রূপানি প্রথম নন! বিমান দুর্ঘটনা কেড়েছে বহু হেভিওয়েটের প্রাণ

Plane crash: ১৯৮০ সালের ২৩শে জুন, দিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধীর ছোট ছেলে এবং রাজীব গান্ধীর ভাই সঞ্জয় গান্ধীর বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর ঘটনাকে বলা হয় ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত এবং বিতর্কিত বিমান দুর্ঘটনা।

সম্প্রতি আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় ২৪১ জন আরোহী প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতদের মধ্যে গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও ছিলেন। ভারতে এর আগেও বিমান দুর্ঘটনায় বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সঞ্জয় গান্ধী, মাধবরাও সিন্ধিয়া, ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডি, দর্জি খান্ডু, জিএমসি বালাইয়োগী, ওপি জিন্দল মোহন কুমারামাঙ্গলম। এমন কয়েকটি বিমান এবং হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা তুলে ধরা হলো এই প্রতিবেদনে।

সঞ্জয় গান্ধীর প্রয়াণ

১৯৮০ সালের ২৩ জুন, দিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধীর ছোট ছেলে এবং রাজীব গান্ধীর কনিষ্ঠ সহোদর সঞ্জয় গান্ধীর বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর ঘটনাকে বলা হয় ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত এবং বিতর্কিত বিমান দুর্ঘটনা। সঞ্জয় গান্ধী নিজেই বিমানটি চালাচ্ছিলেন।

মাধবরাও সিন্ধিয়ার প্রয়াণ

২০০১ সালে সেপ্টেম্বরে কংগ্রেস নেতা মাধবরাও সিন্ধিয়া উত্তর প্রদেশের মাইনপুরি জেলার ভোগাও তহসিলে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। সিন্ধিয়া কানপুরে একটি বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। বিমানে তাঁর সঙ্গে আরও ৬জন মানুষ ছিলেন। বিমানটি ছিল জিন্দল গ্রুপের ১০টি আসনের চার্টার্ড সেসনা সি৯০। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়ানের পর ৮৫ কিলোমিটার দূরে আগ্রায় সেটি বিধ্বস্ত হয়ে। বিমানের সব যাত্রী নিহত হন।

মাধবরাও সিন্ধিয়াকে কংগ্রেসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা মনে করা হতো। রাজনৈতিক অঙ্গনে কংগ্রেসে তাঁর ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল বলে মনে করতেন বিশ্লেষকরা।

ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডির প্রয়াণ

২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে অন্ধ্রপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডি-সহ পাঁচজন বিমানে যাত্রা করছিলেন। হঠাৎই নালামালা বনভূমি এলাকায় বিমানটি নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে সামরিক বাহিনীর সহায়তায় সেটি খুঁজে পাওয়া যায়। ৩ সেপ্টেম্বর কার্নুল থেকে ৭৪ কিলোমিটার দূরে রুদ্রকন্ডা পাহাড়ে হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল।

দর্জি খান্ডুর প্রয়াণ

২০১১ সালের এপ্রিলে, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী দর্জি খান্ডু নিহত হন। সিঙ্গেল ইঞ্জিনের এই হেলিকপ্টারটি ছিল ৪টি আসনের। হেলিকপ্টারটি পাওয়ান হ্যানস এএস-বি৩৫০-বি৩ মডেলের ছিল। তাওয়াং থেকে উড়ানের পর ২০ মিনিটের মধ্যে হেলিকপ্টারটি নিখোঁজ হয়ে যায়। বিমানটি প্রায় চারদিন নিখোঁজ ছিল। পরে বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ এবং বিমানে থাকা পাঁচজনের মৃতদেহ খুঁজে পায় উদ্ধারকারী দল।

জিএমসি বালাইয়োগীর হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা

২০০২ সালের মার্চে, লোকসভার সাবেক স্পিকার জিএমসি বালাইয়োগী অন্ধ্রপ্রদেশে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন। হেলিকপ্টারটি ছিল বেল ২০৬ মডেলের। এটি তাঁর ব্যক্তিগত হেলিকপ্টার ছিল। বিমানে বালাইয়োগীর সঙ্গে তাঁর দেহরক্ষী এবং একজন সহকারীও ছিলেন। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে হেলিকপ্টারের কারিগরি ত্রুটি চিহ্নিত হয়েছিল।

ওপি জিন্দল

২০০৫ সালের এপ্রিলে ভারতের ইস্পাত ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ ওপি জিন্দল বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। তাঁর সঙ্গে হরিয়ানার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বানশীলাল সিংয়ের ছেলে সুরিন্দার সিং এবং পাইলটও নিহত হন। ওপি জিন্দাল চণ্ডীগড় থেকে দিল্লিতে ফিরছিলেন। দুর্ঘটনার সময় ওপি জিন্দল হরিয়ানার জ্বালানী মন্ত্রী এবং নেতৃস্থানীয় শিল্পপতি ছিলেন। ওই জিন্দাল ফোর্বস তালিকায় বিশ্বের ৫৪৮তম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

মোহন কুমারামাঙ্গলম

১৯৭৩ সালের মে মাসে ভারতের সাবেক জ্বালানি ও খনিজ বিষয়ক মন্ত্রী মোহন কুমারামাঙ্গলম বিমান  দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন।

More Articles