মোটা টাকা ট্যাক্স বাঁচাতে চান? ৩১ মার্চের মধ্যে এই কাজ সারতেই হবে
Financial Deadlines : এই মাসের মধ্যেই সেরে ফেলতে হবে সব, বড়ো বিপদ এড়াতে যে যে কাজ এক্ষুনি করতে হবে আপনাকে
আর মাত্র দিন দশেক, তার পরই শুরু হয়ে যাবে আনকোরা নতুন একটা আর্থিক বছর। ইতিমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের আগামী বছরের বাজেট সংক্রান্ত হিসেব। সেই তথ্য নিয়ে তোলপাড় এখনও তুঙ্গে। কোথাও অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধি কপালে ভাঁজ ফেলেছে, কোথাও আবার সামান্য সাশ্রয়ের সুযোগ পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে আম আদমি। এমনিতেই বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে বছরভর চলে লিংক করানোর হিড়িক। ব্যক্তিগত নথি সংক্রান্ত একাধিক কার্ড, এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে লিংক, এই নিয়ে ব্যাংক এবং সাইবার ক্যাফেগুলোয় উপচে পড়ে ভিড়। তার মধ্যে মার্চ মাস মানেই বিগত বছরের সমস্ত হিসেব গোটানোর পালা। ফলে এই সময় দাঁড়িয়ে বেশ কিছু কাজ তড়িঘড়ি করে ফেলা খুবই জরুরি, অন্যথায় বড়ো বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন আপনিও। জেনে নিন, মার্চের ৩১ তারিখের মধ্যে কোন আর্থিক কাজগুলি সারতে হবেই।
প্যান এবং আধার কার্ডের লিংক -
বর্তমানে সর্বত্র এই বিষয়টা নিয়ে চলছে আলোচনা। কীভাবে কোন পোর্টাল থেকে লিংক করানো যাবে, লিংক না করালে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে, কতো টাকা জরিমানা ইত্যাদি বিষয় ঘুরছে লোকের মুখে মুখে। সুতরাং নতুন আর্থিক বছর শুরু আগে অর্থাৎ ৩১ মার্চের মধ্যে এই বিষয়টি করতে হবেই যে, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লিংক করানো না হলে নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে প্যান কার্ড, আর প্যান কার্ড ছাড়া কোনও ভাবেই আয়কর জমা করতে পারবেন না। এর জেরে আটকে যাবে আপনার আয়কর রিটার্নের রিফান্ডও। যে পরিমাণ আয়কর এতদিন দিতে হতো আপনাকে, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি আয়করের অঙ্ক কাটা হতে পারে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে।
আরও পড়ুন - অন্য কিছু নয়, টাকাই আনবে জীবনের আসল সুখ! খোদ নোবেলজয়ীর যে গবেষণা তাক লাগিয়েছে
FY2022-23 -এর জন্য ট্যাক্স সংরক্ষণ
প্রতি আর্থিক বছরের মতো বর্তমান আর্থিক বছরেও ২০২২-২৩-এর জন্য কর সাশ্রয় বিনিয়োগ করতে হবে, এবং এই কাজের সময়সীমা হল আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্তই। এর মধ্যে কাজ সম্পন্ন না করলে বড়ো আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারেন আপনিও। FY2022-23-এর জন্য কর-সঞ্চয় বিনিয়োগের সময়সীমা শেষ হবে ৩১ মার্চ, ২০২৩।
আপনার আয় যদি করযোগ্য আয়ের বিভাগে পড়ে এবং চলতি অর্থবছরে এখনও কর সাশ্রয় সংক্রান্ত নথি জমা করে না থাকেন তবে, শীঘ্রই করে ফেলুন এই কাজ। তবেই কমাতে পারবেন মোট দেয় করের পরিমাণ। এই কর সাশ্রয়ের বিকল্প হতে পারে পিপিএফ, ট্যাক্স সেভার ব্যাঙ্ক এফডি, জীবন ও স্বাস্থ্য বীমা প্রিমিয়াম, হোম লোনের সুদ এবং মূল পরিশোধ, যোগ্য দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান সহ আরও বেশ কিছু পদ্ধতি।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য অগ্রিম কর প্রদান
২০২২-২৩ আর্থিক বছরের জন্য অগ্রিম কর প্রদানের চূড়ান্ত কিস্তি জমার শেষ তারিখ ছিল ১৫ মার্চ, ২০২৩। এই তারিখের মধ্যে করদাতাদের অগ্রিম কর দায় ১০০ শতাংশ পরিশোধ করতে হতো। আয়কর বিভাগের মতে, যদি করদাতার আনুমানিক কর দায় হয় ১০,০০০ বা তার বেশি হয় তবে তাকে অগ্রিম করের আকারে তার কর দায় পরিশোধ করতে হবে। এছাড়াও, 31শে মার্চ পর্যন্ত প্রদত্ত যে কোনও কর অগ্রিম কর হিসাবে বিবেচিত হবে৷
সরকারি নথিতে আরও জানানো হয়েছে, অ্যাডভান্স ট্যাক্স পেমেন্টের ক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি থাকলে, করদাতাকে আয়কর আইন 1961-এর ধারা 234B এবং 243C এর আওতায় জরিমানা করা হবে। তবে যদি অ্যাডভান্স ট্যাক্স পেমেন্টের কিস্তি দেওয়ার দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকে, তবে করদাতা পরবর্তী কার্যদিবসে অ্যাডভান্স ট্যাক্স দিতে পারেন।
আরও পড়ুন - Pan Aadhar link: শেষ তারিখ ৩১ মার্চ, যে তথ্যগুলি আপনাকে জানতেই হবে
প্রধানমন্ত্রী ভায়া বন্দনা যোজনায় বিনিয়োগ
প্রবীণ নাগরিকদের নিয়মিত আয়ের প্রবাহ প্রদানের জন্য ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী ভায়া বন্দনা যোজনা (PMVVY) চালু করা হয়েছিল। এর জন্য আবেদনের শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ মার্চ, ২০২৩। প্রধানমন্ত্রী ভায়া বন্দনা যোজনা হল এমন একটি বিমা তথা পেনশন স্কিম যা প্রবীণ নাগরিকদের নিরাপত্তা দেয়। এই পেনশন পরিকল্পনাটি LIC -র তরফে দেওয়া হয়।
৬০ বছরের বেশি বয়সী যে কেউ এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারে, এই যোজনায় আবেদনের ক্ষেত্রে বয়সের কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই। এই স্কিমের আওতায় একজন প্রবীণ নাগরিক ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন। ইস্যুর তারিখ থেকে পলিসিটির মেয়াদ দশ বছর। PMVY স্কিম ১০ বছরের জন্য ৭.৪ শতাংশ সুদ দেবে বলেই জানা গিয়েছ। এই স্কিমের আওতায় থাকা গ্রাহক মাসিক, ত্রৈমাসিক, আধা-বার্ষিক অথবা বার্ষিক ভিত্তিতে এই পেনশন পেতে পারেন।