পারাপারহীন ভালোবাসা আর কান্নাকে যেভাবে কবিতায় এনে বসিয়েছেন হিন্দোল ভট্টাচার্য...

Hindol Bhattacharya Shreshtho Kobita Review : হিন্দোলের এ পর্বের কবিতায় বারবার শস্যের কথা এসেছে, সুন্দর ও গানের কথা এসেছে।

‘সে লেখাই আমার কাছে প্রিয় যে লেখা একজন লেখক তাঁর রক্তে কলম ডুবিয়ে লেখেন,’ নীৎশে তাঁর ‘দাস স্পোক জরাথুস্ট্র’ গ্রন্থে এ কথা লিখেছিলেন। প্রতি মুহূর্তে নিজের গভীরে ডুব দিয়ে গভীরতর অনুসন্ধান করে যাওয়াই একজন প্রকৃত কবির কাজ। গত কুড়ি বছরে প্রকাশিত চোদ্দটি কাব্যগ্রন্থ থেকে নির্বাচিত কবিতা নিয়ে এ সময়ের উল্লেখ্য কবি হিন্দোল ভট্টাচার্যর ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। এই গ্রন্থের কাছে বারবার ফিরে মনে হয় শুধু শিল্প বা সৃষ্টির রহস্য আবিষ্কার করাই নয়; একজন গুরুত্বপূর্ণ কবির অভিযাত্রায় লুকিয়ে থাকে নিজেকে আবিষ্কার করার বিষয়টিও।

হিন্দোলের কবিতার জগতে প্রবেশ করবার আগে গ্রন্থের ‘ভূমিকা’য় তাঁর দুটি ছোট্ট বাক্য মনে রাখা দরকার, তিনি লিখছেন, ‘কবিতা এক অপ্রত্যাশিতের শিল্প। আত্মবিলোপের শিল্প’। ফলে, এক উত্তুঙ্গ স্তরে পৌঁছে স্রষ্টা ও সৃষ্টি অভিন্ন হয়ে ওঠে। এমনকী স্রষ্টার বিলোপ ঘটাও পূর্বধার্য বিষয়, উপলব্ধির এ স্তর থেকে হিন্দোলের কবিতার কাছে যাওয়াই শ্রেয়। প্রাকরণিক কুশলতার থেকেও বেশি প্রকরণবোধের সূক্ষ্মতা, অন্বয়ী ও অনন্বয়ীর মধ্যে সংঘর্ষ, সংবেদনশীলতাকে আশ্রয় করে আবর্তিত হয়েছে হিন্দোলের কবিতার জগৎ।

বাংলা কবিতার দশকওয়াড়ি বিভাজন নিয়ে ঘনিয়ে ওঠা প্রশ্নগুলিকে একদিকে সরিয়ে রেখে বলা যায় একজন কবির আবির্ভাবের সময়টিকে সূচিত করতে এটি বেশ সহায়ক এবং এই নিরিখে হিন্দোলের আবির্ভাব নয়ের দশকের মাঝামাঝি। নয়ের দশকের শুরু ও মধ্যপর্ব ছিল ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ। বিশ্বায়ন, টেলিকমিউনিকেশন বুম, উপসাগরীয় যুদ্ধ, পৃথিবী জুড়ে টোটালিট্যারিয়ান রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই এবং সে শক্তির পতন তীব্র অভিঘাত তৈরি করেছিল সারা বিশ্বে। দ্বিমেরু বিশ্বের প্রায়-অবলুপ্তি ও ক্ষমতাকাঠামোর বিন্যাস পরিবর্তন অনিবার্যভাবে ছাপ রাখতে শুরু করেছিল শিল্প-সাহিত্যে। হিন্দোলের কবিতার অন্দরে নিশ্চয় তলে তলে শিকড় চারিয়ে ছিল সময়ের এসব জরুলচিহ্ন। কিন্তু অত্যন্ত বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করতে হয় তার প্রথম তিনটি কাব্যগ্রন্থে, ‘তুমি, অরক্ষিত’ (২০০২), ‘আবার হেমন্তকাল’ (২০০৬), ‘তারামণির হার’ (২০০৮) এ বিষয়গুলির প্রকাশ্য উপস্থিতি খুব কম। এ সময়কালে প্রকাশিত সমসাময়িক বহু কবির কবিতায় এ বিষয়গুলির প্রকাশে বহিরঙ্গের যে মেধা-বিচ্ছুরণ দেখা যায় হিন্দোলের এ পর্বের কবিতা যেন তার থেকে দূরবর্তী এক দ্বীপের।

আরও পড়ুন-‘দৈব’: পার্থিব কবিতার শিরায় জড়িয়ে থাকা মহাজাগতিক আখ্যান

কিন্তু কেন তিনি বেছে নিয়েছিলেন এই পথ? কার্নিভাল-সুলভ আধুনিকতাকে তিনি অনুচ্চ অথচ দৃঢ় স্বরে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। প্রথম থেকেই তিনি আস্থা জ্ঞাপন করেছিলেন ব্যক্তিচেতনা-সম্ভূত ‘আধুনিকতা’র উপর। কোনও ‘বিকল্প’ বা ‘প্রতি’ আধুনিকতা নয়; হিন্দোলের শিল্প ‘ব্যক্তিগত আধুনিকতা’র উপর স্থাপিত হয়ে রয়েছে।

আজ মনে হয় এ বিষয়টিই হিন্দোলের কবচকুণ্ডল হয়ে উঠেছে। একদম প্রথমদিকে তাই হয়তো তিনি লিখেছিলেন, ‘আমার যাওয়ার কোনও পথ নেই, তাই ঘুরি সন্ধ্যার বাতাসে / শীতের মতন’ (প্রেম)।

এই ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ একজন কবির বহুবর্ণিল অভিযাত্রার অনুপম দলিল’ও বটে। এখানে ‘তারামণির হার’ ও ‘জগতগৌরী কাব্য’ পাশাপাশি অবস্থান করছে। ‘তালপাতার পুঁথি’র আশ্চর্য নিরীক্ষণপ্রবণ কাব্যজগতের সঙ্গে রয়েছে ‘যে পথ বাউল’। ‘তারমণির হার’-এ হিন্দোল মুহূর্তের দিকে তাকিয়ে আবিষ্কার করতে চেয়েছেন সৃষ্টির মহা-জ্যামিতি’কে। একান্তে জীবনের এই মেটাথিয়েটারের দিকে তাকিয়ে, অতিপরিচিত অন্ধকারে সে দেখেছে, ‘নশ্বর ছায়ার কাছে / পাখিও খবর নিতে আসে… / মৃত্যু নয়, তারও কিছু / আগের আকাশে’ (১)।

কিন্তু হিন্দোলের কবিতায় সময়ের সংকট ও সংক্ষোভ কি অনুপস্থিত’ই রয়ে গেল? একজন কবির মনোজগতে যে কী পরিমাণ বহুরৈখিক বিষয় কাজ করে যায় তার সার্থক উদাহরণ ২০০৯ সালে প্রকাশিত ‘জগতগৌরী কাব্য’। হিন্দোলের কাব্যজীবনের এ এক সন্ধিক্ষণ, পুনরুল্লেখের খেলায় কোনও দিন মেতে না-উঠলেও, এ গ্রন্থ হিন্দোলের অদৃশ্য উল্লম্ফন বহন করে চলেছে। তাঁর কবিতায় তত্ত্বীয় ক্ষেত্রটি উর্বর; কিন্তু তত্ত্বকে শিল্প হয়ে উঠতে গেলে অতিক্রম করে যেতে হয় বেশ কতগুলি ধাপ। এ গ্রন্থের আলোচনা করার সময় অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত অতীব গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ লিপিবদ্ধ করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘একাধারে নির্মম আত্মনগ্নায়ন এবং পরিণামী নির্মল দেবায়নের যুগ্ম প্রেক্ষিতে হিন্দোলের সনেট থেকে সনেটের বিতত ফ্রেস্কোয় অনন্যমনস্ক হয়ে পড়ি…।’

নতুন সহস্রাব্দে হিন্দোল বাংলার প্রায়-লুপ্ত হয়ে আসা বেশ কিছু মুখচ্ছবি, কৌমসমাজের আশ্চর্য বেঁচে থাকা ও মানুষের মৃত্তিকাসংলগ্ন জীবনকে আবিষ্কার করতে শুরু করেছিলেন। উপনিবেশের দীর্ঘ ছায়ার নীচে ক্রমশ ধূসর হয়ে আসা এক বিরাট ক্ষেত্র; সে ক্ষেত্র আবার কাঁপতে শুরু করেছে ‘নিওকলোনিয়ালিজম’-এর থাবার নিচে। বাংলার মিশ্র-সংস্কৃতি, মঙ্গলকাব্য থেকে শুরু করে ফিরিঙ্গি ও ওলন্দাজ, লোক-উৎসব, সব এসে আশ্রয় নিচ্ছিল হিন্দোলের সনেটের ভেতর। প্রকরণ হয়ে উঠছিল মেটা-ন্যারেটিভের কাছাকাছি।

প্রতিরোধের প্রকাশ্য ও কিছুটা প্রথাগত ধারার পাশাপাশি হিন্দোল কি তাঁর কবিতায় ইনফার্নোর সামনে দাঁড়িয়ে বুনে রেখে দিলেন ভিন্ন ধরনের প্রতিরোধ? অতিকায় নগরের পেটের ভেতর একলা এক মানুষের জেগে থাকা ও বেঁচে থাকার মধ্যে ছড়িয়ে রয়েছে সে প্রতিরোধ। ‘তালপাতার পুঁথি’, ‘যে গান রাতের’, ‘এসো, ছুঁয়ে থাকি’ ইনফার্নোর সামনে দাঁড়িয়ে একলা মানুষের অস্তিত্বনিয়তির ক্রন্দনধ্বনি।

উন্মেষপর্বের থেকে এই মধ্যপর্বে তিনি অনেক বেশি নৈর্ব্যক্তিক। এখানেও তিনি ‘একক’ মানুষ’ই, সভ্যতার হিংস্র, রণোন্মাদ ও ঘাতক রূপ দেখে কেঁপে উঠছেন। যে প্রবণতা রাজনীতি, ধর্ম, সমাজ-ব্যবস্থায় আধিপত্যবাদের মূলে জল দিয়ে চলেছে তার বিরুদ্ধে কবির একমাত্র অস্ত্র আবহমানের শুভবোধ, অন্ধকার সমুদ্রের উল্টো তীরে জেগে থাকা আশা-দ্বীপ আর শস্যের চারপাশে ছেয়ে থাকা সবুজের মতো ‘শিল্প’। বহু জায়গায় তিনি প্রবল রাজনৈতিক, কিন্তু তা যূথচারী মানুষের ক্ষমতা দখলের পাশবিক উল্লাস নয়। ইতিহাসের নির্মিত ন্যারেটিভকে গোপন আক্রমণে ধসিয়ে দিয়েছেন হিন্দোল।

হিন্দোলের এ পর্বের কবিতায় বারবার শস্যের কথা এসেছে, সুন্দর ও গানের কথা এসেছে। লন্ডনে ৩ জুন, ২০১৭-তে ঘটে যাওয়া, ধর্মান্ধের হাতে নারকীয় হত্যাকাণ্ড তাঁকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছিল, ‘গান তোমাদের ধর্ম নয়, তাই অস্ত্র হাতে ধর্ম দিয়ে মারো’। যে ধর্ম প্রতিষ্ঠান হয়ে সংকীর্ণ হয়েছে, যে ধর্ম রক্তপাতের ও মৌলবাদের তার থেকে বহুদূরে, ভিন্ন গ্যালাক্সিতে সন্ধ্যামালতীর মতো ফুটে থাকা অধ্যাত্মবাদ হিন্দোলের বড় আশ্রয়। ফলে তুমুল প্রতীতি থেকে তিনি উচ্চারণ করতে পারেন, ‘তিনি আসবেন। অপেক্ষায় থাকো। দেখা হবে’ (রামপ্রসাদী)।

দু-মলাটের ভেতর হিন্দোলের এই ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’র কাছে বারবার এসে মনে হয়, একজন প্রকৃত স্রষ্টার দৃষ্টি উত্তল ও অবতল- দু’-ধরনের লেন্সের মধ্যে দিয়েই ছুটে যায়। তাঁর বিস্তার একই সঙ্গে অনুভুমিক ও উল্লম্ব। যেটুকু আপাত অসংলগ্নতা তাই আসলে শিল্পের মহা-সত্য। হিন্দোলের কবিতায় এই দুই বিস্তারই ‘সত্য’ হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন- নারীত্বের মন্ত্রোচ্চারণে বাংলা কবিতার বাঁক বদলাতে পারেন কবি অমৃতা ভট্টাচার্য

দু'মলাটের ভেতর ধরা হিন্দোলের কবিতা আমাদের এটি আরও একবার স্মরণ করিয়ে দেয়, প্রান্তরের পর প্রান্তরে একাকী ছুটে যাওয়া ও দিগন্তরেখার কাছে দাঁড়িয়ে রহস্যময়, অচেনা রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়া একজন প্রকৃত কবির জীবনধর্ম। ক্রমশ তাঁর বোধ যে উচ্চতায় আরোহণ করে সেখানে প্রেম, পূজা, দ্রোহ ইত্যাদির পৃথক কোনও সীমারেখা থাকে না। এমনকী জীবন ও মৃত্যুর মাঝে পড়ে থাকা চিনের প্রাচীরের মতো সীমাও মুছে যায়। কী আশ্চর্য, জীবনের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থে হিন্দোল লিখেছিলেন, ‘মৃত মুখ, কী নিবিড় রাখালের বাঁশি শুনে দূরে তাকিয়েছে...’। মাত্র এক পঙ্‌ক্তির উচ্চারণ। আবার ত্রয়োদশ কাব্যগ্রন্থে তিনি লিখছেন, ‘ঠাকুরঘরের মতো, এক কোণে, ভালোবাসা থাকে। মুখচোরা, অভিমানী। যাই, খালি পায়ে। বলি প্রসাদ পাব না? / মৃদু হেসে সে আমায় জল-বাতাসা দেয়। রবীন্দ্রসংগীত যেন। ধীরে লয়ে গাওয়া।’

ফলে দেখা যাচ্ছে, লেখা শুরুর দিনগুলি থেকেই হিন্দোলের দর্শন অত্যন্ত উচ্চভূমিতে স্থাপিত ছিল। আরও অবাক করা, তাঁর প্রামাণ্য সংখ্যক কবিতা পড়তে পড়তে মনে হয় তিনি রীতিচতুর নয়; আরোপিত দুষ্প্রবেশ্যতা নেই তাঁর কবিতায়, অথচ তিনি গোপনে নিরীক্ষাপ্রবণ। নিখুঁত সনেট থেকে শুরু করে গদ্যছন্দে লেখা কবিতা; এমনকী একই কাব্যগ্রন্থে অক্ষরবৃত্তে ও গদ্যছন্দে লেখা কবিতাকে রেখে বিচিত্র পরীক্ষা করেছেন। এক্ষেত্রেও তাঁর ব্যক্তিগত আধুনিকতার বোধই সব থেকে বড় রক্ষকবচ হয়ে রয়েছে। অনেক সময়েই কবি তার নিজের চারদিকে এক দেওয়াল তুলে ফেলেন; সে দেওয়াল শেষ পর্যন্ত ঘাতক হয়ে ধরা দেয়। যে ‘কমফোর্ট জোন’ তৈরি হয় তার ভেতর অন্ধ যক্ষের মতো ঘুরে বেড়াতে শুরু করেন কবি। হিন্দোল সেটিকে ভেঙে দিয়েছেন। সে ভাঙচুর বহিরঙ্গের থেকেও অন্তরঙ্গে বেশি। তথাকথিত আধুনিকতার বাইরে বেরিয়ে গিয়ে সংযুক্তির বোধ থেকে সে নিরীক্ষা চলেছে বলে দৃশ্যমান ‘অ্যনার্কি’ নেই। নেই নিচু-বাস্তবতা থেকে উঠে আসা উচ্চকিত, অনুচ্চ স্বর।

হিন্দোল জীবনের কথাই লিখেছেন, রক্তে কলম ডুবিয়েই লিখেছেন। সমস্ত অপমান, নাগরিক নিষ্ঠুরতার ছোবল, প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি জেগে থাকা শিউলি ফুলের মতো ভোর, পারাপারহীন ভালোবাসা আর কান্নাকে কবিতায় এনে বসিয়েছেন তিনি। কিন্তু ‘প্রাত্যহিকতা’র ভিতর’ই শেষ হয়ে যায়নি তাঁর সফর। তিনি সন্ধান করেছেন প্রাত্যহিকতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা বিষয় ও ঘটনাসমূহের সঙ্গে বৃহতের সংযোগ। অন্তর্বস্তুহীন শূন্যতার কথা লেখেননি তিনি। ফলে তাঁর কবিতা হয়ে উঠেছে অদৃশ্য ট্রাপিজ; একইসঙ্গে খেলা করতে শুরু করেছে জীবনের টলটলে মায়া ও আনন্দ-বিষাদ এবং দর্শন ও নন্দনতত্ত্বের গূঢ় ও জটিলতম জিজ্ঞাসা। কবিতার কুহকের মধ্যে তত্ত্বচিন্তার বিন্যাস এবং তত্ত্বচিন্তার বিন্যাসের ভেতর কবিতার কুহক বহমান রয়েছে; তাদের পৃথক অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়েছে।

যে কোনও সময়ে, যে কোনও ভাষার কবিতার সব থেকে ঘাতক উপাদান তার একাংশের উপরিচর প্রবণতা। হিন্দোলের জীবনবোধ ও শিল্পবোধ গূঢ়; প্রশ্নাতুর, কুহকভরা। হিন্দোলের কবিতায় সহজাত স্বতঃস্ফূর্ততা আছে, গূঢ়ার্থও আছে প্রবলভাবে। এটিই সব থেকে স্বস্তি ও আনন্দের বিষয়। তাঁর কবিতা চম্পুকাব্যের থেকে দূরে একটি স্বতন্ত্র দ্বীপ হয়েই জেগে উঠছে।

শ্রেষ্ঠ কবিতা - হিন্দোল ভট্টাচার্য
প্রচ্ছদ – দেবাশিস সাহা
প্রকাশক - দে’জ পাবলিশিং
মূল্য – ৩৫০ টাকা

 

More Articles