কলেজ ক্যাম্পাসের পাশেই গণধর্ষণ! আরজি করের ছায়া দুর্গাপুরেও?
Durgapur Medical Student Gang Rape: মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে ঘটা এই ঘটনায় কলেজের সুরক্ষার বিষয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। নির্যাতিতার বাবা বলছেন, কলেজে কোনো সুরক্ষা নেই।
আরজি করের স্মৃতি এখনও দগদগে। এর মধ্যেই আবার এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণ। আরজি করের পর এবার দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতাল। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে দ্বিতীয় বর্ষের মেডিক্যাল ছাত্রীকে গণধর্ষণ। নির্যাতিতার বাড়ি ওড়িশার জলেশ্বরে। ইতিমধ্যেই, এই ঘটনায় ৩ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নির্যাতিতার মা জানান, নির্যাতিতা ডাক্তারি পড়ুয়া শুক্রবার রাতে বন্ধুর সঙ্গে খাবার খেতে যায় কলেজের বাইরে। তারপর ৩ জন দুষ্কৃতি পথ আটকায় তাঁদের। সেই বন্ধুর সঙ্গে সঙ্গে নির্যাতিতাও দৌড়াতে থাকে। তারপর বন্ধু পালিয়ে যায়। এবং সেই ৩ জনের সঙ্গে যোগ দেয় আরও ২জন। জঙ্গলের দিকে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। চিৎকার করলে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। পরে সে হোস্টেলে ফিরে জানালে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাঁর বাড়িতে খবর দেওয়া হয়।
মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে ঘটা এই ঘটনায় কলেজের সুরক্ষার বিষয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। নির্যাতিতার বাবা বলছেন, কলেজে কোনো সুরক্ষা নেই। তাঁর মেয়ের কয়েকটা বন্ধু সাহায্য করছেন কেবল। কলেজ কর্তৃপক্ষ সহায়তা তো করছেনই না। এরকম সংবেদনশীল ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও তাদের পক্ষ থেকে কোনো সংবেদনশীল আচরণ তিনি পাননি। ফলে, গোটা ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরেছেন নির্যাতিতার পরিবার।
আরও পড়ন
দুর্গাপুর গণধর্ষণ! এখনও পর্যন্ত যে তথ্য সামনে আসছে
কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সুদর্শনা গাঙ্গুলী জানান, "নির্যাতিতা এবং তাঁর সহপাঠী দুজনই দ্বিতীয়বর্ষের পড়ুয়া। তাঁরা রাত্রি ৭.৫৮ মিনিটে বের হয়। ছাত্রটি ফিরে আসে তখনও কোনও অভিযোগ সামনে আসেনি। ছাত্রীটি ফিরে এসে ক্যাম্পাসের বাইরে তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার এবং নিগৃহীত হওয়ার অভিযোগ জানান।" তিনি আরও বলেন, "নির্যাতিতাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আমাদের সর্বাধিক উদ্বেগ তাঁর শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা নিয়ে। আমরা তদন্তে পুলিশের পূর্ণ সহায়তা করছি।" ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "আমি উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছি পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে। নির্যাতিতার পরিবারকে সর্বত ভাবে সহায়তা ও সমর্থন করবে ওড়িশা সরকার।"
ঘটনার পর পরই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়। রাতভর তল্লাশি চালানো হয়। পুলিশ ড্রোন উড়িয়ে তদন্ত চালায়। পুলিশের সন্দেহ ছিল জঙ্গলেই লুকিয়ে এই দুষ্কৃতীরা। তাই রাতভর চলে তল্লাশি। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর পুলিশের জালে ৩। বাকি আরও ২। খবর পুলিশ সূত্রে।
আবারও একটা আর জি কর! সরকারি কলেজ হোক বা বেসরকারি, প্রতিষ্ঠানের ভেতরে হোক বাইরে, নিরাপত্তা কোথায়? উঠছে প্রশ্নের ঝড়
Whatsapp
