২০১৮-র মাশুল পঞ্চায়েত ভোটে গুনতে হবে তৃণমূলকে? গেরুয়া বিপদ কতটা দোরগোড়ায়
Panchayat Elections 2023: স্থান-কাল-পাত্র বুঝে মেপে পা ফেলতে হচ্ছে তৃণমূলকে। ২০১৮-র মতো ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা যাতে সর্বাত্মক আকার ধারণ না করে, তা নিশ্চিত করতে হচ্ছে।
জৌলুসে বিধানসভা বা লোকসভা তো নয়ই, পৌর নির্বাচনেরও ধারেকাছে থাকার কথা নয়। কিন্তু বিগত দেড় দশক ধরে বাংলার রাজনীতির দিকনির্দেশের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এমনিতে শহর কলকাতা রাজনৈতিক ওঠাপড়া, মারপ্যাঁচের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকলেও, পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের ভাগ্য নির্ধারণকারীর ভূমিকায় উঠে আসে গ্রামবাংলাই। ২০০৮ সালের এক পঞ্চায়েত নির্বাচনেই বাম দুর্গের পতনের ইঙ্গিত মিলেছিল। ২০২৩-এর গোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনও হাজারও অভিযোগে বিদ্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মা-মাটি-মানুষ’ সরকারের ভবিতব্য নির্ধারণের সহায়ক হবে বলে ধরে নেওয়া যায়।
২০০৮ থেকে ২০২৩, মধ্যিখানে দেড় দশকের বছরের ব্যবধান। তদানীন্তন বিরোধী দল তৃণমূল আজ ক্ষমতায় আসীন। আর বাংলার সাবেক শাসক সিপিএম এই মুহূর্তে নামসর্বস্ব বিরোধী বললেও অত্যূক্তি হয় না। কারণ সংখ্যার বিচারে খাতায়-কলমে শূন্যে গিয়ে ঠেকেছে তারা। এককালে দাপটের সঙ্গে বাংলা শাসন করলেও, ‘বহিরাগত’ বিজেপি শুধু তাদের ছাপিয়েই যায়নি, ভোট কেটে পাঠিয়ে দিয়েছে রিজার্ভ বেঞ্চে। কিন্তু সিপিএম তথা বামফ্রন্টের এই পদস্খলনে গোড়ার দিকে খুশি হলেও, এখন তা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের। কারণ বিরোধীশূন্য বাংলা গড়ে তোলার পথে শুধু অন্তরায় নয়, তাদের গলার কাঁটা হয়ে বিঁধে রয়েছে বিজেপি।
তাই পদ্মবন সাফ করতে নিজে পাথর হয়ে তৃণমূল কাস্তে-হাতুড়িতে শান দিতে গেলেও বিস্ময়ের অবকাশ থাকবে না। এখনও পর্যন্ত সংখ্যার হিসেব যা বলছে, তাতে সিপিএম-কে জায়গা ছাড়তে উপযাজক হতেই দেখা যাচ্ছে তৃণমূলকে। যে-কারণে পুরুলিয়ায় বিজেপি ছেড়ে দলে দলে সিপিএম-এ যোগদানের হিড়িক উঠতেই ‘ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে ফিরেছে’ বলে স্বগতোক্তি করতে হচ্ছে তাদের। এমনকী, নিজেদের দলে ভাঙনের ক্ষেত্রেও দলত্যাগীদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে দেগে দেওয়ার পরিবর্তে ভুলভ্রান্তি দূর করার কথা বলতে হচ্ছে নেতাদের। কিন্তু তাতেও মুখরক্ষা হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: টাটা ন্যানো থেকে তাপসী মালিক, কেন বারবার মমতার মুখে বিকৃত প্রসঙ্গ?
কারণ শিক্ষক নিয়োগ থেকে গরু ও কয়লাপাচার, কাটমানি বিতর্ককে একপাশে সরিয়ে রাখলেও, ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষত এখনও দগদগে। ২০০৮ সালে যেখানে মাটি কামড়ে পড়ে থেকে বামেদের প্রাপ্ত ভোট ৫২ শতাংশে নামিয়ে এনেছিল তৃণমূল, ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার দু’বছরের মধ্যে ২০১৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে আবার জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে নিজেদের প্রাপ্ত ভোটের হার বাড়িয়ে যথাক্রমে ৬৪.৩৬, ৫৭.৪২ এবং ৫১.৫৮ শতাংশে নিয়ে যায় তারা। সেই রেশ ধরে রেখেই ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৪টিতেই জয়ী হয় তৃণমূল। সোনায় সোহাগা হয় ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে প্রাপ্ত ২১১টি আসন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রায় ৩০ হাজার গ্রাম পঞ্চায়েতকে নিজেদের দখলে এনে ফেলে তৃণমূল। বিরোধীদের প্রচারে বাধা দেওয়া থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে না দেওয়ার অভিযোগও ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে আক্রান্ত হন তৎকালীন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা বিশ্বনাথ কারক, ঘটনাচক্রে যিনি এখন বিজেপি-তে, প্রাক্তন সিপিআই সাংসদ তথা পলিটব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র ডোম। তার পর ভোট চলাকালীন বেনজির হিংসার ঘটনার সাক্ষী থাকে বাংলা। নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তায় ভর করেই হোক বা হিন্দুত্বের হাওয়া পালে লাগিয়ে, এই সময় থেকেই বাংলায় গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করে বিজেপি। এমনকী, সেই প্রথম বাম, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি-র মুখোমুখি লড়াই প্রত্যক্ষ করেন বাংলার মানুষ।
২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই গা-জোয়ারির চরম মাশুল দিতে হয় তৃণমূলকে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনেই ১২টি আসন হাতছাড়া হয় তাদের। ১৮টিতে জয়লাভ করে বিজেপি। তাঁদের কোনও ক্ষতি হয়নি, সিপিএম-এর ভোটের ভাগই বিজেপি-তে গিয়েছে বলে সেই সময় পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু ২০১৮ নিয়ে আক্ষেপের সুরও বারবার উঠে এসেছে তাঁদের গলায়। যে-কারণে দলের তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার্তা দিতে হয় যে, দু’-চারটি আসন হারলে ক্ষতি নেই। কিন্তু গা-জোয়ারি করা চলবে না। রাজ্যকে বিরোধীশূন্য করতে হলে, তা করতে হবে মানুষের ভালবাসা পেয়ে।
আচমকা বিবেকবোধ জাগ্রত হয়ে, আবেগে উদ্বেল হয়ে ওই মন্তব্য করেননি অভিষেক। বরং নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলে যাওয়া প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া বস্তা বস্তা টাকা, ড্রয়ারভর্তি গয়নার কথা তখন মুখে মুখে ফিরছে মানুষের। বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল, ভোট করানোয় বরাবর হাতযশ যাঁর, তিনিও গরুপাচার মামলায় হেফাজতে। কয়লাপাচারে মলয় ঘটকের নাম যেমন জড়িয়েছে, তদন্তকারীদের সামনে হাজিরা দিতে হয়েছে স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তাঁকেও। অভিযোগ এখনও প্রমাণ হয়নি বটে, দোষী সাব্যস্ত হননি কেউ, তদন্তকারীদের ব্যবহার করে বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে কলকাঠি নাড়ছে কিনা, সেই প্রশ্নও বিচার্য বিষয়।
কিন্তু জনমানসে অসন্তোষ তৈরি হয়েছ, তা বুঝতে পেরেছিলেন মমতার উত্তরসূরি অভিষেক। তাই পুরাতনকে ঠেলে সরিয়ে, নয়া তৃণমূল গড়ার লক্ষ্যেও অগ্রভাগে রয়েছেন তিনিই। সময় থাকতেই তাই ঝাড়পোঁছ করতে নেমেছিলেন। কিন্তু শহর কলকাতার বুকে চাকরির দাবিতে একটানা আন্দোলন, চাকরিপ্রার্থীদের সরকার বিরোধী অবস্থান, সরাসরি মমতার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন, ফের সংকট ডেকে এনেছে তৃণমূলের জন্য। কারণ এই চাকরিপ্রার্থীদের বড় অংশই গ্রাম থেকে আসা ছেলেমেয়ে। জল-খাবার, পাওয়ার ব্যাঙ্ক এবং পরিবারকে নগদের জোগান দিয়ে বিজেপি তাঁদের ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করলেও, কর্মসংস্থানের প্রশ্নে সরকারের জবাবদিহির জায়গা যে তৈরি হয়েছে, তা অস্বীকার করতে পারছেন না তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশও। আর এই অনিশ্চয়তাকেই কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি।
২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনেই জঙ্গলমহলের অন্তর্গত পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে বেশ কিছু আসন নিজেদের দখলে এনে ফেলে বিজেপি। পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়াতেও মুখে হাসি ফোটে তাদের। পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে প্রাণসঞ্চার করে উত্তরবঙ্গকেও মোটামুটি মুঠোয় এনে ফেলে তারা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এর মধ্যে অধিকাংশ এলাকাই তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অনগ্রসর শ্রেণি অধ্যুষিত। ২০১১-র আগে পর্যন্ত ওই জায়গাগুলিতে একচেটিয়া আধিপত্য ছিল সিপিএম এবং বামফ্রন্টের। চা-বাগানের ভোটও ধরাবাঁধা ছিল তাদের। কিন্তু রাজ্যে লাল আবেগ যত ক্ষীণ হতে শুরু করে, ততই গেরুয়ার প্রলেপ গাঢ় হতে থাকে।
হিন্দি বলয়ে উচ্চবর্ণের ভোটকে হাতিয়ার করলেও, বাংলায় বিজেপি-র কৌশল ছিল একেবারে ভিন্ন। কলকাতাবাসীকে অতি-শহুরে আখ্যা দিয়ে আগেই তিলোত্তমার বিরাগভাজন হয়েছে তারা। তাই তৃণমূল-স্তরকেই কাছে টানার প্রচেষ্টা শুরু করে তারা। আর সেই কাজে তাদের সহায়ক হিসেবে এগিয়ে আসে অভিভাবক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলিতে স্কুল তৈরি করে শুরু হয় যে যাত্রা, তা পূর্ণতা পায় ইতিউতি ছোট ছোট মন্দির নির্মাণে। গ্রামেগঞ্জে এতটাই শিকড় বিস্তার ঘটেছে সঙ্ঘের যে, মূর্তিপুজোর ঘোর বিরোধী জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারও শাঁখা-সিঁদুরের সাজকে আপন করে নিতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে অংশ নিতে শুরু করেন ভজন-কীর্তন এমনকী, হনুমান চালিশা পাঠেও। জনজাতি ও ধর্মান্তরিত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে ‘মূল ধর্মে’ ফিরিয়ে আনতে মাঠে নামানো হয় কমলি সোরেনের মতো বাছাই করা মুখকে। ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান দিয়ে কমলির ‘ঘর ওয়াপসি’ কর্মসূচিতে বসিয়ে দেওয়া হয় সরকারি সিলমোহরও, খেটে খাওয়া, পিছিয়ে পড়া মানুষের প্রতি সরকারের সহমর্মিতা বোঝানোর পক্ষে যা ছিল যথেষ্ট।
সংঘর তৈরি সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়েই বাকিটা দেখে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বিজেপি। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনেই তার সুফল মেলে। ২০১৬-র তিনটি আসন থেকে ২০২১-এ একেবারে ৭৭-এ লাফিয়ে উঠে আসে তারা। নির্বাচন-পরবর্তী ঝড়ঝাপটা সামলে এখনও ৭৪ আসন ধরে রেখেছে তারা। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের ভোট করানো নেতা, জোড়াফুলের খুঁটিনাটি নখদর্পণে থাকা শুভেন্দু অধিকারীও পদ্মশিবিরে দাপুটে ব্যাটিং চালিয়ে যাচ্ছেন। কথায় কথায় সিবিআই, ইডি জুজু দেখিয়ে যেভাবে নিত্যদিন রাজ্যকে নাস্তানাবুদ করার হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছেন তিনি, তাতে বিরোধী হিসেবে কার্যতই কল্কে পাচ্ছে না বাম এবং কংগ্রেস। সিপিএম এবং বাম শিবিরের যুব সংগঠনগুলি যাহবা মাঠে-ময়দানে নামছেন, তৃণমূলের মোকাবিলায় বিরোধী নেতা হিসেবে শুভেন্দুর উচ্চতায় উঠে আসতে পারছেন না বাম অথবা কোনও কংগ্রেস, কোনও শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বই। চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনই তার প্রমাণ। তৃণমূল সরকারকে বিপাকে ফেলতে আগাগোড়া সেখানে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের। পুলিশ আন্দোলন তুলে দেওয়ার পর তাঁরাই প্রথম প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা করেন। বাম এবং কংগ্রেসের তরফে ঘোষণা হয় ঢের পরে।
বিরোধী হিসেবে বিজেপি-র এই একক আধিপত্য যত না ভাবাচ্ছে বাম-কংগ্রেসকে, তার চেয়েও বেশি উদ্বিগ্ন করে তুলেছে তৃণমূলকে। রাজ্যে বিজেপি-কে শায়েস্তা করতে গেলে কেন্দ্রে তাদেরই সরকারের কোপে পড়তে হচ্ছে। বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে লাগাতার। ফলে জনমোহিনী প্রকল্প তুলে ধরে এগনো সম্ভব হচ্ছে না তাদের পক্ষে। পার্থ, অনুব্রতরা জেলে যাওয়ার পর আর কার ওপর কোপ এসে পড়ে, সেই আশঙ্কাও তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। আরও একটি বিষয় উদ্বেগে রেখেছে তৃণমূলকে, তা হলো, ভোট করানোর লোকের অভাব। পার্থ-অনুব্রত নেই। কানাগলি থেকে রাজপথ, সর্বত্র বিচরণ ছিল যাঁর, সেই সুব্রত মুখোপাধ্যায় বেঁচে নেই। জেলাস্তরে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের আকচাআকচির কথা সর্বজনবিদিত।
এমন পরিস্থিতিতে স্থান-কাল-পাত্র বুঝে মেপে পা ফেলতে হচ্ছে তৃণমূলকে। ২০১৮-র মতো ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা যাতে সর্বাত্মক আকার ধারণ না করে, তা নিয়ে এখন নিয়ম বেঁধে দিতে হলেও আপত্তি নেই তাদের। একই সঙ্গে এলাকাভিত্তিক পৃথক প্রচার অভিযানের সংকল্প রয়েছে তাদের। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই সীমানা পুনর্বিন্যাস এবং আসন সংরক্ষণের কাজ প্রায় হয়ে এসেছে। তাতে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে আরও ১৪,০৯৬টি নতুন আসন তৈরি হতে চলেছে বলে খবর। বাড়তি আসন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাদের অক্সিজেন জোগাবে কি না, পৌর নির্বাচনের মতো বিজেপি-কে টেক্কা দিয়ে সিপিএম হৃত জমি উদ্ধার করতে সফল হবে কি না, বিজেপি-র রাজনৈতিক আগ্রাসন ভোটবাক্সে কোনও প্রভাব ফেলবে কি না, তা সময়ই বলবে।