প্রদীপশিখার গানে যে অস্বস্তিকর দ্বন্দ্ব রেখে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ

Rabindra Sangeet: পাখির নীড়ের মতো একটি প্রদীপ শিখাও যে গানের চরিত্র হয়ে উঠতে পারে আশ্চর্য এক নীরবতার ভাষা নিয়ে, তার উদাহরণ আছে রবীন্দ্রনাথের এক বসন্তের গানে।

জীবনানন্দ দাশ ব্যবহার করার আগে ‘পাখির নীড়’ যে কোনও চোখের গভীরতার আশ্রয়বাহী রূপক হতে পারে, এই কথা সম্ভবত কোনও কবি কল্পনা করতে পারেননি। জীবনানন্দ সেটা করে দেখালেন এবং ওই ‘পাখির নীড়’-এর উপমায় সেই থেকে তাঁর একরকম কপিরাইট প্রতিষ্ঠা হয়ে গেল। আজ আর কোনও তৃতীয় শ্রেণির কবিও ওই উপমা ব্যবহারের নির্বুদ্ধিতা করবেন বলে মনে হয় না। কিন্তু এই কথা অনবদ্যভাবে স্মরণ রাখলেও অন্য একটা ঘটনা ভুলে যাওয়া যাবে না। তাঁর এক গানে ‘পাখির নীড়’-কে একটি চরিত্র হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, সেই গানের সুর অবশ্য আজ হারিয়ে গেছে। তবু একবার মনে করে নেওয়া যায় সেই লেখার প্রথম দু'টি ছত্র:

পান্থ পাখির রিক্ত কুলায় বনের গোপন ডালে
কান পেতে ওই তাকিয়ে আছে পাতার অন্তরালে

আসলে রবীন্দ্রনাথের গানের কথা নিয়ে, তার চারিত্র্য নিয়ে বিস্তর আলোচনার পরেও এমন সব অন্তরালে থাকা অনেক বিষয় আজও হঠাৎ হঠাৎ ঝিলিক দিয়ে যায়, যেসব উন্মোচনের সামনে নতজানু হওয়া ছাড়া আমাদের বিকল্প নেই। পাখির নীড়ের মতো একটি প্রদীপ শিখাও যে গানের চরিত্র হয়ে উঠতে পারে আশ্চর্য এক নীরবতার ভাষা নিয়ে, তার উদাহরণ আছে রবীন্দ্রনাথের এক বসন্তের গানে। বসন্তের গান কথাটা এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়, কেননা এই গানের সঙ্গে ঋতু হিসেবে বসন্তের সংযোগ তেমন প্রত্যক্ষ বলে মনে হয় না। গানের শুরুতে উতল হাওয়ার উল্লেখ এবং তাকে ধীরে বইতে বলার আর্তিটুকু বাদ দিলে বসন্তের অন্য কোনও উপাদান, যা সচরাচর রবীন্দ্রনাথের গানে উপস্থিত থাকে, এখানে তেমন নেই। বরং গানটা এমনভাবে আরম্ভ হয়, মনে হয় যেন উতল হাওয়াই এই গানের উপজীব্য। ঠিক যেমন এক গান ভাবুক ধরিয়ে দিয়েছিলেন, ‘ওগো নদী আপন বেগে পাগল পারা’ গানটি আসলে নদীর গান নয়, ওটা আসলে স্তব্ধ চাঁপাতরুর স্বগত ভাষণ। আমাদের আলোচ্য গানের ক্ষেত্রেও তেমন ভ্রান্তি স্বাভাবিক। একবার পুরো গানটা পড়ে নেওয়া যাক।

ধীরে ধীরে বও, ওগো উতল হাওয়া
নিশীথ রাতের বাঁশি বাজে – শান্ত হও গো শান্ত হও।
আমি প্রদীপশিখা তোমার লাগি, ভয়ে ভয়ে একা জাগি,
মনের কথা কানে কানে মৃদু কও
তোমার দূরের গাথা তোমার বনের বাণী –
ঘরের কোণে দেহ আনি
আমার কিছু কথা আছে ভোরের বেলার তারার কাছে
সেই কথাটি তোমার কানে চুপি চুপি লও।

গানের যদি কোনও জ্যামিতিক চিত্র তৈরি করা যেত তাহলে এই গানটাকে সামনে রেখে নির্মিত হতে পারে কতগুলো সেতু। একেবারে প্রথম দু'টি ছত্র (স্থায়ী) থেকে যে নির্মাণের সূত্রপাত। গানটার অন্তরায় এসে আমরা প্রথম বুঝতে পারি, গোটা গানের কথাটাই আসলে প্রদীপ শিখার ভাষ্য— ‘আমি প্রদীপ শিখা তোমার লাগি/ ভয়ে ভয়ে একা জাগি’। কিন্তু রবীন্দ্র গানে এমন কিছু প্রয়োগ আমরা এর আগে অনেকবার পেয়েছি যা পাঠককে কিছুতেই স্বস্তি দিতে চায় না (গায়কদের দেয় কিনা জানিনা!) এই গানের প্রথম চারটে লাইনের কথাই যদি ধরি, সেখানেও এই অস্বস্তিকর চোরাটান আমাদের পিছু নেয় ওই ‘ভয়ে ভয়ে’ শব্দ দু'টিকে ভর করে। সাধারণভাবে প্রদীপ শিখার অস্তিত্বের পক্ষে ভয় হতে পরে ওই উতল হয়ে ওঠা হাওয়া, যার আঘাতে নির্বাপিত হতে পারে সে অচিরেই। তাই বসন্তের উতল হাওয়াকে ধীরে ধীরে বইতে বলার একরকম যৌক্তিক ব্যাখ্যা এখান থেকে খুঁজে পাওয়া গেল। কিন্তু এই সহজ যুক্তি অন্য একটা ভাবনার দিকে ফিরিয়ে দিচ্ছে গানের দ্বিতীয় লাইনে: ‘নিশীথ রাতে বাঁশি বাজে... শান্ত হও গো শান্ত হও’— মানে হাওয়া উতল হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ‘নিশীথ রাতের বাঁশির সুরে’ তাকে শমিত করার অনুরোধ এসে পৌঁছচ্ছে প্রদীপ শিখার পক্ষে। কিন্তু নিশীথের অন্ধকারে কে বাজাচ্ছে বাঁশি? কোন নিশীথিনী?

আরও পড়ুন- গানে হেমন্ত ঋতুকে এড়িয়ে গিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ?

গানের গভীরে তার কোনও ইশারা নেই ঠিকই কিন্তু সেই আড়ালে থাকা নিশীথিনীর এই বাঁশির সুরে যে স্তব্ধতার আভাস, প্রদীপশিখাই যেন প্রতিনিধি হয়ে তাকে সঞ্চারিত করে দিতে চাইছে উতল হওয়ার কাছে। অন্য একটা গানে মুখর কবিকে নীরব করে দেওয়ার অভিপ্রায় নিশীথ রাতের নিবিড় সুরে বাঁশিতে তান পুরে দেওয়ার আর্তির কথা আমাদের মনে পড়তে পারে — ‘নিশীথ রাতে নিবিড় সুরে বাঁশিতে তান দাও হে পুরে/ যে তান দিয়ে অবাক করো গ্রহশশীরে’ (এবার নীরব করে দাও হে তোমার মুখর কবিরে)। এখানে অবশ্য বাঁশির সুরকে ভাবা হয়েছে উতল হাওয়াকে শান্ত হওয়ার প্রণোদন হিসেবে আর সেই প্রণোদনাটুকু যখন প্রদীপ শিখা পৌঁছে দিতে চায় উতল হওয়ার কাছে তখন আমাদের ভাবতেই হয় প্রদীপ শিখা এখানে নিজের অস্তিত্বের স্বার্থে এই ভূমিকা নিতে চাইছে না। এখানে সে আসলে তৈরি করে দিতে চাইছে একটা সেতু, যে সেতু জুড়ে দেবে সেই অজ্ঞাত নিশীথিনীর বাঁশির সুরে সঙ্গে শান্ত হয়ে আসা উতল হাওয়াকে।

এই গানের প্রথম সেতু যদি হয় এইটা, তবে অন্তরার দ্বিতীয় লাইনেই পেয়ে যাচ্ছি অন্য এক যোগাযোগের আভাস। উতল হাওয়াকে ধীরে ধীরে বইতে বলার পরেই প্রদীপশিখার প্রার্থনা হলো ‘মনের কথা কানে কানে মৃদু মৃদু কও’। কার মনের কথা? হাওয়ার মনের কথা (এই পর্যন্ত লিখে মনে হলো ‘হাওয়ার মনের কথা’ এই ভাবনাটুকু ভেবে উঠতে পারলেই বাংলা ভাষায় আর কোনও লেখালেখি ছেড়ে দেওয়া যায়। এমন একটা কল্পনার বিস্তার অমর করে রাখতে পারে যে কোনও ভাষাশিল্পীকে)। কিন্তু মনের কথা তো কেবল মৃদু স্বরেই হতে পারে। কিন্তু ‘কানে-কানে’ শব্দদ্বৈতের মধ্যে যে নিবিড় নৈকট্যের ছবি তার জন্য তো উতল হাওয়াকে কাছে আসতেই হবে প্রদীপশিখার কাছে আর নমিত বাচনে জানাতেও হবে সেই কথা। বোধহয় রবীন্দ্রনাথই পারেন হাওয়ার মনের কথাকে এইভাবে প্রকাশের পরিসর দিতে। পাশাপাশি, এটাও তো ভাবতে হবে উতল হাওয়া কীভাবে কাছে আসবে প্রদীপ শিখার? গানের সঞ্চারী জানাচ্ছে হাওয়া আসলে আছে দূরে (তোমার দূরের গাথা…), তবে তো তার একটা আসার একটা পথ চাই। হ্যাঁ, নিজের মনের কথা জানাতে প্রদীপ শিখার কাছে ঘন হয়ে আসতে গেলে তাকে আবারও পেরিয়ে আসতে হবে আরেকটা সেতু। এইটে গানের ভিতরকার সেই দ্বিতীয় সেতু।

এই সেতু পেরিয়ে হাওয়া যখন নিবিড় হতে চাইবে শিখার গায়ে— সেখানে এক আশ্চর্য বিরোধাভাস! হাওয়ার প্রাবল্য একদিকে যেমন নিভিয়ে দিতে পারে শিখার আলো অন্যদিকে প্রদীপশিখাই তো হাওয়ার কাছে সেই একমাত্র আশ্রয় যার কাছে নিজের মনের কথা বলা যেতে পারে নিচু স্বরে, আশ্লেষে, গাঢ়তায়। গানের এই পর্বে মুখোমুখি দাঁড়ানো দু'টি চরিত্র যে এমন এক দ্বন্দ্বময় অস্তিত্বের ফ্রেমে আটকে গেল — রবীন্দ্রনাথের গানে এমন উদাহরণ খুব বেশি নেই। গানের ভাবনার মধ্যে প্রণয়ী-প্রণয়িনী, ভক্ত- ঈশ্বর বা বন্ধু-প্রভু পরস্পরের দিকে চলাচল করছেন বা নেমে আসছেন একই সমতলে এমন ছবি অনেকবার আমরা পেয়েছি। কিন্তু এই গানে পরস্পরের কাছে যারা পৌঁছে যায় তাদের একের অস্তিত্ব অপরের পক্ষের অনস্তিত্বের দ্যোতক, অথচ তাদের সম্মেলন উপস্থিতি গানের টেনশনকে বেঁধে দিয়েছে ভিন্ন এক স্বরে। এইখানে এসে ভাবতে হবে আবার ওই ভয় কথাটা নিয়ে। একটা ‘ভয়’ এইরকম যে হাওয়া তার দমিত অস্তিত্ব নিয়ে কাছে আসতে পারবে কিনা প্রদীপ শিখার কাছে, অন্যদিকে ‘উতল’ শব্দের মধ্যে উচাটন আর মন কেমন করা একটা কুয়াশার আবছায়া ভরে দিলে মনে হতে পারে, ‘উতল হাওয়া’ তার সেই মন কেমন করা বিধুর বেদনা কি কানে পৌঁছতে পারবে প্রদীপশিখার? এ যেন এক আশ্চর্য ভয়ের দ্বিমাত্রিক অবস্থান!

রবীন্দ্রনাথের গানের ট্র্যাডিশন ভাঙার অন্যতম উপাদান হলো তার সঞ্চারী। তিনতুকের কাঠামোর মধ্যে এই চতুর্থ তুক রবীন্দ্রনাথের সংযোজন, যা শুধু গানের ভাবনার বিন্যাসকে নতুনভাবে বেঁধে রাখে তাই নয়, রবীন্দ্রনাথের গানের সঞ্চারী আসলে সেই একটুকরো খোলা আকাশ যে আকাশে গানের মুক্তি, গানের ছুটি। আমাদের সামনে রাখা এই প্রদীপশিখা আর উতল হওয়ার বিনিময়ের আখ্যানও এই ঘরানার ব্যতিক্রম নয়। এখানে সঞ্চারীর ভূমিকা গানের একটা পর্বান্তর ঘটিয়ে দেওয়ার! কেমন সে পর্বান্তর?

প্রদীপশিখার কানে কানে হাওয়ার যে কথা-বলা তার অবসান ঘটে গানের অন্তরায়। অবসান এই কারণেই বলব, ব্যবহৃত ক্রিয়াপদ ‘কও’ হলেও কথা বলা যে শেষ হয়েছে তার ইঙ্গিত আছে সঞ্চারীতে। এবারে ওই উতল হওয়ার কাছে অন্য এক বার্তা নিয়ে হাজির হয় প্রদীপশিখা—

তোমার দূরের গাথা তোমার বনের বাণী
ঘরের কোণে দেহ আনি

আরও পড়ুন- রবিঠাকুরের গানের সুর বদলে দিয়েছে শান্তিনিকেতনের মুরুব্বিরা

আগের পর্বে যার বিনতি ছিল হাওয়ার কথা শোনার, সে কথা ছিল মনের কথা যা বলতে হয় মৃদু স্বরে। আর এইটে হল ‘দূরের গাথা’ আর ‘বনের বাণী’ যা হয়তো অকপটেই বলা যায় ঘরের কোণে থাকা প্রদীপশিখাকে। এই ঘরের কোণ একসঙ্গে জানিয়ে দিল প্রদীপশিখার স্থানাঙ্কটুকুও, যা আভোগে অন্য একটা চিত্র বুঝে নিতে সাহায্য করবে আমাদের। উতল হাওয়া যদি নিজের মনের কথা উন্মুক্ত করতে না পারে তবে কি সে পারবে তার পরের কথাগুলো শিখাকে জানাতে? তাই অন্তরায় অবসানের একরকম ধারণা আমাদের না মেনে উপায় নেই। আর দূরের হাওয়া যখন তার গাথা ও বাণী নিয়ে এসে দাঁড়ায় ঘরের ভিতর তখন প্রদীপ শিখা গানের এক চূড়ান্ত বাঁকে প্রকাশ করল তার ভিন্ন আকুতি: ‘আমার কিছু কথা আছে ভোরের বেলার তারার কাছে’। নিবিড় পাঠক এইখানে এসে খেয়াল করবেন, স্থায়ী থেকে আভোগের অবসরে কীভাবে সময়ের এক গতি সূক্ষ্মভাবে ধরা দিল গানের শরীরে। নিশীথ রাতের বাঁশির সুর থেকে ভোরের বেলার তারা— গানের পাশাপাশি এগিয়ে চলেছে সময়। সত্যজিতের ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ ছবিতে এরকম এক সময়ের খেলা আমরা দেখেছিলাম চলচ্চিত্রের শর্তে।

কিন্তু ভোরের তারার কাছে কী কথা থাকতে পারে প্রদীপের? না, এই গানে সেই কথার কোনও আভাস নেই। তবে অন্য একটা গানে রবীন্দ্রনাথ জানান সন্ধ্যাতারার একরকম ইচ্ছের কথা। সেই গানের প্রথম দু'লাইন: মাটির প্রদীপখানি আছে মাটির ঘরের কোলে / সন্ধ্যাতারা টাকায় তার আলো দেখবে বলে’। ‘মাটির প্রদীপ’ আর ‘ভোরের তারার' অবস্থান আমাদের এই গানে প্রায় এক। অনুমান করা যায়, ঘরের কোণের মাটির প্রদীপ এখানেও যেন চেয়ে আছে ভোরের তারার দিকে, যার কাছে সে পৌছে দিতে চায় কোনও অনন্তের বাণী। কল্পনায় ভর করে বলতে ইচ্ছে করে কিছু কথা। অস্তিত্বের প্রাসঙ্গিকতার দিক দিয়ে দেখলে ভোরের তারা আর ‘সারারাত নিবিড়’ জ্বলে থাকা প্রদীপের অবস্থান প্রায় একরকম। অল্প পরে প্রথম দিনের ঊষা এসে ঢেকে দেবে ভোরের তারার আলো আর জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়া শিখা স্বভাবতই স্তিমিত হয়ে আসবে সময়ান্তরে। কিন্তু সত্যিই কি দুই অস্তিত্ব একরকম? কেননা ভোরের তারা আবার দিন ফুরোলে ফিরে আসবে সন্ধ্যাতারা হয়ে, কিন্তু প্রদীপ শিখার কি এমন কোনও নিশ্চিত ফিরে আসা আছে? তাই কি সে সীমায়িত অস্তিত্বের সঙ্গে মিলিয়ে দিতে চায় অসীম কালসাগরে ছুটে চলা নক্ষত্রের আবর্তন? এইটুকুই কি আসলে তার কথা? যে কথা ঘরের কোণ থেকে দূরের আকাশে সঞ্চারিত করতে চায় সে?

এই প্রশ্নের জবাব গানে নেই। কিন্তু আমরা ভুলে যাচ্ছি না, আভোগে এসে যেখানে গান শুরু, সেখানে প্রদীপ শিখার ঘরের কোণে এসে দাঁড়িয়েছে স্থিমিতগতি উতল হাওয়া। সেই হাওয়ার কানেই চুপি চুপি তার কথা সঞ্চারিত করে দিতে চায় প্রদীপ্ত শিখা, ভোরের আলোর কানাকানি যাকে এনে ফেলেছে প্রায় নির্বাপন-মুহূর্তের কিনারে। শুরুতে যে সেতুর কথা বলে ধরতে চাইছিলাম এই গানের কাঠামোর সেই সেতু এইখানে এসে দাঁড়াল তার তৃতীয় মাত্রায়। প্রথম স্তরে উতল হওয়ার কাছে নিজেকে সেতু করে মেলে ধরতে চেয়েছিল যে দীপশিখা, এইবার তার বিপরীতে সেই অতিক্রম করতে চাইল ভোরের তারার সঙ্গে তার যোজন দূরত্ব। মাঝখানে উতল হাওয়া রচনা করে দিল সেই অনিবার্য যোজক।

More Articles