দুই বিশ্বযুদ্ধ থেকে হালফিলের করোনা সবই চাক্ষুষ করেছে সে, দেখতে কেমন আট কোটি টাকার বাইক?

Most Expensive Motorcycle : একে পুরনো তায় আবার এতটাই অক্ষত, স্বাভাবিক ভাবেই নিলামে দাম চড়তে থাকে বাইকের। ভাবা যায়, দুই বিশ্বযুদ্ধের সমস্ত স্মৃতিও চাক্ষুষ করেছে এই বাইক। অবশেষে ৭.৭ কোটি টাকায় রফা হয়।

কথায় বলে পুরনো চাল ভাতে বাড়ে, বাস্তবে ঠিক তেমনটাই ঘটল। একশ বছরেরও বেশি পুরনো বাইক বিক্রি হল প্রায় আট কোটি টাকায়। কথাটা শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনাটা সত্যিই। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া প্রকাশ পেয়েছে এই তথ্য। ৭.৭ কোটি টাকার বিনিময়ে ১১৫ বছরের ভিন্টেজ বাইকটি কিনেছেন এক ব্যক্তি। মরা হাতির দাম যদি লাখ টাকা হতে পারে তাহলে প্রাচীন এই গাড়ির দামও যে আকাশ ছোঁয়া হবে, এ আর নতুন কি!

এই অভিনব ঘটনাটি ঘটেছে লাস ভেগাস মেকামের একটি নিলামে। ১১৫ বছরের এই বাইকটি দেখতে প্রচুর জনসমাগম হয়েছিল সেখানে। শতাব্দী প্রাচীন এই মোটরসাইকেলের নাম হার্লে-ডেভিডশন স্ট্র্যাপ ট্যাংক। জানা গিয়েছে, ১৯০৮ সালে এটি তৈরি করেছিল সংস্থা। সেইসময় এটি ছাড়াও আরও ৪০৮টি মোটরসাইকেল বানিয়েছিল হার্লে-ডেভিডশন। যদিও তার মধ্যে বর্তমানে আর হাতে গোনা কয়েকটি মোটরসাইকেলেরই অস্তিত্ব রয়েছে। তবে সবচেয়ে অবাক করা ঘটনা হল, আজ এতদিন পরে এসেও অক্ষত রয়েছে মোটরসাইকেলটি।

আরও পড়ুন - এক প্যাকেট ৬০ হাজার টাকা! এই দেশে টিভির থেকেও বেশি দামি কন্ডোম, কিন্তু কেন?

লাখ লাখ টাকা দিয়ে পুরনো বাইক কেনার ঘটনা এই প্রথম নয়, এর আগেও বাইক নিলামের ঘটনা ঘটেছে। ভিন্টেজ মোটরসাইকেলের চাহিদা বরাবরই অবাক করে নিলাম আয়োজকদের। এর আগে ২০১৫ সালে হার্লে-ডেভিডশনের আরও একটি স্ট্র্যাপ ট্যাংক প্রায় ৫.৯৭ কোটি টাকা নিলামে বিক্রি হয়েছিল। সেই বাইকটি আবার তৈরি হয়েছিল আরও এক বছর আগে, অর্থাৎ ১৯০৭ সালে। তারপর ২০১৮ সালে আজকের প্রায় কাছাকাছি দামেই বিক্রি হয়েছিল আরও একটি বাইক। সেবারের নিলামে ভিনসেন্ট ব্ল্যাক লাইটনিং -এর দাম উঠেছিল ৭.৬ কোটি টাকা। এবারে সেই তালিকায় নতুন সংযোজন ৭.৭ কোটি টাকায় বিক্রি হওয়া হার্লে-ডেভিডশন স্ট্র্যাপ ট্যাংক।

জানা গিয়েছে, ১৯৪১ সালে উইসকনসিনের একটি শস্যাগারে ডেভিড উইহেলিন নামক এক ব্যক্তি খুঁজে পান এই মোটরসাইকেলটি। তার পর থেকেই টানা ৬৬ বছর ধরে নিজের বাড়িতেই যত্ন করে রেখেছিলেন এটি। তারপর ইন্ডিয়ানা থেকে পল ফ্রিহিল নামক এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলটি পুনরুদ্ধার করার জন্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে সব থেকে অবাক করা বিষয় হল, এই এত বছরেও অক্ষত রয়েছে বাইকের সমস্ত পার্টস। চাকা, ট্যাংক, ইঞ্জিন, সিট কভার এবং মাফলার স্লিভ সমস্ত কিছুই রয়েছে আগের মতো। একে পুরনো তায় আবার এতটাই অক্ষত, স্বাভাবিক ভাবেই নিলামে দাম চড়তে থাকে বাইকের। ভাবা যায়, দুই বিশ্বযুদ্ধের সমস্ত স্মৃতিও চাক্ষুষ করেছে এই বাইক। অবশেষে ৭.৭ কোটি টাকায় রফা হয়। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া বাইক।

More Articles