বাতাসে শ্বাস নেওয়া ভার, নদীতে বিষ! কোন পথে দূষণ-রাক্ষসকে রুখবে রাজধানী দিল্লি?
Delhi Pollution: শুধু দিল্লি নয়। এর চেয়েও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি নাকি পড়শি দেশ পাকিস্তানের। শীত আসতে না আসতেই সেখানে বিপজ্জনক জায়গায় পৌঁছেছে বাতাসের গুণগতমান।
দীপাবলী আলোর উৎসব। কিন্তু প্রতিবছর এই সময়টা আসতে না আসতেই দেশের একাধিক অংশ ধোঁয়াশার উৎসবে ঢেকে যায়। দিওয়ালি মানেই ধুমধাম, আলো-বাজির রশনাই। অথচ এই সময়টা এলেই দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের একটা বড় অংশের বাতাসের মানের সূচক এতটাই নেমে যায়, যে শ্বাস নেওয়াও কঠিন হয়ে দাঁড়ায় সাধারণ মানুষের পক্ষে। আর দেখতে দেখতে বছরের ঠিক সেই মরসুমই এসে হাজির। ইতিমধ্যেই নামতে শুরু করেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির বায়ুর মানের সূচক অর্থাৎ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স।
দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বাতাসের খারাপ মানের নেপথ্যে বড় কারণ হিসেবে থাকে শস্য খেতে ফসলের অবশিষ্টাংশ বা নাড়া পোড়ানোর সমস্যা। এর জন্য বহু দিন থেকে কৃষকদের সচেতন করার চেষ্টা চলেছে। পুরোপুরি ফল না মিললেও অনেকটাই কমানো গিয়েছে সেই প্রবণতা। দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী রবিবার দিল্লিতে বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) ৩৫২। যা খুব খারাপ পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। শনিবার বাতাসের গুণগত মান ছিল ২৫৫। যা খারাপ পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। সামনেই দিওয়ালি। সে সময় যে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান কোথায় পৌঁছবে, তা ভাবতেই শিউরে উঠছেন মানুষজন।
শীত আসতে এখনও অনেক দেরি। প্রতি বছরই শীত পড়তে না পড়তে দিল্লির মানুষের আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায় পরিবেশের পরিস্থিতি। তবে এ বছর শীত পড়ার আগে থেকেইই দিল্লি, নয়ডা, গুরুগ্রামের বেশ কয়েকটি জনবহুল এলাকায় বাতাসের গুণগতমান ‘খারাপ’ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। বিগত কয়েকদিনের মতো শনিবারও ধোঁয়াশার চাদরে আচ্ছন্ন ছিল রাজধানী দিল্লি। যদিও সকালের দিকে অক্ষরধাম মন্দির, ইন্ডিয়া গেট-সহ দিল্লির কয়েকটি স্থানে বাতাসের গুণমানে উন্নতি দেখা গিয়েছে। শীত যত এগিয়ে আসছে দিল্লির বাতাসের গুণগতমান (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) অর্থাৎ একিউআই ততই খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। শনিবার সকালে দিল্লির আনন্দ বিহার, নেহরু প্লেস, ইন্ডিয়া গেট, কর্তব্যপথ, অক্ষরধাম মন্দিরের মতো এলাকাগুলিতে বাতাসের গুণগতমান ‘মন্দ’ পর্যায়ে ছিল। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অক্ষরধাম মন্দির এলাকায় এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স ছিল ২১৮, ইন্ডিয়া গেটে ২৩৭। রবিবারের বাজারে অবশ্য তা আরও খারাপ হয়েছে। রবিবার সকাল ৭টায় আনন্দ বিহারে বাতাসের গুণগত মান ছিল ৪০৫। শনিবারের তুলনায় যা অনেকটাই বেশি। বিমানবন্দরের ছবিটাও এক। অক্ষরধাম মন্দির এবং তার আশপাশের এলাকার বাতাসের গুণগত মানও খারাপ হয়েছে অনেকটাই।
আরও পড়ুন: দূষণে নাভিশ্বাস, রাজধানী দিল্লি পরিত্যক্ত নগরীতে পরিণত হবে?
সিস্টেম অফ এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ (SAFAR)-এ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) ৩২৮-এ রেকর্ড করা হয়েছে। রবিবারের গড় AQI রেকর্ড ছিল ৩৫৬, যার তুলনায় সোমবারের পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেও সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের দাবি, সোমবারও দিল্লির বাতাসের গুণমান রয়েছে অতিরিক্ত খারাপ ক্যাটেগরিতে। সার্বিকভাবে দিল্লির AQI (Air Quality Index) ৩২৮। পাঞ্জাবি বাগ, পুসা, সনিয়া বিহার, বুরারি ক্রসিং, আনন্দ বিহার, অশোক বিহার এলাকায় সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ AQI ছিল ৩৫০। যদিও এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দিল্লিতে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত আতশবাজি নিষিদ্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ছে। তার পরেও আশঙ্কা থাকছেই, আতশবাজি ব্যবহার এবং খড় পোড়ানো থেকে অতিরিক্ত কার্বন নির্গমনের ফলে বায়ুর গুণমান আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে আরও কিছুটা নামবেই।
রবিবার সকাল থেকে যেভাবে রাজধানী ধোঁয়াশায় ঢেকেছিল, তা দেখে উদ্বেগে পড়েছেন শহরবাসী। কমে যায় দৃশ্য়মানতা। অনেকেই দমবন্ধ পরিস্থিতির কথা বর্ণনা করেছেন। প্রাতর্ভ্রমণকারী, সাইকেলআরোহীরাও শ্বাসকষ্টের অভিযোগ তুলেছেন। শীতে দিল্লির ভয়াবহ দূষণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একাধিক সিদ্ধান্ত আগেভাগেই নিয়েছে সে রাজ্যের সরকার। সেপ্টেম্বরেই ঘোষণা করা হয় ২১ দফা নির্দেশিকা। তবে দিল্লির পাশাপাশি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, নয়ডা ও গ্রেটার নয়ডার মতো শহর। দিনে দিনে দিল্লির বাতাসের মতোই পরিস্থিতি হচ্ছে এই দু'টি জায়গাতেও। সেক্টর ১২৫ সহ নয়ডার বেশকিছু এলাকার বাতাসের গুণগত মান রীতিমত ভয় ধরানোর মতো। নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা, গাজিয়াবাদে দিল্লির থেকে বেশি কারখানা থাকায়, দূষণের মাত্রা বাড়ার আশঙ্কাই করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আপ সরকারের দূষণরোধী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ওয়ার্ক ফ্রম হোম বাড়ানো ও কৃত্রিম বৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। অফিসগুলি ওয়ার্ক ফ্রম হোম মডেলে গেলে রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার কমিয়ে আনা যাবে। পাশাপাশি অতিদূষণ এলাকাগুলিতে ড্রোন ব্যবহারের কথাও বলেছে সরকার। চলবে ধুলোবিরোধী অভিযান। ১ জানুয়ারি পর্যন্ত আতশবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা তো আছেই। তবে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাজি পোড়ানোর উপর যে পুরোপুরি রাশ টানা সম্ভব নয়, তা অজানা নয়। বহু ক্ষেত্রেই সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই পোড়ানো হবে বাজি। যার ফলে আরও খারাপ হবে বাতাসের গুণগতমান। পাশাপাশি ফসলের অবশিষ্টাংশ বা খড় পোড়ানোর জন্য ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার পরিকল্পনা করেছে আপ সরকার। যদিও এ বছর খড় পোড়ানোর ঘটনা কমেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। CREAMS-ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে খড় পোড়ানো বা পোড়ানোর ঘটনা ৪,৯৬৯-এ নেমে এসেছে, আগের বছরের একই সময়ে ৭,১৩৬টি নাড়া পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছিল এই সব এলাকায়।
এদিকে দিল্লিতে যমুনা দূষণ নিয়ে রাজনৈতিক টানাপড়েন চরমে পৌঁছেছে। ভয়াবহ অ্যামোনিয়া দূষণে বিপর্যস্ত নদী যমুনা। যে কারণে দিল্লি জুড়ে তৈরি হয়েছে জলসঙ্কটও। দিল্লিতে ক্ষমতাসীন আপ সরকার অবশ্য যমুনা দূষণের জন্য হরিয়ানার শিল্প বর্জ্যকেই দূষেছে। সোনিয়া বিহার ও ভগীরথীতে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট যমুনা নদীর এই অ্যামোনিয়া দূষণের সঙ্গে লড়ার সর্বৈব চেষ্টা করছে। তবে এই দূষণের প্রভাবে রাজধানী দিল্লিতে জল সরবরাহে টান পড়েছে। দিল্লি জল বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, যমুনা নদীর ভয়ঙ্কর অ্যামোনিয়া দূষণের কারণে ১ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লির বহু জায়গায় জলের ঘাটতি দেখা যাবে। কারণ এই দূষণের কারণে জল উৎপাদন অন্তত ২৫-৩০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। যার ফল ভুগতে হচ্ছে দিল্লির বাসিন্দাদের। যার জন্য আপ অবশ্য বিজেপি শাসিত হরিয়ানা সরকারকেই দায়ী করেছে। ওই রাজ্য থেকে শিল্পবর্জ্য নদীতে ফেলার কারণেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতি বলে দাবি করা হয়েছে আম আদমী পার্টির তরফে। এ নিয়ে যুযুধান হয়ে উঠেছে বিজেপি এবং আম আদমী পার্টি। এরই মধ্যে আবার দিল্লি সরকারের "দুর্নীতির" বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে যমুনা নদীতে ডুব দেওয়ার পরে শনিবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দিল্লি বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা। দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই পাল্টা বিজেপির সমালোচনা করে বলেন, "বিজেপি এমন একটি দল যা দূষণ তৈরি করে। আর তারা মনে করে, কেবল নাটক করলেই এর সমাধান হতে পারবে।"
তবে শুধু দিল্লি নয়। এর চেয়েও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি নাকি পড়শি দেশ পাকিস্তানের। শীত আসতে না আসতেই সেখানে বিপজ্জনক জায়গায় পৌঁছেছে বাতাসের গুণগতমান। ভারতীয় সীমান্ত থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে পাকিস্তানের লাহৌর শহরে বাতাসের মান ৫০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা অতি বিপজ্জনক পরিস্থিতি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। স্বাস্থ্যকর বায়ুর জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যে নির্ধারিত মাত্রা রয়েছে, তার চেয়ে এই পরিমাপ প্রায় ৬৫ গুণ বলে জানা গিয়েছে। পাকিস্তানের ভয়াবহ এই পরিস্থিতির নেপথ্যেও কিন্তু রয়েছে কার্যত একই কারণ। দীপাবলি উপলক্ষে মানুষ আলো-আতসবাজির উৎসবে মেতে ওঠেন। বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হচ্ছে সেই উৎসব। স্বাভাবিক ভাবেই এই মরসুমে পরিবেশের হাল যে আরও খারাপ হবেই, তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। লাহৌর শহরের বাতাসের গুণগতমান কার্যত ৭০০ ছুঁয়ে ফেলেছে এই ক'দিনে। যা পাকিস্তানকে পৌঁছে দিয়েছে পৃথিবীর অন্যতম দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে।
পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক রাজধানীর পরিস্থিতি এতটাই খারাপ জায়গায় পৌঁছেছে যে নিঃশ্বাস নিতেই কষ্ট হচ্ছে বাসিন্দাদের। চোখ জ্বালা, শরীরে প্রদাহের মতো শারীরিক সমস্যা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়ে ধুলো আটকানোর পরিকল্পনা করেছিল প্রশাসন। তবে তাতে পরিস্থিতি যে খুব একটা বদলেছে তেমন নয়। ভয়ানক দূষণের জন্য গত বছরেও এক বার কৃত্রিম উপায়ে মেঘ সৃষ্টি করা হয়েছিল লাহোরে। নামানো হয়েছিল বৃষ্টি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরেও একিউআই ছিল ‘অতি ভয়ানক’। সে বার বৃষ্টি নামাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে পাকিস্তানকে। আবারও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে পাক প্রশাসন। দূষণ ঠেকাতে ইতিমধ্যে ‘অ্যান্টি-স্মগ স্কোয়াড’ তৈরি করা হয়েছে। তারা দূষণ নিয়ন্ত্রণে নানা বিষয় দেখছে। কৃষকদের বোঝাচ্ছেন, তাঁরা যাতে নাড়া পোড়ানো বন্ধ রাখেন। এতে কেবল পরের বার চাষের ক্ষতিই হয় না, শিশুদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। লাহোরবাসীদের বেশির ভাগই এখন ভুগছেন চোখের সমস্যায়। চোখ জ্বালা, ত্বকে জ্বালা, শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা, সর্দি-কাশি এখন ঘরে ঘরে। এমনিতেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তেমন ভালো নয়। সেখানে দূষণের পিছনে এই বিপুল খরচ সামাল দিতে পারবেন তো শাহবাজ সরকার, উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: বিষাক্ত ধোঁয়াশার দাপট রাজধানীতে, কৃত্রিম বৃষ্টি দিয়েই দূষণ তাড়াবে কেজরি সরকার?
সোমবার এবং বুধবারের মধ্যে ভারতের জাতীয় রাজধানী অর্থাৎ দিল্লিতেও বায়ুর গুণমান 'খুব খারাপ' পর্যায়ে থাকবে বলেই আশঙ্কা করছে ওয়াকিবহাল মহল। পাশাপাশি আতশবাজি এবং খড়ের আগুন থেকে অতিরিক্ত দূষণের জন্য বুধবার পরিস্থিতি আরও 'গুরুতর' হতে পারে। সেন্টারের সিস্টেম অফ এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ অনুসারে, পরবর্তী ছয় দিনের জন্য বায়ুর গুণমান 'খুব খারাপ' থেকে 'গুরুতর' বিভাগে থাকতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কৃত্রিম বৃষ্টি কি পরিস্থিতিতে কিছু পার্থক্য আনতে পারবে। অথচ এই প্রক্রিয়ায় বিপুল অর্থ খরচ হতে চলেছে রাজ্য সরকারের। এদিকে যমুনা দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য কী করতে চলেছে সরকার, এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও দিশা মেলেনি। বাতাসে শ্বাস নেওয়া কঠিন, বিশুদ্ধ জলের অভাব, ক্রমশ যে ভয়ঙ্করতম পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে চলেছে রাজধানীবাসী, তা কিন্তু উদ্বেগের গোটা দেশের জন্যই।