২২ মাসে ২০০ সাংবাদিকের মৃত্যু! গাজায় নিহত সাংবাদিক আল-শরিফ কে?
Al Jazeera Journalists: ইজরায়েলের প্যালেস্টাইন আক্রমণে বারবার নিশানা করা হয়েছিল সাংবাদিকদের। আবার সেই ঘটনা ঘটল। ইজরায়েলের আক্রমণে প্রায় ২০০ জন সংবাদ কর্মী নিহত হয়েছেন।
ইজরায়েলি হামলায় গাজায় ১১ অগাস্ট আল জাজিরার পাঁচ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। আল-শিফা হাসপাতালের গেটের বাইরে সাংবাদিকদের জন্য একটি তাঁবু ছিল। সেখানেই হামলা করে ইজরায়েল। আক্রমণে মোট ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৫ জনই আল জাজিরার-র সংবাদিক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন– সংবাদদাতা আল–শরিফ এবং মোহাম্মদ কুরেইকেহ, চিত্র সাংবাদিক ইব্রাহিম জাহের ও মোহাম্মদ নুফাল।
উত্তর গাজা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিবেদন করেছেন আল–শরিফ। নিহত হওয়ার কিছুক্ষণ আগেও গাজার পূর্ব ও দক্ষিণ অংশ নিয়ে তীব্র বোমাবর্ষণের রিপোর্টিং করেছিলেন। তা এক্সে পোস্টও করেন। সেই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, মুহুর্তের মধ্যেই অন্ধকার আকাশ কমলা আলোয় আলোকিত হয়ে যায়।
গাজায় হামলার পরই ইজরায়েলি সেনাবাহিনী বিবৃতি দেয়, সাংবাদিক আনাস আল-শরিফকে নিশানা করে তারা হামলা চালিয়েছে। তিনি হামাসের জঙ্গি সেলের প্রধান বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ত্রাণ দেখিয়ে প্রাণ নেওয়া? যা চলছে গাজায়
তবে ইউরো-মেডিটেরেনিয়ান হিউম্যান রাইটস মনিটরের বিশ্লেষক মুহাম্মদ শেহাদা আল–জাজিরাকে বলেন, আল-শরিফের সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ নেই। ওই বিশ্লেষকের দাবি, ‘সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে থাকাই ছিল তাঁর প্রতিদিনের রুটিন।’
ইজরায়েলের প্যালেস্টাইন আক্রমণে বারবার নিশানা করা হয়েছিল সাংবাদিকদের। আবার সেই ঘটনা ঘটল। ইজরায়েলের আক্রমণে প্রায় ২০০ জন সংবাদ কর্মী নিহত হয়েছেন। প্রশ্ন উঠছে, এই হত্যার জবাব দেবে কে?
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েল হামাসে হামলার পর এই সংঘর্ষ শুরু হয়। ওই দিন থেকে ইজরায়েল গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইজরায়েলি সেনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে শিশুদের উপর সরাসরি হামলার পাশাপাশি খাদ্য ও চিকিৎসা পরিষেবায় বাধা দেওয়ার প্রমাণও পেয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। এর আগে ২০২৪ সালে ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গাজায় প্রতি ১০ শিশুর ৯ জনই ‘ভয়াবহ খাদ্য সঙ্কটে’ রয়েছে। ক্ষুধা, পিপাসা এবং মারাত্মক অপুষ্টির কারণে প্যালেস্টাইনের অনেক শিশুই মারা গিয়েছে। ওই বছরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, গাজার প্রতি ৫ শিশুর ৪ জনই প্রতি তিন দিনে অন্তত এক দিন পুরো দিন অভুক্ত থাকে। আর কত দিন অন্ধকারে থাকবে প্যালেস্টাইন? সেই প্রশ্ন থাকছেই।

Whatsapp
