কেন উমর, শারজিলদের জামিন খারিজ করা হচ্ছে বারবার?

Umar Khalid, Sharjeel Imam denied bail: একই সঙ্গে, বিচারপতি সুব্রমণিয়াম প্রসাদ এবং বিচারপতি হরিশ বৈদ্যনাথন শঙ্করের সমন্বয়ে গঠিত আরেকটি বেঞ্চ সহ-অভিযুক্ত তাসলিম আহমেদের জামিনের আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে।

উমর খলিদ, শারজিল ইমামদের জামিন এবারেও খারিজ করল দিল্লি হাই কোর্ট। ২০২০ সালে সংশোধিত নাগরিক আইন বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন যে হিংসার ঘটনা ঘটে তাতে জড়িত থাকার অভিযোগে দিল্লি পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। এরপর পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা জেলজীবন কাটাচ্ছেন, বারবার আবেদন করেও মেলেনি জামিন। এদিন শারজিল, উমররের পাশাপাশি মোট নয়জনের আবেদন দিল্লি হাইকোর্ট আজ খারিজ করে দিয়েছে।

বিচারপতি নবীন চৌলা এবং বিচারপতি শালিন্দর কৌরের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ উমরদের আবেদন আবেদন খারিজ করেছে। উমর খালিদ এবং শারজিল ইমাম ছাড়াও আথার খান, খালিদ সাইফি, মোহাম্মদ সেলিম খান, শিফা উর রেহমান, মিরান হায়দার, গুলফিশা ফাতিমা এবং শাদাব আহমেদের জামিনের আবেদনও খারিজ হয়েছে। ২০২০ সালের ঘটনার নয় মাসের মধ্যে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন- সর্বোচ্চ সাজা ৭ বছরের, তাও কেন বিনা বিচারে ৪ বছর বন্দি উমর খালিদ?

একই সঙ্গে, বিচারপতি সুব্রমণিয়াম প্রসাদ এবং বিচারপতি হরিশ বৈদ্যনাথন শঙ্করের সমন্বয়ে গঠিত আরেকটি বেঞ্চ সহ-অভিযুক্ত তাসলিম আহমেদের জামিনের আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে। তাসলিম আহমেদকে ২০২০ সালের ১৯ জুন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

লাইভল’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, “আবেদনটি খারিজ করা হল।”

দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল দ্বারা দায়ের করা কুখ্যাত এফআইআর ৫৯/২০২০-এ ইউএপিএ আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল উমর শারজিলদের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন- উমর খালিদের বক্তব্য কি সত্যিই উসকানিমূলক? মনে করেন না অনেকেই

২০২০ সালের দিল্লি হিংসার ঘটনায় মৃত্যু হয় অন্তত ৫৩ জনের। ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর উমর খলিদকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। উস্কানিমূলক বক্তব্যের অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। মাঝে দুবার পারিবারিক কারণে সাময়িক মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জামিন মেলেনি। দিল্লি হাইকোর্টে উমরের আর্জি শুনতেই চায়নি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্র উমরের মামলা থেকে নিজকে সরিয়ে নিয়েছিলেন।

অন্যদিকে ২০২৩ সালে অতিরিক্ত দায়ারা আদালত শারজিলকে নিস্কৃতি দিয়ে বলেছিল সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করেননি শারজিল। কিন্তু ইউএপিএ ধারা থেকে মুক্তি পাননি কৃতী গবেষক। করোনাকাল কেটেছে জেলের মধ্যেই। উল্লেখ্য জেল থেকে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শারজিল।

More Articles