অন্তরঙ্গতাই উপার্জন, অন্তরঙ্গতাই ভয়: শহরের মহিলা সেবাশ্রমিকদের রোজনামচা
International Workers' Day: গৃহ শ্রমিক ও সেবা শ্রমিকেরাও একই রকম ঝুঁকি নিয়ে গৃহস্থ বাড়ির অন্দরমহলে কাজ করে থাকেন। এই শ্রমনিযুক্তির প্রাকশর্ত হয় অন্তরঙ্গতা।
পলা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সংবিদা লাহিড়ী: আন্তর্জাতিক শ্রম দিবসে কলকাতা শহরে মেয়েদের কাজের ইতিহাসে চোখ রেখে কথা বলতে গেলে খুব সাধারণভাবেই শ্রম নিযুক্তি বিশ্লেষণের প্রসঙ্গটি মাথায় আসে। কলকাতা শহরের কর্মক্ষেত্রে শ্রম নিযুক্তির প্রশ্নে মেয়েদের যোগদান করার রেওয়াজ নতুন নয়। একদিকে, ‘আধুনিক’ শিক্ষায় শিক্ষিত মেয়েদের বা কোনও কারিগরি প্রশিক্ষণ নিয়ে মেয়েদের কাজ করার দৃষ্টান্ত আমাদের অনেকের পারিবারিক ইতিহাসে সহজে মিলে যেতে পারে। দেশভাগের পর পরেই উদ্বাস্তু বাড়ির মেয়েদের বাইরে বেরিয়ে কাজ করার উদাহরণ ঋত্বিক ঘটক এবং সত্যজিৎ রায়ের সিনেমায় রয়েছে। তাছাড়াও বাংলা গল্প-উপন্যাসেও এর নজির পাওয়া যাবে। যেমন শিক্ষকতা, নার্সের চাকরি, উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট, টেলিফোনের চাকরি, গভর্নেসের কাজ এবং সেলস গার্ল।
শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত মেয়েদের পাশাপাশি, স্কুল-কলেজের শিক্ষা নেই বা কোনও কারিগরি প্রশিক্ষণ নেই এমন মেয়েদেরও এই শহরের শ্রমক্ষেত্রে নিযুক্তিকরণের সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এই প্রসঙ্গে বিশেষত গৃহশ্রমিক, যৌনশ্রমিক, অসুস্থকে দেখভালের দায়িত্বে থাকা সেবাশ্রমিক – মূলত এই শহরের তিনটি শ্রমক্ষেত্রের উল্লেখ করা যায়।
গৃহশ্রমিক, সেবাশ্রমিক এবং যৌন শ্রমিকেরা এমন শহরের একটি পরিসরে কাজ করেন, যা মানুষের ‘অন্দরমহল’ বা ‘ব্যক্তিগত’ যাপনের অধীন। তাই, অন্তরঙ্গতা হয়ে পড়ে এঁদের কাজের প্রাথমিক শর্ত। বিশ্বাস এখানে মূলধন; আন্তরিকতা এই কর্মক্ষেত্রের বিনিময়ের বিশেষ মাধ্যম। কাজের সুবাদে এই ধরনের শ্রমিকের কাছে অনাবৃত হয়ে থাকে পরিবারের গোপন তথ্য, মানুষের চেপে রাখা অসুখ বা অক্ষমতার কথা। ফলে এই শ্রমিক আসলে ‘অন্তরঙ্গ শ্রমিক’ হিসেবেই বকলমে পরিগণিত হতে থাকেন। ইংরেজিতে এই ধরনের শ্রমপ্রদানের প্রাথমিক শর্তটিকে সমাজবিজ্ঞানীরা intimate currency বলেও চিহ্নিত করে থাকেন।
আরও পড়ুন- আসলে অসংগঠিত শ্রমিকই! লবি, নিরাপত্তাহীনতার আড়ালে খাবি খান শিল্পীরা
যদিও intimate currency বা ‘অন্তরঙ্গতা বিনিময় মাধ্যম’-এর প্রয়োগ সমাজ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে পাশ্চাত্য দেশের যৌনকর্মীর পেশা বোঝাতেই সর্বাধিক লক্ষ্য করা যায়। কারণ, অন্তরঙ্গতা যখন বিনিময়ের মাধ্যম হয়ে ওঠে, তখন সেখানে বেশ কিছু মানবিক বিষয়ের মাপকাঠি এসে পড়ে। যেমন সিক্রেসি বা গোপনীয়তা, মনোযোগ, সহানুভূতি, শারীরিক উপস্থিতি ও সান্নিধ্য ইত্যাদি এবং এই মাপকাঠিগুলি যৌন শ্রমিকের পেশায় সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়।
কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে, দক্ষিণ এশিয় পটভূমিতে অন্তরঙ্গতা বিনিময় মাধ্যম শুধু যৌনকর্মীর পেশাতেই নয়, গৃহ শ্রমিক এবং সেবা শ্রমিকদের কাজেও লক্ষ্য করা যাবে। কারণ, গৃহ শ্রমিক ও সেবা শ্রমিকেরাও একই রকম ঝুঁকি নিয়ে গৃহস্থ বাড়ির অন্দরমহলে কাজ করে থাকেন। এই শ্রমনিযুক্তির প্রাকশর্ত হয় অন্তরঙ্গতা। কাজে যোগ দেওয়ার সময় তা উহ্য থেকে গেলেও আন্তরিকতা, অন্তরঙ্গতা ভিন্ন সংসার সামলে দেওয়ার কাজ বা অসুস্থ মানুষ বা বাচ্চা দেখভাল করার কাজ করা অসম্ভব। যে কারণে মৌখিকভাবে মালিকপক্ষকে বলতে শোনা যায়, ‘নিজের মনে করে কোরো’ বা 'তোমার নিজের বাবা/মা/সংসার/সন্তান মনে করে যত্ন নিও’।
অন্দরমহলে অবাধ যাতায়াত বা অন্তরঙ্গতার সাক্ষী থাকার কারণে এই শ্রমক্ষেত্রের মহিলাদের জীবনে কিছু বিপদ তৈরি হয়। সাধারণ শারীরিক সুরক্ষাটুকুও সবসময় সুনিশ্চিত থাকে না। নানাবিধ হেনস্থা ও নিপীড়নের শিকার হওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়। মানসিক নির্যাতন, গালমন্দ করার মতো বিষয়গুলি নিত্যসঙ্গী হয়েই থাকে।
নির্যাতন থেকে বা হেনস্থা থেকে বাঁচার উপায় এই ধরনের শ্রমক্ষেত্রের শ্রমিকদের নিজেদেরই খুঁজে নিতে হয়েছে। অচেনা উচ্চশ্রেণির মানুষের অন্দরমহলের সঙ্গে নিত্য যোগ এবং বাইরের জগতে নিয়মিত বিচরণের ফলে এঁরা এমন এজেন্ট বা বিষয়ীতে পরিণত হয়ে থাকেন, যাঁদের কাছে শহুরে গেরস্থালিগুলির এমনসব কাহিনিমালা মজুত থাকে, যে সেটিই তাঁদের মূল সুরক্ষা কবচ হিসেবেও কাজ করে। এই পারিবারিক আখ্যানগুলিকে আমরা 'কেচ্ছা' বলে জানি। অন্দরমহলে বিবিধ গোপন তথ্য, বাবুদের ব্যক্তিগত জীবন, জীবনের পারা-না-পারা গুলি প্রকাশ্যে বলে ফেলতে পারার মধ্যে দিয়ে এই শ্রেণির শ্রমিক একটি ভীতি চারিয়ে দিতে পারে গৃহস্থের মনে। এর মধ্যে অনুক্ত দর কষাকষিও চালাতে সক্ষম হন তাঁরা মালিকপক্ষের সঙ্গে। কয়েকটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি স্পষ্ট হতে পারে।
গৃহশ্রমিক নিযুক্তিকরণ ঘটে মূলত গৃহস্থের বাড়িতে। সাধারণ গৃহস্থের বাড়িতে মহিলা শ্রমিকের নিযুক্তি শুরুয়াদ আমরা পাই দেশভাগের সময় থেকে। বাসনমাজা, কয়লা ভাঙা, কাপড় কাচা, উঠোন ঝাঁট দেওয়া, বাগান পরিষ্কার করে দেওয়ার মতো কাজ। দু'টাকা, পাঁচ টাকা পারিশ্রমিকের কাজ। এরা ক্রমে ক্রমে ‘বাবু’ বাড়িতে গেরস্থালির কাজ নিয়মিত সামলে দিচ্ছেন। বিনিময়ে মিলছে মাস-কাবারি মাইনে। এক বৃদ্ধা মহিলার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছিল, যিনি ক্যানিংয়ের তালদি থেকে নিয়মিত যাতায়াত করেছেন গত চল্লিশ বছর। মাত্র ঊনিশ বছর বয়সে কলকাতায় আসতে শুরু করেছিলেন। তখন বাম জমানার শুরুর দিক। স্বামী পক্ষাঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় গৃহশ্রমিকের কাজ ছাড়া ঊপায় ছিল না এই বৃদ্ধার। ধর্মীয় পরিচিতিতে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ হলেও কাজের ক্ষেত্রে তাঁকে সবাই চিনত মিনু নামে। দক্ষিণ কলকাতার একটি সম্ভ্রান্ত পাড়ার বহু বাড়িতে কাজ করেছেন। অনেকের কাছেই তিনি আজও পরিচিত মিনু মাসি নামে।
কোন বাড়ির ছোট ছেলের রিকেট ছিল, কার মেয়ে কার ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গেল, কার মা মরে গেলে বাবা আরও নতুন বিয়ে করে বড় ছেলেকে দেখল না, কোন বউ বৃদ্ধা শাশুড়িকে ভাল করে খেতে দিত না থেকে শুরু করে পাড়ার দাদা-বউদিদের নিয়ে হাজার কেচ্ছা মিনুর ঝুলিতে। এ সবই মিনুর চোখে দেখা। কিন্তু মিনুর আজ বয়স হয়েছে। সামান্য বিধবাভাতায় কোনওমতে দু'বেলা ফুটিয়ে খাওয়ার ব্যবস্থা ভিন্ন আর কিছুই জোটে না।
কলকাতায় আসতে পারলে পুরনো বাড়ির ছেলেমেয়েরা টাকা দেয়। মিনু মাসি সামনে এসে দাঁড়ালে স্মৃতির টানে একশ-দুশো থেকে পাঁচশো পর্যন্ত দিতে পারে এইসব বাবুবাড়ির ছেলেমেয়েরা। কিন্তু "প্রতি মাসে গেলে কি আর দেবে?" প্রশ্ন মিনুর। দু-একটি লোকের ডাকনাম ধরে ডেকে বলেন, "একে এতটুকু দেখেছি"; "অমুকের বাড়ির মেয়ের ঠাকুমা মাসে পাঁচ টাকা মাইনে করে রেখেছিল। এখন কত বড় হয়ে গিয়েছে সব" ইত্যাদি।
একইভাবে আরও প্রকট অন্তরঙ্গতার মধ্যে দিয়ে গিয়ে উপার্জন যৌন শ্রমিকদের। সোনাগাছির যৌনকর্মীর পেশায় থাকা মেয়েদের কাছে হামেশা আক্ষেপ শোনা যায়, পনেরো মিনিটের কাজ বলে চল্লিশ মিনিট সময় নষ্ট করছে ক্রেতা। অথবা, এক বলে আরেক পরিষেবা নেওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি হলো এই এলাকার 'কাস্টমার' ঘটিত নৈমিত্তিক ঘটনা। এক দিদি বলেছিলেন, ছ্যাঁচড়া লোকের সম্পূর্ণ বিপরীত লোকও তাঁরা পেয়ে থাকেন। তাঁর অভিজ্ঞতায়, মাঝে মধ্যেই এমন কাস্টমার তাঁরা পেয়ে যান, যাঁরা যৌন সুখের জন্য সোনাগাছি আসেন না। খানিক মদ্যপান করতে, মেয়েদের সঙ্গে গল্প করতে আসেন। দুদণ্ড বসে মনের কথা বলতে আসেন। দাবি একটিই, একটু অন্তরঙ্গ সময়। দরজা বন্ধ করে, যৌন সম্পর্ক স্থাপন হোক বা না হোক ওই নৈকট্যটুকুই কিনতে আসা।
আরও পড়ুন- চাকরি দেওয়ার নামে কী ঘটে মারুতি সুজুকিতে? কেন আন্দোলনের পথে শ্রমিকরা?
সেবাশ্রমিক বা আয়া হিসেবে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা ভীষণ মেশানো। সেবাশ্রমিকদের মধ্যে যারা হাসপাতালে কাজ করেন দিনে ও রাতের শিফটে, তাঁদের অভিজ্ঞতা আলাদা। প্রতিষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে এই সেবা শ্রমিকদের আপাত সুরক্ষার একটি দিক বজায় থাকে। কিন্তু যাঁরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সেবা দিয়ে থাকেন তাঁদের কাজের ক্ষেত্রটি অনেক বেশি অন্তরঙ্গ পরিসরে এসে পড়ে। তার ফলে ওই ক্ষেত্রটি যেমন বিপদজনক, তেমনই ক্ষমাহীন। এক সেবাশ্রমিক দিদির সঙ্গে কথায় কথায় শুনতে হয়েছিল, "কাজের সময় বলবে নিজের বাড়ির লোকের মতো ভেবে করে দিও। আর খাওয়ার সময় পনেরো মিনিট বেশি দেরি হলে মুখ ভার করবে"। রাতের শিফটে কাজ করা দিদিদের মুখে শোনা গিয়েছে, রোগীর বাড়ির লোকেরা মনে করে সারারাত রোগীর মাথার কাছে বসে আয়া পাহারা দেবে।
মোটামুটি বলা যায়, মধ্যবিত্ত বাড়ির শিক্ষিত মেয়েরা যখন সরকারি, বেসরকারি ও সওদাগরি অফিসে বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত দক্ষ কর্মী হিসেবে নিজেদের চিনতে শুরু করল, তখন থেকে বাড়িতে বাড়িতে শিশু এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের দেখাশোনার জন্য সেবাশ্রমিক বা আয়ার বেশি বেশি দরকার পড়ল। প্রাথমিকভাবে সেবিকা বা গভর্নেস রাখার চল উচ্চ মধ্যবিত্ত অবস্থাপন্ন বাড়িতে ছিল অনেক আগে থেকেই। ইংরেজ আমল থেকেই অবস্থাপন্ন হিন্দু বা ব্রাহ্মদের বাড়িতে মহিলা গভর্নেস রাখার চল শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই গভর্নেস সেবিকা ছিলেন না, দিদিমণি ছিলেন। যিনি বাড়ির শিশুদের লেখাপড়া এবং সামাজিক পরিসরে মেলামেশা করার আদব-কায়দা শেখাতেন। কিন্তু আশির দশকের শেষ থেকে কলকাতার মধ্যবিত্ত বাড়ির অন্দরে শিশু ও বয়স্কদের দেখভাল করার জন্য পরিযায়ী শ্রমিকদের একটি বিশেষ ধরন তৈরি হলো, যা ‘আয়া’ বা সার্বজনীন ‘মাসি’ নামে পরিচিতি পেল। নব্বইয়ের শেষ বা নতুন শতকের শুরু থেকে লোকাল ট্রেনের স্টেশন চত্বরের আশেপাশে গজিয়ে উঠল দালালির অফিস, তথা ‘আয়া সেন্টার’।
যৌনপল্লীতেও দালাল অ্যাসোশিয়েশনের মারফৎ ক্রেতা পাওয়ার চল এখনও আছে। যদিও মোবাইল ফোন বা হোয়াটঅ্যাপের মাধ্যমের ক্রেতা ধরে রাখার প্রশ্নে অনেকাংশেই মেয়েরা স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন। একইভাবে মোবাইল ফোনের কারণে নিজেই কাজের বাড়ি খুঁজে নিতে পারছেন গৃহশ্রমিক এবং সেবাশ্রমিকদের একাংশও। কিন্তু মেয়েদের সঙ্গে কথা বললে বোঝা যায়, অন্তরঙ্গ পরিসরে কাজ করার দরুন অনেক সময়েই হেনস্থা বা যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কথাবার্তা এড়াতে এবং নিয়মিত কাজের যোগান বহাল রাখতে দালাল অ্যাসোসিয়েশন বা সেন্টারের মারফৎ কাজ পেতে অনেকেই স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। আবার দেখা গিয়েছে, লকডাউনের সময় কাজের বাড়িতে ছাঁটাইয়ের কারণে নানা শ্রমক্ষেত্র থেকে মেয়েরা এসে যোগ দিয়েছেন যৌনপল্লীতে। যৌনপল্লীতে শ্রমিকের অধিক যোগান, চাহিদার ঘাটতির ফলে মজুরি হ্রাস পেয়েছে। আয় তুলনামূলকভাবে কমে গিয়েছে কর্মীদের। ক্রমে গেরস্থ বাড়ির দরজা অসুখের স্মৃতি ভুলে গিয়েছে। ঢুকতে দিয়েছে গৃহশ্রমিককে। কাজে পুনর্বহাল হয়েছেন সেবাশ্রমিকরাও। যৌনপল্লী থেকে বেরিয়ে আবার নিজের কাজে ফিরে গিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু ক্রমবর্ধমান বাজারদর এবং গৃহস্থের কর্মসংস্থানে নব জোয়ার না আসায় এখনও কাজের জায়গায় বেশ ঠোক্কর খাচ্ছেন মহিলা শ্রমিকরা। যৌনপল্লীতে লকডাউনের আগেকার রোজগার ফেরেনি। গৃহশ্রমিক বা সেবাশ্রমিকদের বাড়িতেও পুরনো সময়ের মতো স্বাচ্ছন্দ্য আসেনি। বাজারের মন্দা, মেয়েদের অকালে বিয়ে, ছোট ছোট ছেলেদের ভিন রাজ্যে কাজ শুরু করার মতো নানা তথ্য নতুন কাহিনির জন্ম দিয়েছে।