পাকিস্তানকে এখন জবাব না দিলে, আর কবে: শেষ পাল বেদ

Kashmir Situation: পাক সেনা প্রধান আসির মুনিরের হিন্দু বিরোধী বক্তব্যের দুই-তিনদিন পরই কাশ্মীরে ধর্ম জিজ্ঞেস করে পর্যটকদের হত্যা করার ঘটনা কখনই কাকতালীয় হতে পারে না।

এখন না হলে আর কবে! ভারত অবশ্যই প্রত্যাঘাত করবে। প্রধানমন্ত্রী সেটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন। পাকিস্তান আমাদের হৃদয়ে আঘাত করেছে। সুতরাং ভারত এর বদলা নেবেই। কূটনৈতিক দিক থেকে ভারত যেমন সিন্ধু চুক্তি বাতিল করেছে, সামরিক অভিযানও চালাবে।

শুধু পহেলগাঁওয়ে হামলাকারী জঙ্গিদের শেষ করলেই হবে না, আইএসআই এবং পাকিস্তান আর্মি পর্যন্ত পৌঁছতে হবে। কারণ ওরা সন্ত্রাসবাদের জননী, সারা বিশ্বে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। ভারতকে হাজার টুকরো করে রক্তাক্ত করার, পাকিস্তানের গজবা-ই-হিন্দ পলিসির জবাব এবার ভারত সরকারকে দিতেই হবে। যদি এখন না হয়, তাহলে আর কবে? এটাই সঠিক সময়। আর এতে ভারত গোটা পৃথিবীর সমর্থন পাবে।

পহেলগাঁও হামলার পিছনে প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে পাকিস্তানের। পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন টিআরএফ (TRF) প্রথমে ২২ এপ্রিলে ঘটা পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করলেও, পাকিস্তান পরে তা অস্বীকার করে। কারণ ওরা ভয় পেয়েছে। সবই পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও আইএসআই-এর কাজ। জম্মু ও কাশ্মীরে ঘটা নব্বই শতাংশ হামলাই পাকিস্তান পরিচালিত। কোনও ক্ষেত্রে স্থানীয়দের সাহায্য নিচ্ছে, তবে সবই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাজ। নাহলে পাকিস্তানি সেনা প্রধান আসির মুনিরের হিন্দু বিরোধী বক্তব্যের দুই-তিনদিন পরই কাশ্মীরে ধর্ম জিজ্ঞেস করে পর্যটকদের হত্যা করার ঘটনা কখনই কাকতালীয় হতে পারে না।

৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামাস আক্রমণের ছায়াও আছে এই ঘটনায়। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং আইএসআই হামাস নেতাদের সঙ্গে লস্কর এবং জইশ জঙ্গিদের মোলাকাতের ব্যবস্থা করে।

আরও পড়ুন- শেষ খড়কুটো ধরতে মরিয়া! ভারতের প্রত্যাঘাত এড়াতে যেভাবে ঘুঁটি সাজাচ্ছে পাকিস্তান

পারমাণবিক বিস্ফোরণের হুমকিও দিচ্ছে পাকিস্তানের রাজনীতিকদের একাংশ। ওসব ওদের বলতে দাও। আমরা আগেও পারমাণবিক বিস্ফোরণের হুমকি পেয়েছি, এতে ভারতের কিছু যায় আসে না। বারবার মরার থেকে একবারে মরে যাওয়া ভালো। জল মাথার উপর চলে গেছে, এটাই পাকিস্তানকে শিক্ষা দেওয়ার ও প্রত্যাঘাত করার ও সঠিক সময়।

পাকিস্তানের সেনা প্রধান আসির মুনিরের কয়েক মাসের মধ্যেই অবসর নেওয়ার কথা। তাই তিনি কাজের সময়সীমা বাড়াতে চাইছেন। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি খুবই খারাপ, দেশের মানুষ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। বালুচিস্তানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। বালুচিস্তানের ৭০-৮০% এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। তাই বিএলএস পাকিস্তানের উপর খুবই চাপ দিচ্ছে। কেপিকেতেও একই অবস্থা, টিটিপির জন্য পাকিস্তানের ক্ষতি হচ্ছে। কেপিকে-র ৬০-৭০% নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে পাকিস্তান। দেশেরই এক অংশে অসন্তোষ, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের সমান। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর সমস্ত নির্যাতন ও অপমান সহ্য করতে না পেরে ভারতের সঙ্গে জুড়তে চায়। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের নিরীহ মানুষরা ভারতের অংশ হওয়ার দাবি করছে এবং নরেন্দ্র মোদিকে লিখিতভাবে জানাতে চাইছে। তাই পাকিস্তান তাদের অধিকৃত কাশ্মীরের উপর নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। আমরা তা ফিরিয়ে আনবই।

 

লেখক জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন ডিজিপি (২০১৬-২০১৮) শেষ পাল বেদ

 

More Articles