নিবেদিতার ভালবাসার সর্বনাশ হয়েছিল বিবেকানন্দর কাছে
ভালবাসায় আর কারও কাছে কখনও কেন ব্যক্তিগতভাবে যেতে পারবেন না নিবেদিতা? যেতে পারবেন না, কারণ স্বামীজির কাছেই যে তাঁর সবটুকু নাশ হয়ে গেছে। সেই সর্ব নাশের পর তাই নিবেদিতা নিজেকে ছড়িয়ে দিলেন মানুষের কাজে।
সম্প্রদান কারক নিয়ে বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছিল সে সেই ইস্কুলবেলায়। সম্প্রদান কারকের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছিলেন মাস্টারমশাই। বলেছিলেন, কোনও দেওয়াই আমাদের নিঃশর্ত নয়, অধিকারের দাগ লেগে থাকে যে-কোনও দেওয়ার মধ্যেই। আর যদি লেগে থাকে, তা তাহলে তো আর তা সম্প্রদান কারক হল না। এমনকী ভিখিরিকে যখন কিছু দিতে যাই, সে দেওয়ার মধ্যে থাকে দানবীর হিসেবে নাম কেনার বাসনা।
মেনেই নিয়েছিল। কিন্তু পুরোপুরি মানতে দিলেন না রবীন্দ্রনাথ। তাঁর লিপিকা নামের বইটি ‘তাহার’ বড়ো প্রিয়। 'লিপিকা'-র প্রথম গুচ্ছের লেখাগুলির মধ্যে মিশে আছে গভীর নীরবতা। সেখানে রবীন্দ্রনাথ যেটুকু কথা বলছেন, তার থেকে অনেক বেশি থেকে যাচ্ছে না-বলা কথা। সেকথা বুঝে নিতে হয়, মনে মনে। 'লিপিকা' নামের এই বইটি পড়তে হয় বর্ষাকালে। কারণ বর্ষায় তো সেই ঋতু যে কেবল বৃষ্টিধারার ধ্বনি-তরঙ্গই নিয়ে আসে না, নিয়ে আসে মেঘমালা– ভাসমান নীরব সেই মেঘ না-বলা কথার পুঞ্জ। তাদের দিকে তাকিয়ে বুঝে নিতে হয়, মনে মনে, কী বলছে না তারা।
রবীন্দ্রনাথের 'লিপিকা'-য় আছে ‘মেঘলা দিনে’ নামের একটি লেখা– বলা কথা আর না-বলা কথার জোড়ায় সে লেখাটি গাঁথা। নিটোল গদ্য-কবিতা যেন একখানি। সেখানে আছে দুই মানুষের কথা। একজন দেবেন আর একজন নেবেন। যিনি দিতে চান, তিনি ভাবছেন, ‘আমার চিরদিনের সেই আরেকজনটি কোথায়, যে আমার হৃদয়ের শ্রাবণ মেঘকে ফতুর করে তার সকল বৃষ্টি কেড়ে নেবে!’ এই বাক্যে ফতুর শব্দটির সামনে থমকে দাঁড়াতে হয়। ফতুর হতে পারার মধ্যে যে এমন আনন্দ থাকে, ফতুর হওয়ার বাসনাই যে হতে পারে মেঘলা দিনের বাসনা, তা এমন করে রবীন্দ্রনাথের আগে কেউ কি উচ্চারণ করেছিলেন বাংলা ভাষায়।
আরও পড়ুন: প্রেমের চেয়ে বড় বন্ধুতা? বলিউডে না হলেও বাংলা সাহিত্যে
কাকে বলে ফতুর হওয়া? তার উত্তর রবীন্দ্রনাথ দিয়েছিলেন আরেকটি লেখায়। ‘চার অধ্যায়’ উপন্যাসে আছে তা। এক সময় ফিরত প্রণয়-সন্ধানী বাঙালি-যুবাদের ঠোঁটে – ‘সেদিন চৈত্রমাস/ তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ’। কাকে বলে সর্বনাশ? লৌকিক অর্থে এখানে সর্বনাশ শব্দটি প্রয়োগ করেননি রবীন্দ্রনাথ– গভীর অর্থে করেছিলেন। সর্বনাশ মানে আমার আমিত্ব হারিয়ে যাওয়া, যখন আমার আমি-টুকু নিঃশেষে কেউ নিতে পারলে, তখনই তো হলো সেই সর্বনাশ। এই সর্বনাশ কার কাছে হয়? হয় সেই চিরদিনের আরেকজনের কাছে। যে আমার যথার্থ দোসর। যে আমার সবটুকু চাইতে পারে, আকর্ষণ করতে পারে, তার কাছেই হয় আমার সর্ব নাশ। সেই তো ভালবাসা– যথার্থ ভালবাসা, সবটুকু দিয়ে তার মধ্যে ডুবে যাওয়া। চূড়ান্ত আত্মসমর্পণ। ‘মেঘলা দিনে’ লেখায় ছিল সে-কথা।
কে আছে, যার ডাকে কাজের বেড়া ডিঙিয়ে এখনই আমার বাণী সুরের প্রদীপ হাতে বিশ্বের অভিসারে বেরিয়ে পড়বে? কে আছে, যার চোখের একটি ইসারায় আমার সব ছড়ানো ব্যথা এক মুহূর্তে এক আনন্দে গাঁথা হবে, এক আলোতে জ্বলে উঠবে? আমার কাছে ঠিক সুরটি লাগিয়ে চাইতে পারে যে, আমি তাকেই কেবল দিতে পারি। সেই আমার সর্ব্বনেশে ভিখারী রাস্তার কোন্ মোড়ে?
মন দিয়ে পড়া চাই এই পঙ্ক্তিমালা। একমাত্র তেমন ভিখিরির তানে আর গানেই একজন মানুষ নিজের সবকিছু ফতুর করে দিতে পারেন। এই সমর্পণ পাওয়ার যোগ্য ভিখিরি হয়ে ওঠা চাই। সম্প্রদান কারক তখনই সম্ভব, যখন সামনে আসেন চিরকালের, চির-নিজের যোগ্য রাজভিখিরি। কিন্তু সত্যি কি তিনি আসেন? না কি তার খোঁজে কেটে যায় আজীবন? সে ভিখিরির দেখা তো মেলে না সবার জীবনে– নাই মিলতে পারে, হয়তো মনে হল মিলেছে– তারপর নিজেকে ফতুর করে দিতে গিয়ে দেখা গেল সেই ভিখিরির বাটিখানি গভীর নয় তত– উপচে পথে পড়ে রইল তাকে দেওয়া ভিক্ষার ধন। যখন এই লেখাখানি প্রকাশিত হয়েছিল 'ভারতী' পত্রিকায়, রবীন্দ্রনাথ নাম দিয়েছিলেন তার ‘অক্ষমতা’। ক্ষম নই আমরা– দেওয়ার ও নেওয়ার জন্য ক্ষম নই, সমর্থ নই। জীবনের চলা আর অপেক্ষাময় জিজ্ঞাসা তাই জেগে থাকে। ‘সেই আমার সর্ব্বনেশে ভিখারী রাস্তার কোন্ মোড়ে?’
রবীন্দ্রনাথ যেমন খুঁজছিলেন যথার্থ ভিখারি, তেমনই নিজেকে প্রেমে সমর্পণ করার কথা ভাবছিলেন আরেকজনও। রবীন্দ্রনাথের থেকে মাত্র দু'-বছরের ছোট, পাশের পাড়াতেই ছিল তাঁর বাড়ি। সিমলে পাড়ার নরেন্দ্রনাথ দত্ত পরে বিবেকানন্দ হয়েছিলেন। তাঁর গুরু রামকৃষ্ণদেব তাঁকে অনুভব করিয়েছিলেন ভালবাসার ধর্ম। সেও একরকম সমর্পণ। 'কথামৃত'-তে আছে নুনের পুতুলের কথা। এই নুনের পুতুলের উপমাটি বড়ো ভালবাসতেন দার্শনিক বিমলকৃষ্ণ মতিলাল। নুনের পুতুল গিয়েছে সাগরের জল মাপতে। আর কি সে জলের ‘খপর’ দেওয়ার জন্য ফিরতে পারলে? পারলে না। খবর আনতে গিয়ে জলেই মিশে গেল। এ হলো জল থেকে এসে জলে মিশে যাওয়া। সাগরের জল থেকেই তো আলাদা করে নেওয়া যায় নুন। সেই নুন মিশে গেল তার উৎসে, আবার। ওই যে লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ আমার চিরদিনের আরেকজনের কথা, নুনের কাছে সাগরের জল সেই চিরদিনের আরেকজন।
বিবেকানন্দ এই রামকৃষ্ণের ভাবে বিভোর। রামকৃষ্ণ তখন প্রয়াত, অনেক ক'টা বছর কেটে গেছে। নরেন্দ্রনাথ শিকাগো-কাণ্ডে বিবেকানন্দ হয়েছেন। মার্গারেট নোবেলের সঙ্গে দেখা হয়েছে তাঁর। মার্গারেট বিবেকানন্দের টানে, বিবেকানন্দের আদর্শের টানে এসেছেন ভারতে। তাঁর নামান্তর হল। তিনি হলেন রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের নিবেদিতা। নিবেদিতাকে একটি চিঠিতে বিবেকানন্দ লিখলেন,
আমি দেখতে পাই– অনেকে তাদের প্রায় সবটুকু ভালবাসাই আমাকে অর্পণ করে; কিন্তু প্রতিদানে কোন ব্যক্তিকে আমার তো সবটুকু দেওয়া চলে না; কারণ একদিনেই তা হ’লে সমস্ত কাজ পণ্ড হয়ে যাবে। নিজের গণ্ডির বাইরে দৃষ্টি প্রসারিত নয়– এমন লোকও আছে, যারা ঐরূপ প্রতিদানই চায়। (শ্রীনগর, কাশ্মীর, ১ অক্টোবর, ১৮৯৭)
বিবেকানন্দের এই লেখা তো রবি-ঠাকুরের ‘লিপিকা’ নয়। তাই নির্বিশেষ ভালবাসার আদর্শের কাব্য এতে নেই– আছে যুক্তিনিষ্ঠ কিছু বোঝাপড়া। নুনের পুতুল যখন সাগরকে দিলে তার সবটুকু, তখন তার সেই মিশে যাওয়াতেই সুখ, প্রতিদানে আর চাইলে না কিছু। আমি-হারা হয়ে সাগরের নিত্য মুখর ঢেউয়ে রইলে মিশে। সাগরের ঢেই সাগরের কর্ম-স্পন্দন। নুনের পুতুল যদি কেবল নিজের ভেতর ফিরে ফিরে ধরতে চাইত সম্পূর্ণ সাগরকে, তাহলে কি তা পারত সে? তাহলে তো তার আমি-হারা হয়ে মিশে যাওয়া, হতো না সম্প্রদান কারকের পদবাচ্য। সেকথাই একটু ঘুরিয়ে বললেন বিবেকানন্দ– ভালবাসায় তো দেওয়া-নেওয়ার হিসেব চলে না। যাকে তুমি সর্ব নাশ করে দিতে পারলে, সেই দিতে পারাটাই তো তোমার সক্রিয়তা, আনন্দ। কেন তবে চাইছ প্রতিদান! রাজ-ভিখিরির পাত্রে অর্পণ করেছ নিজেকে। সেই চির-ভিখিরির কাছ থেকে নিজেকে তুমি চাইবে কেমন করে?
বিবেকানন্দ এই ভালবাসার আদর্শকে নিয়ে গেলেন কাজের আদর্শে। লিখেছেন তাই নিবেদিতাকে, প্রতিদান চাইলে পণ্ড হবে কাজ। অর্থাৎ নিজেকে দেওয়ার শর্তে, যাকে দিচ্ছি, তার কাছ থেকে যদি চাইতে থাকি প্রতিদান, তাহলে তো আর রইল না সম্প্রদান, তাহলে তো হল না তা নিঃস্বার্থ ভালবাসা। লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, "কে আছে যার ডাকে কাজের বেড়া ডিঙিয়ে এখনি আমার বাণী সুরের প্রদীপ হাতে বিশ্বের অভিসারে বেরিয়ে পড়বে"- এই যে কবির বাণী ফুটে উঠে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ল, তা তো কবি নিজেকে সম্পূর্ণ দিতে পারলেন বলেই হলো। যাকে দিলেন, সে এই বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়া কবির বাণীতেই খুঁজে পেল নিজেকে। ব্যক্তি আমি দিয়ে দখল করতে চাইল না কবির গান, বলল না এ শুধু আমার! বললে কবির গানে যে দাগ লাগত অধিকারের। কবির যেমন আছে বাণী, সন্ন্যাসী বিবেকানন্দের তেমন আছে কর্ম। কবির বাণী বিশ্বে ছড়ায়, বিবেকানন্দের সেবাকর্ম ছড়িয়ে পড়ে মানুষে মানুষে। সেকথা সন্ন্যাসী লিখেছিলেন একটি কবিতায়।
ভিক্ষুকের কবে বল সুখ ? কৃপাপাত্র হয়ে কি বা ফল ?
দাও আর ফিরে নাহি চাও থাকে যদি হৃদয়ে সম্বল।
বিবেকানন্দের লেখায় এল ভিক্ষুক শব্দটি। রবীন্দ্রনাথ 'ভিখারী' শব্দটিকে যেভাবে বড় অর্থে প্রয়োগ করছিলেন ‘মেঘলা দিনে’ রচনায়, এখানে বিবেকানন্দ বড় অর্থে প্রয়োগ করেননি তা। সন্ন্যাসী কবির মতো এখানে ভিখিরিকে চিরভিখিরি বা রাজভিখিরির মর্যাদা দিলেন না। ভিখিরি এখানে প্রতিদান-প্রত্যাশী, সুখ-প্রত্যাশী। এমন ভিখিরি হতে নেই। বিবেকানন্দ নিবেদিতাকে তাঁরই মতো প্রেমময় সেবাকার্যে সম্প্রসারিত করে দিলেন– নিবেদিতাও শিখলেন তা।
তাহলে কি বিবেকানন্দের জীবনে ছিলেন না এমন কেউ, যিনি বিবেকানন্দকে নিতে পারেন সম্পূর্ণ? কে সেই বিবেকানন্দের রাজভিখিরি? কে সেই বিবেকানন্দের চিরভিখিরি? কে সেই উত্তাল সাগর যেখানে নুনের পুতুল হয়ে মিশে যাবেন বিবেকানন্দ?
নিবেদিতাকে ১৮৯৭ সালে চিঠিতে লিখেছিলেন বিবেকানন্দ, প্রতিদানে কোনও ব্যক্তিকে নিজের সবটুকু দিতে পারবেন না তিনি। সত্যি, ব্যক্তির মধ্যে আটকে থাকার কথা তো রবীন্দ্রনাথও বলেননি, বিবেকানন্দও বলেন না। ভালবাসার যে আদর্শ রবীন্দ্রনাথকে সর্বনাশ-এর মতো শব্দের নতুন নির্মাণের দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, ভালবাসার যে আদর্শ রামকৃষ্ণদেবকে নুনের পুতুল আর সাগরের কথা বলিয়েছিল, ভালবাসার সেই আদর্শই বিবেকানন্দকে লিখিয়েছিল ‘Kali the Mother’ নামের ইংরেজি কবিতা। ১৮৯৮ খ্রি.। বিবেকানন্দ তখন শ্রীনগরে। নিবেদিতা তখন স্বামীজির সঙ্গে, একা নন, অন্যরাও আছেন। নিবেদিতারা সন্ধের ভ্রমণের পর ফিরে এসে শুনলেন, স্বামীজি এসেছিলেন তাঁদের বজরায়। তাঁরা নেই দেখে নিজের হাতে লেখা কবিতার পাতাখানি রেখে গেলেন পড়ার জন্য– সেই কবিতা ‘Kali the Mother’। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত অনুবাদ করেছিলেন তা ‘মৃত্যুরূপা মাতা’ নামে। সে-কবিতায় ছিল ভয়ংকর গর্জমান এক প্রলয়ের ছবি। সেই মহাপ্রলয়রূপিণীকে বড় কাঙাল হয়ে প্রেমিক হয়ে ডাকছেন বিবেকানন্দ।
করালি! করাল তোর নাম, মৃত্যু তোর নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে,
তোর ভীম চরণ-নিক্ষেপে প্রতি পদে ব্রহ্মাণ্ড বিনাশে!
কালি, তুই প্রলয়রূপিণী, আয় মা গো আয় মোর পাশে।
প্রলয়রূপিণী কালীই বিবেকানন্দের সেই রাজভিখিরি– বিবেকানন্দ নিজের সর্ব নাশ করে দিলেন তাঁর পদতলে। প্রেমই যে তাঁর মৃত্যু, নুনের পুতুল সাগরে গেলে আর ফেরে না, মরণই হয়ে ওঠে শ্যামসমান।
১৯০২, স্বামীজি চলে গেলেন। তাঁর প্রয়াণের পর কী করলেন নিবেদিতা? কাঁদলেন, কেঁদে কেঁদে চোখ লাল হয়ে গেল তাঁর। তারপর উঠে দাঁড়ালেন আত্মশক্তিতে। লিখলেন ম্যাকলাউডকে একটি চিঠিতে, "Ever since He[Swamiji] went, I have felt the utter impossibility of being personal in my love for anyone." (২৪ জুলাই, ১৯০২)
ভালবাসায় আর কারও কাছে কখনও কেন ব্যক্তিগতভাবে যেতে পারবেন না নিবেদিতা? যেতে পারবেন না, কারণ স্বামীজির কাছেই যে তাঁর সবটুকু নাশ হয়ে গেছে। সেই সর্ব নাশের পর তাই নিবেদিতা নিজেকে ছড়িয়ে দিলেন মানুষের কাজে। মানুষের কাজে তো নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন বিবেকানন্দও।
কে বলে সম্প্রদান কারক বলে কিছু হয় না?
হয়। ভালবাসায় হয়, শ্যামসমান মরণের কাছে গেলে হয়।
কবির বাণীতে হয়।
সন্ন্যাসীর সেবাকর্মে হয়।
পথের বাঁকে মিলিয়ে যান কবি, হারিয়ে যান সন্ন্যাসী।
তাঁদের বাণী আর কর্মধারা জীবন-সাগরে ঢেউয়ের দোলা জাগিয়ে রাখে চিরটা কাল।