কোনও প্রযুক্তি নয়, এক রাজার নামেই নামকরণ! অবাক করবে ‘ব্লুটুথ’-এর ইতিহাস
Knowledge story about Bluetooth device : কিন্তু জানেন কি ঠিক কবে থেকে বাজারে এল এই ব্লু টুথ মাধ্যম? এমন নামকরণের আসল কারণই বা কী?
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ব্লু-টুথ শব্দটির সঙ্গে কমবেশি সকলেই পরিচিত। হাতে হাতে ঘুরতে থাকা মোবাইল ফোনটির সঙ্গে ওতপ্রোভাবে জড়িয়ে রয়েছে এই প্রযুক্তি। একটা বেতার সংকেতের সাহায্যে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের বাইরে থাকে অন্য একটি যন্ত্রের সঙ্গে ওই ডিভাইসটির সংযোগ করাই মূল কাজ ব্লু টুথের। নীল রঙের একটি নির্দিষ্ট চিহ্ন দিয়ে সংকেতটি বোঝানো হয়। শুধু মোবাইল নয়, কম্পিউটার, ল্যাপটপ অথবা অন্যান্য কোনও ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রেও রয়েছে এই মাধ্যম। কিন্তু জানেন কি ঠিক কবে থেকে বাজারে এল এই ব্লু টুথ মাধ্যম? এমন নামকরণের আসল কারণই বা কী?
শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি, কোনো প্রযুক্তিগত কারণ নয় একজন রাজার নানে নামকরণ করা হয়েছে এই ব্লু টুথের। নব্বইয়ের দশকের প্রথম দিকে বাজারে আসে ব্লু টুথ। দুটি পৃথক ডিভাইসকে মুহূর্তের মধ্যে জুড়ে দিতে পারে ব্লু টুথ। ব্লুটুথ নামের ধারণাটি সর্বপ্রথম দিয়েছিলেন জিম কর্দাচ। এই ডিভাইসটি তৈরির যে দল ছিল, তারই একজন মূল উদ্যোক্তা ছিলেন তিনি। একেবারে ইতিহাসের বইয়ের পাতা থেকে ব্লু টুথ নামের রাজাকে ডিভাইসের নামে হিসেবে তুলে আনেন তিনি। টানা দশ বছর ধরে ডেনমার্কের রাজার পদে অসীন ছিলেন হ্যারল্ড ব্লুটুথ নামের একজন। মূলত তাঁর কোথায় ইতিহাসের বইতে পড়ে অনুপ্রাণিত হন জিম কর্দাচ। এবং সেই সূত্রেই এই নামের প্রস্তাবনা দেন তিনি। আসলে এই রাজা ডেনমার্কের সঙ্গে স্ক্যানডেনেভিয়া রাজ্যের সংযোগের জন্য বিখ্যাত ছিলেন।
আরও পড়ুন - জনসংখ্যা মাত্র তিন! পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দেশের কাহিনি অবাক করবে আপনাকেও
আমরা ব্লুটুথ এর মাধ্যমে যেমন একটি ডিভাইসের সঙ্গে অপর কোন ডিভাইসের সংযোগ স্থাপন করি ঠিক তেমনই ডেনমার্কের রাজা হ্যারল্ড ব্লুটুথ একাধিক রাজ্যকে সংযুক্ত করেছিলেন। হ্যারল্ড ব্লুটুথ এর সংযোগ করা রাজ্য গুলির মধ্যে স্ক্যানডেনেভিয়া ছাড়াও ছিল নরওয়ে, সুইডেন ইত্যাদি। ফলে কাজের দিক থেকে মিল ছিল বলেই এমন নামকরণের ভাবনা আসে।
এখানেই শেষ নয়, আপনি যদি ব্লুটুথ ডিভাইসের আইকনটি ভালো করে লক্ষ্য করেন তাহলে বুঝতে পারবেন তার মধ্যে ইংরেজির H এবং B অক্ষরদুটির অবয়ব রাখা হয়েছে। রাজার নামের আদ্যক্ষর রাখা হয়েছে আইকনেও। এছাড়া জানা যায়, রাজা হ্যারল্ড ব্লুটুথের একটি দাঁত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তার পরিবর্তে নীল দাঁত ব্যবহার করা হয়। ফলে সেই দিক থেকেও মিলে যায় এই নামকরণের কারণ। আজকের প্রজন্মের সকলেই ব্লুটুথ ডিভাইস ব্যবহার করেন ঠিকই তবে এর এই বিস্তৃত ইতিহাস সম্পর্কে অনেকেই জানেন না।

Whatsapp
