৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচন! দেশের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক হতে পারবেন মতুয়া কন্যা মধুপর্ণা?
West Bengal By Elections 2024: মধুপর্ণাকেই 'মতুয়াগড়' বাগদায় প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হরিচাঁদ ঠাকুর-গুরুচাঁদ ঠাকুরের সরাসরি বংশধর মধুপর্ণাও।
আবার ভোট বাংলায়। যদিও উপনির্বাচন, তবুও এই নির্বাচনের উপর নির্ভর করছে আগামীদিনের বেশ কিছু রাজনৈতিক সমীকরণ। লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই রাজ্যে উপনির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এই উপনির্বাচন ঘোষণার মধ্যে যে সূক্ষ রাজনীতি আছে, তা বলাই বাহুল্য। এমনিতে রাজ্যে এই মুহূর্তে ১০ টি আসন বিধায়ক শূন্য। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এমন ৪টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণা করেছে যার মধ্যে ৩টিই বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। তৃণমূল সহ রাজ্যের অনান্য দলগুলির অভিযোগ ছিল, লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে ৩৫টি আসন পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থেকে মাত্র ১২তে থেমে যাওয়া বিজেপি নেতা-কর্মী সমর্থকদের খানিক অক্সিজেন দিতেই যেন তড়িঘড়ি মাত্র ৪টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন আগে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
যদিও উপনির্বাচনের 'ট্রেন্ড' সাধারণত শাসকদলের পক্ষেই থাকে কিন্তু গত বছর সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলাফল এখনও গলার কাঁটার মতো বিঁধে আছে তৃণমূল নেতৃত্বের। তাই উপনির্বাচন হলেও অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েই এই নির্বাচনে লড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বঙ্গ বিজেপির বর্তমান নেতৃত্ব, বিশেষত সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারীর কাছেও এই ৪টি কেন্দ্রের ফলাফল কার্যত অ্যাসিড টেস্ট! কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে যাওয়ার পরে রাজ্য সভাপতি হিসেবে সুকান্ত মজুমদারের বিদায় কার্যত নিশ্চিত কিন্তু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা এবং ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে এই ৪ কেন্দ্রের ফলাফলের উপর। শুভেন্দু তাঁর নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের দু'টি আসনেই দলকে জিতিয়ে মুখ রক্ষা করেছেন ঠিকই কিন্তু গোটা রাজ্যে তাঁর রণকৌশল যে চূড়ান্ত ব্যর্থ, তা বিজেপি নেতারাও স্বীকার করেন। তারমধ্যে দিলীপ ঘোষের মতো বিক্ষুব্ধ নেতারা রোজই কিছু না কিছু কথা প্রকাশ্যে বলে অস্বস্তি বাড়াচ্ছেন। এমতাবস্থায়, ৪ উপনির্বাচনে বিজেপির ফলাফল খারাপ হলে তা শুভেন্দু অধিকারীর জন্য আরও অস্বস্তিকর হবে। ফলে বিজেপির কাছে এখন চ্যালেঞ্জ রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা আসনের পাশাপাশি মানিকতলায় নিজেদের প্রাপ্য ভোট ধরে রাখা।
আরও পড়ুন- সংবিধানের জোরে মিইয়ে গেল ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি
এই উপনির্বাচনে সবচেয়ে বেশি নজর থাকবে, মতুয়া ভোট কোন দিকে? এই ৪ কেন্দ্রের মধ্যে ২টি আসনে (বাগদা এবং রানাঘাট দক্ষিণে) মতুয়ারাই নির্ধারক শক্তি! ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন থেকে সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচন অবধি, প্রত্যেকটি নির্বাচনে মতুয়া ভোট গেছে বিজেপির ঝুলিতে। তৃতীয় নরেন্দ্র মোদি সরকারে যে দু'জন মাত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পেয়েছে বাংলা, তাদের একজন মতুয়া ঠাকুর পরিবারেরই শান্তনু ঠাকুর। এই মুহূর্তে বাংলার ২টি লোকসভা কেন্দ্র এবং প্রায় ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে মতুয়ারাই নির্ধারণ করেন প্রার্থীদের ভাগ্য।
বড়মা বীণাপাণি দেবী যতদিন বেঁচে ছিলেন, বড়মার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক সুবিদিত ছিল। মতুয়ারাও ঢেলে ভোট দিতেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। সেই সময় বড়মার দুই পুত্র মঞ্জুল কৃষ্ণ এবং কপিল কৃষ্ণ দু'জনই তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। একজন বিধায়ক, মন্ত্রী। অপরজন সাংসদ। কিন্তু কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের অকাল প্রয়াণের পরেই প্রথম তাল কাটে। সেই সময় মঞ্জুল কৃষ্ণ ঠাকুর চান, তাঁর পুত্র সুব্রত ঠাকুরকে সাংসদ পদে দাঁড় করানো হোক কিন্তু তৎকালীন উত্তর ২৪ পরগণার এক দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা, অধুনা জেলবন্দি রাজ্যের এক মন্ত্রীর মধ্যস্থতায় সেই সময় তৃণমূল নেত্রী টিকিট দেন কপিলকৃষ্ণের স্ত্রী মমতাবালা ঠাকুরকে। এরপর থেকে, সেই নেতা ঠাকুর বাড়িতে আধিপত্য বিস্তার করছেন বলে বারবার অভিযোগ করতে থাকেন মঞ্জুল কৃষ্ণ ঠাকুর এবং তাঁর পুত্র শান্তনু-সুব্রত ঠাকুরেরা। একইসঙ্গে মতুয়াদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, মমতা বালা ঠাকুর আদতে মতুয়া ঠাকুর বাড়ির ছেলের বউ হলেও তিনি কখনই ঠাকুর বাড়িতে থাকতেন না এবং তিনি সরাসরি হরিচাঁদ ঠাকুর-গুরুচাঁদ ঠাকুরের বংশের রক্তের সম্পর্কের কেউ নন।
এরমধ্যেই প্রয়াত হন বড়মা বীণাপাণি দেবী। শান্তনু ঠাকুর বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে জ্যেঠিমা মমতাবালাকে হারিয়ে সাংসদ হন শান্তনু। মতুয়া ঠাকুর বাড়িতে শান্তনু এবং সুব্রতর দাপট বাড়তে থাকে। শান্তনু পরপর দু'বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন। সুব্রত বিধায়ক। মমতা বালা ঠাকুরের সঙ্গে শান্তনু-সুব্রত ঠাকুরদের দ্বন্দ্ব গত কয়েক বছর ধরেই চরমে উঠেছিল। তা ভয়াবহ চেহারা নেয় গত চৈত্রে মতুয়াদের মহা উৎসবের দিন। সেদিন বড়মা বীণাপাণি দেবীর ঘরের দখল কার কাছে থাকবে, তা নিয়ে ঠাকুর পরিবারের দ্বন্দ্ব ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নির্দেশে সেদিন জুতো পরে সিআরপিএফ জওয়ানরা ঢুকে পড়ে বড়মার ঘরের দালানে। তালার উপর তালা পরে বড়মার ঘরে। প্রতিবাদে ধর্নায় বসেন কপিলকৃষ্ণ ও মমতাবালার কন্যা মধুপর্ণা ঠাকুর। সেই প্রথম সংবাদমাধ্যমের প্রচারকেন্দ্রে আসেন মধুপর্ণা। অনশন করেন। অসুস্থ হয়ে পড়েন। যদিও লোকসভা নির্বাচনের আবহে মধুপর্ণার ধর্না নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামায়নি কেউই। সেই মধুপর্ণাকেই 'মতুয়াগড়' বাগদায় প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হরিচাঁদ ঠাকুর-গুরুচাঁদ ঠাকুরের সরাসরি বংশধর বলে পরিচয় দিয়ে নিজেদের এক আলাদা আত্মশ্লাঘা অনুভব করতেন শান্তনু-সুব্রতরা। মধুপর্ণাও সরাসরি হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের বংশধর। মতুয়া ঠাকুর বাড়ির উত্তরাধিকারি। কিছুদিন আগেই শান্তনু ঠাকুর মমতাবালা ঠাকুরকে "ঠাকুর বাড়ির কেউ নন!” বলে আক্রমণ করতেন। বনগাঁর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসকে 'নকল মতুয়া' বলে কটাক্ষ করতেন কিন্তু মধুপর্ণার ক্ষেত্রে সেসব বলার সুযোগ নেই। অর্থাৎ এতদিন ঠাকুরবাড়ির সরাসরি বংশধর বলে যে সুযোগ শান্তনু ভোট বাক্সে নিতেন এখন সেটাই তৃণমূলের পক্ষে! এ তো গেল মতুয়া ঠাকুরবাড়ির অভ্যন্তরীণ সমীকরণ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাগদায় বিজেপির প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! বিজেপি এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে বিনয় কুমার বিশ্বাসকে কিন্তু দলেরই একাংশ আবার নির্দল হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন বিজেপি কর্মী শিক্ষক সত্যজিৎ মজুমদারকে! দেড় মাস আগের লোকসভা নির্বাচনের ফল অনুযায়ী, এই কেন্দ্রে বিজেপি ২০,৬০০ ভোটে এগিয়ে৷ মধুপর্ণা কি পারবেন এই ব্যবধান পেরিয়ে আসন বের করে নিতে? যদি পারেন, তবে ইতিহাস তৈরি হবে। গড়বেন ব্যক্তিগত রেকর্ডও! সেক্ষেত্রে ২৫ বছর ১ মাস বয়সি মধুপর্ণা ঠাকুরই হবেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক!
আরও পড়ুন- বাঙালি বনাম অবাঙালি: বেছে বেছে সুজিতকেই কেন নিশানা করলেন মমতা?
এরসঙ্গে রানাঘাট দক্ষিণ এবং রায়গঞ্জ বিধানসভা দু'টিরও পরিস্থিতি প্রায় এক। দু'টি কেন্দ্রই বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। দু'টিতেই ২০২১-এর বিধানসভায় যারা বিজেপির প্রার্থী ছিলেন তাঁরাই ২০২৪-এর লোকসভায় এবং এই উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী। মজার তথ্য হলো, কৃষ্ণ কল্যাণী এবং মুকুটমণি ২১-এর নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়ে যত ভোটে জিতেছিলেন (যথাক্রমে ২০,৭৪৮ এবং ১৬,৫১৫), সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে তার চেয়ে অনেক বেশি ভোটে হেরেছেন!
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, রায়গঞ্জে বিজেপি এগিয়ে ৪৬,৮০০ ভোটে আর রানাঘাট দক্ষিণে ৩৯,৯০০ ভোটে! লোকসভা নির্বাচনে হারের পরেও দু'টি কেন্দ্রেই তৃণমূল নেতৃত্ব কৃষ্ণ কল্যাণী এবং মুকুটমণির উপরেই বাজি ধরেছেন। একথা ঠিক যে লোকসভা নির্বাচন আর বিধানসভা উপনির্বাচন কখনই একই অঙ্কে হয় না! ২০১৯-এও উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে লোকসভায় প্রায় ৫৭ হাজার ভোটে পিছিয়ে থেকেও উপনির্বাচনে জয় ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। লোকসভা এবং বিধানসভার উপনির্বাচনে মানুষের ভোটদানের ক্ষেত্রেও নানা সমীকরণ থাকে। স্থানীয় বিষয় অগ্রাধিকার পায়। তারপরেও উত্তরবঙ্গের একটি আসনেও তৃণমূলের জয় এবং বিজেপির হার মানেই সেটা তৃণমূলের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি হতে পারে! বিশেষ করে, যেখানে এত প্রচার, এত ঢক্কানিনাদ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বারবার জেলা সফর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গের জন্য নানারকম প্যাকেজ ঘোষণার পরেও কোচবিহার ছাড়া বাকি উত্তরবঙ্গ এই লোকসভা নির্বাচনেও তৃণমূলকে চূড়ান্ত হতাশ করেছে! এমন পরিস্থিতিতে, রায়গঞ্জ আসনে জিততে পারলে তা গোটা উত্তরবঙ্গেরই তৃণমূলের সংগঠনকে বাড়তি উৎসাহ দেবে! ঠিক যেমন মতুয়া অধ্যুষিত, রানাঘাট দক্ষিণ জিতলেও তৃণমূল দ্বিগুণ উল্লসিত হবে নিজেদের বাৎসরিক সভা একুশে জুলাইয়ের আগে! কারণ, নদিয়ায় বিশেষত রানাঘাট সাংগঠনিক জেলায় তৃণমূলের অন্দরের 'কুখ্যাত' গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সকলেরই জানা! আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই এই সাংগঠনিক জেলায় বিজেপির এত বাড়বাড়ন্ত! কলকাতা পার্শ্ববর্তী এই একটি জায়গাতেই গত ৫ বছরে দুর্দান্তভাবে বেড়েছে পদ্মের চাষ! সেই 'পদ্মভূমে' যদি মুকুটমণি ঘাসফুল ফোটাতে পারেন, তবে তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হবে বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
আরও পড়ুন- মেয়ের বদলে মা! মানিকতলা থেকে কেন সরিয়ে দেওয়া হলো সাধন কন্যা শ্রেয়াকে?
মানিকতলা দীর্ঘ আড়াই বছর বিধায়কহীন। যার মামলার ভিত্তিতে আড়াই বছর বিধায়কহীন থাকলেন এই অঞ্চলের মানুষ সেই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবেই ফের দাঁড়িয়েছেন বিজেপির টিকিটে! তৃণমূলের প্রার্থী প্রয়াত বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডে। এখানেও লড়াই মূলত 'বাইনারি'। এককালে বামেদের শক্ত ঘাঁটি হলেও এখন দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হবে বামেদের। যদিও এই কেন্দ্রে এবার বাম প্রার্থী রয়েছেন তবুও লড়াই মূলত তৃণমূল-বিজেপিরই। গত লোকসভা নির্বাচনে কোনও এক 'অজ্ঞাত' কারণে এই বিধানসভায় তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় লিড পেয়েছেন মাত্র সাড়ে তিন হাজারের মতো! বিধানসভার ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২টিতে পিছিয়ে তৃণমূল! তার মধ্যে বিধায়ক পরেশ পালের ওয়ার্ডেই প্রায় ৪ হাজার ভোটে পিছিয়ে! উত্তর কলকাতার এরকম বহু ওয়ার্ডেই এরকম 'অজ্ঞাত' কারণে পিছিয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়! ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে এই বিধানসভায় বিজেপি ভোট পায় ৪৭,৩৩৯ টি। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে সেই ভোট অনেকটাই বাড়িয়ে ৬৩,৩৮৯টি ভোট পায় তারা। ভারতীয় দলের প্রাক্তন গোলরক্ষক কল্যাণের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বিজেপির এই ভোট ধরে রাখা।
আর তৃণমূলের কাছে চ্যালেঞ্জ যেভাবেই হোক লিড বাড়ানো। এমনিতেই 'শহুরে ভোট তৃণমূল বিমুখ' এমন একটা প্রচার বা ধারণা গোটা রাজ্য জুড়েই ছড়াচ্ছে। বিশেষত, গোটা বাংলার বিভিন্ন পৌরসভার ওয়ার্ডভিত্তিক ফলে পিছিয়ে থাকা এবং খোদ কলকাতার ১৪৪ টির মধ্যে ৪৭টি ওয়ার্ডে বিরোধীদের এগিয়ে থাকার তথ্য তৃণমূলের জন্য খুব একটা স্বস্তিজনক নয়! সেক্ষেত্রে শহুরে বিধানসভা মানিকতলায় ২১-এর চেয়েও বেশি মার্জিনে জিতলে শহুরে ভোটারদের একটা সুস্পষ্ট বার্তা দিতে পারবে তৃণমূল। একইসঙ্গে বিরোধীদেরও বুঝিয়ে দেবে নগর কলকাতায় এখনও অপ্রতিরোধ্য তৃণমূলই! হতে পারে উপনির্বাচন কিন্তু ৪টি কেন্দ্রের এই ভোটগ্রহণ স্রেফ মামুলি নির্বাচন নয়। অনেক সমীকরণ, অনেক রথী-মহারথীদের আগামীর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে এই উপনির্বাচন।