জাতীয় রেকর্ডে নাম দুজনেরই, বাঁকুড়ার মা-মেয়ে এই জুটির ট্যালেন্ট জানলে অবাক হবেন আপনিও

India book's of records : মায়ের দেখানো পথেই হাঁটল ছোট্ট খুদে, মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম মা মেয়ে জুটির

মায়ের যোগ্য উত্তরাধিকারী মেয়েও, মাত্র সাড়ে চার বছর বয়সেই তাক লাগিয়ে দিয়েছে বাঁকুড়ার ঐশানি পাত্র। কিছুদিন আগে মা সঙ্গীতা পাত্রও নাম তুলেছিলেন ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ। এবার মায়ের দেখানো সেই পথ অনুসরণ করে একই রেকর্ড ছিনিয়ে নিল খুদে ঐশানি। খবর প্রকাশ্যে আসতেই বাঁকুড়া লোকপুরে শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসবের আমেজ। মা এবং মেয়ের এই অভুতপূর্ব সাফল্যে গর্বিত পরিবারও।

এক রত্তি ছোট্ট মেয়ে ঐশানি, সবে স্কুলের গণ্ডিতে পা দিয়েছে। এর মধ্যেই সে গড় গড় করে বলে দিতে পারে যে কোনও দেশের রাজধানীর নাম। আমরা বড়রাই যেসব দেশের নাম শুনে মাথা চুলকাতে শুরু করি, সেই সব দেশের নাম শুনে নিমেষের মধ্যে তার রাজধানীর নাম বলে দিতে পারে ঐশানি। এই ট্যালেন্ট রীতিমতো কুর্নিশ জানানোর মতোই। গত বছর নভেম্বর মাসের ২৫ তারিখ মাত্র ৫৯ সেকেন্ডের মধ্যে চোখ বন্ধ অবস্থায় ১১৪ টি সঠিক শব্দ বলে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ নাম তুলে নেয় ঐশানি।

আরও পড়ুন - ১১ বছরের খুদের আবিষ্কারে মজেছিল গোটা বিশ্ব, যেভাবে এসেছিল কাঠি আইসক্রিম

তবে ঘটনার অভিনবত্ব এখানেই শেষ নয়, এই ঘটনার মাত্র মাস দুয়েক আগেই ঐশানির মা সঙ্গীতা পাত্র বরফ দিয়ে শিবলিঙ্গ বানিয়ে তাক লাগিয়েছিলেন। তিনিও নাম তুলে নিয়েছিলেন এই একই রেকর্ডস-এ। মায়ের পর সেই একই পথে এবার জয় এল মেয়েরও।

ছোট থেকেই মা সঙ্গীতার আদর্শে বড় হচ্ছে ঐশানি। নতুন কিছু করে দেখানোর একটা জেদ নিজের মধ্যে চিরকালই ছিল সঙ্গীতা দেবীর। মেয়ের মধ্যেও ছোট বয়স থেকেই সেই স্বপ্ন বুনে দিয়েছেন সযত্নে। ঠিক তাই ছোট বয়স থেকেই তিনি মুখে মুখে দেশের নাম, রাজধানীর নাম, ফল ফুলের নাম ইত্যাদি ছোট্ট ঐশানিকে মুখে মুখে পড়ে শোনাতেন। প্রাথমিকভাবে শুনে শুনেই মুখস্থ করে ফেলে সে। পরে মেয়ের আগ্রহ দেখে তিনি ঠিক করেন এই ট্যালেন্টকে সমাজের সামনে আনার কথা। মেয়েদের সাবলম্বী হওয়ার দিকেও জোর দেন তিনি। আর তার শুরুটা যে ওই ছোট বয়স থেকেই হয়ে যায় একথাও মেয়ের মধ্যে বপন করে দেন সঙ্গীতা দেবী। মা মেয়ে জুটির এই অনবদ্য সাফল্য তাই শুধু একটা পরিবারের কাছে গর্বের নয়, গোটা সমাজের কাছে একটা উদাহরণও বটে।

More Articles