ইউক্রেনের সঙ্গে খনিজ চুক্তির আড়ালে যা করতে চাইছে আমেরিকা

US-Ukraine Minerals Deal: আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে চিনের বিকল্প সরবরাহ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় ৭০ শতাংশ বিরল খনিজ প্রক্রিয়াজাতকরণ চিনে সম্পন্ন হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে নতুন খনিজ উন্নয়ন চুক্তি ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ডে একটি নতুন প্রভাব বলয় নির্মাণের সূচনা করেছে। চুক্তিটি গত বুধবার কিয়েভ ও ওয়াশিংটনের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে ও দীর্ঘ আলোচনার পর তা সম্পন্ন হয়। এই চুক্তি ইউক্রেন যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক নির্দেশ করে। এই চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদের অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রবেশাধিকার পাবে, যাতে ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন রোধ করা যায়। তবে এতে কোনও নির্দিষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি এবং রুশ নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকাগুলোর খনিজ সম্পদে প্রবেশ নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী আন্দ্রেই সিবিহা বৃহস্পতিবার বলেছেন, “এই চুক্তি ইউক্রেন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত অংশীদারিত্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা ইউক্রেনের অর্থনীতি ও নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছে।” এই চুক্তির মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের লিথিয়াম, টাইটানিয়াম এবং বিরল মাটি-ভিত্তিক খনিজ সম্পদের ওপর দীর্ঘমেয়াদি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সুযোগ পাচ্ছে, অথচ ইউক্রেন কোনও সুনির্দিষ্ট সামরিক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পায়নি। এমনকী চুক্তিতে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘পুনর্গঠন তহবিল’-এর আওতায় প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলিও মূলত মার্কিন কর্পোরেট ও বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলোর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে, যেখানে ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় ভূমিকা সীমিত ও পরোক্ষ। যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে ইউক্রেন পশ্চিমা সহযোগিতা প্রত্যাশা করলেও এই চুক্তির শর্ত ও কাঠামো বলছে— এই সহযোগিতা স্বনির্ভরতা নয়, বরং নির্ভরতাকেই নতুন কাঠামোয় প্রতিষ্ঠিত করছে।

এই খনিজ উন্নয়ন চুক্তি যুদ্ধকালীন সহযোগিতার একটি নতুন অশুভ রূপ— যেখানে অস্ত্র সরবরাহ বা সরাসরি সামরিক জোটের বদলে প্রাকৃতিক সম্পদকে ভিত্তি করে জিও-স্ট্র্যাটেজিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা হচ্ছে। ইউক্রেনের এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা তার নিরাপত্তাহীনতা, যা যুদ্ধের পরিণতি ও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতির অনিশ্চয়তা দ্বারা প্রভাবিত। অথচ এই চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র কোনও ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেয়নি— না সামরিক রূপে, না কূটনৈতিক রূপে। ইউক্রেন যেহেতু ন্যাটোর পূর্ণ সদস্য নয়, তাই তার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা সীমিত। ফলে, রাশিয়ার দ্বারা আক্রমণের পুনরাবৃত্তি হলেও এই চুক্তির আওতায় থাকা মার্কিন বিনিয়োগ, সরঞ্জাম ও খনিজ প্রকল্পগুলোকে রক্ষা করার কোনও গ্যারান্টি থাকছে না। যুদ্ধকালীন বিনিয়োগ, বিশেষত খনিজ খাতে, সরাসরি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কৌশলের সঙ্গে যুক্ত হলেও এই বিনিয়োগের সুরক্ষা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কৌশলে নীরব থেকে গেছে।এই নীরবতা নিছক কূটনৈতিক কৌশল নয়; বরং একটি সুপরিকল্পিত ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান।

আরও পড়ুন- জমিদখল থেকে লুঠতরাজ! ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যে তাণ্ডব চালাচ্ছে ইজরায়েলি দখলদারেরা

ইউক্রেন ইউরোপের অন্যতম খনিজ-সমৃদ্ধ দেশ, যার ভূগর্ভে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ মজুত রয়েছে। দেশটির খনিজ সম্পদ শুধু শিল্প ও জ্বালানির উৎস হিসেবেই নয়, ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের একটি মুখ্য উপাদান হয়ে উঠেছে। লৌহ আকরিক ইউক্রেনের সবচেয়ে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া খনিজ, যার আনুমানিক মজুত প্রায় ৩০ বিলিয়ন টন। এটি মূলত ক্রিভি রিহ অঞ্চলে (ক্রিভি রিহ, দক্ষিণ ইউক্রেনের শহর, ইনহুলেটস এবং সাকসাহান নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত) কেন্দ্রীভূত এবং ইউরোপে বৃহত্তম রিজার্ভ হিসেবে বিবেচিত। এই আকরিক ইউক্রেনের ইস্পাত শিল্পের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে এবং রপ্তানির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কয়লার দিক থেকেও ইউক্রেন সমৃদ্ধ, বিশেষ করে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল (ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত, যা রাশিয়ার সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে। এই দু'টি অঞ্চল 'ডনবাস' নামে পরিচিত শিল্প সমৃদ্ধ একটি অঞ্চলের অংশ, যেখানে পূর্বে ইউক্রেনের স্টিল উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্র ছিল) জুড়ে অবস্থিত ডনবাস বেসিনে প্রায় ৩৪ বিলিয়ন টনের মতো কয়লা মজুত রয়েছে। এই কয়লা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ভারী শিল্পে ব্যবহৃত হয়। ইউক্রেন বিশ্বে অন্যতম বৃহৎ ম্যাঙ্গানিজ উৎপাদক, যার মূল উৎস নিকোপল বেসিনে অবস্থিত এবং এর মজুত আনুমানিক ২.২ বিলিয়ন টন। ইস্পাত প্রক্রিয়াকরণ ও ব্যাটারি তৈরিতে এর চাহিদা বিশ্বজুড়ে রয়েছে। টাইটানিয়াম উৎপাদনেও ইউক্রেন অন্যতম শক্তিধর দেশ। জাইটোমির ও ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলে এই খনিজ বিপুল পরিমাণে পাওয়া যায় এবং এটি বিমান ও সামরিক সরঞ্জাম তৈরিতে অপরিহার্য উপাদান। ইউক্রেনের ইউরেনিয়াম মজুতও উল্লেখযোগ্য, যা কিরোভোহ্রাদ অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত এবং পরিমাণ প্রায় ২ লক্ষ টন বলে অনুমান করা হয়। এই ইউরেনিয়াম দেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। সম্প্রতি লিথিয়ামকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক আগ্রহ বেড়েছে, কারণ বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যাটারিতে এই খনিজ অপরিহার্য। দোনেৎস্ক ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে লিথিয়ামের উপস্থিতি নিয়ে সম্ভাবনাময় অনুসন্ধান চলছে। যদিও এখনও পূর্ণ মাত্রায় খনন শুরু হয়নি, তবুও ইউক্রেনের ভূগর্ভে এই মূল্যবান সম্পদের অস্তিত্ব দেশটিকে ভূ-অর্থনৈতিক কৌশলে নতুন গুরুত্ব দিয়েছে। কার্পাথিয়ান অঞ্চল ও পশ্চিম ইউক্রেন জুড়ে সোনা ও অন্যান্য দুলর্ভ ধাতুর সন্ধান পাওয়া গেছে, যদিও এদের মজুত ও খননের কাজ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ তেলের ক্ষেত্রেও ইউক্রেন ধনী, বিশেষ করে ডিনিপ্রো-ডোনেটস বেসিন ও কৃষ্ণসাগরীয় উপকূলে। প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত প্রায় ১.১ ট্রিলিয়ন ঘন মিটার এবং তেলের পরিমাণ ১৩০ মিলিয়ন টনের কাছাকাছি।

এই বিপুল খনিজ সম্পদ ইউক্রেনকে শুধু অর্থনৈতিকভাবে নয়, ভূরাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও এক কৌশলগত কেন্দ্রে পরিণত করেছে। রাশিয়ার আগ্রাসী নীতি এবং পশ্চিমা দেশগুলোর জ্বালানি নির্ভর কৌশলগত আগ্রহ উভয়ই ইউক্রেনের এই ভূসম্পদের কারণে আরও জটিল হয়ে উঠেছে। একদিকে এই খনিজ রপ্তানি ইউক্রেনের অর্থনীতির চালিকাশক্তি, অন্যদিকে এগুলো দেশটির সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে আক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ কেবল তার উন্নয়নের ভিত্তি নয়—বিশ্ব রাজনীতির এক অদৃশ্য শক্তি কেন্দ্রও বটে। আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে চিনের বিকল্প সরবরাহ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় ৭০ শতাংশ বিরল খনিজ প্রক্রিয়াজাতকরণ চিনে সম্পন্ন হয় এবং যুক্তরাষ্ট্র সেই নির্ভরতা ভাঙতে চায়। ইউক্রেনের টাইটানিয়াম ও লিথিয়ামের মতো উপাদান এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। চুক্তিটি তাই শুধু বিনিয়োগ চুক্তি নয়, বরং বৃহৎ ভূ-অর্থনৈতিক পুনর্বিন্যাসের অংশ। এতে ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ভূ-অর্থনৈতিক বলয়ের একটি সরবরাহ শৃঙ্খলে পরিণত হবে, যেখানে ইউক্রেনের ভূখণ্ড একটি কৌশলগত খনিজ করিডোর হিসেবে ব্যবহৃত হবে কিন্তু এর বিনিময়ে সার্বভৌম নিরাপত্তা বা ভূখণ্ড রক্ষা নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। ১৯৯৪ সালের বুদাপেস্ট মেমোরেন্ডাম যেমন ইউক্রেনকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিনিময়ে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছিল, এই খনিজ চুক্তি তার পুনরাবৃত্তি হতে পারে।

চুক্তির একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো কর্পোরেট অংশগ্রহণ। চুক্তিটি বাস্তবায়নের কেন্দ্রে থাকবে একটি তহবিল, যাতে ব্ল্যাকরক, জেপি মরগান, গোল্ডম্যান স্যাক্স-এর মতো মার্কিন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থাকবে। এরাই প্রকল্প বাছাই, প্রযুক্তি সরবরাহ এবং লাভের অংশ নির্ধারণে প্রভাব বিস্তার করবে। ইউক্রেনের অংশগ্রহণ এই কাঠামোয় সীমিত; যদিও তাত্ত্বিকভাবে সমান ভোটাধিকার আছে, বাস্তবে প্রযুক্তি ও মূলধনের নিয়ন্ত্রণ থাকছে মার্কিন অংশীদারদের হাতে। এই তহবিল ব্যবস্থায় ইউক্রেন সরকারের নিয়ন্ত্রণ পরোক্ষ এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন খনিজ সম্পদ যদি বেসরকারি বা বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে আহরণ শুরু হয়, তাহলে সেটি কার্যত দেশি সার্বভৌমত্বের ক্ষয় হতে পারে। এটি 'ইনভেস্টমেন্ট কলোনিয়ালিজম' বা 'বিনিয়োগ-নির্ভর উপনিবেশবাদ'-এর একটি আধুনিক রূপ, যেখানে কোনও দেশের আর্থিক দুর্বলতা বা যুদ্ধজনিত সংকটকে ব্যবহার করে তার প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর বহুজাতিক কর্পোরেট সংস্থা ও পরাশক্তি নিয়ন্ত্রণ কায়েম করে।

আরও পড়ুন- ভারতের থেকে বেশি সুখে আছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনও! সামনে এল যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

উল্লেখযোগ্য যে, এই চুক্তির প্রাথমিক খসড়া অনুসারে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের খনিজ আয়ের ৫০ শতাংশ দাবি করেছিল এবং তহবিল ব্যবস্থাপনার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চাইছিল, যা অনেক ইউক্রেনিয় আইনপ্রণেতার মতে একটি নব্য-ঔপনিবেশিক চুক্তির চেয়ে বেশি কিছু নয়। তীব্র প্রতিক্রিয়ার ফলে কিছু শর্ত পরিবর্তন হয় কিন্তু তাতে চুক্তির মূল ক্ষমতার ভারসাম্য বদলায়নি। চুক্তির বর্তমান রূপেও মার্কিন কোম্পানিগুলো চূড়ান্ত প্রকল্প নির্ধারণে মূল ভূমিকা পালন করবে এবং প্রযুক্তিগত ও পরিবেশগত মানদণ্ডের প্রশ্নে একচেটিয়া কর্তৃত্ব পাবে। ইউক্রেন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এইসব শর্তে সম্মত হতে বাধ্য হলেও এর দীর্ঘমেয়াদি প্রতিক্রিয়া হতে পারে সম্পদ-নির্ভর অর্থনীতির সৃষ্টি, যা পুনর্গঠনের পরিবর্তে দারিদ্র্য ও কর্পোরেট শোষণকে চিরস্থায়ী করতে পারে।

ইউক্রেন এই মুহূর্তে এক জটিল বাস্তবতার মুখোমুখি। যুদ্ধ চলাকালীন কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রলোভনে একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক জোট গড়ছে, অন্যদিকে চুক্তির গভীরতা বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয়ে যায়— এই অংশীদারিত্বের একক মূল্য পরিশোধ করছে ইউক্রেন, অথচ লাভের ভাগ বা নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ততটা নিশ্চিত নয়। একটি দেশের ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব তখনই টেকসই হয়, যখন তা কেবল সামরিক রক্ষা নয়, সম্পদ ব্যবস্থাপনার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে পারে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে মার্কিন-ইউক্রেন খনিজ চুক্তি একটি অসম অংশীদারিত্ব, যেখানে একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত রাষ্ট্রের ভূ-সম্পদকে একটি ভূ-রাজনৈতিক খেলায় পরিণত করা হয়েছে এবং নিরাপত্তার বদলে দেওয়া হয়েছে বিনিয়োগের আশ্বাস। এই বিনিয়োগ যদি ভবিষ্যতের স্থায়ী শোষণের ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়, তবে ইতিহাস একে আরেকটি 'বুদ্ধিমান উপনিবেশবাদ' বলেই বিবেচনা করবে।

More Articles