কেউ বেচছেন লেবুর জল, কেউ স্ট্রিট ফুড, যে পথে লাখপতি ওঁরা
পাঁচ জন এমবিএ ডিগ্রিধারীদের কথা জানা যাক, নিয়ে মোটা মাইনের হাতছানি ভুলে শুরু করেছেন নিজের স্বাধীন ব্যবসা।
অর্থনৈতিক দিক থেকেই হোক বা সমাজের দিক থেকে, ভারতে এমবিএ ডিগ্রিটিকে একটি উচ্চস্তরের ডিগ্রি হিসেবেই গণ্য করা হয়। এমবিএ ডিগ্রি থাকা মানেই হাতে মোটা মাইনের চাকরি আসা খুবই সহজ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। ব্যাঙ্কের ম্যানেজার থেকে শুরু করে, বড় স্টার্ট আপ বা টেকনোলজি কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর, এমবিএ ডিগ্রি মানে উচ্চপদের চাকরি এবং বড় অঙ্কের মাইনের হাতছানি। তাই এই সমস্ত কিছুকে উপেক্ষা করে যখন কোনও এমবিএ ডিগ্রিধারক, আউট অফ দ্য বক্স কোনও ব্যবসার সূচনা করেন, তখন সেটাই হয়ে যায় অনেকের কাছে বেশ আগ্রহের বিষয়। আজ এরকমই পাঁচ জন এমবিএ ডিগ্রিধারীদের কথা আপনাদের জানাব, যারা শুধুমাত্র ভালো খাবার সকলকে খাওয়ানোর উদ্দেশ্য নিয়ে মোটা মাইনের হাতছানি ভুলে শুরু করেছেন নিজের স্বাধীন ব্যবসা।
এমবিএ নিম্বুপানিওয়ালা
মহম্মদ আলিফ হুসেন শুরু করেছেন এই স্টার্ট আপ ব্যবসাটি। নিজের এমবিএ ডিগ্রি পড়াশোনা শেষ করার পর চিরাচরিত চাকরি বা সাধারণ কোনও টেকনোলজি স্টার্ট আপ ব্যবসা না করে তিনি শুরু করেছেন নিজের একটি লেবুর জলের দোকান। এই ব্যবসার কথা শুনে অনেকেই চমকে গেলেও আলিফ সত্যিই কিন্তু এই ব্যবসাটি করছেন, তাও আবার বেশ সফলতার সঙ্গেই।
তবে, প্রথমদিকে তার যাত্রাপথটা খুব একটা সহজ ছিল না। একজন এমবিএ গ্র্যাজুয়েটের লেবুর জলের দোকান, বিষয়টা যেন কোনওভাবেই মেলাতে পারছিলেন না অনেকে। সকলেই তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখেছিলেন প্রথম প্রথম। 'বাড়ির লোকের নাম খারাপ করবে', 'বড় পরিবারের ছেলে হয়ে এরকম একটা কাজ!'- এরকম বহু কথা শুনতে হয়েছিল আলিফকে। তবে, নিজের লক্ষ্য থেকে কোনওভাবেই সরে আসেননি তিনি। এমবিএ ডিগ্রি থাকা মানেই যে চাকরি করতে হবে, এই বিষয়টাকে পাল্টাতে চেয়েছিলেন আলিফ। আর সেই ভাবনা থেকেই শুরু হয় তার ব্যবসা।
আরও পড়ুন: এমবিএ করে চায়ের দোকান! এই ‘চা-ওয়ালা’ এখন দেশের অনুপ্রেরণা
একটি সাক্ষাৎকারে আলিফ বলছেন, "বিজনেস স্টাডিজ এবং বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের একটি ডিগ্রি আমি নিজের দক্ষতায় অর্জন করেছি। আমি জানি, কীভাবে একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে হয় এবং সেই ব্যবসাকে সাফল্যের মুখ দেখাতে হয়। তাই আমি সেই ভাবনা নিয়েই শুরু করেছি লেবু জলের ব্যবসা।" আলিফ যে কথাটা সাক্ষাৎকারে বলছেন, সেটাই কিন্তু নিজের জীবনে করেও দেখিয়েছেন। হায়দরাবাদের প্রাণকেন্দ্রে আলিফ খুলেছেন তার এমবিএ নিম্বুপানিওয়ালার প্রথম দোকান। ২০২১-এর ফেব্রুয়ারি মাসে করোনাভাইরাস লকডাউনের দ্বিতীয় পর্যায়ের কিছুদিন আগে এই ব্যবসা তিনি শুরু করেন। সেই সময় খুব একটা লাভের মুখ না দেখলেও লকডাউন-পরবর্তী সময়ে দারুণভাবে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেন আলিফ।
এই মুহূর্তে তাঁর দোকানে পাওয়া যাচ্ছে তিন ধরনের নিম্বুপানি এবং বেশ কয়েক ধরনের মকটেল। সাধারণ নিম্বুপানি, সোডা নিম্বুপানি এবং ড্রাই আইস নিম্বুপানি এই মুহূর্তে রয়েছে তাঁর দোকানের মেনুতে। অন্যদিকে যদি কেউ মকটেল খেতে চান, তার জন্যও রয়েছে একাধিক অপশন। ব্লু লেগুন থেকে শুরু করে ভার্জিন মোহিতো, একাধিক মকটেলের অপশন নিজের দোকানে রেখেছেন আলিফ। এমবিএ নিম্বুপানিওয়ালার দোকানে এই মুহূর্তে ৩০ থেকে ৬০ টাকা দামের মধ্যে সমস্ত ড্রিঙ্ক উপলব্ধ। কিন্তু এত লেবুর জলের দোকান থাকলেও, মানুষ কেন বেছে নিচ্ছেন এই এমবিএ নিম্বুপানিওয়ালাকে? এই প্রশ্নের উত্তরটাও নিজেই দিলেন আলিফ। আসলে তাঁর দোকানে যে জিনিসটা তিনি সকলকে খাওয়ান, সেখানে কোনওরকম ভেজাল নেই। সম্পূর্ণ হাইজেনিক প্রোডাক্ট ব্যবহার করে তিনি নিজের ড্রিঙ্ক তৈরি করেন এবং এই কারণেই তাঁর দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা।
রাম কি বন্দি
একজন এমবিএ করা ব্যক্তি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ধোসা এবং ইডলি বিক্রি করছেন, এই বিষয়টা যেন কোনওভাবেই ভাবতেই পারা যায় না। তবে এই অসম্ভবটাকেই সম্ভব করে দেখিয়েছেন রামকুমার শিন্ডে। ইচ্ছে করলেই যে কোনও একটি বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে মোটা মাইনের চাকরি করতে পারতেন ৩৫ বছর বয়সি রামকুমার। কিন্তু তবুও নিজের বাবা লক্ষণের ধোসা এবং ইডলির ব্যবসাকেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন হায়দরাবাদ থেকে এমবিএ করা এই ব্যক্তি।
তবে এই সিদ্ধান্তের পিছনে কিছু কারণ ছিল। ২০০৯ সালে এমবিএ শেষ করার পর তিনি যখন কর্পোরেট সেক্টরে চাকরি খুঁজতে শুরু করলেন, তখন তিনি উপলব্ধি করলেন, এই কর্পোরেট সেক্টর তাঁকে যে পরিমাণ মাইনে দেবে, তাতে তাঁর ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত থাকবে না। এর জন্যই ২০১১ সালে নিজের বাবার পুরনো ব্যবসায় যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রামকুমার। তবে তাঁর দোকানটি কিন্তু অনেক দিক থেকেই অন্যান্য দোকানের থেকে আলাদা। ২০১১ সালে তিনি যখন শুরু করেছিলেন, সেই সময় শুধুমাত্র ইডলি এবং ধোসা পাওয়া যেত রামের দোকানে। কিন্তু তারপর থেকেই ধোসার স্বাদ পরিবর্তনের জন্য তিনি ধোসার সঙ্গে মেশাতে শুরু করলেন চিজ। সেই সময় চিজ দেওয়া ধোসা ভারতে ছিল একেবারেই অপ্রচলিত। আর চিজ দেওয়ার ফলে সেই ধোসার স্বাদও বেড়েছিল বহু গুণে। এর ফলে রামকুমারের জনপ্রিয়তা পেতে খুব একটা সময় লাগেনি।
শুধুমাত্র যে ধোসা এবং ইডলিতেই থেমে থেকেছেন, তাই নয়, নিজের দোকানের মেনুতে তিনি যুক্ত করেছেন পিৎজা। এই মুহূর্তে তাঁর দোকানে ৭০ জন কর্মচারী কাজ করেন এবং প্রায় ১,০০০ জন মানুষ তাঁর দোকান থেকে প্রতিদিন ইডলি, ধোসা এবং পিৎজা খেয়ে থাকেন। রামকুমার বলছেন, "আমার দোকানের চিজ ধোসা শুধুমাত্র যে স্থানীয় মানুষের রসনা তৃপ্তিতে কাজে লাগে, তা বলা ভুল। এই চিজ ধোসার স্বাদের টানে ভারতের অন্যান্য প্রান্ত থেকে, এমনকী, বিদেশ থেকেও অনেকে ছুটে এসেছেন আমার দোকানে। যাঁরা এই শহরে ঘুরতে আসেন, তাঁদের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই থাকে আমার বন্দি-র চিজ ধোসা। আমি মনে করি, আমাদের সকলের প্রচেষ্টাতেই এই দোকান হয়ে উঠেছে সকলের খুব প্রিয়। আমাদের দ্রুত সার্ভিস, গরম খাবার, নানারকম ধোসার বিকল্প, এবং যুক্তিসংগত দাম, এই চারটি কারণের জন্যই আমরা হয়ে উঠেছি সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য।
হোয়াট এ স্যান্ডউইচ
৩৩ বছর বয়সি হোসেন জুজার লোখান্ডওয়ালা নিজের উদ্যোগে মোটা মাইনের চাকরি এবং নিজের পারিবারিক ব্যবসা ছেড়ে খুলেছেন এই স্যান্ডউইচের স্টার্ট আপ। খুব কম দামের মধ্যে ক্রেতাদের খুব ভালো মানের স্যান্ডউইচ পরিবেশন করাই লক্ষ্য এই এমবিএ গ্র্যাডের। তবে যখন তিনি এই ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করলেন, সেই সময় তাঁর সামনে ছিল বেশ কিছু বাধা। একটি সাক্ষাৎকারে হুসেন তাঁর ব্যবসার শুরুর দিকের কথা ভাগ করে নিয়েছিলেন সকলের সঙ্গে। তিনি বলছেন, যখন তিনি এমবিএ পাস করলেন, সেই সময় তাঁর হাতে ছিল দু'টি বড় সুযোগ। প্রথমত, তিনি নিজের পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দিতে পারতেন এবং দ্বিতীয়ত, কোনও একটি বহুজাতিক সংস্থায় মোটা মাইনের চাকরি করতে পারতেন।
তবে কলেজজীবন থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিল খাবারের দুনিয়াটাকে আবিষ্কারের চেষ্টা করা, খাবার নিয়ে নতুন কিছু একটা করা, মানুষকে ভালো খাবার উপহার দেওয়া। সেই স্বপ্নকে সফল করতেই তিনি খুলে ফেললেন তাঁর নতুন স্টার্ট আপ কোম্পানি 'হোয়াট এ স্যান্ডউইচ'। ২০১৩ সালে পুনের একটি ছোট্ট জায়গা থেকে শুরু হয় এই কোম্পানি। মাত্র ১.৫ লক্ষ টাকার প্রাথমিক বিনিয়োগ দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করেছিলেন হুসেন। এই মুহূর্তে এই ব্যবসার বার্ষিক রেভিনিউ প্রায় ১ কোটি টাকার কাছাকাছি। এখন এই কোম্পানির কাছে ৫০-এর বেশি ডেলিভারি কিচেন রয়েছে এবং একটি বিশাল বড় সাপ্লাই চেইন রয়েছে এই কোম্পানির কাছে। যে-সময় এই ব্যবসা শুরু হয়েছিল, সেই সময় স্যান্ডউইচের মার্কেটে ছিল বিদেশি কোম্পানির ভিড়। তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে দেশি স্যান্ডউইচ নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছিলেন হুসেন। আজ ৯ বছর পর সেই চেষ্টায় যে তিনি সফল, তা বলাই বাহুল্য।
বিয়ন্ড স্ন্যাকস
আপনারা যারা শার্ক ট্যাঙ্ক ইন্ডিয়া রিয়েলিটি শো-টি দেখেছেন, তাঁদের কাছে এই কোম্পানির নাম অজানা নয়। এটি ভারতের এমন এক কোম্পানি, যাঁরা বিক্রি করে কেরলের সুপ্রসিদ্ধ ব্যানানা চিপস। এতদিন পর্যন্ত ভারতের কয়েকটি হাতে গোনা দোকানেই ব্যানানা চিপস পাওয়া যেত। তবে এই কোম্পানিটি আত্মপ্রকাশ করার পর, এখন কেরলের এই ব্যানানা চিপসের জনপ্রিয়তা বেড়েছে বহু গুণ। এই মুহূর্তে চারটি আলাদা আলাদা ফ্লেভারে ব্যানানা চিপস বিক্রি করে থাকে এই কোম্পানিটি। তবে শুরুটা এই কোম্পানির ক্ষেত্রেও খুব একটা সহজ ছিল না।
২০১৮ সালে কেরলের আলাপ্পুঝা এলাকানিবাসী মানস মধু বহুজাতিক সংস্থার মোটা মাইনের চাকরি ছেড়ে নিজের উদ্যোগে শুরু করেন বিয়ন্ড স্ন্যাকস। কেরলের ঐতিহ্যবাহী এই ব্যানানা চিপসকে সারা ভারতের কাছে জনপ্রিয় করে তোলা ছিল মানসের প্রধান লক্ষ্য। তিনি বলছেন, কেরল কয়েকটি জিনিসের জন্য ভারতে একেবারে সুপ্রসিদ্ধ। এই সমস্ত জিনিসের মধ্যেই রয়েছে এই স্পেশাল ব্যানানা চিপস। আপনি কেরলে এসেছেন আর এই ব্যানানা চিপস খেলেন না, এটা কখনও হতেই পারে না। তবে কেরলের বাইরে এই ধরনের ব্যানানা চিপস খুব কম জায়গাতেই পাওয়া যায়। আর সেই জায়গার চিপস স্বাদের দিক থেকেও খুব একটা ভালো নয়। তাই সারা ভারতের মানুষকে কেরলের ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত করার উদ্দেশ্যেই এই বিয়ন্ড স্ন্যাকসের স্থাপনা করেছিলেন মানস।
এই মুহূর্তে তাঁর কোম্পানির ভ্যালুয়েশন ৫০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। এবং এই ভ্যালুয়েশনে শার্ক ট্যাংক ইন্ডিয়ার বিচারক ভারত-পে কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা আশনির গ্রোভার এবং বোট লাইফস্টাইলের প্রতিষ্ঠাতা আমন গুপ্তার কাছে তিনি নিজের কোম্পানির ২.৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন। এই মুহূর্তে মুম্বই এবং পুনের মতো কিছু শহরে নিজেদের ব্রাঞ্চ স্থাপন করেছে বিয়ন্ড স্ন্যাকস।
চিউ অ্যান্ড ব্রিউ- ইট অন দ্য গো
কাশ্মীর পৃথিবীবিখ্যাত অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সুবাদে। কাশ্মীরের পার্বত্য উপত্যকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে অনেকেই স্বর্গের সৌন্দর্যের সঙ্গে তুলনা করে থাকেন। তবে, শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই নয়, কাশ্মীর কিন্তু তার লোভনীয় রসনার কারণেও একইভাবে বিখ্যাত। কাশ্মীরি আলুর দম থেকে শুরু করে মাটন রোগান জোশ, কাশ্মীরের খাবারের তুলনাই চলে না। তবে, কাশ্মীরে যে বিষয়টা নেই, তা হলো, স্ট্রিট ফুড কালচার। মুম্বই, দিল্লি, কলকাতা এবং ভারতের অন্যান্য শহরে যেরকম স্ট্রিট ফুড কালচার রয়েছে, কাশ্মীরে সেরকমটা কখনওই ছিল না। কিছু বিশেষ দোকান ছিল, তবে সেগুলিকে রোডসাইড স্টল বলা যায় না।
এই কারণেই কাশ্মীরে এই স্ট্রিট ফুড কালচার চালু করার লক্ষ্য নিয়েই শ্রীনগরে চিউ অ্যান্ড ব্রিউ নিয়ে হাজির হয়েছেন বছর ৪০-এর সাজ্জাদ আহমেদ ভাট। ভারতীয় বিদ্যাপীঠ ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ করার পর তিনি বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি করার কথা না ভেবে চলে আসেন নিজের জন্মস্থান কাশ্মীরে। আর সেখানেই রাস্তার ধারে কিছু সামান্য উপকরণ নিয়ে চালু করে ফেলেন নিজের রোডসাইড ফুড স্টল। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই, গোটা শ্রীনগরে জনপ্রিয় হয়ে পড়ে সাজ্জাদের এই চিউ অ্যান্ড ব্রিউ। এই একটি দোকানের মাধ্যমেই শ্রীনগরে চালু হয় স্ট্রিট ফুড কালচার। এই মুহূর্তে সাজ্জাদের দোকানে প্রতিদিন ৮০টি করে ডেলিভারি অর্ডার আসে। পাশাপশি প্রতিদিন প্রায় ১৫০ জন মানুষ দাঁড়িয়ে তাঁর দোকান থেকে খাবার খেয়ে যান। তাঁর এই স্টল যে এতটা কম সময়ের মধ্যে শ্রীনগরের মানুষ এতটা ভালোভাবে গ্রহণ করবেন, তা হয়তো স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি সাজ্জাদ। আপাতত শুধু একটি মাত্র স্টল থাকলেও ভবিষ্যতে স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে অফিস এবং হাসপাতালের সামনেও তাঁর এই চিউ অ্যান্ড ব্রিউকে নিয়ে যেতে চাইছেন সাজ্জাদ।