মালয়ালম সিনেজগতে মহিলারা কতটা নিরাপদ? প্রকাশ্যে রিপোর্ট! টালিগঞ্জ কবে মুখ খুলবে?
Malayalam cinema Harassment: ২০১৭ সালে রাত্রিবেলায় শুটিং চলাকালীন একজন জনপ্রিয় মহিলা অভিনেত্রীকে কয়েকজন জোর করে তুলে নিয়ে যায় এবং চলন্ত গাড়িতে তাঁর উপর যৌন নির্যাতন চালায়।
তিলোত্তমার জন্য ন্যায়বিচারের দাবিতে গত অগাস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে সারা বাংলা যখন উত্তাল, তখন মেয়েদের জন্য রাত দখল এবং লিঙ্গসাম্যের প্রশ্নটি খুব গুরুত্ব সহকারে সামনে এসেছিল। সেই আন্দোলনের অভিঘাতে টালিগঞ্জের কলাকুশলীরা বাংলার সিনেমা শিল্পের মধ্যে বসে থাকা থ্রেট কালচার, যৌন শোষণ, লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে সরব হয়েছিলেন, অনেক তথাকথিত 'বড় নাম' সামনে এসেছিল। যদিও প্রাথমিক আলোড়নের পর যথারীতি প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরের সঙ্গে কতিপয়ের আলোচনার পর বিষয়টি চাপা পড়ে যায়। এই একই সময়ে অন্য ঘটনা ঘটছে কেরলে। বহু টালবাহানা, আইনি জটিলতা অতিক্রম করে মালায়লম সিনেমা শিল্পে কর্মরত মেয়েদের হাল হকিকত নিয়ে হেমা কমিটির আংশিক রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে, যা এককথায় অনেকাংশে নড়িয়ে দিতে পেরেছে সেখানকার সিনেমা জগতকে।
হেমা কমিটির রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করার আগে এই রিপোর্টের প্রেক্ষাপটটি সম্পর্কে অবহিত হওয়া ভীষণ জরুরি।
আপাদমস্তক পুরুষ সুপারস্টার কেন্দ্রিক, সামন্ততান্ত্রিক ও পিতৃতন্ত্র দ্বারা চালিত সিমেমা শিল্পে মেয়েদের পক্ষে চলমান যৌন শোষণ, হিংসা, কম মজুরি, কর্মস্থলে নিরাপত্তা না থাকার বিরুদ্ধে সরব হওয়া যে কতটা কঠিন, তা হেমা কমিটির কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকেই পরিষ্কার। মালায়লম সিনেমা শিল্পে মহিলা কলাকুশলীদের যৌন নির্যাতনের ঘটনা দীর্ঘ সময়ের। সেখানকার একমাত্র সংগঠনের নাম 'অ্যাসোসিয়েশন অফ মালয়ালম মুভি আর্টিস্ট' (আম্মা)। এটা কোনও ট্রেড ইউনিয়ন নয়। সংগঠনের ঘোষণা থেকে জানা যায়, সিনেমা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কলাকুশলীদের কল্যাণ করাই এদের লক্ষ্য। বকলমে এরাই মালায়লম শিল্পের হর্তা কর্তা বিধাতা, আর এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন সমস্ত প্রভাবশালী প্রোডিউসার, পরিচালক এবং অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। দীর্ঘদিন যৌন শোষণ ও যৌন হিংসার বিরুদ্ধে এদের কোনও ভূমিকা না থাকা মহিলা শিল্পীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেয়। ২০১৭ সালে রাত্রিবেলায় শুটিং চলাকালীন একজন জনপ্রিয় মহিলা অভিনেত্রীকে কয়েকজন জোর করে তুলে নিয়ে যায় এবং চলন্ত গাড়িতে তাঁর উপর যৌন নির্যাতন চালায়। পরের দিন নিপীড়িতা পুলিসে এফআইআর করেন। পুলিশ তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। মূল অভিযুক্ত পুলসর সুনি ধরা না পড়লেও পরে সে আত্মসমর্পণ করে। ঘটনা প্রবাহে বোঝা যায়, এই অপহরণ কাণ্ডের মূল চক্রী আম্মার পদাধিকারী অভিনেতা দিলীপ। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় আম্মা যা বিবৃতি দেয় তার প্রতিবাদে মালয়ালম সিনেমার সঙ্গে যুক্ত একদল মহিলা গড়ে তোলেন এক নতুন মেয়েদের সংগঠন 'ওমেন ইন সিনেমা কালেক্টিভ' (ডাবলুসিসি)। এই সংগঠন এই ঘটে চলা যৌন নির্যাতন ও লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের কাছে এক স্মারকলিপি পেশ করে। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে অবসরপ্রাপ্ত হাইকোর্টের বিচারপতি কে হেমা, প্রাক্তন অভিনেত্রী শারদা ও অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার কে বলসলাকুমারীকে নিয়ে তিন সদস্যের হেমা কমিটি গঠিত হয়।
আরও পড়ুন- জি এন সাইবাবাকে যেভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হলো…
পুলিশ ওই অপহরণের ঘটনায় দিলীপকে গ্রেফতার করে। আম্মা বাধ্য হয় দিলীপের সদস্যপদ বাতিল করতে। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির ক্ষমতাশালী সদস্যরা পরিকল্পিত ভাবে হেমা কমিটির কাজে বাধা সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে রাজ্যের বাম সরকারের ভূমিকা ছিল চূড়ান্ত হতাশাজনক। কেরলের সংস্কৃতি মন্ত্রী এ কে বালন অপহরণের ঘটনাকে 'ছোট ঘটনা' বলে আখ্যায়িত করেছেন, এমনকী কালেক্টিভের অভিযোগগুলোকে আম্মার সদস্যদের সঙ্গে বসে মিটিয়ে নেওয়ার 'সদুপদেশ' দিয়েছেন। অপহরণ কাণ্ডের মামলার একাধিক তদন্তকারী অফিসার অজ্ঞাত কারণে পদত্যাগ করেন। কমিটির রিপোর্ট তৈরি হয়ে গেলেও তা প্রকাশ করা হয় না। কালেক্টিভের লড়াকু সদস্যদের বিরুদ্ধে মালায়লাম সিনেমার নায়কদের ভক্তমণ্ডলী (ফ্যান ক্লাব) সোশ্যাল মিডিয়ায় কদর্য, অশালীন প্রচার শুরু করে। এই প্রচার তুঙ্গে ওঠে যখন কেরল আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিনেত্রী পার্বতী সবার সামনে পুরুষতন্ত্রের আচরণের তীব্র সমালোচনা করেন। ওমেন কালেক্টিভের সদস্যরা ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে কেরল রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে অবিলম্বে হেমা কমিটির রিপোর্ট প্রকাশের দাবি জানান। জানুয়ারি মাসেই ১০ তারিখে অপহরণ কাণ্ডে নিগৃহীতা সর্বপ্রথম ইনস্টাগ্রামে নিজের পরিচয় প্রকাশ করেন। অনেক বিলম্বের পর ২০২৪ সালের ৬ জুলাই স্টেট ইনফরমেশন কমিশন সংস্কৃতি দফতরকে রিপোর্ট প্রকাশের নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশকে আবার হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন চিত্র প্রযোজক সাজিমন পারিলি। অবশ্য সেই চ্যালেঞ্জ পরে নাকচ হয়। আগস্ট মাসের ১৯ তারিখে রিপোর্ট জনসমক্ষে আসে। রিপোর্টের অভিঘাতে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত অভিনেতা সিদ্দিকি আম্মার সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। অগাস্টের ২৭ তারিখে আম্মার সভাপতি ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেতা মোহনলাল সহ ১৭ জন এক্সিকিউটিভ কমিটি থেকে গণ পদত্যাগ করেন। অভিনেতা কাম রাজনীতিবিদ এম মুকেশের বিরুদ্ধে পুলিশ কেস ফাইল করেছে। সবচেয়ে বড় কথা হাইকোর্টের নির্দেশে পরবর্তী তদন্তগুলির জন্য স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) তৈরি হয়েছে।
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, এই রিপোর্ট অসম্পূর্ণ। এর কারণ, ৪৪ টা পৃষ্ঠা নেই। এই পৃষ্ঠাগুলোতে নির্যাতন ও যৌন হয়রানির শিকার নারীরা সেখানে অভিযুক্ত পুরুষদের নাম উল্লেখ করেছেন। এই বিস্তৃত রিপোর্টের কিছু পর্যবেক্ষণ এখানে আলোচনার সুবিধার্থে উপস্থিত করা হচ্ছে–
১। নতুন সিনেমায় কাজ পেতে গেলে কাস্টিং কাউচ এক প্রচলিত পদ্ধতি।
২। মালয়ালম সিনেমা জগতে কয়েকটা 'কোডওয়ার্ড' প্রচলিত রয়েছে যেমন 'সমঝোতা' ও 'অ্যাডজাস্টমেন্ট'। এর উদ্দেশ্য এটাই বোঝানো যে, এই জগতে যে নারীরা আসতে ইচ্ছুক তারা যেন প্রয়োজন মতো পুরুষদের যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখেন।
৩। যারা এই ব্যক্তিদের 'জালে' আটকে পড়েন,তাদের আবার 'কোড নম্বর' দেওয়া হয়।
৪। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সাধারণ একটা ধারণা রয়েছে যে, মহিলারা অর্থ উপার্জনের জন্য সিনেমা জগতে আসেন এবং তারা যে কোনও কিছুর জন্যই আত্মসমর্পণ করে দেবেন।
৫। সিনেমায় কর্মরত পুরুষরা এটা কল্পনাও করতে পারেন না যে শিল্প ও অভিনয়ের প্রতি তাদের তীব্র আবেগের কারণে মহিলারা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছেন। বরং এমনটাই মনে করা হয় যে মহিলারা অর্থ এবং খ্যাতির জন্য এসেছেন এবং ছবিতে সুযোগ পাওয়ার জন্য তারা যে কোনও পুরুষের যৌন চাহিদা মেটাতে প্রস্তুত।
৬। সামনে আসা প্রমাণ অনুযায়ী, যৌন হেনস্থা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অভাবনীয়ভাবে সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিনা বাধায় ও নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে তা ঘটে।
৭। পুরুষদের দ্বারা যৌন হেনস্থার প্রমাণ হিসাবে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার অডিও, ভিডিও ক্লিপ ও স্ক্রিন শট কমিটির কাছে পেশ করেছে।
৮। অনেকেই প্রমাণ সহ অভিযোগ করেছেন যে, মালয়ালম সিনেমা জগত একটি মাফিয়া লবি নিয়ন্ত্রণ করে এবং তা যে কোনও শিল্পীর ক্যারিয়ার নষ্ট করে দিতে পারে।
৯। মেয়েরা অভিযোগ করেছেন, বাইরে শুটিং চলাকালীন হোটেলে মাঝরাতে মদ্যপ ব্যাক্তিদের দ্বারা দরজায় জোর ধাক্কা ও যৌন অনুগ্রহ চাওয়া এক স্বাভাবিক ঘটনা।
১০। শুটিংয়ে মহিলারা জলপান করেন না কারণ তাদের জন্য শৌচালয়ের ব্যবস্থা থাকেন না। কোটি কোটি টাকা খরচ করা শুটিংয়ে সামান্য কয়েকটি চেয়ার রাখা থাকে যার ফলে নায়ক-নায়িকা ও পরিচালক ছাড়া বাকি আর্টিস্টরা দাঁড়িয়ে কাজ করতে বাধ্য হন।
স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতে পারে যে, কর্মস্থলে মেয়েদের নিরাপত্তার প্রশ্নে 'Sexual Harassment Of Women at Workplace (prevention, prohibition and redressal) Act-2013' আইনের প্রয়োগ হলো না কেন? এক্ষেত্রে হেমা কমিটি বলেছে:
"In the course of the study, we understand that Malayalam film industry is under the control/clutches of certain producers, directors, actors all male... Constitution of ICC comprising of persons in cinema will be of no use at all to protect any woman in Malayalam film industry from sexual harassment/assault/abuse in cinema."
এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র সমালোচক আন্না এম ভেট্টিকাডের বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য:
"কেরল এমন রাজ্য যেখানে চরম প্রগতিশীলতা এবং চরম পিতৃতন্ত্রের সহাবস্থান রয়েছে। তারই একটা ক্ষুদ্র অংশ মালয়ালম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। মালয়ালম সিনেমাতে এরই প্রতিফলন দেখা যায়।"
আরও পড়ুন- টলি কেলেঙ্কারি: সিনেমাপাড়ায় থ্রেট কালচারই শেষ কথা?
হেমা কমিটির রিপোর্ট অবশ্যই ভীমরুলের চাকে ঘা মেরেছে কিন্তু লিঙ্গসাম্যের প্রশ্নে এখনও বহুদূর হাঁটতে হবে। কমিটির সুপারিশগুলো যাতে লাগু না হয় তার জন্য ভীষণ সক্রিয় সেখানকার মাফিয়া চক্র। দুর্ভাগ্যজনক হলো, মালয়ালম সিনেমার অগ্রগণ্য পুরুষ অভিনেতাদের প্রতিক্রিয়াশীল অবস্থান। গত ৩১ অগাস্ট সাংবাদিক সম্মেলনে অভিনেতা মোহনলাল নানাভাবে কমিটির পর্যবেক্ষণগুলিকে লঘু করার চেষ্টা করেছেন। বিভিন্ন অপযুক্তির মাধ্যমে তিনি ইন্ডাস্ট্রির পুরুষ অভিনেতাদের কৃতকর্ম চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। অথচ মোহনলালের অন্যতম সহচর ও আম্মার পূর্বতন সম্পাদক সিদ্দিকি স্বয়ং অভিনেত্রী পার্বতীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত। আরেক অভিনেতা মুকেশ, মি-টু আন্দোলনের সময় যার নামে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি তাঁর প্রথম স্ত্রী সরিতাকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত। সেই প্রসঙ্গে সরিতার সাক্ষাৎকার সমস্ত টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়েছিল। এই অভিযোগ সত্ত্বেও কেরলের শাসকদল সিপিআই(এম) তাঁকে ২০১৬ এবং ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করেছিল। আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা মামুত্তি হেমা কমিটির রিপোর্টে উল্লেখিত পাওয়ার গ্যাংয়ের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন। পিতৃতন্ত্র ও পুরুষ আধিপত্যবাদের নিগড়ে বাধা যে আবার আঘাত হানবে তা পরিষ্কার।
হেমা কমিটির রিপোর্ট বৃহত্তর অর্থে তাৎপর্যপূর্ণ। সিনেমা শিল্পে সারা দেশে প্রতিবছর কয়েক হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়, প্রচুর মানুষের রুটি-রুজি আসে এই ক্ষেত্র থেকে। তাহলে কেন এখানে কোনও নিয়ম কানুন ছাড়াই, এক মধ্যযুগীয় সংস্কৃতিতে ইন্ডাস্ট্রি পরিচালিত হবে? এই প্রশ্ন আজ সর্বত্র। আশার কথা, তেলগু সিনেমা শিল্পে অবিলম্বে হেমা কমিটির মতো এক কমিটি গঠনের জন্য তেলঙ্গানা সরকারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে সেখানকার সংগঠন 'দি ভয়েস অব ওমেন'। চেন্নাইতে সাম্প্রতিক সময়ে তামিল সিনেমায় বারবার কাস্টিং কাউচ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। 'দি আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব কলিউড' সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই ধরনের প্রতিটি অভিযোগের যথাযথ তদন্ত ও নিগৃহীতাকে আইনি লড়াইয়ের জন্য সাহায্য করা হবে। একটু নজর করলে দেখা যাবে, হেমা কমিটির পর্যবেক্ষণগুলো বিভিন্ন সময় এই রাজ্যের সিনেমা শিল্পেও উঠেছে। যৌন নিগ্রহ, কাজের প্রশ্নে থ্রেট কালচার, শাসক দল ঘনিষ্ঠ গুটিকয়েক নেতার দাদাগিরি- এসব নিয়ে মাঝেমাঝেই সরগরম হয় টলিপাড়া। এখন দেখার, এখানকার সিনেমা শিল্পে বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধতে কারা এগিয়ে আসে?