আওয়ামী লিগের কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যতিব্যস্ত বাংলাদেশ! যা বলল ভারত

Awami League activities in India: এছাড়াও সামনে এসেছে আওয়ামী লীগের অনলাইন সক্রিয়তা। ইতোমধ্যে বারবার টেলিগ্রামে এবং অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলিতে বক্তব্য রাখতে দেখা গিয়েছে শেখ হাসিনাকে।

বাংলাদেশে গণ অভ্যুত্থানের এক বছরে বারবার প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগের বহু তাবড় নেতা ভারতে রয়েছেন। শেখ হাসিনা তো বটেই, বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল-কে জনসমক্ষে দেখাও গিয়েছে। এদিকে বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতের কাছে জানতে চেয়েছিল, কেন ভারতীয় ভূখণ্ডে অবাধে রাজনৈতিক কার্যকলাপ করার জন্য শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে ভারত সরকারের বিবৃতি, ভারতের মাটিতে অন্য কোনো রাষ্ট্রের রাজনৈতিক কার্যকলাপ ভারত সরকার অনুমোদিত নয়।

আসাদুজ্জামান কামালকে রমজান মাসে কলকাতার একাধিক রেস্টুরেন্টে ইফতার পার্টিতে দেখা গিয়েছিল। নানা সময়ে দেখা মিলেছে ওবায়েদুল কাদের-সহ দু'একজন নেতার। সম্প্রতি আবার জানা যায়, আওয়ামী লীগ কলকাতায় তাদের দলীয় কার্যালয়ও খুলে ফেলেছে। ৮ অগাস্ট বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত দল আওয়ামী লীগের অফিস দিল্লি ও কলকাতায় তৈরি করার খবর বাংলাদেশ সরকারের নজরে এসেছে। এছাড়াও সামনে এসেছে আওয়ামী লীগের অনলাইন সক্রিয়তা। ইতোমধ্যে বারবার টেলিগ্রামে এবং অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলিতে বক্তব্য রাখতে দেখা গিয়েছে শেখ হাসিনাকে। সেই বক্তব্যের জেরে উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন- খাস কলকাতাতেই ‘বাংলাদেশি’ তকমা! বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে যা ঘটল

দ্য প্রিন্ট প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছিল, কলকাতায় আওয়ামী লীগ নেতারা কীভাবে দিন কাটাচ্ছেন। শুধু কলকাতায় নয় বারবার অভিযোগ উঠেছে, রাজধানী দিল্লিতেও আওয়ামী লীগ নেতারা অবাধেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শেখ হাসিনা-সহ এই নেতাদের বহুজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার মামলা চলছে। এই অবস্থায় তাঁদের কেন রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদানের পরিকাঠামো দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন আসে বাংলাদেশের তরফে।

সম্প্রতি চাউর হয় দিল্লি প্রেস ক্লাবে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য অনুষ্ঠানের কথাও। কীভাবে প্রকাশ্যে সভা করতে পারে লীগ, তা নিয়ে প্রশ্ন ঘুরছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সাম্প্রতিক অতীতেও শেখ হাসিনার বিবৃতি রুখতে নয়াদিল্লিতে নালিশ ঠুকে ছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বলা হয়, শেখ হাসিনা যেন উস্কানিমূলক মন্তব্য থেকে বিরত থাকেন। বাংলাদেশ অভিযোগ করে, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার প্রশ্নে ভারতের তরফে কোনো ইতিবাচক উত্তর পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন- অসম-বাংলাদেশ সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্রর লাইসেন্স, হিমন্ত বিশ্বশর্মার সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কোন রাজনীতি?

সাম্প্রতিকতম অভিযোগটির উত্তরে ভারত সরকার স্পষ্ট বলছে, ভারতে বাংলাদেশ বিরোধী কোনো কার্যক্রম সম্পর্কে ভারত সরকার ওয়াকিবহাল নয়। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের মাটিতে অন্য দেশের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের কর্মকাণ্ড ভারত সরকার অনুমোদন করে না। একই সঙ্গে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল তাঁর আনুষ্ঠানিক এক্স অ্যাকাউন্টের পোস্টে বাংলাদেশে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের প্রত্যাশার কথা উল্লেখ করেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যেই জানিয়েছে সব ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হতে চলেছে।

More Articles