শীত এলেই বাংলার এই বিলগুলিতে দেখা মেলে পরিযায়ী পাখিদের
West Bengal migratory birds: অত্যধিক ঠান্ডায় জল জমে যাওয়ায় নিজেদের দেশে খাবারের অভাব হয় তাদের। তাই একটু উষ্ণতর আবহাওয়ার খোঁজে তারা নিজেদের জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে আসে।
শীতের হিমেল হাওয়া আসতেই শীতপ্রধান দেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের পরিযায়ী পাখি অপেক্ষাকৃত উষ্ণতর এলাকায় আসে টিকে থাকার জন্য। অত্যধিক ঠান্ডায় জল জমে যাওয়ায় নিজেদের দেশে খাবারের অভাব হয় তাদের। তাই একটু উষ্ণতর আবহাওয়ার খোঁজে তারা নিজেদের জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে আসে। এবং আমরা তাদের দেখতে পাই আমাদের আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায়। শীত পেরোলেই আবার তারা পাড়ি দেয় নিজ নিজ দেশে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে দেখতে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের, বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখিদের।
সাঁতরাগাছি ঝিল: হাওড়ার সাঁতরাগাছির ঝিলে নভেম্বর থেকেই পরিযায়ী পাখিরা আসা শুরু করে। শীতের কয়েকমাসে সাইবেরিয়া, মধ্য এশিয়া থেকে এখানে ভিড় করে গ্যাডওয়াল, গার্গেনি, নর্দার্ন পিনটেল(বিভিন্ন হাঁস), কার্লিউ, গ্রেট নট(ওয়াডার), ওয়াইল্ড স্প্যারো, কিংফিশার ইত্যাদি পরিযায়ী পাখি। যদিও পরিচর্যার অভাবে সম্প্রতি পাখির সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।
রবীন্দ্র সরোবর লেক: দক্ষিণ কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর লেকেও শীত আসতেই পরিযায়ী পাখির আনাগোনা শুরু হয়ে যায়। ইউরেশিয়া, মধ্য এশিয়া থেকে গ্যাডওয়াল, গার্গেনি, নর্দার্ন পিনটেল(বিভিন্ন হাঁস), নর্দার্ন শোভেলার, কমন কুট, লেজার হোইয়াট থ্রোট, চেস্টনাট উইন্ড কুক্কুর মতো পরিযায়ী পাখির দেখা পাওয়া যায় এই লেকে।
আরও পড়ুন - একটা-দু’টো নয়, ২৯টি প্রজাতির পরিযায়ী পাখি হাজির কালনায়! সপ্তাহান্তে ঘুরে আসুন এখান থেকে
হরিসিংপুর জলাশয়: ঘাটালের হরিসিংপুর জলাশয়ে শীতকালে ভিড় জমায় পরিযায়ী পাখিরা৷ ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসে ভিন দেশি সারস, বক, হাঁস, পানকৌড়ি, ফ্লেমিংগো, পিট্টি, মাছরাঙা, ডাহুক, কার্লিউ, নটার, জল পিপি, ব্রোঞ্জ উইঙ্গেড় সহ নানা প্রজাতির জলচর ও উভচর পরিযায়ী পাখি।
চুপি চর: পূর্ব বর্ধমান এলাকার পূর্বস্থলী স্টেশনে পশ্চিমবঙ্গের একটি বিখ্যাত পরিযায়ী পাখির অভয়ারণ্য রয়েছে এই জায়গায়। এটি গঙ্গার একটি অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ। সাইবেরিয়া ও মধ্য এশিয়া থেকে আসা অজস্র পরিযায়ী এবং দেশীয় পাখির দেখা মেলে এই সময় চুপি চরে। গ্যাডওয়াল, ইউরেশিয়ান উইজিওন, নর্দার্ন পিনটেল, কিংফিশার, স্যান্ডপাইপার প্রভৃতি প্রজাতির দেখে মেলে। বর্তমানে চুপি চরে পর্যটকদের সুবিধার জন্য ওয়াচ টাওয়ার এবং পাখিরালয় তৈরি করা হয়েছে।

চুপি চরে পরিযায়ী পাখি
নয়াচর: নদিয়া এবং পূর্ব বর্ধমানের সীমানা এলাকায় গঙ্গার বুকে তৈরি হয়েছে নয়াচর। শুধু পাখি নয়, এখানে দেখা মেলে গাঙ্গেয় ডলফিনের। শীত এলেই প্রতি বছর সাইবেরিয়া, তিব্বত, হিমালয় এবং অন্যান্য বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উড়ে আসে পরিযায়ীর দল।
রসিক বিল: পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ জলাধার রসিক বিল। প্রতি বছর শীতকালে সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, ইউক্রেন, চিন সহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পরিযায়ী পাখিদের জন্য স্বর্গরাজ্য এই জলাভূমি। অক্টোবর মাস থেকেই ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা শুরু হয়ে যায় তুফানগঞ্জ মহকুমার কাছে অবস্থিত ছোট এই হ্রদে।
সুন্দরবন: শীত আসতেই ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখিও চলে আসে সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায়। জম্বুদ্বীপ, চুনাখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, লোথিয়ান, কালিস্তান, কলসদ্বীপ, মিনাখাঁ, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালির মতো বিভিন্ন জায়গায় টেরেক স্যান্ডপাইপার, কমন রেডশ্যাঙ্ক, গ্রে হেডেড ল্যাপউইং, প্যাসিফিক গোল্ডেন প্লোভার, করমোরেন্ট, স্টর্ক, ডার্টার, বিভিন্ন প্রজাতির বক ও সাদা বক, বিভিন্ন প্রকার সিগাল, বড় ও ছোট স্পুনবিল, বিভিন্ন ধরণের বুনোহাঁস ইত্যাদি পরিযায়ী পাখি দেখতে পাওয়া যায়। পাখি গণনার জন্য সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের পক্ষ থেকে আয়োজিত হয় পাখি উৎসব বা 'বার্ড ফেস্ট'।

সুন্দরবনে স্টর্ক
পিয়ালি দ্বীপ: মাতলা নদীর বুকে অবস্থিত পিয়ালি দ্বীপ সুন্দরবনের একটি প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত। এই অঞ্চল ম্যানগ্রোভ ও প্রজাপতির জন্য বিখ্যাত। পিয়ালির বুকে, শীতে ভেসে বেড়ায় সাইবেরিয়ান সারস, নীলশির, লালশির এবং বিভিন্ন ধরনের হাঁস।
মিনাখাঁ: সুন্দরবনের অংশ হওয়ায় এই অঞ্চলে প্রচুর জলাশয় রয়েছে। ম্যানগ্রোভ অঞ্চল হওয়ায় এবং পাখিদের খাদ্যের প্রাচুর্য থাকায় শীতকালে বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখির আনাগোনা দেখা যায়। টেরেক স্যান্ডপাইপার, কমন রেডশ্যাঙ্ক, গ্রে হেডেড ল্যাপউইং, প্যাসিফিক গোল্ডেন প্লোভার, বিভিন্ন হাঁস, বক ও অন্যান্য জলচর পাখি দেখা যায় এই অঞ্চলে।
হিঙ্গলগঞ্জ: এই স্থানও সুন্দরবনের কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় শীতকালে পরিযায়ী পাখির দেখা মেলে। শীতের মরসুমে মেছো ভেড়ি ও জলাশয়গুলিতে টেরেক স্যান্ড পাইপার, কমন রেডশ্যাঙ্ক, গ্রে হেডেড ল্যাপউইং, প্যাসিফিক গোল্ডেন প্লোভার এবং বিভিন্ন প্রজাতির গাঙচিল ও অন্যান্য ছোট জলচর পাখি দেখতে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন - হাজার চেষ্টার পরও হারায় না পথ, কী ভাবে ঘরে ফেরে পরিযায়ী পাখিরা?
সন্দেশখালি: সন্দেশখালিতে শীতকালে প্রচুর পরিযায়ী পাখির আনাগোনা দেখা যায়। সাইবেরিয়া, আলাস্কা ও অন্যান্য দূরবর্তী অঞ্চল থেকে আসা টেরেক স্যান্ডপাইপার, কমন রেডশ্যাঙ্ক, গ্রে হেডেড ল্যাপউইং, প্যাসিফিক গোল্ডেন প্লোভার, বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস ও ডুবুরি পাখি, বিভিন্ন ধরনের মাছরাঙা প্রজাতি, পানকৌড়ি, বেকচো, বাটাং, ধাড়িবক, কাঁকবক ইত্যাদি পরিযায়ী পাখির দেখা পাওয়া যায়।
উত্তরবঙ্গের জলাশয় ও জাতীয় উদ্যানসমূহ: উত্তরবঙ্গের ফুলবাড়ি মহানন্দা ব্যারেজ, মূর্তি, তোর্সা নদী, বক্সা টাইগার রিজার্ভ, দোমোহনী এবং গোঁসাইহাট ইত্যাদি জায়গাগুলোতে শীতকালে বিভিন্ন পরিযায়ী পাখি দেখা যায়।
ফুলবাড়ি মহানন্দা ব্যারেজ: নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশী জলচর পাখি আসে এখানে। মহানন্দা নদীর মনোরম জল এবং ব্যারেজের পরিবেশ পাখিদের জন্য একটি আদর্শ আশ্রয়স্থল। এই সময় বিভিন্ন প্রজাতির গাঙচিল, হাঁস, ওয়াটার বার্ড ইত্যাদি দেখা যায় এই ব্যারেজে।

জলদাপাড়ায় পরিযায়ী পাখি
মূর্তি: জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান ও গজলডোবার কাছে অবস্থিত এই অঞ্চল। মূলত সাইবেরিয়া, তিব্বত, রাশিয়া, ইউরোপের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উড়ে আসে টেরেক স্যান্ডপাইপার, কমন রেডশ্যাঙ্ক, প্যাসিফিক গোল্ডেন প্লোভার, গ্রে হেডেড ল্যাপউইং ইত্যাদি পরিযায়ী পাখির দেখা মেলে মূর্তি নদী সংলগ্ন এলাকায়।
তোর্সা নদী: তোর্সা নদী ও তার সংলগ্ন জলাভূমিগুলিতে সাইবেরিয়া ও অন্যান্য বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা বালিহাঁস, সারস, টিলার, কমন রেডশ্যাঙ্ক, প্যাসিফিক গোল্ডেন প্লোভার ও বিভিন্ন ধরণের হাঁস, পানকৌড়ি, বক ইত্যাদি পাখির দেখা মেলে এই এলাকায়।
বক্সা টাইগার রিজার্ভ: বক্সা টাইগার রিজার্ভের নারথালি হ্রদ ও জলাভূমিগুলি পরিযায়ী পাখিদের বিশেষ আকর্ষণ। বক্সা হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত হওয়ায় এই অঞ্চলে সাইবেরিয়ান ও হিমালয়ের অন্যান্য উচ্চভূমি থেকে বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস ও বালি হাঁস, স্যান্ড পাইপার, স্টিন্ট ও বিভিন্ন ধরনের জলচর পাখির দেখা মেলে।
দোমোহনী: জলপাইগুড়ির অন্তর্গত তিস্তা নদী সংলগ্ন এই এলাকায় সাইবেরিয়ান সারস, টার্ন, গাঙচিল, নর্দার্ন ফিলটেল, টেরেক স্যান্ডপাইপার, কমন রেডশ্যাঙ্ক, গ্রে হেডেড ল্যাপউইং, প্যাসিফিক গোল্ডেন প্লোভারের মতো পাখি দেখা যেত। পরিবেশগত পরিবর্তনের কারণে বর্তমানে পাখির আনাগোনা আগের তুলনায় কমে গিয়েছে।
গোঁসাইহাট: গোঁসাইহাট (ডুয়ার্স) একসময় পরিযায়ী পাখির জন্য বিখ্যাত ছিল। এখানে নানা ধরনের হাঁস, ডাহুক, জলমুরগি, জলপিপি, পানকৌড়ি আসত। কিন্তু বর্তমানে কচুরিপানার কারণে, ঝিলের পর্যাপ্ত পর্যবেক্ষণের অভাবে পরিযায়ী পাখিদের আগমন কমে গিয়েছে।
আরও পড়ুন - সুদূর ব্রিটেন থেকে উড়ে এল হুগলিতে, বিরল এই পরিযায়ী পাখির ছবি ঘিরে শোরগোল নেট দুনিয়ায়
লাভা ও নেওরা ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক: এই পার্ক কালিম্পঙে অবস্থিত। মার্চ-মে মাস, এখানে পাখি দেখার সেরা সময়। গোল্ডেন থ্রোটেড বারবেট, জারডনস বাজা, নাটক্র্যাকার, ম্যাগপিস, ফিঞ্চ, সানবার্ড ইত্যাদি পাখি দেখতে পাওয়া যায়। বনের আশেপাশের এলাকাগুলোতে স্যাটার ট্রাগোপান, রূফাস-থ্রোটেড পার্টরিজ, ক্রিমসন ব্রেস্টেড উডপেকার, দার্জিলিং পিগমি রেনের মতো বিরল প্রজাতির পাখিও দেখা যায়।
চিন্তামণি কর বার্ড স্যাংকচুয়ারি: শীতের শুরুতেই চিন্তামণি কর বার্ড স্যাংকচুয়ারিতে ইউরেশিয়ান উডকক, টিকেলস থ্রাশ ব্লু-থ্রোটেড ফ্লাইক্যাচার, ব্ল্যাক-হুডেড ওরিওল, চেস্টনাট টেলড স্টার্লিং, সাদা ওয়াগটেল, হলুদ ওয়াগটেল, কমন স্যান্ডপাইপার ইত্যাদি বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি দেখতে পাওয়া যায়।
গজলডোবা: উত্তরবঙ্গের গজলডোবাতে সাইবেরিয়া ও অন্যান্য দেশ থেকে আসতে দেখা যায় হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি। বিশেষত তিস্তা ব্যারেজের জলাধারে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি- মার্চ মাস পর্যন্ত বিভিন্ন পরিযায়ী পাখির দেখা মেলে। বিভিন্ন প্রজাতির গুল, সারস, শ্রাইক, পেলিক্যান, ওয়াগটেল, রাডি শেলডাক দেখা যায় এখানে।
পুরুলিয়া জেলা: এখানে অযোধ্যা পাহাড়, বারান্তি রিসার্ভয়ার, গড় পঞ্চকোট, মার্বেল লেক ইত্যাদি এলাকায় শীতকালে অসংখ্য পরিযায়ী পাখি দেখা যায়।

সাহেব বাঁধে পরিযায়ী পাখির মেলা
অযোধ্যা পাহাড়: পুরুলিয়া জেলার অযোধ্যা পাহাড় আকর্ষণ করে বিভিন্ন ধরনের পরিযায়ী পাখিদের। নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি মাসে বার-হেডেড হাঁস, সাইবেরিয়ান সারস, বিভিন্ন প্রজাতির গাঙচিল, বক, সারস ও অন্যান্য জলচর ও স্থানীয় পাখিদের দেখা যায় জলাশয় ও ড্যাম গুলিতে।
গড় পঞ্চকোট: গড় পঞ্চকোট এলাকার বিশাল জলাশয়গুলিতে শীতকালে বিভিন্ন পরিযায়ী পাখির আগমন লক্ষ্য করা যায়। সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া ও অন্যান্য বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা লেসার হুইসলিং ডাক, নর্থ পিনটেল, সাইবেরিয়ান হাঁস, কম্ব ডাক, ওয়াগটেল ইত্যাদি পাখি দেখতে পাওয়া যায়। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত জঙ্গলের জলাশয়ের আশেপাশে বিভিন্ন পাখিদের ঝাঁক দেখতে পাওয়া যায়।
মার্বেল লেক: পুরুলিয়ার মার্বেল লেকেও শীতকালে ব্রাউন চিকড ফুলেভট্টা, পায়েড থ্রাশ, হোয়াইট ব্রায়োড শার্টউইং, বিভিন্ন ধরনের হাঁস, চ্যাগা, ল্যাপউইং ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের জলচর ও স্থলচর পাখি দেখা যায়। পাখিগুলি মূলত আসে সাইবেরিয়া ও হিমালয়ের পাদদেশ থেকে।
সাহেব বাঁধ: সাহেব বাঁধ একসময় পরিযায়ী পাখিদের প্রিয় গন্তব্য ছিল। শীতকালে সাইবেরিয়া, ইউরোপ, মধ্য এশিয়া থেকে বিভিন্ন ধরনের হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি যেমন গাঙচিল, হাঁস (যেমন নর্দার্ন শোভেলার, টিল) এবং অন্যান্য জলচর পাখি আসত এই জলাশয়ে। কিন্তু বর্তমানে দূষণ, কচুরিপানার কারণে বর্তমানে আর সেরকম দেখা পাওয়া যায় না পরিযায়ী পাখিদের।

Whatsapp
