এসি ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ! কেন এসির তাপমাত্রা নির্দিষ্ট রাখার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে?

Air Conditioners : ভারতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা হচ্ছে। এর জন্য এয়ার কন্ডিশনার প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলির সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তারা কথা বলছে।

গরম না কমার ফলে দিনের একটা বড় সময় আমরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশের মধ্যে কাটাই। ভারতের মতো উষ্ণ দেশে বছরের একটা বড়ো  সময় এয়ার কন্ডিশনারের (এসি) উপর নির্ভরতা বেড়েছে। তবে সম্প্রতি শীততাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যেন এয়ার কন্ডিশনারের তাপমাত্রা নির্দিষ্ট রাখা হয়।

১০ জুন ২০২৫ মঙ্গলবার, সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ভারতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা হচ্ছে। এর জন্য এয়ার কন্ডিশনার প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলির সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তারা কথা বলছে। গরমের মরসুমে এয়ার কন্ডিশনারের তাপমাত্রা ২০ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুসারে, ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ খরচ কমাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও এই নির্দেশ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এখনও এয়ার কন্ডিশনারে তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমানো যায়।

মঙ্গলবার এক সংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী মনোহর লাল বলেন, সরকার এয়ার কন্ডিশনারের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার পরিকল্পনা করছে। তিনি উল্লেখ করেন এটি হোটেল, বাড়ি এবং এমনকি গাড়ির এসির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

বিদ্যুৎ সচিব পঙ্কজ আগরওয়াল সংবাদ ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন, একটি এয়ার কন্ডিশনার ৫০ গিগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ লোড তৈরি করতে পারে। এসির তাপমাত্রায় প্রতি এক ডিগ্রি বাড়ালে বিদ্যুৎ খরচ ৬ শতাংশ কমানো যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ খরচ কমালে ৩ গিগাওয়াট করে সাশ্রয় হবে। এখন ভারতে প্রায় ১০ কোটি এয়ার কন্ডিশনার রয়েছে।।

বিদ্যুৎ খরচ কমাতে পারলে ২০৩৫ সালের মধ্যে ভারত ৬০ গিগাওয়াট সাশ্রয় করা যাবে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কলে-এর একটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, এতে নতুন প্রজন্মের জন্য এবং গ্রিড কাঠামোয় ৭.৫ লক্ষ কোটি  টাকা সাশ্রয় করা যাবে।

উল্লেখ্য, গত বছর ভারতের বিদুৎ খরচ ছিল ২৫০ গিগাওয়াট। ২০২৫ সালে তা ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত দেশে বৃষ্টিপাতের কারণে বিদ্যুতের ব্যাবহার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। তবে জুন মাসে তাপপ্রবাহের বাড়লে এসির ব্যবহারও বাড়বে এতে আবার বিদুৎ খরচ বাড়বে ।

More Articles