মৌলবী অসুস্থ তাই নামাজও পড়িয়েছেন, শ্রীরামকৃষ্ণ সমন্বয়ের মূর্ত প্রতীক...

শ্রীরামকৃষ্ণের উপাসনাগৃহ ঘিরে কোনো বাছ-বিচার ছিল না। সামনে যে কোনো ধর্মের উপাসনা গৃহ দেখলে ঢুকে পড়ে উপাসনার কাজ সেরে ফেলতেন। মোল্লা পাড়ার মসজিদে প্রায়ই উপস্থিত হতেন। শশীভূষণ সামন্ত তাঁর স্মৃতিকথায় জানান, শেখ মোছন মোল্লা সে সময় মোল্লাপাড়ার মসজিদের মৌলবী ছিলেন। একদিন নামাজ পাঠের সময় সকলে মসজিদে উপস্থিত হলেও, মৌলবি সাহেব মসজিদে উপস্থিত হতে পারেন নি। সকলে তাঁর জন্য উৎকন্ঠায় অধীর হতে লাগলেন। নামাজের সময় প্রায় অতিক্রান্ত হতে চলেছে, এমন সময় সকলে দেখলেন, মাথায় টুপি পরে মৌলবি সাহেব দ্রুত হেঁটে আসছেন মসজিদের দিকে। সেই মুহূর্তে কেউই কোনো কথা তুললেন না। নিয়মানুগভাবে মৌলবি সাহেব সকলকে নামাজ পাঠ করালেন এবং শেষে কারও সঙ্গে কথা না বলে মসজিদ থেকে বের হয়ে কালীবাড়ির দিকে হাঁটতে লাগলেন। উপস্থিত সকলেরই ঘটনাটি অস্বাভাবিক লাগল। তাঁরা কেউ কেউ মৌলবী সাহেবের পিছু ধরলেন। তাঁরা পিছন থেকে 'ও মৌলবী' 'ও মৌলবী' বলে ডাকতে লাগলেন। তাঁদের ডাকে মৌলবী মুখ ফেরালে তাঁরা হতভম্ব হয়ে যান। তাঁরা দেখেন যে ওই ব্যক্তি মোছন মোল্লা নয়। তিনি দক্ষিণেশ্বরের পাগল ঠাকুরমশাই। ঠাকুরমশাই জানালেন যে, মোছনের খুব ব্যমো, তাঁরা যেন তড়িঘড়ি করে কোনো কবিরাজ ডেকে নিয়ে তাঁর বাড়ি যায়। তাঁরা আর দেরি না করে কবিরাজ ডেকে নিয়ে মোছন মোল্লার বাড়ি হাজির হন। গিয়ে দেখেন মোছন মৌলবি অচৈতন্য হয়ে শুয়ে আছেন এবং তাঁর পরিবারের ব্যক্তিগণ তাকে বাতাস করছেন। সুস্থ হয়ে তিনি বলেন, 'পরমহংসদেব মানুষ নন, উনি পীর। উনি সব ধর্মের উপরে।'

এই ঘটনার পর থেকে মোল্লাপাড়ার মুসলমান শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবকে অন্য চোখে দেখতেন এবং তিনি সকলেরই ভক্তি ও ভালোবাসার পাত্র ছিলেন। সমন্বয় চেতনাকে কিন্তু শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর জীবনবোধের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত মর্যাদার সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অচন্ডালে  প্রেমদান - এই বোধ  যেমন মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য ক্ষেত্রে হঠাৎ করে একদিনে আসেনি, তেমনিই  শ্রীরামকৃষ্ণের ক্ষেত্র কিন্তু হঠাৎ করে একদিনতে তিনি এই বোধে  উপনীত হননি। মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য জীবনে আমরা দেখতে পাই, শৈশব-কৈশোরের প্রথম পর্যায়ে জাতপাত ঘিরে প্রচলিত ধারণার কিছু উপাদান তাঁর  ভেতরে ছিল।

শ্রীরামকৃষ্ণের মধ্যে কিন্তু আমরা একই জিনিস দেখি। যখন দক্ষিণেশ্বরের মন্দির প্রতিষ্ঠা হয় ,তখন কিন্তু সেই মন্দিরে দাদা রামকুমারের সঙ্গে তিনি এসেছেন। সাময়িক মনের দ্বিধা কাটিয়ে সেখানে থেকেছেন। তা সত্ত্বেও রান্না করে তিনি খেয়েছেন। মন্দির প্রতিষ্ঠাত্রী  রানী রাসমণি নিম্নবর্গীয় মানুষ, এই জায়গা থেকে মন্দিরে মা কালীর প্রসাদী অন্ন  তিনি গ্রহণ করেনন।' কিন্তু পরবর্তী সময়ে, খুব অল্পদিনের মধ্যেই (কয়েকমাস)  এই  জায়গা থেকে তিনি নিজেকে সরিয়ে এনে,  ঠিক যেন মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যের মতোই সমন্বয়ের  মূর্ত প্রতীক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

তাঁর সাধনার প্রথম পর্যায় থেকে যদি আমরা খুব ভালোভাবে দেখি, তাহলে দেখতে পাব ,ধর্মবোধের গভীরতাকে সমস্ত রকমের সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে স্থাপন করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন তিনি। আমাদের প্রচলিত ধারণা ধর্মীয় বিধিবিধানের  ভেতর  পরধর্মের প্রতি একটা নেতিবাচক ধারণা তৈরির বিষয়াবলী থাকে, সেটাকে অতিক্রম করাই ছিল   শ্রীরামকৃষ্ণের সাধনার একটি বড় বিষয়। শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর সাধনার ভেতর দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন যে, যথার্থ ধর্মচেতনার ভেতরে কিন্তু কোন জাত পাতের বেড়াজাল, পরধর্ম অসহিষ্ণুতা  নেই। যে কারণে শ্রীরামকৃষ্ণ বারবার এটাই উল্লেখ করেছেন, আমার ধর্ম ঠিক আর অপরের ধর্ম বেঠিক- এটা  অত্যন্ত নিন্দনীয় একটি মানসিকতা। শ্রীরামকৃষ্ণ এটাকে মতুয়ার বুদ্ধি শব্দ  হিসেবে ব্যবহার করেছেন।' মতুয়া ' শব্দটি কিন্তু এখানে মৌলবাদী চিন্তা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।ইংরেজি অনুবাদে হয়েছে ' ডগমাটিজম'। মতুয়া শব্দটি  কিন্তু কোন ধর্মমত  সম্পর্ক বলা হয়নি।

আমরা দেখতে পাই জীবনবোধের একটা গভীর চেতনায় যখন শ্রীরামকৃষ্ণ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছেন, তখন সেখানে চিরন্তন ভারতের যে বহুত্ববাদী দর্শন, সেই দর্শনের সার্বিক জাগরণ ঘটছে ।তাই তিনি পরমতসহিষ্ণুতার এক মূর্ত প্রতীক হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হচ্ছেন। সাধারণ ভাবে আমরা ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের মধ্যে দেখি, নিজের ধর্মের বাইরে অপর ধর্মবোধ সম্বন্ধে তাঁদের খুব একটা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকেনা। কিন্তু শ্রীরামকৃষ্ণ প্রথম থেকেই ধর্মবোধ কে এমন এক শৃঙ্খলার উপস্থাপন করেছিলেন, যার মূল কথাই হল, পরধর্ম -পরমত সহিষ্ণুতা। যে কথাটি শ্রীরামকৃষ্ণ সম্পর্কে বার বার তাঁর ভক্ত-অনুরাগীদের মধ্যে ব্যবহৃত হয় তা হলো;  তিনি ভাঙতে আসেননি। তিনি এসেছিলেন গড়তে।

এই গড়াটিকে শ্রীরামকৃষ্ণ অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে ,সুশৃংখল পদ্ধতিতে করে গিয়েছেন ।এবং তাঁর এই বোধকে আত্মস্থ করে, তাঁর অনুরাগী অনুরক্তদের ভেতরে যে চেতনা আজও উৎসারিত হয় ,সেই চেতনার মূল ভিত্তি হলো, ভাঙা নয়।গড়া। সেই দিক থেকে শ্রীরামকৃষ্ণকে একজন সমাজ বিপ্লবী হিসেবে আমরা উপস্থাপিত করতে পারি। প্রচলিত হিন্দু ধর্মের ভেতরে যে কত রকমের মতদ্বৈততা রয়েছে তার সুলুকসন্ধান করে, সেগুলির ভেতরে এক অদ্ভুত ধরনের সমন্বয়ের মালা গাঁথতে সক্ষম  হয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। তাই তাঁকে যদি কেবলমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের নিগড়ে আমরা বাঁধবার  চেষ্টা করি, তাহলে আমরা শ্রীরামকৃষ্ণকে খণ্ড ক্ষুদ্র করে দেখব ।প্রাতিষ্ঠানিক বোধের উর্ধে উঠে , ধারণ করে থাকা অর্থে যে ধর্মের উপস্থাপনা, সেই ধর্মের সাধনাই  কিন্তু শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর গোটা জীবন ধরে করেছেন।  সেই বোধকে তিনি তাঁর শিষ্যদের মধ্যে সঞ্চারিত করে গিয়েছেন। 'শ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত' র  মতো  একটি বাস্তবমুখী, পরমতসহিষ্ণু ,পর ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল গ্রন্থ আমাদের শাশ্বত জগতে অত্যন্ত দুর্লভ।

শ্রীরামকৃষ্ণের প্রভাবে সমসাময়িককালের বহু প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের মানুষ  ক্ষুদ্রতার উর্ধে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। আবার যে সমস্ত সংকীর্ণতাবাদী  মানুষজন শ্রীরামকৃষ্ণের সংস্পর্শে এসেছেন, যেমন, স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী বা শশধর তর্কচূড়ামণি, তাঁরা হয়তো শ্রীরামকৃষ্ণের সর্বধর্ম সমন্বয়ের যে চেতনা ,তাকে ঠিকমতন গ্রহণ করতে পারেননি , কিন্তু তাঁরাও  শ্রীরামকৃষ্ণের বোধকে ঘিরে ,কখনো কোনো রকম নেতিবাচক শব্দ উচ্চারণ করার সাহস দেখান নি ।

এখানেই বলতে হয়, প্রথাগত শিক্ষার সুযোগ না  পাওয়া শ্রীরামকৃষ্ণের অনন্যসাধারণ মানবিক প্রতিভার এক উজ্জ্বল স্বাক্ষরের কথা ।আমরা দেখতে পাই উনিশ শতকের নবজাগরণের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে এসেছেন বা স্বয়ং  শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁদের কাছে গিয়েছেন। বঙ্কিমচন্দ্র ,বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসূদন, শশধর তর্ক চূড়ামণি, কেশব চন্দ্র সেন, গিরিশচন্দ্র ঘোষ ,এমনকি রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে স্বল্পকালীন সময় হলেও শ্রীরামকৃষ্ণের সাক্ষাৎ হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ ব্যতীত অন্য যে সমস্ত উনিশ শতকের নবজাগরণের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের কথা উল্লেখ করা হলো ,তাঁরা প্রত্যেকে কিন্তু প্রথাগত শিক্ষার সুযোগ না পাওয়ায় এই মানুষটির সহজ-সরল আন্তরিক মানবিক চেতনা মুগ্ধ হয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎকার পর্ব অত্যন্তই সংক্ষিপ্ত।সেই সাক্ষাৎকার  ঘিরে খুব একটা  জানতে পারার সুযোগ না থাকলেও, শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মশতবর্ষে রবীন্দ্রনাথের যে বক্তৃতা ,তাতেই বোঝা যায়, একেশ্বরবাদী রবীন্দ্রনাথ শ্রীরামকৃষ্ণের বহুত্ববাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল চেতনাকে কতখানি মর্যাদা দিয়েছিলেন। যদিও এ প্রসঙ্গে ত্রিষ্টুপ মুখোপাধ্যায় এবং হেমন্তকুমারী দেবীকে লেখা শ্রীরামকৃষ্ণের জন্ম শতবর্ষ পূর্তি সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে যোগদান ঘিরে রবীন্দ্রনাথের অভিমত খুব একটা স্ববিরোধমুক্ত ছিল, এমনটা দাবি করতে পারা যায় না।

বাঙালি সমাজ শ্রীরামকৃষ্ণকে কেবলমাত্র আধ্যাত্মিক চেতনা এক বিশ্ববিশ্রুত ব্যক্তিত্ব হিসেবে দেখতে অভ্যস্ত হয়েছে। কিন্তু আধ্যাত্বিক চেতনার পাশাপাশি তাঁর চিন্তাজগত, মনোজগৎ ,চেতনার আরোহীনিতে যে অপূর্ব মানবসত্তা বিরাজ করেছে ,সেই বোধ ঘিরে ,সেই চেতনা ঘিরে, ভাব নিরপেক্ষ আলোচনার দিক প্রায় হয় নিই ই বলা চলে। আমাদের মনে রাখা দরকার ,পরিপূর্ণ আধ্যাত্মিক চেতনা র ব্যক্তিত্ব শ্রীরামকৃষ্ণ ,তাঁর  আধ্যাত্বিক জীবনে কখনো কোন রকম ভোজবাজির আশ্রয় নেননি। ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব বলতে আমরা যে ধরনের অতিলৌকিক ব্যপারগুলো ভাবনা চিন্তার মধ্যে রাখি এবং সেই ধরনের চরিত্র তাঁদের মধ্যে প্রকট হয়ে উঠুক এটাই দেখতে ভালোবাসি, এই অংশের চেতনার মানুষ কিন্তু শ্রীরামকৃষ্ণ ঘিরে খুব হতাশ হবেন।

শ্রীরামকৃষ্ণের প্রিয়তম শিষ্য, স্বামী বিবেকানন্দ, তখন তিনি নরেন্দ্রনাথ দত্ত, পিতার মৃত্যুর পর তীব্র আর্থিক সংকটে কষ্ট পাচ্ছেন ।বহু ক্ষেত্রে সব দিন পেট ভরা খাবার তাঁর গর্ভধারিণী বা অন্য ভাইদের জুটছে না। এই অবস্থাতেও কিন্তু আমরা একটি বারের জন্য শ্রীরামকৃষ্ণকে ঘিরে কোন ধরনের ভোজবাজি  দেখছি না। শ্রীরামকৃষ্ণের সবথেকে নির্ভরযোগ্য জীবনী 'শ্রীরামকৃষ্ণ লীলাপ্রসঙ্গ', যেটি তাঁর প্রত্যক্ষ শিষ্য  স্বামী সারদানন্দের লেখা ,সেখানে অত্যন্ত যুক্তিনিষ্ঠ ভাবে আলোচিত হয়েছে শ্রীরামকৃষ্ণের ব্যক্তিজীবনের বেশকিছু প্রসঙ্গ। শ্রীরামকৃষ্ণের অন্তরঙ্গ পার্ষদেরা তাঁকে সাক্ষাৎ ঈশ্বরের অবতার বলে মনে করে ও মানব জীবন ধারণ করে ,সাধারণ মানুষের মতোই রোগ-শোক ,জ্বালা-যন্ত্রণা পূর্ণ শ্রীরামকৃষ্ণের জীবনযাপনের দিনগুলিকে  অত্যন্ত যুক্তিনিষ্ঠ ভাবে, নির্মোহ চেতনার মাধ্যমে উপস্থাপিত করেছেন।

স্বামী সারদানন্দ গ্রন্থ অত্যন্ত যুক্তিবোধের সঙ্গে হিন্দু সমাজে প্রচলিত অবতার তত্ত্ব এবং সেই অবতার তত্ত্বের মানুষজন হিসেবে দশরথ নন্দন রাম, মথুরাধিপতি শ্রীকৃষ্ণ ,শঙ্করাচার্য ,বুদ্ধদের, শ্রীচৈতন্য, ইশাবতার ,মুসাবতাল ইত্যাদির  সম্পর্কে আলোচনা করে যে বিষয়টিকে  সবথেকে বেশি জোর দিয়েছেন, তা হলো;  এইসব ব্যক্তিত্বদের জীবনী রচনার ক্ষেত্রে, তাঁদের মানুষ হিসেবে যে আচার-আচরণ, সেই আচার-আচরণ গুলিকে কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন তাঁদের জীবনীকারেরা। এই দেবত্ব আরোপের  দিক থেকে শ্রীরামকৃষ্ণকে পৃথক করে, একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে দেখাবার দিকে আমরা যদি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে, আরো বিজ্ঞানসম্মত ভাবে পরিচালিত করি ,আরও যুক্তিবোধের দ্বারা এগিয়ে নিয়ে যাই, তাহলে কিন্তু আজকের সমস্যাদীর্ণ পৃথিবীতে,জাতপাত, ধর্মের বেড়াজালে বিভক্ত মানবসমাজের ক্ষেত্রে তা অত্যন্ত কল্যাণকর হয়ে উঠবে।

More Articles