৩৮ মাস পার! রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে কোন পক্ষ কোথায় দাঁড়িয়ে?
তুরস্কে ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় যোগ দিলেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বৈঠকে পুতিন উপস্থিত থাকবেন না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কিও এই বৈঠকে অনুপস্থিতই রইলেন । ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম দুই দেশের মধ্যে শান্তি ফেরানো নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। সেই সম্ভাবনা মাঠেই মারা গেল। কথা হলো দুই দেশের আধিকারিকদের মধ্যে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আগেই জানিয়েছিলেন, এই বৈঠক নিয়ে খুব একটা আশাবাদী নন তিনি। রবিবার ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির দাবি তুলেছিল ইউক্রেন এবং তার সহযোগীরা (ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড, ব্রিটেনের মতো ইউরোপীয় দেশ)। সোমবার থেকে তা কার্যকর করারও আহ্বান জানানো হয়। পুতিন সরাসরি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে তারপর আবাবও নতুন করে ইউক্রেনে ড্রোন হামলা শুরু করে রাশিয়া। এই আক্রমণ আকস্মিক নয়। দীর্ঘ ৩৮ মাস ধরে চলছে এই যুদ্ধ। কীভাবে শুরু হয়েছিল এই সংঘাত? ফিরে দেখা জরুরি।
২০২২ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয় রুশ ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ,অর্থ এবং সামরিক সাহায্য দেয়। ১৯৬২ সালের কিউবান মিসাইল ক্রাইসিসের পর রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ মস্কোর সঙ্গে পশ্চিমের সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেছে। রাশিয়া ইউক্রেনের- দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপরিঝিয়া এই চারটি প্রদেশের আংশিক দখল নিয়েছে। এই চার প্রদেশ ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের আয়তনের এক-পঞ্চমাংশ। ২০০৮ সালে ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্য বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। রাশিয়ার যুক্তি, সেটিই তাদের অস্তিত্বেকে হুমকির মুখে ফেলেছিল। সে কারণেই রাশিয়া এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিল। ইউক্রেন পাল্টা বলছে, ঠান্ডা লড়াইয়ের সমাপ্তি এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর পশ্চিমারা রাশিয়াকে যথার্থ সমর্থন ও সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হওয়াও বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার অন্যতম কারণ। অনেক বিশ্লেষকই মনে করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর হয়তো এই সংঘাতের সমাপ্তি হতে পারে। নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প নিজেও বলেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে নাকি '২৪ ঘন্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান করবেন'।
৮ মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছিল রুশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলি
ব্রিটেনের শীর্ষস্থানীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইন্সটিটিউড (রুসি) তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ইউক্রেনে রুশ সেনাবাহিনীর চেয়েও বেশি সাফল্য পেয়েছে রাশিয়ার নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বিভাগ। প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে যে, ইউক্রেনে অভিযান শুরুর অনেক আগে থেকেই রাশিয়ার নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলি প্রস্তুতি নিচ্ছিল। রুশ গুপ্তচর সংস্থাগুলি নাকি ২০২১ সাল থেকেই এর জন্য তৈরি হতে শুরু করেছিল। রুশ ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) ইউক্রেন দ্রুত দখল করে নেয়। এফএসবি হল- সোভিয়েত সময়কার গুপ্তচর সংস্থা।
গবেষকরা জানিয়েছেন, কিয়েভ সমর্থকদের গ্রেপ্তার এবং জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য এফএসবি ইউক্রেনের সরকারি কম্পিউটারগুলির হার্ড ড্রাইভ ডাউনলোড করে নিয়ে ছিল। এফএসবি-র কর্মকর্তারা ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরের প্রসাশনিক দফতর থেকে সরকারি দলিল পত্র নষ্ট করে এবং কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভে থাকা তথ্য নিয়ে নেয়। এতে জানা সম্ভব হয়েছিল যে ইউক্রেনের পক্ষে কারা কারা কাজ করছে এবং তারা কোথায় থাকে। এরপর রুশ ফৌজ তল্লাশি চালায় এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তবে এও জানা যায় যে, তথ্য জানার চেয়ে ভয়-ভীতি ছড়াতেই এসব করা হত। যাতে ইউক্রেনবাসীরা কোনো রকম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারেন।
রুসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনের অধিকৃত অংশগুলিকে বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করতে এবং ইউক্রেনে অতিদ্রুত নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে রাশিয়া ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ইউনিটগুলিকে ব্যবহার করেছিল। আরও জানা যায় যে, রাশিয়ার বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা এসভিআর-এর প্রধান, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বলেছিলেন- ইউক্রেনের ওপর হামলার তারিখ আরও পিছিয়ে নিতে, তবে পুতিন সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। এসভিআর-এর প্রধান জানিয়েছিলেন, তাদের প্রস্তুতির জন্য আরও সময়ের প্রয়োজন। বলে রাখা ভালো, রাশিয়া বরাবরই ইউক্রেনের মানবধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অস্বীকার করেছে। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, কমপক্ষে ৮০০ ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাকে এফএসবির পক্ষে কাজ করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল। রুশ ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ইউনিটগুলি ইউক্রেনের টিভি, রেডিও এবং ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করতে লেগে পড়েছিল।
তবে রুশ গুপ্তচরদের ব্যর্থতাও কম ছিল না। যুদ্ধ শুরুর আগে গোয়েন্দারা পুতিনকে রিপোর্ট দিয়েছিল- ইউক্রেন রাশিয়া বাহিনীকে মেনে নেবে এবং রাশিয়ার অভিযান শুরু হতেই কিয়েভ সরকারের পতন হবে। কিন্তু তা হয়নি। রুসির প্রতিবেদনে জ্যাক ওয়ালটিং (প্রধান লেখক) রুশ সামরিক গোয়েন্দা সার্গেই স্ক্রিপাল-এর কথা বলেন। ২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের সলসবারিতে কেজবির একজন কর্মকর্তা সার্গেই স্ক্রিপাল-কে হত্যার চেষ্টা করে। এই খবর জানাজানি হওয়ার পরও ওই কর্মকর্তাকে অপসারণ করা হয়নি বরং তাঁর পদোন্নতি হয়েছিল।
ইউক্রেন এবং রাশিয়ার সামরিক শক্তি
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর বিরাট সংখ্যায় মোবাইল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নেই যা তাদের অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মোবাইল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম হলো বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া। অন্যদিকে, রাশিয়ার সমস্যা হলো তাদের সেনাবাহিনীর ইউনিটগুলোর মধ্যে সমম্বয় নেই। প্রশিক্ষণেও দুর্বলতা আছে। সেনাদের মানসিক অবস্থা এবং মনোবলও আর নেই বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। মারিনকা, ভুহলেডার এবং বাখমুতে দীর্ঘসময় যুদ্ধে রাশিয়া সেনাবাহিনীরা মনোবল হারাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, তাদের অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহেরও ঘাটতি হচ্ছে।
২০২৪-এর নভেম্বর মাসে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুমোদনের পর প্রথমবার রাশিয়ায় আক্রমণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দূরপাল্লার 'এটিএসিএমএস' ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। রাশিয়া ইউক্রেনের পাল্টা হামলা করে ইউক্রেনের দিনিপ্রো শহরে। রাশিয়া সে বার প্রথম তাদের ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে।
উল্লেখ্য, ইউরোপ ইউক্রেনকে পর্যাপ্ত অস্ত্র সরবরাহ করার মতো শক্তিশালী নয়। ইউরোপের অনেক দেশই চাইছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করে অর্থ সরবরাহের ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়ার, যার খরচ বহন করবে ইউরোপ। উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষে ইউক্রেনের যুদ্ধের অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা
এই যুদ্ধে একদিকে রয়েছে রাশিয়া, অন্যদিকে রয়েছে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলি। গ্লোবাল সাউথের দেশ- এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকা প্রথম থেকেই চেয়েছে যুদ্ধের সমাপ্তি। সময় যত গড়িয়েছে বিশ্ব রাজনীতিতে পরিবর্তনও এসেছে। তবে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও নরওয়ে এখনও ইউক্রেনের পক্ষে।
এই যুদ্ধে দুই দেশই বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে। অনেকেই মনে করছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ইউক্রেনে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করতে চায় না। আর সে জন্যই ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করতে চান। ট্রাম্প দাবি করে এসেছে,'বিশ্বের মঙ্গলের জন্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধ করতেই এই চুক্তি হবে।' ট্রাম্পের উদ্দেশ্য ছিল, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাদের অর্থনীতি ও সামরিক শক্তিকে দুর্বল করে দেওয়া, যাতে যুক্তরাষ্ট্রই লাভবান হয়। তবে দেখা গেছে এতে রাশিয়া তো দুর্বল হয়নি বরং এই নিষেধাজ্ঞা চিন ও রাশিয়ার মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। এতে পশ্চিমাদের সমস্যাতেও পড়তে হয়েছে। এবং যুক্তরাষ্ট্রকে প্রচুর সম্পদ ইউরোপের পেছনে ব্যয় করতে হয়েছে। এই সকল পরিস্থিতি থেকে সরে আসতেই ট্রাম্প এই যুদ্ধ বন্ধ করতে চান বলে মনে করেন অনেকে। ট্রাম্প প্রশাসন সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা সহযোগিতাও স্থগিত করেছিল। তবে পরে আবার চালু করে।
এই যুদ্ধে ছোট ও দুর্বল দেশগুলো মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে। যে সকল দেশগুলির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কম তারা আরও বেশি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। বলে রাখা ভাল, রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলার পর থেকে বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধিতে শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শেষ হয়ে গিয়েছে। এ সকল কারণের জন্যই উন্নয়নশীল দেশগুলি চাইছে আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করতে। এতে ইউক্রেনের কিছু অংশ রাশিয়ার দখলে গেলেও তা মেনে নিতে রাজি। তবে ইউরোপ ও ইউক্রেন এখনও মনে করে শক্তির মাধ্যমে শান্তি আনা সম্ভব।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে
পুতিনের বৈঠকে না আসার সিদ্ধান্ত জানানোর পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কির স্টারমার বলছেন, শান্তি প্রক্রিয়া এড়িয়ে যাওয়ার মূল্য দিতে হবে পুতিনকে। উল্লেখ্য, পুতিন এবং জেলেনস্কির সর্বশেষ সামনাসামনি সাক্ষাৎ হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে। এর পর ২০২২ সালের মার্চে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের কিছুদিন পর ইস্তানবুলে শেষবার আলোচনায় বসেছিল রাশিয়া ও ইউক্রেন। তারপর থেকে শেষ তিন বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলনস্কির আহ্বান সত্ত্বেও দেশটিতে চলমান যুদ্ধ নিয়ে ইস্তানবুলে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনায় থাকেননি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর আগেও একাধিকবার জেলেনস্কি বলেছিলেন, পুতিন রাজি হলে তিনি নিজে আলোচনায় অংশ নিয়ে তার সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করবেন। এতেই বোঝা যায়, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের চুক্তিতে জেলেনস্কির আগ্রহ রয়েছে। তবে তিনি এটাও জানিয়েছিলেন যে, শুধুমাত্র কিছু কাজগের টুকরো এবং কয়েকটি স্বাক্ষরের মাধ্যমে এ সংঘাত বন্ধ করা সম্ভব নয়। ইউক্রেনের বাসিন্দারা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। জেলেনস্কি সম্প্রতি স্বীকার করেছিলেন যে, পূর্বের মনোভাব (মস্কোর সব বাহিনীকে দেশটি থেকে প্রত্যাহার করতে হবে) ছেড়ে, যুদ্ধের একটি কূটনৈতিক সমাধানই জীবন বাঁচাতে পারবে।
প্রসঙ্গত, যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি হলে এটি মূলত মস্কোর শর্তানুযায়ী হতে পারে। এতে নিজ ভূখণ্ডের কিছু অংশ হারাতে হতে পারে ইউক্রেনকে। ইউক্রেনের যেসব অঞ্চল রাশিয়া দখল করে রেখেছে, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সেই অঞ্চলগুলি দখলমুক্ত করতে বরাবরই উদগ্রীব। হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকেই ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির চেষ্টা করছেন। বলা ভালো, ফেব্রুয়ারিতে পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলে দীর্ঘ বছর ধরে চলা পশ্চিমা বয়কটেরও অবসান করেন তিনি। তবে অনেকেই মনে করেন, পুতিনকে আলোচনায় আনার প্রক্রিয়াটি জটিল। তার সাথে সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাও এখনও স্পষ্ট নয়। ট্রাম্প এবং তার ঘনিষ্ট কর্মকর্তারা যাঁরা ইউক্রেনের পক্ষে কাজ করছেন তাঁদের যুদ্ধের পরিকল্পনা ঠিক কী, মীমাংসা হলে ইউক্রেনের সুরক্ষার বিষয়টি নিয়েও বা তাঁরা কী ভাবছেন সে সব কিছু এখনও স্পষ্ট নয়। ফলে এ যুদ্ধ কবে থামবে তা কারও জানা নেই।