একঘেয়ে সোনমার্গ-গুলমার্গ নয়! কাশ্মীরের আসল রহস্য রয়েছে এই সব লুকোনো জায়গায়

Kashmir Tour : কাশ্মীরের পাঁচটি লুকানো রত্ন যা আপনাকে অবশ্যই দেখতে হবে, না হলে বৃথা ভ্রমণ

ভূ-স্বর্গ, এই একটাই শব্দ যথার্থ কাশ্মীরের জন্য। সম্প্রতি মুক্তি প্রাপ্ত কাশ্মীর ফাইলস ছবির জন্য ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রে আসে এই স্থান।কাশ্মীরের শ্বাসরুদ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সব কিছুই বহুকাল ধরে পর্যটন মানচিত্রে সমৃদ্ধ করে তুলেছে একে। বছরের যে কোনও সময়েই তাই পর্যটকদের ভিড় থাকে এখানে। একদিকে অসাধারণ ল্যান্ডস্কেপ অন্যদিকে তুষারাবৃত পর্বতমালা, সবুজ উপত্যকা, আদিম হ্রদ এবং বহমান নদী, সব মিলিয়ে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে কাশ্মীরকে। পৃথিবীর মধ্যে যেন স্বর্গের স্বাদ এনে দেয় এই জায়গা। পাশাপাশি নাঙ্গা পর্বত এবং হারমুখ সহ হিমালয়ের সুউচ্চ শিখরগুলি এই অঞ্চলের জন্য গুরুত্ব যেন আরও বাড়িয়ে তোলে। আজকের দিনে দঁড়িয়ে অবশ্য নানা ট্যুর ট্রাভেল গ্রুপের দৌলতে কাশ্মীর ভ্রমণ অনেক সংঘবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। তবুও কাশ্মীরে এমন কিছু জায়গা রয়েছে , বেড়াতে গিয়ে যেগুলি না দেখলে বৃথা হয়ে যাবে সম্পূর্ণ ভ্রমণ। আসুন যেন নেওয়া যাক এইসব বিশেষ বিশেষ অঞ্চলগুলি।

লোলাব ভ্যালি - কুপওয়ারা জেলায় অবস্থিত, কাশ্মীরের সবচেয়ে শান্ত জায়গাগুলির মধ্যে একটি হল লোলাব ভ্যালি। একদিকে আপেলের বাগান, ধানের জমি এবং অন্যদিকে নদীর টলটলে স্রোত, এই জায়গাটিকে খুবই সুন্দর করে তুলেছে। ফটোগ্রাফির নেশা থাকলে এটি অবশ্যই তালিকায় রাখবেন, নচেৎ আফসোসের শেষ থাকবে না।

দুধপাথরি - বুদগাম জেলায় অবস্থিত, দুধপাথরি একটি সুন্দর তৃণভূমি যা তার সবুজ ল্যান্ডস্কেপ এবং প্রবাহিত স্রোতের জন্য পরিচিত। এখানকার নদীর স্রোত গুলিতে এতই ফেনা থাকে যা দূর থেকে দেখলে দুধের মত সাদা দেখায় তাই একে দুধের উপত্যকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কাশ্মীরের এই দুধপথরি জায়গাটি পিকনিক, ঘোড়ায় চড়া এবং স্বল্প ভ্রমণের জন্য একটি আদর্শ স্থান৷

ইয়ুসমার্গ - শ্রীনগর থেকে এই জায়গার দূরত্ব ৪৫ কিলোমিটার। জায়গাটি আপেল, পেয়ারা ও পুদিনার বাগান এবং আলপাইনের জঙ্গলের জন্য খুবই জনপ্রিয়। যদি ভারতেই কেউ ইউরোপের বাতাবরণ পেতে চান, তাহলে অবশ্যই ঘুরে দেখতে পারেন এই জায়গা।

বাঙ্গুস ভ্যালি - কুপওয়ারা জেলার নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে অবস্থিত, বাঙ্গুস উপত্যকা একটি দূরবর্তী এবং শ্বাসরুদ্ধকর মনোরম উপত্যকা। এখানে আজও পর্যটকদের ভিড় বেশ কম। আদিম তৃণভূমি, ঘন বন এবং তুষার-ঢাকা চূড়ার অপরূপ দৃশ্য যেন মুহূর্তে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় কাশ্মীর ভ্রমণের স্বাদ। এইবাঙ্গুস ভ্যালিতে ট্রেকিং এবং ক্যাম্পিং করার সুযোগও রয়েছে। অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের জন্য আদর্শ হতে পারে জায়গাটি।

আহরবাল জলপ্রপাত - কুলগাম জেলায় অবস্থিত, আহরবাল জলপ্রপাত যেন কাশ্মীরের একটি লুকানো রত্ন যা তার মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। এর চিত্তাকর্ষক ক্যাসকেডের কারণে এটিকে প্রায়শই "কাশ্মীরের নায়াগ্রা জলপ্রপাত" হিসাবে উল্লেখ করা হয়। আহারবালের শান্ত পরিবেশে মধ্যে হাইকিং, পিকনিক করা এবং ফটোগ্রাফির দারুণ সুযোগ রয়েছে।

টারসার এবং মারসার হ্রদ - অনন্তনাগ জেলার মনোমুগ্ধকর আরু উপত্যকায় অবস্থিত, টারসার এবং মারসার হ্রদ একটি মন্ত্রমুগ্ধ অভিজ্ঞতা প্রদান করে। তুষার-ঢাকা পাহাড় এবং সবুজ তৃণভূমি দ্বারা বেষ্টিত, এই হ্রদগুলি ট্রেকিং এবং ক্যাম্পিং করার জন্য অনবদ্য হয়ে উঠতে পারে।

গুরেজ উপত্যকা - কাশ্মীরের উত্তর অংশে অবস্থিত এই গুরেজ উপত্যকা। শ্রীনগর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। এই গুরেজ উপত্যকাটি বিখ্যাত সেখানকার ঝিলের জন্য। গুরেজে কিষানগঙ্গা নদী ছাড়াও আরও বেশিকিছু জলধারা দেখা যায়। পাশাপাশি এখানকার কাঠের ঘর ও মনোরম পরিবেশ পর্যটকদের মুগ্ধ করে দেয়।

More Articles