ছোটদলই বড় ফ্যাক্টর? অস্থির মহারাষ্ট্রে এবার সরকার বাঁচাতে পারবে বিজেপি?

Maharashtra Election Result 2024: এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বাবাসাহেব আম্বেদকরের পৌত্র তথা মহারাষ্ট্রের প্রভাবশালী দলিত নেতা প্রকাশ আম্বেদকরের দল 'বঞ্চিত বহুজন আঘাড়ি' (ভিভিএ) ২০০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।

২৩ নভেম্বর স্থির হবে মহারাষ্ট্রে চালকের আসনে কে বসবেন। এই রাজ্যে আসন সংখ্যা ২৮৮টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ১৪৫ টি আসনে জিততেই হবে। হরিয়ানা এবং জম্মু কাশ্মীরের পর আবার মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে মুখোমুখি লড়েছে এনডিএ এবং ইন্ডিয়া জোট। একদিকে যেমন একনাথ শিন্ডে, অজিত পওয়ারকে সঙ্গে নিয়ে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা ধরে রাখতে আশাবাদী পদ্ম শিবির, অন্যদিকে, মহাবিকাশ আঘাড়ি বিরোধী জোট মনে করছে, লোকসভা নির্বাচনের মতো বিধানসভা ভোটেও তারা বিজেপিকে হারাবে। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে এনডিএ-র থেকে প্রায় দ্বিগুণ আসন পেয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট মহাবিকাশ আঘাড়ি। মহারাষ্ট্রে লোকসভা ভোটে ৪৮টি আসনের মধ্যে ৩১টি আসনই পেয়েছিল তারা। এবার বিধানসভা ভোটে শেষ হাসি হাসবে কে? মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সমীকরণ কী?

এবারে মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে মূল লড়াই ছিল ক্ষমতাসীন বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-এনসিপি (অজিত)-এর জোট 'মহাযুতি' এবং বিরোধী কংগ্রেস-শিবসেনা (উদ্বব)-এনসিপি (শরদ)-এর জোট 'মহাবিকাশ আঘাড়ি'র মধ্যে। এছাড়াও এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস), বহুজন বিকাশ আঘাড়ি, বঞ্চিত বহুজন আঘাড়ি, অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম)-সহ বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দল। মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে সব আঞ্চলিক দলই বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই রাজ্যের ক্ষমতাসীন জোটের উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কোপারি-পাচপাখাড়ির প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা প্রধান একনাথ শিন্ডে, বারামতীর প্রার্থী এনসিপির অজিত পওয়ার এবং নাগপুর দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে দেবেন্দ্র ফডনবীশ। বিরোধী জোটে গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীরা হলেন ওরলির প্রার্থী উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য, সাকোলির প্রার্থী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলে, মুমব্রা-কালওয়া থেকে শরদ পওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপির (এসপি) পরিষদীয় দলনেতা জিতেন্দ্র আওয়াড়।

২০১৯ সালে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটে দু'টি জোট মুখোমুখি লড়েছিল। এনডিএ জোটে ছিল বিজেপি ও শিবসেনা। অন্যদিকে, ইউপিএ জোটে ছিল জাতীয় কংগ্রেস এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)। সে বছর বিধানসভা ভোটে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ জয়ী হয়েছিল। কিন্তু কে মুখ্যমন্ত্রী হবে এই নিয়ে বিবাদ শুরু হলে শিবসেনা দল ছাড়ে। তাই এনডিএ আর সরকার গড়তে পারেনি। মহারাষ্ট্রে ওই বছর অক্টোবর-নভেম্বর মাসে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে হয়। এই পরিস্থিতিতে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা অজিত পওয়ারের নেতৃত্বে বেশ কিছুজন এনসিপি বিধায়ক বিজেপিতে চলে যান। এরপর অজিত-পন্থী এনসিপি ও বিজেপি মিলে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করে এবং বিজেপির দেবেন্দ্র ফডনবীশকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়।

দু'দিনের মধ্যেই অজিত-পন্থী এনসিপি-ও বিজেপির জোট ত্যাগ করে। এই অবস্থায় শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি নতুন জোট করে। জোটের নাম দেওয়া হয় মহাবিকাশ আঘাড়ি। পরবর্তী সময়ে এই জোট সরকার গঠন করে এবং মুখ্যমন্ত্রী হন উদ্ধব ঠাকরে। এই নতুন জোট সরকারেও দু'বছরের মধ্যে সঙ্কট দেখা যায়। ২০২২ সালে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনা দলের বেশিরভাগ বিধায়কই উদ্ধবের দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। স্বাভাবিকভাবেই ওই রাজ্যে আর উদ্ধবের সরকার থাকে না। আবার নতুন সরকার গঠন করা হয়, তখন মুখ্যমন্ত্রী হন একনাথ শিন্ডে এবং উপমুখ্যমন্ত্রী করা হয় বিজেপির নেতা দেবেন্দ্র ফডনবীশকে। পরের বছরই আবার এনসিপি থেকে অজিত পওয়ারের সঙ্গে অনেক বিধায়ক দল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যান। তখন আবার উপমুখ্যমন্ত্রী হন অজিত পওয়ার।

আরও পড়ুন- এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি! ভোটের মুখে যেভাবে মহারাষ্ট্র রাজনীতির নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠছে ধারাভি

মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এবার মহিলা ভোটব্যাঙ্ক ছাড়াও হিন্দু ভোট মেরুকরণে জোর দিয়েছিল। মহারাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে আরএসএস-কেও বেশ সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। মহারাষ্ট্রে 'লড়কি বহিন' প্রকল্পে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে মাসে দেড় হাজার টাকা ঢোকে। গত সাতমাস এই প্রকল্পে বিশেষভাবে নজর রেখেছিল ক্ষমতাসীন জোট। তার ফলে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতারা। তাঁরা এও মনে করছেন যে, যেহেতু এবার বৃষ্টিপাতের হার ভালোই তাই কৃষকরাও তেমন অসন্তুষ্ট নন। তবে বলে রাখা ভালো, সরকারের নির্ধারিত দামের থেকে অনেক কম দামে চাষিদের সয়াবিন ও তুলো বিক্রি করতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিদর্ভে গিয়ে বলেছিলেন, এমএসপি বাড়িয়ে ৬,০০০ টাকা হবে। অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি মুম্বইয়ে বলেছেন, তাঁরা সরকার গঠন করলে এমএসপি ৭,০০০ টাকা করা হবে। বিদর্ভে দুই শিবিরই সর্বশক্তি দিয়ে লড়েছে। কারণ, এখানে যেমন মহত্মা গান্ধির সেবাশ্রম আছে, অন্যদিকে তেমনই বিজেপির উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবীশ, রাজ্য সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলে এবং কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা বিজয় ওয়াডেট্টিয়ার বিদর্ভের নেতা।

রাজ্যের মুম্বই, থানে-কোঙ্কণ ও পশ্চিম মহারাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবস্থা বিদর্ভ ও মারাঠাওয়াড়া থেকে অনেকটাই ভালো। বিশেষজ্ঞদের মত, মারাঠাওয়াড়াতে মারাঠা ভোট নিয়ে বিজেপি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। ২০১৭ সালে বিধানসভা ভোটের আগে মারাঠা সংরক্ষণের দাবি নিয়ে মনোজ জারঙ্গে পাটিল আন্দোলন করেছিলেন। পাটিল তখন কার্যত চাপে ফেলে দিয়েছিলেন মোদি-অমিত শাহদের। তাঁর মূল শত্রু ছিল বিজেপি। পাটিল পুরোদস্তুর রাজনৈতিক নেতা নন। সংরক্ষণ আন্দোলনের পর থেকেই তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। লোকসভা ভোটের আগে থেকে হাজার হাজার মানুষ তাঁর জনসভা দেখতে আসেন। মহারাষ্ট্রে ৩০% মারাঠা ভোট, আর মারাঠাদের বড় অংশের উপর মনোজের প্রভাব রয়েছে। বিরোধী জোট মহাবিকাশ আঘাড়ি মনে করছে, পাটিল প্রার্থী না দেওয়ায় মারাঠা ভোট কংগ্রেস ও শরদ পওয়ারের এনসিপি-তে যাবে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে, মনোজের গোপন সমর্থনে লড়া নির্দল ও ছোটদলের প্রার্থীরা এই বিধানসভা ভোটে জিততে পারেন। অন্যদিকে, বিজেপি মারাঠা ভোট পেতে কৌশল করে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছে। ভোট বিশেষজ্ঞরা নতুন সমীকরণের সম্ভাবনার কথাও বলছেন। বিশ্লেষকদের মত, সব মিলিয়ে ছোট দল ও নির্দল প্রার্থীরা ২৫টি আসনে জিততে পারেন। যদি সত্যি এই পরিস্থিতি হয় তবে এই ছোট চার দলের মধ্যে থেকে এক বা একাধিক নেতার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য হলেও হতে পারে। ২০১৯ সালে ছোট দল ও নির্দল ২৯টি আসন পেয়েছিল।

২০০৬ সালে বালাসাহেব ঠাকরে বেঁচে থাকাকালীনই তাঁর ভাইপো রাজ, শিবসেনা ছেড়ে নিজের নতুন দল গড়েন। নাম দেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস)। নতুন দল গঠনের পর ২০০৯ সালে মহারাষ্ট্রে যে বিধানসভা ভোট হয়েছিল সেখানে রাজ গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর ছিলেন। শিবসেনার সঙ্গে মুখোমুখি লড়ে রাজ্যের ১৩টি আসন জিতেছিলেন। সেই সময় থেকেই রাজ মারাঠাদের মধ্যে বিজেপি এবং শিবসেনাকে কোণঠাসা করেছিলেন। ভবিষ্যতেও মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে এর প্রভাব পড়েছে। তবে পরবর্তী সময়ে কট্টরপন্থী অবস্থান ও হিংসাত্মক আন্দোলনের জন্য মারাঠাদের মধ্যে রাজকে নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়। ২০১৪ সালের বিধানসভা ভোট থেকেই রাজের দল সঙ্কটে পড়ে। ২০১৯-এও তেমন ভাল ফল হয়নি। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে রাজের দল প্রার্থী না দিয়েই এনডিএ জোটকে সমর্থন করেছিল। তবে এই বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে এমএনএস। ১২৫টি আসনে রয়েছে তাদের প্রার্থী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, রাজ্যের ৩৮টি আসনে জিততে পারে তাঁর দল।

আরও পড়ুন- মহারাষ্ট্র নির্বাচন ২০২৪: কেন মোদি বা রাহুলের হাতেই নেই এই নির্বাচনের ফলাফল?

এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বাবাসাহেব আম্বেদকরের পৌত্র তথা মহারাষ্ট্রের প্রভাবশালী দলিত নেতা প্রকাশ আম্বেদকরের দল 'বঞ্চিত বহুজন আঘাড়ি' (ভিভিএ) ২০০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। মারাঠাওয়াড়া, পশ্চিম মহারাষ্ট্রের এলাকাগুলিতে দলিত জনগোষ্ঠীদের মধ্যে প্রকাশের ভালো পরিচিতি আছে। মহারাষ্ট্রে মোট ভোটারের ১৪% দলিত। অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন, দলিত ভোটে প্রকাশের প্রভাব কার্যত নিরঙ্কুশ। প্রকাশ একসময় কংগ্রেসেরও সহযোগী ছিলেন। বলে রাখা ভালো, দু'বার লোকসভা ভোটও জিতেছেন তিনি। যেহেতু প্রকাশ আলাদা লড়ছেন তাই বিজেপি বিরোধী জোট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে 'মহাবিকাশ আঘাড়ি'-র জোট বহুবার আলোচনা করে প্রকাশকে সঙ্গে নিতে চেয়েছিল। লোকসভার হিসেব মেলালে বোঝা যায়, প্রকাশ বিরোধী জোটে চলে গেলে বিজেপি, শিন্ডেসেনা এবং অজিত পওয়ারপন্থী এনসিপি 'মহাযুতি' আরও সমস্যায় পড়ত।

হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল 'অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিনি'(মিম) মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে ১৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। ২০১৯ সালে ওয়েইসির দল এবং প্রকাশের দল জোট করেছিল। সে বার অওরঙ্গাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে জেতেন মিম প্রার্থী। ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটে ৪৪টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ২টি আসনে জেতে ওয়েইসির দল। এবার লোকসভা ভোটে ভিভিএ-র সঙ্গে জোট করে তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছেন ওয়েইসি কিন্তু একটা আসনেও জিততে পারেননি। অওরঙ্গাবাদ আসনে শিবসেনা তাদের হারিয়েছিল। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মিম যেহেতু এবার গতবারের তুলনায় কম প্রার্থী দিয়েছে এতে 'মহাবিকাশ আঘাড়ি'র লাভ হতে পারে। এও মনে করা হচ্ছে যে, নির্বাচনী অনিশ্চয়তা দেখা দিলে মিম আর বিজেপির সঙ্গে জোট করবে না। অন্যদিকে, আসাদউদ্দিনের দলও মহাবিকাশ আঘাড়িকে সমর্থন করবে না।

উল্লেখ্য, প্রতিবারের মতো নির্বাচন শেষে বিভিন্ন চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়েছে বুথফেরত সমীক্ষা। মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে জিততে পারে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট, এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে বেশিরভাগ বুথফেরত সমীক্ষা। তবে প্রতিটি সমীক্ষার ফলেই দেখা গিয়েছে দুই জোটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। চাণক্যের সমীক্ষা বলছে, 'মহাযুতি' (এনডিএ) ১৫২-১৬০ এবং 'মহাবিকাশ আঘাড়ি' (ইন্ডিয়া) ১৩০-১৩৮ আসনে জিততে পারে। অন্যরা ৬-৮টিতে। ম্যাট্রিজের বুথফেরত সমীক্ষা বলছে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ১৫০-১৭০ টি আসন, মহাবিকাশ আঘাড়ি ১১০-১৩০ টি আসন এবং অন্যরা ৮-১০টি আসন পেতে পারে। আবার দৈনিক ভাস্করের সমীক্ষা ইঙ্গিত করছে, বিরোধী জোটের ১৩৫-১৫০টি আসনে জেতার সম্ভবনা রয়েছে। বিজেপি জোট ১২৫-১৪০ এবং অন্যরা ২০-২৫টি আসন পেতে পারে। তবে অতীতের তথ্য বলছে, সব বুথফেরত সমীক্ষা সঠিক অনুমান করতে পারে না। বুথফেরত সমীক্ষার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তাই সমীক্ষাগুলির বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব রয়েছে। যেমন ২০২৪ লোকসভা ভোটে বুথফেরত সমীক্ষার তথ্য ছিল, তৃণমূল পাবে ২৪টি এবং বামেরা পাবে ১২ টি আসন। দেখা যায়, তৃণমূল পায় ৩৪টি এবং বামেরা পায় ২টি আসন। কারা পাবে রাজ্যের ক্ষমতা, 'ইন্ডিয়া' নাকি এনডিএ উত্তর মিলবে শনিবার ভোট গণনার পর।

More Articles