দাউদ ইব্রাহিমকে বিষপ্রয়োগ! গুরুতর অবস্থায় কেন হাসপাতালে ভর্তি ডন?
Dawood Ibrahim Hospitalized : হাসপাতালের যে তলে তিনি ভর্তি, সেই গোটা তলায় আর অন্য কোনও রোগীও নেই।
ডন কো পকড়না মুশকিলহি নেহি, না মুমকিন হ্যায়। ডন শব্দটিকে যথার্থরূপেই প্রতিস্থাপিত করেছিলেন দাউদ। দাউদ অধরা, মাধুরী না বিভীষিকা তা হাড়ে হাড়ে জানেন গোয়ন্দারা। মুম্বইয়ের বস্তি থেকে উঠে এসে আন্ডারওয়ার্ল্ডের আলো- সেই দাউদ অসুস্থ, গুরুতর অসুস্থ। আন্ডারওয়ার্ল্ডের ত্রাস দাউদ ইব্রাহিমকে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে পাকিস্তানের করাচিতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও আশ্চর্য ঘটনাটি হচ্ছে, দাউদ ইব্রাহিমকে নাকি বিষপ্রয়োগ করা হয়েছে! সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু প্রতিবেদনে এই বিষয়টি উঠে এলেও দাউদের সূত্র থেকে এই খবর নিশ্চিত করা হয়নি স্বাভাবিকভাবেই।
দু'দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দাউদ ইব্রাহিম। হাসপাতালের মধ্যে কঠোর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আছেন দাউদ। ওই হাসপাতালের যে তলে তিনি ভর্তি, সেই গোটা তলায় আর অন্য কোনও রোগীও নেই। শুধুমাত্র হাসপাতালয়ের উচ্চ কর্তৃপক্ষ এবং দাউদের ঘনিষ্ঠ পরিবারের সদস্যদেরই ওই জায়গায় প্রবেশের অধিকার রয়েছে।

আরও পড়ুন- মুম্বইয়ের বস্তি থেকে আন্ডারওয়ার্ল্ডের বাদশা! এখন কোথায় আছে দাউদ ইব্রাহিম?
যে ডনকে হন্যে হয়ে খুঁজেছে মুম্বই পুলিশ, সেই পুলিশ কর্তৃপক্ষও আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন দাউদকে হাসপাতালে ভর্তি করার বিষয়ে আরও তথ্য পেতে দাউদের আত্মীয় আলিশাহ পারকার এবং সাজিদ ওয়াগলের সঙ্গে যোগাযোগ করছে মুহূর্মুহু। শনিবার সন্ধ্যা থেকে পাকিস্তানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। ইউটিউব, ফেসবুক বা টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটগুলিও পাকিস্তানের ব্যবহারকারীরা ব্যবহার করতে পারছেন না।
আরও পড়ুন- আঙুলে গ্যাংগ্রিন নিয়েই দ্বিতীয় বিয়ে! মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের জীবনে এবার কোন নতুন মোড়?
গত জানুয়ারিতে, দাউদ ইব্রাহিমের বোন হাসিনা পারকারের ছেলে, জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানান দ্বিতীয়বার বিয়ে করার পর থেকে দাউদ করাচিতেই থাকেন। দাউদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে এনআইএ নিজের চার্জশিটে বলেছে, দাউদ এবং তার শীর্ষ সহযোগীরা অর্থাৎ ডি-কোম্পানি পাকিস্তানের করাচি বিমানবন্দরটি নিয়ন্ত্রণ করেন।

সংগঠিত অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ এবং মাদক পাচার সহ অসংখ্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দাউদ ইব্রাহিম। ১৯৯৩ সালের মুম্বই বোমা হামলায় ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হওয়ার পর পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিলেন দাউদ। ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ মুম্বইতে ঘটা ধারাবাহিক বিস্ফোরণগুলিতে দাউদ গ্যাংয়ের হাত ছিল। পরবর্তীকালে তদন্তে দেখা যায়, পাকিস্তানি সংস্থা আইএসআই দাউদকে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সাহায্য করার জন্য ১৯৯৩ সালের জানুয়ারির বম্বে দাঙ্গার 'প্রতিশোধ' নেওয়ার জন্য একটি চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিল। বিনিময়ে আইএসআই দাউদকে নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। পাকিস্তান অবশ্য কোনওকালেই সেই দেশে দাউদ ইব্রাহিমের উপস্থিতি স্বীকার করেনি।

Whatsapp
