"দিল্লি এসো শিগগির"! ইন্দিরার নির্দেশ না মেনে ভোটে লড়েন প্রণব মুখোপাধ্যায়! পরিণাম?
Pranab Mukherjee and Indira Gandhi: দক্ষ নেতা বা সংগঠক হলেও নির্বাচনী রাজনীতিতে অতটা সক্ষম ছিলেন না প্রণব মুখোপাধ্যায়। ১৯৬৯ সাল থেকে তখনও পর্যন্ত তিনি রাজ্যসভার সাংসদ।
১৯৬৯ সালের জুন মাস। কংগ্রেসে তখন চূড়ান্ত অন্তর্কলহ। কয়েক সপ্তাহ আগেই কংগ্রেস সিন্ডিকেটের মনোনীত প্রার্থী নিলম সঞ্জীব রেড্ডি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হেরেছেন ইন্দিরা গান্ধির কারণে। ক্ষিপ্ত বৃদ্ধমণ্ডলী বদ্ধপরিকর ইন্দিরাকে রাজনৈতিকভাবে নিঃশেষ করতে। এমতাবস্তায় ইন্দিরা গান্ধি সিদ্ধান্ত নেন দেশের সব ব্যাঙ্কের রাষ্ট্রীয়করণ বা ন্যাশনালাইজেশন হবে। স্বাভাবিকভাবেই কামরাজ-নিজলিঙ্গপ্পারা এতে সম্মত ছিলেন না। দলের অন্দরেই বিরোধের সম্মুখীন হচ্ছিলেন ইন্দিরা। ব্যাঙ্ক ন্যাশনালাইজেশন কেন জরুরি তা নিয়েই আলোচনা এবং বিতর্ক চলছিল সংসদে। একদিকে ছিলেন কামরাজ, নিজলিঙ্গপ্পা, মোরারজি দেশাই, অতুল্য ঘোষদের মতো পুরনো কংগ্রেসি নেতারা। অন্যদিকে ছিলেন চন্দ্রশেখর, বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং, অর্জুন অরোরা, কৃষ্ণ কান্ত, এম.এস. গুরুপদস্বামীর মতো তরুণ কংগ্রেস নেতারা। এই আলোচনার মাঝেই ব্যাঙ্ক ন্যাশনালাইজেশন কেন দেশের পক্ষে দরকার তা নিয়ে বলতে উদ্যত হন এক তরুণ সাংসদ। তিনি কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন না, বাংলা কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন। সেই তরুণ রাজ্যসভা সাংসদের বক্তৃতা শুনে মুগ্ধ হয়ে যান ইন্দিরা। রাজ্যসভায় কংগ্রেসের নেতা উমাশঙ্কর দীক্ষিত (দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত শীলা দীক্ষিতের শ্বশুরমশাই) তখন ইন্দিরার পাশেই বসেছিলেন। বক্তৃতা শুনে মুগ্ধ ইন্দিরা উমাশঙ্করকে নির্দেশ দেন, এই তরুণ সাংসদ সম্বন্ধে খোঁজখবর নিতে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা বাংলা কংগ্রেসের এই সাংসদের নাম প্রণব মুখোপাধ্যায়।
এই ভাষণের কয়েকদিন পর ১৪ জুলাই, দেশজুড়ে একযোগে ১৪টি বড় বড় ব্যাঙ্ককে রাষ্ট্রায়ত্ত করা হয়। একইসঙ্গে ইন্দিরার নেক-নজরে পড়েন প্রণব মুখোপাধ্যায়। এই ঘটনার কয়েক মাস পর, নভেম্বরে কংগ্রেস দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। ইন্দিরার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস (আর) সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় সহজেই। এই সময় প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলা কংগ্রেস পাশে দাঁড়িয়েছিল ইন্দিরার। এই ঘটনার পর ইন্দিরার আরও আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন প্রণব। বাংলা কংগ্রেস এবং ইন্দিরার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম ছিলেন প্রণব। ১৯৭১ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর বাংলা কংগ্রেসের বিলয় হয়ে যায় কংগ্রেস (আর)-এ। ততদিনে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে কংগ্রেস অর্গানাইজেশন। ১৯৭৪ সালে ইন্দিরা ক্যাবিনেটে প্রথম মন্ত্রী হন প্রণব। পরিবহণ মন্ত্রকে প্রতিমন্ত্রী করা হয় তাঁকে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই যশবন্ত রাও চৌহানের সঙ্গে অর্থমন্ত্রকে কাজ করার সুযোগ হয় তাঁর। অর্থমন্ত্রকে প্রতিমন্ত্রী হন প্রণব মুখোপাধ্যায়। ভারতীয় রাজনীতিতে এই সময় উল্কার গতিতে উত্থান হয় তাঁর।
আরও পড়ুন- ইন্দিরাকে বলেছিলেন ‘গুঙ্গি গুড়িয়া’, নেহরুকে কোণঠাসা করেছিলেন নিমেষে, চেনেন এই রাজনীতিবিদকে?
সত্তরের দশকে কেন্দ্রীয় সরকারে সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। তাঁর সুবাদেই দিল্লির পাশাপাশি বঙ্গেও পাঞ্জা শক্ত হচ্ছিল কংগ্রেসের। উঠে আসছিলেন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, সোমেন মিত্র, অজিত পাঁজার মতো নেতারা। তবে কংগ্রেসের তাল কাটে ১৯৭৭ সালে। ১৯৭৫ সালে দেশ জুড়ে এমার্জেন্সি ঘোষণা করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধি। ১৯৭৭ সালে এমার্জেন্সি তুলে নিয়ে ঘোষণা করা হয় লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে ভরাডুবি হয় কংগ্রেসের। কেন্দ্রসহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতাচ্যুত হয় কংগ্রেস। ১৯৭৭-এ নির্বাচন হেরে যান খোদ প্রণব মুখোপাধ্যায়। মালদা থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন তিনি। সিপিএমের দীনেশ চন্দ্র জোয়ারদারের কাছে ৩০ হাজার ভোটে হারতে হয় তাঁকে। এক্ষেত্রে মাথায় রাখা প্রয়োজন, ১৯৭৭ সালে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি অর্থাৎ সিপিআই কংগ্রেসকে সমর্থন করেছিল কিন্তু মার্ক্সবাদী ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি অর্থাৎ সিপিএম সমর্থন করেছিল জনতা দলের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটকে।
১৯৭৭-এর নির্বাচনের ফলাফল কংগ্রেসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শুধুমাত্র জয় বা পরাজয়ের মাপকাঠিতে নয়, বিশ্বাসযোগ্যতার মাপকাঠিতেও। এমার্জেন্সি বা জরুরি অবস্থার সময় যারা ইন্দিরার পাশে ছিলেন তারাও এই সময় ইন্দিরাকে একা ফেলে চলে যান। নির্বাচনের আগেই দল ছেড়েছিলেন বাবু জগজীবন রাম, হেমবতী নন্দন বহুগুনা-সহ অনেকে। নির্বাচনে হারার পরে ইন্দিরার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ওঠে আদালতে। সেই সময় ইন্দিরার বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষী দেন সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়, দেবকান্ত বড়ুয়া, যশবন্ত রাও চৌহান, টি.এ.পাই, বলীরাম ভগত, দেবরাজ উরস, করণ সিংরা। এরা প্রত্যেকেই তখন আধিকারিকভাবে কংগ্রেসের নেতা ছিলেন, কেউ ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, কেউ বা মুখ্যমন্ত্রী। ইন্দিরার বিরুদ্ধে সকলে আদালতে সাক্ষী দিলেও সাক্ষী দিতে সম্মত হননি প্রণব। মন্ত্রগুপ্তির শপথ নিয়েছিলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ইন্দিরা একদা বলেছিলেন, "প্রণবের মুখ থেকে শুধু ধোঁয়া বেরোয়, কথা বেরোয় না।" প্রণব মুখোপাধ্যায় খুব পাইপ খেতেন বলে এখানে ধোঁয়ার কথা বলা হয়েছে।
শোনা যায়, মামলা চলাকালীন একবার আদালত চত্বরে মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়েছিল সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় এবং ইন্দিরা গান্ধির। সিদ্ধার্থ রায় বলেছিলেন, "Indu you look pretty today"। জবাবে ইন্দিরা বলেছিলেন, "Despite your all efforts"। এই ঘটনার পর একপ্রকার নিশ্চিত ছিল কংগ্রেসে পুনরায় ভাঙন হবে। হলোও তাই। ১৯৭৮ সালে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী দেবরাজ উরসের নেতৃত্বে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত করা হয় ইন্দিরাকে। কংগ্রেসের নতুন নাম হলো কংগ্রেস (সোশ্যালিস্ট)। ইন্দিরার একদা বিশ্বাসভাজন এ.কে. অ্যান্টনি, শরদ পাওয়ার, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সিরা তাঁর সঙ্গ ছেড়ে দেন। দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে নতুন দল ইন্দিরা কংগ্রেস বা INCA গঠন করেন ইন্দিরা গান্দগি। পরবর্তীকালে অবশ্যই এদের অনেকেই ইন্দিরা শিবিরে ফিরে এসেছিলেন। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে কংগ্রেস সোশ্যালিস্ট গরু এবং বাছুরের প্রতীক পায়। ফলে INCA-র প্রতীকরূপে গৃহীত হয় 'হাত'। এই INCA-র নাম পাল্টে পরবর্তীকালে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস (INC) করা হয়।
দলের অধিকাংশ নেতারাই দল ছেড়ে দিলেও ইন্দিরার পাশে অটুট দাঁড়িয়েছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। ১৯৭৯ সালে চরণ সিং সরকারের পতনের পর দেশে লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা করা হয়। প্রণব তখন রাজ্যসভায় সাংসদ এবং কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেতা। লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হতেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দাবি করে বসেন প্রণব। ইন্দিরাকে তিনি জানান, বোলপুরে লড়তে চান। প্রণবের প্রস্তাব শোনা মাত্রই নাকচ করে দেন ইন্দিরা। বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ ইন্দিরা গান্ধি বুঝেছিলেন বোলপুরে কোনওমতেই জিততে পারবেন না প্রণব। আসলে দক্ষ নেতা বা সংগঠক হলেও নির্বাচনী রাজনীতিতে অতটা সক্ষম ছিলেন না প্রণব মুখোপাধ্যায়। ১৯৬৯ সাল থেকে তখনও পর্যন্ত তিনি রাজ্যসভার সাংসদ। এর আগে একবার লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গিয়ে হারের মুখ দেখতে হয়েছে তাঁকে। ইন্দিরা প্রণবকে জানান, বোলপুর বামপন্থীদের দুর্গ, সেখানে কোনওভাবেই জেতা সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে কিন্তু প্রণব বলেন, তিনি ছোট থেকেই বড় হয়েছেন ওখানে এক গ্রামে। বোলপুরকে হাতের তালুর মতো চেনেন তিনি। তাঁকে যেন বোলপুরে লড়ার সুযোগ দেওয়া হয়। না চাইতেও প্রণবের কথায় রাজি হয়ে যান ইন্দিরা।
আরও পড়ুন- ইন্দিরাকে প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন, ইন্দিরার হাতেই শেষও হয়ে যান! কে ছিলেন কামরাজ?
ইন্দিরার শত নিষেধ উপেক্ষা করে বোলপুরে লড়েন প্রণব মুখোপাধ্যায়। দিন-রাত পরিশ্রম করে সেখানে প্রচার করেন তিনি। ফলাফল? ১৯৮০ সালের লোকসভা নির্বাচনে দেশজুড়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয় কংগ্রেস। ৩৫৩ আসন জিতে সরকার গড়েন ইন্দিরা কিন্তু নির্বাচন হেরে যান তাঁর সবচেয়ে প্রিয়পাত্র প্রণব মুখোপাধ্যায়। বোলপুর নিয়ে ইন্দিরা অনুমান অব্যর্থ ছিল। সিপিএমের প্রার্থী সরদীশ রায়ের কাছে প্রায় ৮০ হাজার ভোটে পরাজিত হন প্রণব। ঘটনাচক্রে, ১৯৮৫ সালে সরদীশ রায়ের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে মুখোমুখি হয়েছিলেন সিপিএমের সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং কংগ্রেসের সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়। ১ লাখ ভোটে জিতেছিলেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। বোলপুরে নির্বাচন হেরে ভেঙে পড়েছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। ইন্দিরা গান্ধি এবং পরিবারের অমতে নির্বাচনে লড়েছিলেন তিনি। স্বভাবতই লজ্জায় কাউকে মুখ দেখাতে পারছিলেন না। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতেই কলকাতায় ঢাকুরিয়ায় নিজের বাসভবনে চলে আসেন প্রণব। সেখানে সারাদিন দরজা বন্ধ করে বসেছিলেন নিজের ঘরে। রাতের দিকে দিল্লি থেকে ফোন আসে তাঁর কাছে। ফোনের ওপারে ছিলেন ইন্দিরা গান্ধি। ফোনে ছোট্ট নির্দেশ, "দিল্লি এসো শিগগির"।
একপ্রকার ভাঙা মন নিয়েই পরদিন সকালে দিল্লির বিমান ধরেছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। বিমানবন্দরে নেমে একটু অবাক হন প্রণব। তাঁর জন্য ফুলের তোড়া নিয়ে হাসিমুখে দাঁড়িয়েছিলেন সঞ্জয় গান্ধি। সঞ্জয় গান্ধির সঙ্গে গাড়ি করে ১২ নম্বর ওয়েলিংটন স্ট্রিট অর্থাৎ ইন্দিরার বাসভবনে যান প্রণব। ইন্দিরাকে দেখে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায় তাঁর। যতই হোক 'ম্যাডামে'র কথা না শুনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছে। কিন্তু সেসব কোনও কথা তুললেন না ইন্দিরা। শুধু বললেন, "তোমায় বলেছিলাম বোলপুর থেকে লড়তে যেও না। যাইহোক, তোমার ফ্ল্যাটে গিয়ে তৈরি হয়ে নাও। কিছুক্ষণের মধ্যেই ক্যাবিনেট সচিবের ফোন যাবে তোমার কাছে।" ইন্দিরার কথায় অবাক হয়ে যান প্রণব। আসলে নতুন সরকার গঠিত হলে ক্যাবিনেটে যাঁরা থাকবেন তাঁদের শপথ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান ক্যাবিনেট সচিব। অবশেষে ১৪ জানুয়ারি ১৯৮০, মকরসংক্রান্তির দিন ক্যাবিনেট-সহ প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেন ইন্দিরা গান্ধি। ইস্পাত এবং খনন মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রণব মুখোপাধ্যায়কে। পরবর্তীকালে দেশের অর্থ, প্রতিরক্ষা, বিদেশ-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক সামলেছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। তবে ১৯৮০ সালের এই হারের প্রভাব দীর্ঘদিন ছিল প্রণবের ওপর। এই ঘটনার ২৪ বছর পর অর্থাৎ ২০০৪ সালে ফের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন প্রণব। অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির অনুরোধে নির্বাচনে লড়তে সম্মত হয়েছিলেন তিনি। সেবার অবশ্য খালি হাতে ফিরতে হয়নি তাঁকে। দীর্ঘ সাড়ে তিন দশকের রাজনৈতিক জীবন কাটিয়ে অবশেষে লোকসভার সদস্য হন প্রণব মুখোপাধ্যায়। ২০০৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে জিতে জঙ্গিপুরের সাংসদ হন তিনি।