঠে আসছে পুরনো প্রসঙ্গ। বাম যুব সংগঠনের ডাকে বিক্ষোভ, উত্তেজনা এবং নেত্রী মীনাক্ষীর রাস্তায় দাঁড়িয়ে মার খাওয়ার ছবি দেখেছিল রাজ্য। প্রায় ১০ দিন জেল খাটতে হয় মীনাক্ষীকে। আনিস খান মৃত্যুকাণ্ডে সরব হয় বামেরা। এর পাশাপাশি বাম ছাত্র সংগঠনের জনসভাও দেখেছে রাজ্য।
ঠিক এই প্রেক্ষাপটেই প্রশ্ন উঠছে, বৃদ্ধ বয়সে বিমান বসুরা পুলিশের সামনে বুক চিতিয়ে লড়াই করতে পারলেও বর্তমান বিজেপি কেন পিছিয়ে? যুব মোর্চার লড়াই কেন মনে নেই এই বিজেপি নেতাদের? কেন কর্মীরাই ঢাল হচ্ছেন বারবার? কেন বামনেতাদের মতো, সর্বোপরি কংগ্রেসের মতো কর্মীদের আগে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন না বঙ্গের গেরুয়া নেতারা! তাহলে কি সবকিছু কর্মীদের ঘাড়ে ঠেলে দিয়ে আসলেই রাজনীতিক-আঙিনায় বেঁচে থাকতে চায় বঙ্গ-বিজেপি! কোথায় গেল দিলীপ আমলের ঝাঁঝ! একাধিক প্রশ্ন আর বিতর্কের আবহেই শক্ত শাসক প্রতিপক্ষকে রুখতে, তাদের বিরোধিতা করতে অনেকটাই এগিয়ে যাচ্ছে বামেরা। বিজেপির কোন্দল আর খামতির সুযোগে মমতা-রুখতে শুধু মামলা নয়, রাস্তায় নেমে আন্দোলনেও যে বর্তমানে তারাই এগিয়ে, তাই-ই যেন 'দিলীপ-হীন' বঙ্গ বিজেপিকে বুঝিয়ে দিচ্ছে বামেরাই। যার অকাট্য নিদর্শন আজকের 'কর্মী এগোনো বিজেপি-র নবান্ন অভিযান'; বলছেন রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশ।