স্পিকারকে ডাল ছুঁড়েছিলেন! ওড়িশার নতুন মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি আসলে কে?

Odisha new CM Mohan Majhi: ৫২ বছর বয়সি এই আদিবাসী নেতা গ্রাম পরিষদের প্রধান বা সরপঞ্চ হিসেবেই তাঁর রাজনৈতিক সফর শুরু করেন।

বিজু জনতা দলের প্রধান নবীন পট্টনায়েকের ২৪ বছরের শাসন শেষ। ২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ওড়িশা রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। নবীনের পর মোহন চরণ মাঝি হতে চলেছেন ওড়িশায় বিজেপির প্রথম মুখ্যমন্ত্রী। আদিবাসী নেতা মোহন মাঝি ওড়িশা বিধানসভায় যদিও অত্যন্ত পরিচিত মুখ। ২০১৯ সাল থেকে কেওনঝাড় বিধানসভা আসনটি ধরে রেখেছেন তিনি। ২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে ১১,০০০ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন মোহন।

ওড়িশায় বিজেপির জয়ের পর জগন্নাথ এবং ৪.৫ কোটি ওড়িশাবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোহন। তিনি বলছেন, ওড়িশার মানুষ ২৪ বছর ধরে চলা শাসন পরিবর্তন চেয়েছিলেন। তাই ওড়িশায় বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মানুষ। মোহনের বিজেপি প্রীতির গোড়া বেশ পোক্ত। মোহন চরণ মাঝি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ পরিচালিত একটি স্কুল, সরস্বতী শিশু বিদ্যা মন্দিরের গুরুজি হিসাবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন।

৫২ বছর বয়সি এই আদিবাসী নেতা গ্রাম পরিষদের প্রধান বা সরপঞ্চ হিসেবেই তাঁর রাজনৈতিক সফর শুরু করেন। খনিজ সমৃদ্ধ কেন্দুঝার জেলার একজন লড়াকু আদিবাসী নেতা মোহন চরণ মাঝি ওড়িশা বিধানসভায় বিপুল কীর্তি ঘটিয়েছেন এর আগে।

আরও পড়ুন- মণিপুরের দুর্দশার জন্য দায়ি মোদিই? যা বলছেন আরএসএসের মোহন ভাগবত…

বিজেপির অনুগত সদস্য এবং একজন শক্তিশালী সাংগঠনিক নেতা মোহন মাঝির সঙ্গে আরএসএসের সম্পর্কও বেশ মজবুত। বিজেপির ওড়িশা রাজ্য শাখাতেও ব্যাপকভাবে কাজ করেছেন তিনি। বিজেপির নির্বাচনী কৌশলেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন ওড়িশার নতুন মুখ্যমন্ত্রী।

মোহন মাঝির রাজনৈতিক কর্মজীবন দুই দশকেরও বেশির। জনসাধারণের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের ক্ষমতা, বিশেষ করে উপজাতীয় অঞ্চলে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। চারবারের বিধায়ক মোহন মাঝি এই অঞ্চলের জন্য বিজেপির নীতিগুলি প্রয়োগ করেছেন মানুষের মধ্যে গিয়ে।

২০২৩ সালে, মোহন চরণ মাঝি বিধানসভার স্পিকারের মঞ্চে গোটা ডাল ছুঁড়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই জন্য বিধানসভা থেকে বরখাস্তও করা হয়েছিল তাঁকে। রাজ্যে মিড-ডে-মিলের ডাল কেনার ক্ষেত্রে ৭০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির অভিযোগে মোহন মাঝি এই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।

এবারের ওড়িশা বিধানসভা নির্বাচনে মোহন চরণ মাঝি কেওনঝাড় আসনে ৪৭.০৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তিনি হারিয়েছেন বিজু জনতা দলের (বিজেডি) মিনু মাঝিকে, তিনি ৪০.৮৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। বিজেপি ওড়িশার ১৪৭টি আসনের মধ্যে ৭৮টি আসনে জয়লাভ করে এই প্রথম রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে।

More Articles