বছরে একবার নিশুতি রাতে জন্ম নেয় ব্রহ্মকমল! হিমালয়ের ফুল ঘিরে রয়েছে নানা রহস্য

Brahma Kamal: সন্ধ্যা ৭-৮ টা থেকে এর ফোটা শুরু হয়, রাত ১১-১২ টার মধ্যে ফোটা সম্পূর্ণ হয়ে যায়। পরদিন সকাল হলেই ফুলের পাপড়ি ফের মূর্ছা যায়।

হিমালয় এক বিস্ময় রাজ্য। হিমালয় পর্বতের সৌন্দর্য, রহস্য, বিপদ, হাতছানি এড়িয়ে চলতে পারা দুষ্কর। হিমালয় মানে এক বিস্ময়কর রহস্য, এক ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য। হাজার হাজার বছর ধরে তাবৎ দুনিয়ার মানুষকে অভিভূত করে রেখেছে এই হিমালয়। শুধু রূপ নয় হিমালয়কে ঘিরে আছে নানা রহস্য। আর সেই রহস্যের টানে সারা বছর পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন। এমনই এক রহস্য হল হিমালয়ের ব্রহ্মকমল। প্রকৃতির এক অপূর্ব সৃষ্টি ফুল। কিন্তু প্রকৃতিতে সৃষ্ট এত ফুলের বাহারের মধ্যেও সবথেকে দুষ্প্রাপ্য ফুল হল ব্রহ্মকমল। অবাক লাগলেও, এই ফুল বছরে একবারই ফোটে। তাও গভীর রাতের অন্ধকারে, সকলের আড়ালে। দেবতাদের নাকি সবথেকে প্রিয় এই ফুল।

ব্রহ্মকমল ফুলের সঙ্গে সাধারণ মানুষ খুব বেশি পরিচিত নন কারণ এটি অন্যান্য ফুলের মতো প্রচলিত ফুল নয়। ব্রহ্মকমলেরর এক এক জায়গায় এক এক রকম নাম। উত্তরাখণ্ডে একে বলে ব্রহ্মকমল, হিমাচলে দুলহাম্বুল। কাশ্মীরে গলগল, হিমাচল প্রদেশে দুধ ফুল, শ্রীলঙ্কাতে কাদুফুল আর জাপানে গীকা ভীষণ।

উত্তরাখণ্ডের ‘স্টেট ফ্লাওয়ার’ হিসাবে গণ্য করা হয় ব্রহ্মকমলকে। পুরাণ মতে, বিষ্ণুর নাভি থেকে এই ফুলের জন্ম এবং এই ফুলের মধ্যে ব্রহ্মা বিরাজমান। ফুল ফোটার দৃশ্য দেখতে পাওয়া মানে ‘দেবদর্শন’। সন্ধ্যা ৭-৮ টা থেকে এর ফোটা শুরু হয়, রাত ১১-১২ টার মধ্যে ফোটা সম্পূর্ণ হয়ে যায়। পরদিন সকাল হলেই ফুলের পাপড়ি ফের মূর্ছা যায়। বিজ্ঞান অনুযায়ী, এর ৬১টি প্রজাতির কথা পাওয়া যায়।

প্রধানত হিমালয়ের ফুল ব্রহ্মকমল, উত্তরাখণ্ড, সিকিম, হিমাচল প্রদেশ, কাশ্মীরে এই ফুল পাওয়া যায়। বিশ্বাস অনুযায়ী, সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার ফুল বলেই নাম হয়েছে ব্রহ্মকমল। শিব এবং নন্দা দেবীরও এই ফুল খুব প্রিয় বলে জানা যায় পুরাণে। ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স, হেমকুন্ড সাহিব, বাসুকি তাল, রুদ্রনাথ মন্দির যাবার পথে এই ফুলের দেখা মেলে। এছাড়া মায়ানমারের উত্তরাংশ এবং দক্ষিণ পশ্চিম চিনের কিছু অংশেও এই ফুল দেখা যায়।

আরও পড়ুন-মাটির নীচে লুকিয়ে একখণ্ড বৌদ্ধ ইতিহাস! নানা কাহিনিতে মোড়া এই বাংলার ‘মোগলমাড়ি’

ব্রহ্মকমল প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডঃ অর্ণব সেন বলেন, “রাতে ফোটা এই ব্রহ্মকমল দেখতে অপূর্ব সুন্দর হয়। সঙ্গে একটি মিষ্টি গন্ধ বিরাজ করে চারিদিকে। এই ফুলটিকে আমরা এপিফাইলাম অক্সিপেটালাম বলে চিহ্নিত করি। তবে একে বাংলায় বিভিন্ন নামে চেনে। কেউ একে নিশিপদ্ম বলে তো কেউ নিশিগন্ধা ডাকে। তবে এই নামে আরও কিছু গাছ রয়েছে যাদের ‘নাইট ক্যুইন’ নামে ডাকা হয়। সুতরাং অনেকেই গুলিয়ে ফেলেন। নিশিপদ্ম বা ব্রহ্মকমল ফুল খুব স্বল্প সময়ের জন্যই প্রস্ফুটিত হয়। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানেও নিশিপদ্ম বা ব্রহ্মকমলের ব্যবহার রয়েছে। ভারতের কেদারনাথ ও বদ্রীনাথ মন্দির গর্ভে এই ফুল দেখতে পাওয়া যায়। সুতরাং বলা বাহুল্য, ধর্মীয় আবেগও বয়ে চলেছে এই ফুলটি।”

শিলিগুড়ি হর্টিকালচার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত সেন বলেন, “ব্রহ্মকমল বা নিশিগন্ধা অর্কিড-ক্যাকটাস জাতীয় ফুল। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং এমনকী কালিম্পংয়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় এই ফুলের সন্ধান মেলে। বর্ষার শুরুতে বা বর্ষা আসার প্রাক মুহূর্তে যখন তাপমাত্রা ২৮° - ৩০° থাকে তখন নাইট ক্যুইন বা ব্রহ্মকমল নিজের বিস্তারিত রূপ মেলে ধরে।”

ভেষজ গুণ

ভারতের উত্তরাখণ্ডের মূলত তিনটি অঞ্চলে দেখা পাওয়া যায় ব্রহ্মকমলের। ৩০০০ থেকে ৪৮০০ মিটার উচ্চতায়, পাথরের ফাঁকে, সবুজ ঘাসের মাঝে, সাদা বরফের মধ্যেও দেখা যায় ব্রহ্মকমল। মূলত রূপকুণ্ডের পথেই দর্শন মেলে এই ফুলের। ব্রহ্মকমলের ঔষধি গুণাগুণ আছে। এই ফুল আয়ুর্বেদ চিকিৎসাতেও কাজে লাগে। এই ফুল নিয়ে একাধিক গবেষণাও হয়েছে যেখানে এর উপকারিতা সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে।

লিভারের স্বাস্থ্য উন্নত করে- ব্রহ্মকমলের ফুল লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এই ফুল লিভারের জন্য সেরা টনিক হিসেবে কাজ করে। ব্রহ্মকমলের ফুল লিভারকে ফ্রি র‍্যাডিকালের কারণে হওয়া ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এ জন্য ব্রহ্মকমল ফুলের স্যুপ বানিয়ে খাওয়া হয়, এটি শরীরের প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে।

ক্ষত নিরাময় করতে সাহায্য করে- ক্ষত সারাতেও ব্রহ্মকমল ফুল ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্রহ্মকমলে থাকা অ্যান্টিসেপটিক ত্বককে ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও ত্বকে কোনও আঘাত লেগে থাকলে এই ফুল দ্রুত ক্ষত নিরাময় করে। এই কারণে ব্রহ্মকমল ফুলের পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রক্তপাত বন্ধ করা হয়।

স্নায়ুতন্ত্রের জন্য উপকারী- ব্রহ্মকমল ফুল স্নায়বিক সিস্টের জন্যও উপকারী হতে পারে। এই ফুলে অ্যাসিটিন নামক একটি পদার্থ রয়েছে যা একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিকনভালসেন্ট। এছাড়া এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ব্রহ্মকমল শরীরের রক্ত ​​পরিশোধনেও সাহায্য করে। কিন্তু যদি আপনার স্নায়ুতন্ত্র সংক্রান্ত কোনও সমস্যা থাকে, তাহলে শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শেই এটি ব্যবহার করা উচিত।

সর্দি-কাশির সমস্যা দূর করে- যদি প্রায়ই সর্দি-কাশি হয় তবে ব্রহ্মকমল ফুল খেতে কাজে লাগতে পারে। এই ফুল সর্দি, কাশি নিরাময়ে সাহায্য করে। ব্রহ্মকমল ফুলের প্রদাহরোধী এবং ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণ রয়েছে। এই উপাদানগুলো শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও জীবাণু প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করতে পারে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে হাঁপানি ও ব্রংকাইটিসের চিকিৎসায় ব্রহ্মকমল ফুল ব্যবহার করা হয়।

জ্বর সারাতে উপযোগী- ব্রহ্মকমলের ফুলে অ্যান্টিপাইরেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অর্থাৎ এটি জ্বরের চিকিৎসায় সাহায্য করে। ব্রহ্মকমল ফুলের ক্বাথ পান করলে জ্বরের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জ্বর হলে এই ফুলের ক্বাথ তৈরি করে দিনে দু’বার পান করতে পারেন।

ব্রহ্মকমল রহস্য

পুরাণ অনুসারে, এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা ছিলেন ব্রহ্মা আর তিনি সর্বদাই সাদা পদ্মের ওপর বিরাজমান। বলা হয়, এই ফুল থেকে ব্রহ্মার সৃষ্টি হয়েছে বলে এর নাম ব্রহ্মকমল। ব্রহ্মদেবের হাতেও এই ব্রহ্মকমল ফুল দেখতে পাওয়া যায়।

রামায়ণের আরেকটি গল্পে দেখা যায়, সঞ্জীবনী বুটি দেওয়ার পর লক্ষ্মণ যখন সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন তখন দেব দেবীরা স্বর্গ থেকে এই ফুল বর্ষণ করেছিলেন। মাটিতে ফুল ঝরে পড়ার পর নাকি উত্তরাখণ্ডের এই উপত্যকায় এই ফুলের শিকড় ধরে নেয়।

পৌরাণিক মতানুসারে, শিব যখন ক্রোধে গণেশের মুণ্ডচ্ছেদন করেছিলেন এবং পরে হাতির মাথা এনে গণেশের প্রাণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছিলেন সেই সময় ব্রহ্মা ব্রহ্মকমল ফুলের জলে স্নান করিয়ে গণেশের দেহে প্রাণ দান করেছিলেন।

আরও পড়ুন- মাটিতে পোঁতা ছিল তিন ফুটের দুর্গা! বাগবাজারের হালদার বাড়ির যে ইতিহাস আজও অবাক করে

প্রচলিত কথা

কথায় বলে, ব্রহ্মকমল ফুলের দর্শন লাভ করাও নাকি সৌভাগ্যের ব্যাপার। এর রহস্য হল, পাহাড়ের ওই দুর্গম অঞ্চলে অনেকেই যেতে পারেন না। তার উপর এই ফুল ফোটে রাতের বেলায়। সেই কারণে ভায়-ভক্তি যোগ হয়ে এই ফুল নিয়ে নানা রকম মিথ তৈরি হয়েছে।

আবার অনেকে মনে করেন, ব্রহ্মকমল সমস্ত নেতিবাচক শক্তিকে সরিয়ে ইতিবাচক শক্তি প্রবাহিত করে। মনে করা হয়, কোনও বাড়িতে এই ফুল থাকলে সেই পরিবারে সুখ শান্তি চিরকাল অক্ষয় থাকে, আর্থিক উন্নতি হয় এবং সুখ সমৃদ্ধি লাভ করে।

অন্যদিকে, ব্রহ্মকমল দিয়ে শিবের পুজো করলে নাকি তার আশীর্বাদ পাওয়া যায়, যে বাড়িতে ব্রহ্মকমল গাছ আছে, সেই পরিবারের প্রতি প্রসন্ন হন। যখন এই ফুল ফোটে তখন সেই পরিবারের সদস্যদের ভাগ্য নাকি পাল্টে যায়। আবার এও বলা হয়, যদি কোনও ব্যক্তি এই ফুল প্রস্ফুটিত অবস্থায় দেখেন তাহলে তার সকল মনস্কামনা পূর্ণ হয়।

ফুল ফোটার সময়

বিশেষত, বর্ষার মধ্যবর্তী সময়ে অর্থাত্‍ জুলাই ও অগাস্টের মাঝামাঝি সময় উত্তরাখণ্ডের হিমালয়ের কোলে এই ফুল ফুটে থাকে। তবে কিছু বছর ধরে পরিবর্তন ঘটেছে। রুদ্রপ্রয়াগে বন দফতরের দল হিমালয়ের শৃঙ্গগুলিতে পেট্রোলিং করার ব্রহ্মকমলের হদিশ পায়। অক্টোবর মাসে হিমালয়ের বিভিন্ন এলাকায় ব্রহ্মকমল ফুটে থাকতে দেখে ওই দলটি।

জলবায়ুর পরিবর্তন এবং বিলুপ্তি

আগে পাহাড়ি অঞ্চল জুড়ে এই ফুল দেখা দিলেও এখন তা বিলুপ্তের পথে। আঞ্চলিক মন্দিরগুলোয় পুজোর জন্য প্রভূত পরিমাণে ব্যবহৃত হয় এই ফুল। তাছাড়াও ব্রহ্মকমলের ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে যার ফলে প্রচুর পরিমাণে তা বিক্রি হয় কালো বাজারে। চামোলি জেলার নন্দীকুণ্ডে এ বছরের প্রথম তুষারপাত হয়েছে। আর বরফের মাঝেই ফুটে রয়েছে পৃথিবীর বিরল ফুল। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২০-২১ সালে পিথোরাগড় জেলায় এই ফুল দেখা গিয়েছে। পাহাড়ি এলাকার ৩০০০ মিটার উচ্চতায় ব্রহ্মকমল ফুটে থাকতে দেখা গিয়েছে। কেদারনাথ বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ কেন্দ্রের ফরেস্ট অফিসার অমিত কানওয়ার জানিয়েছেন, “জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে এই বিরল ফুলগুলির উপরও। গত বছরের তুলনায় এ বছর ভালোই তুষারপাত হয়েছে। বরফ গলে উপত্যকায় এই ফুলগাছ উত্‍পন্ন করার বিশেষ সুবিধা হয়ে গিয়েছে। আর সেই জন্যই অসময় হলেও সারি সারি ফুটে রয়েছে সাদা ব্রহ্মকমল।”

ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বিজ্ঞানী অনুপ চন্দ্র জানিয়েছেন, লকডাউনের জন্য মানুষ ঘরবন্দি ছিল। ফলে গত দু’বছর অক্টোবর মাসে ব্যাপক পর্যটকের ভিড় দেখা যায়নি উত্তরাখণ্ডে। হিমালয়ের কোলে প্রাকৃতিক সম্পদগুলি দূষণ থেকে অনেকটা দূরে ছিল। মানুষের আনাগোনা, বাড়তে থাকা দূষণের প্রভাব অন্যান্য বছরের তুলনা অনেক কম ছিল বলেই এই ফুলগুলি নিজের মতো করে বেড়ে উঠতে পেরেছে। এই ফুল বিশ্বের বিরলতম ফুল এবং বিপন্ন ফুল। এর বিস্তার ঘটানোর জন্য গবেষণা দরকার।

উত্তরাখণ্ডের পঞ্চ কেদার অঞ্চলে সমীক্ষা চালিয়ে, ‘নেচার গাইড’ নামে একটি বইয়ে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, কেদারনাথ ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি, নন্দাদেবী বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ এবং অ্যাসকট ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি- বর্তমানে ব্রহ্মকমলের জন্য সংরক্ষিত স্থান। যার ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই ব্রহ্মকমল এগোচ্ছে বিলুপ্তির দিকে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সমীক্ষাটি করে ‘ওয়াল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া’। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রহ্মকমল বাঁচানোর জন্য পাহাড়ের আরও খানিক উপর দিকে এই ফুলের চাষ করতে হবে। তবে পরিবেশ অনুকূল হওয়াটা খুবই জরুরি।

তাছাড়া প্রতিনিয়ত পৃথিবীর আবহাওয়া বদলের ফলেও কমে যাচ্ছে এ ফুলের সংখ্যা। মানুষ নিজের স্বার্থে ধ্বংস করেই যাচ্ছে এই দুষ্প্রাপ্য ফুল। পরিশেষে বলা যায়, ভ্রমণপ্রিয় মানুষরা যারা এই অঞ্চলে ভ্রমণে আসেন তারা যদি পাহাড়ি পথে ঘাটে এই ফুল দেখে ছবি তোলা পর্যন্তই সীমিত থাকেন, তুলে নষ্ট না করেন তাহলে এটিকে বিলুপ্তপ্রায় ফুল হওয়া থেকে রক্ষা করা যেতে পারে।

More Articles