লাখ টাকা বাঁচানোর সুবর্ণ সুযোগ! মালদ্বীপ ভ্রমণের স্বাদ মিলবে ভারতেই, হানিমুন সারুন এখানে
Mini Maldives Tour : এশিয়ারও প্রথম আন্ডারওয়াটার রিসোর্ট রয়েছে এখানে, ঘুরে আসুন মিনি মালদ্বীপ....
লম্বা ছুটিতে দূরে ভ্রমণ এখন অতীত, নিউ নরম্যালের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে বাঙালি এখন মজেছে অফবিট ভ্রমণে। সপ্তাহান্তে মাত্র দিন দুয়েক ছুটি, তাতেই একঘেঁয়ে জীবনের স্বাদ বদল করতে তাই নতুন জায়গার খোঁজ করছে ভ্রমণপ্রেমীরা। এক কথায় যাকে বলে অফবিট ভ্রমণ। তারপর ব্যাগ গুছিয়ে রওনা হওয়ার পালা। আগে থেকে টিকিট বুকিংয়ের ঝামেলা নেই। প্রয়োজনে সড়কপথেও চলে যাওয়া যায় এইসব অজানা জায়গার সন্ধানে।
মালদ্বীপ, সকলেরই স্বপ্নের শহর। বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমার যিনি অনেকেই বেছে নেন এই বিশেষ জায়গাটি। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারে এই স্বপ্নের বাস্তবায়নের সুযোগ আর কোথায়! তবে যদি হঠাৎ করেই আসে এমন সুযোগ? দুম করে ঘুরে আসা যায় মালদ্বীপ থেকে? তাও আবার পাসপোর্ট ভিসা, এইসবের ঝামেলা ছাড়াই! তবে কেমন হয়? শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি, পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই যাওয়া যেতে পারে ‘মালদ্বীপ’। বিদেশে নয় এদেশেই রয়েছে এমন একটি জায়গা, যা আক্ষরিক অর্থেই এনে দেবে মালদ্বীপ ভ্রমণের তৃপ্তি। এই জায়গাটিকেই বলে হয় মিনি মালদ্বীপ।
এক থেকে মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অন্যদিকে নিরিবিলি পাহাড়ি পরিবেশে আপনজনের সঙ্গে দিন কয়েকের ছুটি এখানে জমে যেতে বাধ্য। একইসঙ্গে এখানে মিলবে আধুনিক বিলাসবহুল জীবনের ছোঁয়া, অন্যদিকে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে গা ভাসিয়ে দেওয়ার সুযোগও। তার উপর আবার আছে ফোটোসেশনের তাগিদ। ক্যামেরা হল ঝুলিয়ে বেরিয়ে পড়া ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে এই জায়গা এক্কেবারে যথার্থ।
আরও পড়ুন - পাহাড়, নদী আর বরফের স্বর্গ! যে গন্তব্য আজও বাঙালি পর্যটকদের অজানা!
কেরলের কোচিতে দেখা মিলবে এই ‘মিনি মালদ্বীপের’। ভারতের প্রথম ভাসমান রিসোর্টটি খোলা হয়েছে কোচির কাছে কুম্বলাঙ্গির দ্বীপ গ্রামে। এই রিসোর্ট থেকেই পাওয়া যাবে হুবহু মালদ্বীপ ভ্রমণের মতো অনুভূতি। এটি কেবল ভারতের প্রথম পরিবেশবান্ধব আন্ডারওয়াটার রিসোর্টই নয়, পাশাপাশি এশিয়ারও প্রথম আন্ডারওয়াটার রিসোর্ট। বিলাসবহুল ডিজাইনের ঘর’সহ ৫টি ভাসমান ভবন নিয়ে গঠিত এই রিসোর্টটি। যদিও এই রিসোর্ট এর এক রাতের ভাড়াও কিছু কম নয়। কম বেশি পাঁচ হাজারের কাছাকাছি, তবে মালদ্বীপ ভ্রমণের মতো হুবহু অনুভূতি এই দামে মালদ্বীপে গেলে কিছুতেই সম্ভব ছিল না। জলের পাশে একটি খোলা রিসর্টে থাকার সময় মালদ্বীপের অনুভূতি সহজেই ধরা দেবে। শুধু তাই নয়, কোচির এই মিনি মালদ্বীপের ব্যাকওয়াটারের সুন্দর দৃশ্য আপনাকে মন্ত্রমুগ্ধ করবেই।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৫ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতায় তেহরি লেকের উপর অবস্থিত রঙিন রিসোর্ট। রিসোর্টের চারপাশে রয়েছে সুউচ্চ হিমালয় পর্বতমালা। সাধারণ নকশার প্রায় ২০টি রুম আছে এখানে। এখনকার নিরিবিলি পরিবেশ, মনোরম আবহাওয়া এবং লেকের কাছে কুঁড়েঘরে থাকার অভিজ্ঞতা পর্যটককে মালদ্বীপের কথা মনে করিয়ে দেয়। পাশাপাশি এখানে মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে ব্যাডমিন্টন, ভলিবল, প্লেয়িং কার্ড, ইউনো, লুডো, কায়াকিং বোট রাইডের মতো ইনডোর এবং আউটডোর গেমসের ব্যবস্থাও। তবে বুকিং করতে গেলে কিন্তু অবশ্যই অনলাইনে আগে থেকে যোগাযোগ করে তবেই যেতে হবে।
কীভাবে যাবেন?
তেহরি লেকের নিকটবর্তী বিমানবন্দর হল দেহরাদুন। প্রায় ৩৬ কিলোমিটার পথ যাওয়ার জন্য বিমান বন্দর থেকেই মেলে ভাড়া গাড়ি। সেই গাড়িতে খানিক দরদাম করে চেপে পড়লেই , গাড়ির চালক আপনাদের পৌঁছে দেবে মিনি মালদ্বীপের সন্নিকটে।