তিনটি গিঁটে ষোলোটি খুন! কীভাবে 'স্পাইডার কিলার' হয়ে উঠেছিল এই 'আম আদমি'?
Spider Killer of Iran: বারো নম্বর খুনের পরে, রুক্ষ ইরানে বহুদিন পরে বৃষ্টি নেমেছিল। সাইদ ভেবেছিল, এ আসলে খোদার সমর্থন।
দুর্ধর্ষ এক মাকড়সা। আরও দুর্ধর্ষ তার জাল। প্রকৃত প্রস্তাবে ছড়িয়ে রেখেছিল ইরানের ‘পবিত্র শহর’—মাশাদ-এর উপর। যখন আলো নিভু নিভু, শুরু হচ্ছে সন্ধের আজান, সে বেরোয়। সঙ্গে একটা বাইক। ততক্ষণে হয়তো মাকড়সার জালে জড়িয়ে গেছে কোনও মাছি। তার শিকার। এরপর সে কী করবে? গোদা বাংলায়, দু’আঙুলে চেপে খুন করবে। ইরানের সংবাদমাধ্যম যার নাম দিয়েছিল, 'স্পাইডার কিলার'। দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা বলেছিল, 'দ্য বিস্ট অব মাশাদ'। এই মাকড়সার নাম সাইদ হানাই। মধ্যপ্রাচ্যের খতরনাক সিরিয়াল কিলার। একুশ শতকের একেবারে গোড়ায়— ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার যখন গুঁড়িয়ে গেছে, যখন হলিউডে মুক্তি পেয়েছে আমেরিকান সাইকো, হ্যারল্ড শিপম্যানের মতো ভয়ঙ্কর একজন খুনি ধরা পড়েছেন ইংল্যান্ডে যখন, সেই তখন! ইরানে তখন, বৃষ্টিহীন আকাশের নীচে, অগাস্টের সাত তারিখ, মাশাদ শহরে খুঁজে পাওয়া গেল বছর তিরিশের একজন যৌনকর্মীর লাশ! নাম আফসানা কারিমপৌর। তার ঠিক তিনদিন পরে, দশ তারিখ, আরও একজন। নাম, লায়লা। এরপর, টানা একবছর ধরে মাশাদের ইতিউতি, রাস্তার ধারে কিম্বা টমেটো ক্ষেত থেকে উদ্ধার হবে ষোলোজন যৌনকর্মীর লাশ! ষোলোজন। খুনির মোডাস অপারেন্ডি সহজেই অনুমেয়: শহরের সেই সমস্ত নারী, যারা দেহ-ব্যবসায়ী…

Whatsapp
Support quality writing
Encourge writers
Access on any device
