ভারতের সঙ্গে শিকড়ের যোগ, একই অঙ্গে নানা রূপ নয়া পাক প্রধানমন্ত্রীর

রাজনীতিতে রয়েছেন তিন দশকেরও বেশি সময়। দেশের সবচেয়ে ধনী রাজ্যের প্রশাসকের দায়িত্বও পালন করেছেন দীর্ঘ সময়। তবে জীবনের ৭০টি বসন্ত পার করে এই প্রথম জাতীয় রাজনীতিতে একেবারে মুখ্য ভূমিকায় শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনে পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন তিনি। আর তাঁর হাত ধরেই ফের একবার শরিফ পরিবারের হাতে আমনাগরিকের ভাগ্য নির্ধারণের ভার উঠল।

পাকিস্তানের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের (Nawaz Sharif) সহোদর শেহবাজ। স্বাধীনতার পর পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরে জন্ম শেহবাজের। সিংহভাগ পাকিস্তানি নাগরিকের মতো তাঁরও শিকড় ভারতেই। তাই ইমরান খান (Imran Khan) গদিচ্যুত হওয়ার পর বিরোধীদের তরফে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেহবাজকে যখন মনোনীত করা হয়, তার প্রভাব টের পাওয়া যায় সীমান্তের এপারে, অমৃতসরের জাতি উমরা গ্রামে। শেহবাজের নামের ঘোষণা হতেই গুরুদ্বারে তাঁর জন্য প্রার্থনা করতে জড়ো হন স্থানীয়রা।

কারণ দেশভাগের আগে এই জাতি উমরা গ্রামেই বাস ছিল শরিফ পরিবারের। ১৯৪৭ সালে গোটা শরিফ পরিবার পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরে চলে যায়। কিন্তু জাতি উমরার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি। বরং তাদের ছেড়ে যাওয়া বসতবাড়িতেই গড়ে ওঠে পবিত্র গুরুদ্বারটি। নওয়াজ এবং শেহবাজের বাবা মহম্মদ শরিফ যেমন শিকড়ের টানে গ্রামে ছুটে এসেছিলেন, তেমনই নওয়াজ এবং শেহবাজও সময় বিশেষে এসে ঘুরে গিয়েছেন পিতৃপুরুষের গ্রাম। সেই শেহবাজ পাকিস্তানের কুর্সিতে বসছেন জানার পর থেকেই তাই আনন্দে উদ্বেল জাতি উমরা।

আরও পড়ুন: রাজপাট অসমাপ্ত, পূর্বসূরিদের মতোই নাটকীয় ইমরানের সমাপতন

শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও, পাঞ্জাবের মাটির মায়া ত্যাগ করতে পারেনি শরিফ পরিবারও। তাই মসনদে বার বার রদবদল ঘটলেও, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে বরাবর শরিফদের আধিপত্য বজায় থেকেছে। কিন্তু পরিবারের ছত্রছায়ায় থেকে প্রদেশ সামলানো, আর দেশ সামলানো এক নয়। তাই ইমরানের বিরোধিতায় যত সহজে তিনি বিরোধীদের মুখ হয়ে উঠেছেন, সুষ্ঠুভাবে সরকার চালানো ততটাই কঠিন হয়ে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, পাকিস্তানের অর্থনীতির মেরুদণ্ডই ভেঙে পড়েছে। তার উপর কোটি কোটি টাকার দেনা, কূটনৈতিকভাবে আন্তর্জাতিক মহলে দোলাচল, সব মিলিয়ে আগামী দিনে কঠিন পরীক্ষা তাঁর সামনে।

তার উপর পাঁচ বিবাহ হেতু ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে লাগাতার কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে শেহবাজকে। দাদা নওয়াজ তো বটেই, তাঁর বিরুদ্ধেও কোটি কোটি টাকার বেনামি সম্পত্তি, আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে শেহবাজ আবার প্রচণ্ড বাস্তববাদী। তাঁর সাফ যুক্তি, নিরাপদ জীবন চাইলে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সবচেয়ে জরুরি। তাই পাক অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়ানোর রাস্তা শেহবাজই দেখাতে পারেন বলে মত দেশের সিংহভাগ মানুষের। তাই একদিকে বিতর্ক, অন্য দিকে স্পষ্টবাদী আচরণ, দোষ-গুণের মিশেল শেহবাজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে তুলেছে। শেহবাজের ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপেও এর নজির রয়েছে। 

• দেশভাগের পর ভারতের অমৃতসর থেকে পাকিস্তানের লাহোরে গিয়ে থিতু হয় শরিফ পরিবার। সেখানে নিজেদের বাড়ির নামই রাখেন ‘জাতি উমরা’। লাহোর ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক হয়ে পারিবারিক ইস্পাতের ব্যবসায় যোগ দেন শেহবাজ।

• ১৯৮৮ সালে লাহোর-৭ কেন্দ্রে জয়ী হয়ে প্রথম পাঞ্জাব বিধানসভায় প্রবেশ শেহবাজের। সেবার ইসলামি জমহুরি ইত্তেহাদ দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, যা কিনা পাকিস্তান মুসলিম লিগের (অধুনা পাকিস্তান মুসলিমগ-নওয়াজ) জোটসঙ্গী ছিল এবং সমাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কায়েম করার লক্ষ্য নিয়ে পা রেখেছিল ভোটের ময়দানে।

• ১৯৯০ সালে লাহোর-৯ থেকেও জয়ী হন শেহবাজ। একই সঙ্গে দেশের সাধারণ নির্বাচনে লাহোর-৫ থেকে জিতে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে জায়গা করে নেন। তারপর পাঞ্জাব বিধানসভার আসনটি ছেড়ে দেন। কিন্তু ১৯৯৩ সালে লাহোর-১০ থেকে জিতে ফের প্রত্যাবর্তন ঘটান, সেবার দাদা নওয়াজের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের হয়েই। সেবারও ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির আসনটি জেতেন, কিন্তু সেটি ছেড়ে পাঞ্জাবকেই বেছে নেন। পাঞ্জাব বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার ভূমিকাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।

আরও পড়ুন: গোরখনাথ মন্দিরে হামলা কি নতুন অশান্তির সলতে পাকাবে উত্তরপ্রদেশে?

• ১৯৯৭-এর নির্বাচনে লাহোর-১০ থেকে জিতে ফের বিধানসভায় জায়গা পান শেহবাজ। একই সঙ্গে জায়গা পান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতেও। কিন্তু সেবার সরাসরি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর আমলেই পাঞ্জাব সমৃদ্ধির শিখরে পৌঁছয়। সুশাসন প্রতিষ্ঠা, স্বাস্থ্য,শিক্ষা, কৃষি এবং শিল্প– সব ক্ষেত্রেই প্রশংসিত হয় তাঁর কাজ। সমাজবিরোধীদের উপদ্রব রুখতে পুলিশকে প্রভূত ক্ষমতা দেন তিনি।

• কিন্তু পাকিস্তানে সেনাশাসনের সূচনা ঘটলে ১৯৯৯ সালে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদটি হারাতে হয় শেহবাজকে। জেলবন্দি হন তিনি। ২০০০ সালে গোটা পরিবারের সঙ্গে তাঁকেও জোর করে সৌদি আরবে নির্বাসনে পাঠানো হয়। জানা যায়, শরিফ পরিবারকে নিজেদের দেশে চেয়ে আবেদন জানায় সৌদির রাজপরিবারই। সৌদি থেকেই পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের সভাপতি নিযুক্ত হন শেহবাজ। ২০০৩ সালে চিকিৎসার প্রয়োজনে লন্ডন চলে যান।

• সেই সময়ই শেহবাজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। অভিযোগ ওঠে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পুলিশকে যে প্রভূত ক্ষমতা দিয়েছিলেন তিনি, তাতে ভুয়া এনকাউন্টার বেড়ে গেছে। ওই মামলায় শেহবাজকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সন্ত্রাস দমন আদালত। তাতে তিনি ব্যর্থ হলে জারি হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। ২০০৪ সালে আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্যই পাকিস্তান ফিরতে উদ্যত হন শেহবাজ। কিন্তু মাঝরাস্তা থেকে তাঁকে সৌদি ফেরত পাঠানো হয়। 

• ২০০৭ সালে পাক সুপ্রিম কোর্ট শরিফ পরিবারকে দেশে ফেরার অনুমতি দেয়। সেই সময় আগের ওই মামলায় শেহবাজকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয় সন্ত্রাস দমন আদালত। কিন্তু জামিন পেয়ে পেয়ে যান শেহবাজ। পরে যদিও জানান যে, ভুয়া এনকাউন্টারে কাউকে মেরে ফেলার নির্দেশ দেননি তিনি। নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণ করতে আদালতে হাজিরা দিতেও আসছিলেন। কিন্ত তৎকালীন সরকার রাজনৈতিক অভিসন্ধি পূরণে লাহোর বিমানবন্দর থেকে তাঁকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। পরে সন্ত্রাস দমন আদালত থেকে বেকসুর খালাস পান শেহবাজ।

• ২০০৬ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের সভাপতি নির্বাচিত হন শেহবাজ। ২০০৭ সালের নভেম্বরে নওয়াজের সঙ্গে দেশে ফেরেন। খুনের মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন বলে ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে তাঁকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। তবে ওই বছর ভাক্কড়-২ থেকে পাঞ্জাব বিধানসভায় ফের নির্বাচিত হন শেহবাজ। দ্বিতীয়বারের জন্য ফের মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু ভাক্কড়-২ আসনটি ধরে রেখে রাওয়ালপিন্ডি-১০ আসনটিতে জয়ী হন শেহবাজ। সেই নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়ে রাওয়ালপন্ডি-১০ আসনটি ছেড়ে দেন। কিন্তু বেআইনিভাবে দুই আসন ধরে রাখার মাশুল হিসেবে ২০০৯ সালের জুন মাসে তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্ব বাতিল করে পাক সুপ্রিম কোর্ট। যদিও পরে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁকে পুনর্বহাল করে।

• লাহোর-২৩, লাহোর-২৫ আসন থেকে ২০১৩-র সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হন শেহবাজ। তবে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে যাওয়ার বদলে তৃতীয়বার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বই গ্রহণ করেন তিনি। শোনা যায়, প্রশাসনিক কাজকর্মের ব্যাপারে অত্যন্ত কড়া শেহবাজ। আগাম ঘোষণা না করে মাঝেমধ্যেই সরকারি দফতরে হাজির হতেন তিনি। কোথাও কোনও গণ্ডগোল চোখে পড়লে তুলকালাম করতেন। তাঁর ভয়েই সরকারি আমলা থেকে কর্মী– সকলে সতর্ক থাকতেন, পাঞ্জাবের সমৃদ্ধিতে যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।

• পানামা পেপারস দুর্নীতি মামলায় নওয়াজ প্রধানমন্ত্রিত্ব খোয়ান ২০১৭ সালে। দলের সভাপতি হিসেবে নওয়াজের জায়গায় তিনি আসীন হতে পারতেন শেহবাজ। কিন্তু ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির জন্য জেতা আসনটি আগেই ছেড়ে দিয়েছিলেন। ফলে নওয়াজের জায়গায় প্রাথমিক ভাবে শাহিদ খাকান আব্বাসিকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ঠিক ছিল, ৪৫ দিনের মধ্যে শেহবাজ জিতে আসতে পারলে তাঁকে পদ ছেড়ে দেবেন আব্বাসি। কিন্তু পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চাননি শেহবাজ। ফলে দলের সভাপতি না হওয়া সত্ত্বেও আব্বাসিই প্রধানমন্ত্রী থেকে যান, নওয়াজের অসম্পূর্ণ মেয়াদ পূরণ হওয়া পর্যন্ত।

• জেনারেল পারভেজ মুশারফের কাছ থেকে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন শেহবাজ। ২০১৭-র ডিসেম্বরে দলের বৈঠকে শেহবাজকেই প্রধানমন্ত্রী প্রাথী করার সুপারিশ করেন খোদ নওয়াজ। ২০১৮-র নির্বাচনে দেলর হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলেন। কিন্তু শেহবাজই রাজি হননি বলে শোনা যায়। পানামা পেপারস মামলায় নওয়াজের জেল হলে ২০১৮-র ২৭ ফেব্রুয়ারি দলের অন্তর্বর্তী সভাপতি হন শেহবাজ। ১৩ মার্চ ভোটাভুটিতে স্থায়ীভাবে নিযুক্ত হন। ওই বছর ৭ জুন পাঞ্জাবের কেয়ারটেকার মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হন শেহবাজ।

• ২০১৮-র সাধারণ নির্বাচনে ইমরান দেশের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হলে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হন শেহবাজ। পাশাপাশি লাহোর-২১ আসন থেকে পাঞ্জাব বিধানসভাতেও জয়ী হন। দাদা নওয়াজের অনুপস্থিতিতে সেবার পাঞ্জাবের আসনটি ছেড়ে অ্যাসেম্বলিতেই থাকার সিদ্ধান্ত নেন শেহবাজ। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানও হন তিনি। ২০১৯-এর ২৮ নভেম্বর পদটি ছেড়ে দেন।

• ২০২০-র ২৮ নভেম্বর আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার হন শেহবাজ। পরিবারের বিভিন্ন সদস্যরে নামে তাঁর প্রচুর বেনামি সম্পত্তি রয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়। তাঁর মোট ২৩টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো। ২০২১-এর ১৪ এপ্রিল জামিন পান তিনি।

• মূল্যবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সংকট, সরকারি কোষাগারের টাকা নয়ছয় নিয়ে এই বছরের গোড়া থেকে পাকিস্তানে যখন আন্দোলন মাথাচাড়া দিতে শুরু করে, সেই আন্দোলনকে গণআন্দোলনের রূপ দেওয়ার কাজটি সারেন শেহবাজই। বিরোধী শিবিরের প্রত্যেককে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসেন তিনি। এমনকী, ইমরান-ঘনিষ্ঠরাও একে একে শেহবাজের পাশে এসে দাঁড়াতে শুরু করেন। ইমরান সরকারের পতন ঘটলে ১০ মার্চ শেহবাজকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মনোনীত করে বিরোধী জোট। ওই দিনই মনোনয়ন জমা দেন তিনি। সেই মতোই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন।

• পাকিস্তানে যে সরকারই থাকুক না কেন, পিছন থেকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে সেনাই। সেই নিয়ে নওয়াজের সঙ্গে দেশের সেনার খুব একটা বনিবনা ছিল না। এক্ষেত্রে প্রায়শই মধ্যস্থতা করতে দেখা যেত শেহবাজকে। দেশের প্রশাসনিক সদর দফতর ইসলামাবাদ এবং সেনার সদর দফতর রাওয়ালপিন্ডির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা থাকলে, তবেই সুষ্ঠু ভাবে শাসনকার্য পরিচালনা করা সম্ভব বলে মত তাঁর।

• একই সঙ্গে চিনের সঙ্গেও সুসম্পর্ক শেহবাজের। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। চিনের বিদায়ী কনসাল জেনারেল লং দিংবিন শেহবাজকে ‘পুরনো মিত্র’ বলেও উল্লেখ করেছেন। আবার আমেরিকার সঙ্গেও সদ্ভাব বজায় রেখে চলার পক্ষে শেহবাজ। আমেরিকাকে সম্প্রতি ষড়যন্ত্রকারী বলে উল্লেখ করেন ইমরান। আমেরিকাকে তুষ্ট করে চলার পক্ষে নন বলে জানিয়ে দেন। কিন্তু শেহবাজের কথায়, ‘‘ভিক্ষা নেওয়ার সময় ভিখারির খুঁতখুঁত করা চলে না, এটা বোঝা উচিত। দেশের মানুষের মুখে অন্ন জোগাতে হবে। স্কুলে পাঠাতে হবে ছেলেমেয়েদের।’’

 

 

More Articles