পাঁউরুটির শেষের মোটা অংশটির নাম কী জানেন? চমকে দেবে এই উত্তর
Name of Bread's End Slice : পাঁউরুটির সবটা খেয়ে নেওয়ার পরে ওই শেষভাগে যে মোটা অংশটি পড়ে থাকে, তা নিয়েই বিড়ম্বনা!
প্রাতঃরাশে পাঁউরুটি আর নিছক সাহেবি খাবার নয়। যতই ব্রেড-ওমলেট, ব্রেড-জ্যাম বলে কেতাবি ডাক ডাকা হোক না কেন, বাংলার মানুষের কাছে তা আখেরে ডিম-পাঁউরুটি বা পাঁউরুটির টোস্ট। কেউ কেউ সখে মালাই টোস্ট ইত্যাদি খাচ্ছেন বটে তবে মোদ্দা কথা তা পাঁউরুটিই। ঘরে হোক বা চায়ের দোকানে, চটজলদি প্রাতঃরাশ মানেই পাঁউরুটি। কিছুকাল আগেও পিকনিক বা দল বেঁধে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনায় সকালে বরাদ্দই থাকত পাঁউরুটি, ডিম ও কলা! নিজ দমে বাঙালি ব্রেড বাটারকে পাঁউরুটি আর ঝোলাগুড় করে তুলেছে। পাঁউরুটির চপও বেশ প্রিয়। কিন্তু পাঁউরুটির সবটা খেয়ে নেওয়ার পরে ওই শেষভাগে যে মোটা অংশটি পড়ে থাকে, তা নিয়েই বিড়ম্বনা! পাঁউরুটির শেষ ভাগটিকে কী নামে ডাকা হয় তাই তো জানা নেই। 'খেতে ভালো না লাগা অংশ' বলে ডাকলেই তো হলো না। সে পাঁউরুটির অংশ বটে, কিন্তু পাঁউরুটি তো নয়! পাঁউরুটির শেষ অংশটির নাম কিন্তু দেশ ভেদে আলাদা।
পাঁউরুটির শেষের অংশটির সঠিক নাম আসলে কী?
বিশ্বের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন নামে এই অংশটিকে ডাকা হয়। সম্প্রতি, নো কনটেক্সট ব্রিটস অ্যাকাউন্ট থেকে একটি টুইট করা হয়েছে। সেই ঘিরেই দেশে দেশে নেটিজেনরা খুঁজে বেড়াচ্ছেন পাঁউরুটির শেষভাগের নাম। জানা যাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায়শই মানুষ পাঁউরুটির এই শেষ অংশটিকে 'হিল' নামেই ডাকেন। ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যে আবার পাঁউরুটির শেষভাগের প্রায় অষ্টোত্তর শত নাম! সেখানকার লোকজন একে কখনও 'নবি' বলে, কখনও 'ডোরস্টেপ' বলেও ডাকে। 'ক্রাস্ট' বলেও ডেকে থাকেন অনেকে।
আরও পড়ুন- শয়তানের রক্তাক্ত দাঁত! এই বীভৎস সুন্দর ছত্রাকের গা দিয়ে সত্যিই কি বেরোয় রক্ত?
নরওয়ের মানুষজন আবার পাঁউরুটির শেষ অংশকে ডাকেন 'কল্ক' বলে। আসলে পুরনোদিনের মানুষরা এই নামেই ডাকতেন, সেই নামই বহমান। কল্ক শব্দটি ইংরেজিতে অনুবাদ করলে খানিক 'হিল' শব্দের অর্থই দাঁড়ায়। অনেকেই আবার এত নামের ধার ধারেন না। পাঁউরুটির শেষাংশকে 'শেষের টুকরো' বলেই ডেকে বুঝিয়ে দেন। তবে ডেনমার্কের মানুষ আবার 'এন্ডেস্কাইভার’ বলে এক খটোমটো নামে ডেকে থাকেন, অনুবাদ করলে এর অর্থ দাঁড়ায় 'এন্ড ওয়াশার' বা 'এন্ড ডিস্ক'।
তবে আমেরিকানরা নেহাত ফাজিল, তারা পাঁউরুটির শেষ ভাগকে বলেন 'বাট' অর্থাৎ পশ্চাৎদেশ। এমনই সমার্থক কিছু শব্দ হলো 'বাম' এবং 'রাম্প’, কানাডার কিছু মানুষ এই নামেই ডাকেন পাঁউরুটির শেষ অংশকে। নেদারল্যান্ডের অনেকে আবার বলেন 'কন্টজে'। মজার ব্যাপার হলো, এর অনুবাদ করলেও দাঁড়ায় 'বুটি' বা পশ্চাৎদেশ।
অস্ট্রেলিয়ায় একটি যথাযথ নাম রয়েছে পাঁউরুটির শেষ অংশের, 'ক্রাস্ট'। চেকোস্লোভাকিয়ানরা একে বলেন 'পটকা'। কিছুজন আবার কিছুই ডাকেন না। বেশিরভাগেরই অপছন্দ পাঁউরুটির এই মোটা শেষভাগ। যাকে পছন্দই নয়, তার আবার অত বাহারি নাম দেওয়া কেন! ফলে কুকুরের রুটি, হাঁসের রুটি নামেও ডেকে থাকেন অনেকে। ভালো না লাগা অংশকেও অজান্তেই এত নাম দিয়ে ফেলেছে মানুষ। ভাষার বিবর্তনের সঙ্গে এভাবেই জুড়ে গিয়েছে খাবারের নামের পাল্টে যাওয়াও।

Whatsapp
