মিথ্যা ক্ষয়ক্ষতির বহর! পাকিস্তানের যেসব ভুয়ো প্রচার ফাঁস করলেন বিদেশ সচিব

Vikram Misri on Operation Sindoor: পাকিস্তান প্রতিশোধ নিতে আক্রমণ না করলে কোনওভাবেই ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী উত্তেজনা বাড়ানোর পথে হাঁটবে না বলেই জানিয়েছেন উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং।

ভারতের প্রত্যাঘাতের পাল্টা জবাব দিয়েই চলেছে পাকিস্তান। প্রতি রাতেই চলছে ভারী গোলাবর্ষণ, বিশেষ করে জম্মু কাশ্মীর ও পঞ্জাব এলাকায়। ভারত পাকিস্তানের নজরদারি ড্রোনগুলিকে নিষ্ক্রিয় করছে, ধ্বংস করছে, পাক সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত করছে। তবে পাকিস্তানের পাল্টা আঘাত মূলত ভারতের সামরিক ঘাঁটির পাশাপাশি বেসামরিক কাঠামো। যার ফলে জম্মু কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। এই হামলা-পাল্টা হামলার মধ্যে ফের জরুরি ভিত্তিতে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রী। সঙ্গে ছিলেন উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং এবং কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। সচিব আবারও জানিয়েছেন, পাকিস্তানের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ভারত দায়িত্বশীল ও পরিমিতভাবেই প্রতিরক্ষা করে চলেছে।" পাকিস্তান দাবি করেছিল, ভারত পাক ভূখণ্ডে ধর্মীয় স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। "পাকিস্তানের দাবি হাস্যকর,” সাফ জানিয়েছেন বিক্রম মিশ্রী।

"আমি এর আগেও অনেকবার বলেছি, পাকিস্তানি কর্মকাণ্ডই উস্কানিমূলক। তাই-ই মূলত উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জবাবে, ভারত পাকিস্তানি পক্ষের এই উস্কানিমূলক ও উত্তেজনা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে দায়িত্বশীল ও পরিমিতভাবে প্রতিরক্ষা করেছে এবং প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তবে আজ সকালে, আমরা এই উত্তেজনাকর ও উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি দেখেছি,” বলেছেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রী।

অন্যদিকে, উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং জানিয়েছেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী শুধুমাত্র চিহ্নিত সামরিক লক্ষ্যবস্তুতেই নির্ভুল হামলা চালিয়েছে। আর পাকিস্তান উল্টোদিকে ভারতীয় S-400 সিস্টেম ধ্বংস করার, সুরাট এবং সিরসায় বিমানঘাঁটি ধ্বংসের দাবি সহ বিদ্বেষপূর্ণ ভুল তথ্য প্রচার করেই চলেছে। ব্যোমিকা স্পষ্ট জানিয়েছেন, পাকিস্তানের প্রচার করা এই দাবিগুলি সর্বতোভাবেই মিথ্যা।

আরও পড়ুন- অপারেশন সিঁদুর বনাম বুনিয়ান উল মারসুস | আঘাত প্রত্যাঘাতের ধারাবিবরণী

কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানিয়েছেন, পাকিস্তান উধমপুর, ভূজ, পাঠানকোট, ভাটিন্দার বিমান ঘাঁটিতে হামলা করে বহু সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ক্রমাগত পশ্চিম সীমান্তে আক্রমণ করছে। ভারতের সামরিক ঘাঁটিগুলিতে আক্রমণের জন্য ড্রোন, দূরপাল্লার অস্ত্র, লংমার্চার এবং যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে পাকিস্তান। ভারত এই জাতীয় বহু হামলার জবাবও দিয়েছে, কিন্তু পাকিস্তান ২৬টিরও বেশি স্থানে বিমানের মাধ্যমে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে এবং উধমপুর, ভূজ, পাঠানকোট, ভাটিন্দার বিমান ঘাঁটিতে সামরিক সরঞ্জাম এবং কর্মীদের ক্ষতিও করেছে। কর্নেল সোফিয়া বলেছেন, "পাকিস্তান পঞ্জাবের বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে রাত ১:৪০ নাগাদ উচ্চ গতির ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। এমনকি তারা হাসপাতাল এবং স্কুলগুলিতেও আক্রমণ করেছে।”

উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং আরও বলেন, "পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদের সৈন্যদের নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে দেখা গেছে, যা আরও উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য আরও আক্রমণাত্মক অভিপ্রায়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।" ব্যোমিকা আশ্বস্ত করেছেন যে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী সমস্ত প্রতিকূল পদক্ষেপই কার্যকরভাবে প্রতিহত করেছে। পাকিস্তান প্রতিশোধ নিতে আক্রমণ না করলে কোনওভাবেই ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী উত্তেজনা বাড়ানোর পথে হাঁটবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি।

More Articles