৫১ বছর আগে যে ঘূর্ণিঝড় জন্ম দিয়েছিল বাংলাদেশের
পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারত এর আগেও বহু ঘূর্ণিঝড়ের সাক্ষী থেকেছে। আয়লা কিংবা আম্ফান থেকে শুরু করে হুদহুদ, ফনী, এবং সাম্প্রতিককালের যশ। প্রত্যেকটি ঘূর্ণিঝড় সাথে করে নিয়ে এসেছিল প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সেই সমস্ত ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পড়ে বহু মানুষ মারা গিয়েছিলেন, ফসলের ক্ষতি হয়েছিল এবং সর্বোপরি দেশের হয়েছিল অপূরণীয় ক্ষতি। কিন্তু, ৫১ বছর আগে ঘটা পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের একটি সাইক্লোনের সঙ্গে এমন একটি ইতিহাস জড়িয়ে আছে যা হয়তো বিশ্বের আর কোন ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে পারে না। সেই ঘূর্ণিঝড়টি প্রকারান্তরে জন্ম দিয়েছিল বর্তমান বাংলাদেশের। একটি ঘূর্ণিঝড়ের কারণেই গোটা পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ঘোষণা করেছিলেন। এই একটি ঘূর্ণিঝড় বদলে দিয়েছিল তৎকালীন পাকিস্তানের সম্পূর্ণ রাজনীতি। ঘূর্ণিঝড়টির নাম ভোলা।
আজ থেকে প্রায় ৫১ বছর আগে ১৯৭০ সালের ১১ নভেম্বর। বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ভয়াল ভয়ঙ্কর লেভেল ৪ এর হারিকেন সাইক্লোন ভোলা। প্রলয়ংকারী ওই ঝড়ের আঘাতে তছনছ হয়ে গিয়েছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান। একের পর এক লোকালয় মাটিতে মিশে গিয়েছিল। তীব্র জলোচ্ছ্বাসের কারণে ভেসে গিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ যাদের খোঁজ আর পরবর্তীকালে পাওয়া যায়নি। তবে একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে ভোলা এলেও পরবর্তীতে এই ঘূর্ণিঝড়ের একটি সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক প্রভাব পড়েছিল, যা রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা পাকিস্তানের রাজনীতিকে।
ভোলা সাইক্লোন পরবর্তীতে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের উদাসীনতা পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের মনে জন্ম দিয়েছিল স্বাধীনতার স্পৃহাকে। ভোলা সাইক্লোনের মাত্র ১ মাসের মধ্যেই ১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় যেখানে একচেটিয়া বিজয় লাভ করে শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগ। দ্য গ্রেট ভোলা সাইক্লোন নামে পরিচিত এই ঘূর্ণিঝড় বর্তমানে জাতিসংঘের আওতাধীন বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার রেকর্ড অনুযায়ী বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী সাইক্লোন হিসেবে পরিচিত। ১৯৭০ সালে ১২ নভেম্বর সর্বোচ্চ ২২৪ কিলোমিটার গতিবেগে আঘাত হেনেছিল এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি। এই প্রবল ঘূর্ণিঝড় সময় উপকূলীয় এলাকায় ১০-৩৩ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল।
ভোলা সাইক্লোনে কত মানুষ মারা গিয়েছেন তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। কিন্তু একটা আনুমানিক হিসাব করে বলা যায় এই একটি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রায় ৫ লক্ষের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, এই ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় মৃতের সংখ্যা অনেক ক্ষেত্রে অনেকটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তবুও, এই সংখ্যাটা কোনভাবেই ৩ লক্ষের কম হবেনা। এই ভোলা ঘূর্ণিঝড়ে বহু মানুষ নিহত হয়েছিলেন। ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ানের একজন সাংবাদিক হাওয়ার্ড হোয়াইটেন ১৯৭০ এর ১৮ নভেম্বর ভোলা সাইক্লোন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে পর্যবেক্ষণ করে একটি রিপোর্ট তৈরি করেন। সেই রিপোর্টে ওই সাংবাদিক লিখেছিলেন, ভোলার মনপুরায় গিয়ে তিনি শুধুমাত্র মৃতদেহ এদিক-ওদিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখেছেন। মনপুরা এলাকার ২২ হাজার মানুষের মধ্যে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিলেন। এলাকায় ২০ হাজারের বেশি গবাদিপশু ছিল, যার মধ্যে শেষ পর্যন্ত বেঁচে ছিল মাত্র কয়েকশোটি।
ভোলা ঘূর্ণিঝড়ের একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছিলেন, "অন্ধকারের মধ্যে আমরা হঠাৎ দেখলাম একটা আলোর ঝলকানি আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে। এরপর একটা বজ্রপাতের মত শব্দ। তারপর পুরো এলাকাটা পানিতে ভেসে গেল। আমরা এখনো পর্যন্ত ১০ হাজারটি মৃতদেহকে মাটি দিয়েছি। কিন্তু এখনো বহু মৃতদেহ বাকি আছে। সবকিছু শেষ হয়ে গেলো।"
তবে ভোলা ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী প্রভাব ছিল পূর্ব পাকিস্তানের জন্য আরও মারাত্মক। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে জল এবং খাদ্যদ্রব্যের অভাবে সেখানে বহু মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিলেন। জলোচ্ছ্বাসের কারণে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের চাষের জমিগুলো সম্পূর্ণরূপে জলে ভেসে গিয়েছিল। সেখান থেকে আর কোন ফসল উদ্ধার করা সম্ভব ছিল না। পুরো এলাকায় জলের অভাব দেখা গিয়েছিল। নোংরা এবং দূষিত জল পান করে বহু মানুষ জলবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়া শুরু করেছিলেন। সেই সময় কলেরা রোগটি মারাত্মক আকার ধারণ করে। বহু মানুষ এই রোগে প্রাণ হারান। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা একটি হেলিকপ্টারে করে ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত জায়গায় গিয়েছিলেন।
সেখানকার পরিস্থিতি দেখে তিনি একটি বই রচনা করেছিলেন, যার নাম তিনি দিয়েছিলেন, 'এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি'। ওই বইতে তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়েছিলেন, কিভাবে ওই অঞ্চলে যাওয়ার পরে খাদ্য এবং বস্ত্রের জন্য মানুষ তাকে ঘিরে ধরেছিল। খাদিম হোসেন রাজা তৎক্ষণাৎ ওই এলাকায় সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ত্রাণ পাঠানোর তৎপরতা শুরু করলেও তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের তরফ থেকে এই ভোলা সাইক্লোনকে কোন গুরুত্বই দেওয়া হলো না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ঠিক তখনই পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের মনে হতে শুরু করে, যদি শাসন ক্ষমতা পূর্ব পাকিস্তানের হাতে থাকতো তাহলে হয়তো এরকম কিছু হতো না। ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা সম্পর্কে সেন্ট্রাল পাকিস্তান কোন ধারনাই করতে পারেনি। না করা হয়েছিল কোন রকম সতর্কবার্তা প্রচার, আর না সেখানকার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
এমনকি ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী সময়েও তৎকালীন বৃহৎ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সম্পূর্ণরূপে উদাসীন ছিলেন। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান উপদ্রুত এলাকায় যেতেই চাননি। শুধুমাত্র প্রেসিডেন্ট একা নন, পাকিস্তান সরকারের কোন মন্ত্রী একবারের জন্যও ওই জায়গা পরিদর্শনে আসতে চাইলেন না। এই বিষয়টি নিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে প্রচণ্ড ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে সেই ক্ষোভ সামাল দেবার জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান মাত্র একবার তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে গিয়েছিলেন কেবলমাত্র রুটিন পরিদর্শন করার জন্য। ঘূর্ণিঝড়ের ১৪ দিন পরে ২৬ নভেম্বর সি প্লেনে করে ভোলা আক্রান্ত অঞ্চল দেখতে এসেছিলেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান। কিন্তু তারপরেই, সেখানে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট।
জানা যায়, এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ইয়াহিয়া খান বলেছিলেন, ত্রাণ তৎপরতা এবং সরকারের কাজ-কর্মে তিনি অত্যন্ত সন্তুষ্ট। কিন্তু, একজন বিদেশী সাংবাদিক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে প্রশ্ন করেন, ত্রাণের হাহাকার নিয়ে তাহলে মানুষ এত সমালোচনা করছে কেন? সেই প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট বলেন, "মানুষ সমালোচনা করলে আমার কিছু করার নেই। আমার লক্ষ্য হচ্ছে কাজ করা এবং সমালোচনা ভুলে গিয়ে শুধু মাত্র মানুষের ভালোর দিকে নজর দেওয়া।" যদিও প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে সমর্থন করে মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা লিখলেন, "প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অত্যন্ত বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সম্পর্কে ধারণা করার জন্য এলাকা পরিদর্শন করেন। কিন্তু নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে হেলিকপ্টারটি ১০ হাজার ফুট উপর দিয়ে উড়ানো হয়েছিল, তাই প্রেসিডেন্ট মহাশয় ধ্বংসযজ্ঞের আসল স্বরূপ দেখতেই পাননি।"
যদিও এই ঘূর্ণিঝড় পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনৈতিক সমীকরণ একেবারে পাল্টে দিয়েছিল। ১৯৭০ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটলো। ইয়াহিয়া খানের দলকে পরাজিত করে সেই নির্বাচনে একচেটিয়াভাবে জয়লাভ করে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতি পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের অবিশ্বাসের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছিল সেই ভোলা সাইক্লোন। যখন ঘূর্ণিঝড়টি হয়েছিল তখন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান রাষ্ট্রীয় সফরে চিনে গিয়েছিলেন। কিন্তু ঝড়ের দুইদিন পরে তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন না করে তিনি সরাসরি ঢাকা থেকে পাকিস্তানে ফিরে চলে যান।
ফারুক চৌধুরী ছিলেন সেই সময় পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরুণ কর্মকর্তা। পরবর্তীতে তার আত্মজীবনীতে ফারুক চৌধুরী লিখেছিলেন, "ঝড়ের পরের দিন অর্থাৎ ১৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকায় আসতে পারতেন। তার জন্য সম্পূর্ণ বিমান প্রস্তুত করা ছিল। কিন্তু ১৪ নভেম্বর তিনি চীনের রাজধানী থেকে ঢাকায় এলেন। ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়টি নিয়ে ইয়াহিয়া খান একেবারেই চিন্তিত ছিলেন না এবং তিনি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কোন গুরুত্ব দিতে চাননি। সবাই ভেবেছিল ঢাকা থেকে রাষ্ট্রপতি নিজে এসে ত্রাণের কাজে সাহায্য করবেন। কিন্তু সেরকম তো হলোই না, বরং কাউকে কিছু না জানিয়েই হঠাৎ করে তিনি ইসলামাবাদে ফিরে যান।"
কিন্তু এই ভোলা ঝড়ের সময় পূর্ব পাকিস্তানের অবস্থান করছিলেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা তোফায়েল আহমেদ। ১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেই সময় ১৯৭০ সালে ভোলা সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি একাধিক উদ্ধার কার্য সম্পন্ন করেন। তারপরেই আগমন ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দেশনায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের। ১৯৭০ সালের ১৪ নভেম্বর দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে আসেন শেখ মুজিবুর রহমান। সেখানে তিনি তান তৎপরতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। তোফায়েল আহমেদকে নির্দেশ দেন যেন দুর্গত মানুষকে সর্বতোভাবে সাহায্য করা যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করার পরে ঢাকায় হোটেলে শাহবাগে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শেখ মুজিবুর রহমান। সেই বক্তৃতাতেই পশ্চিম পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের বিরুদ্ধে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। তোফায়েল আহমেদ লিখেছিলেন, "বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমি দুর্গত এলাকা সফর করে এসেছি। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এখনো পর্যন্ত দুর্গত এলাকায় আসতে পারলেন না। আমরা যে কত অসহায় এই একটা সাইক্লোন প্রমাণ করে দিয়েছে।" এই বক্তৃতার মাধ্যমে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের মনে স্বাধীনতার স্পৃহা জাগিয়ে দেন। মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরেই পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। ১৯৭০ সালে ৭ ডিসেম্বর, পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ১৬৯ টি আসনের মধ্যে ১৬৭ টি আসনে জয়লাভ করে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। তারপরেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রত্যেকটি মানুষ পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংগ্রামে নেমে আসেন। লাখো লাখো মানুষের রক্ত দিয়ে লেখা হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রামের পরবর্তীতে আসে সেই কাঙ্খিত সাফল্য। পশ্চিম পাকিস্তানের হাতছানি থেকে মুক্ত হয়ে আলাদা রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ।
তথ্যসূত্রঃ https://m.thewire.in/article/history/cyclone-bhola-mujibur-rahman-bangladesh-liberation-yahya-khan-pakistan