আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেয়নি পাকিস্তান! যেভাবে বিপদ এড়াল ইন্ডিগোর উড়ান

IndiGo : অবতরণের সময় ‘নাকের’ অংশ ভেঙে যায়। এই ঘটনায় বিমানের মধ্যে থাকা ২০০ জনেরও বেশি মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে।

২১ মে শিলাবৃষ্টির কবলে পড়ে দিল্লি থেকে শ্রীনগরগামী ইন্ডিগোর যাত্রীবাহী বিমান। ইন্ডিগোর পাইলট খারাপ আবহাওয়া এড়াতে প্রথমে ভারতীয় বিমানবাহিনী দ্বারা পরিচালিত নর্দার্ন এটিসি-এর কাছে বাঁদিকে আন্তর্জাতিক সীমান্তের দিকে বিমানটি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন, তবে সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়। লাহোর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলেও অনুরোধ করা হয় কিন্তু জরুরি অবস্থা থাকা সত্ত্বেও লাহোর এটিসি সেই অনুরোধ রাখেনি। ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন? মাঝ আকাশে শিলাবৃষ্টির কবলে পড়েও কীভাবে অবতরণ ইন্ডিগো বিমানের?

পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ভারতীয় বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করেছে পাকিস্তান। ২১ মে ভারতীয় ইন্ডিগো বিমান দুর্যোগের কবলে পড়ার পরও আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেয়নি পাকিস্তান। যাত্রীবাহী ওই বিমানে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ ছিলেন। দুর্যোগের কবলে পড়ে অবিলম্বে দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় বায়ুসেনার তরফে। বিমানটিকে সেদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া যায় কি না, খতিয়ে দেখা হয়। এর পর বায়ুসেনাই ইন্ডিগোর পাইলটকে লাহোরের সঙ্গে যোগাযোগের অনুমতি দেয়। যাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই বিমানবাহিনী তরফে বিমানটিকে সেদিকে না যাওয়ার কথা ভাবা হয়। তবে লাহোর কর্তৃপক্ষ তাদের আকাশসীমায় প্রবেশের অনুমতি দেননি। বাধ্য হয়ে শ্রীনগরের দিকেই এগিয়ে যান পাইলট। অত্যন্ত দক্ষতা এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে পাইলট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। ইন্ডিগোর বিমানের এই ঘটনাটির তদন্ত করছে ডিজিসিএ।

কী ঘটেছিল সেদিন?

২১ মে ইন্ডিগো ৬ই-২১৪২ বিমানটির ‘নাক’ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে না দেওয়ায় বিমানটি পঞ্জাবের পাঠানকোটের কাছে প্রায় ৩৬ হাজার ফুট উচ্চতায় মিনিটে ৮,৫০০ ফুট বেগে নেমে আসে। জরুরি পরিস্থিতি জারি করেন পাইলট। এই সময়ে বিমানের ‘অটোপাইলট’ প্রযুক্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ‘ম্যানুয়ালি’ বিমান চালিয়ে বজ্রগর্ভ মেঘ অতিক্রম করেন পাইলট। অবতরণের সময় ‘নাকের’ অংশ ভেঙে যায়। এই ঘটনায় বিমানের মধ্যে থাকা ২০০ জনেরও বেশি মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে। সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে শ্রীনগরে নিরাপদে অবতরণ করে বিমানটি। বিমানের সমস্ত যাত্রী সুস্থ আছেন বলেই খবর।

কেন নর্দার্ন এটিসি পাকিস্তানের আকাশসীমার দিকে মোড় নেওয়ার অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছিল?

আইএএফ জানিয়েছে, ইন্ডিগোর পাইলট যোগাযোগ করলে পাকিস্তানের নিষেধাজ্ঞার কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের। পাকিস্তান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারি করা নোটাম (বিমানকর্মীদের জন্য নোটিশ) এ০২২০/২৫-এর কারণে পাকিস্তানের দিকে মোড় নেওয়ার অনুমতি প্রত্যাখ্যান করা হয়। 

More Articles