ফেসবুক পোস্ট ঘিরে ছিঃ ছিঃ! যাদবপুরের নয়া উপাচার্য পদে কতটা যোগ্য বুদ্ধদেব সাউ?

Jadavpur University: নতুন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বিজেপিপন্থি অধ্যাপক সংগঠনের সঙ্গে নাকি যুক্ত। জাতীয়তাবাদী শিক্ষক এবং অধ্যাপকদের সংগঠন ‘অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শিক্ষক মহাসঙ্ঘ’-এর সভাপতি তিনি। শুধু কি তাই এক সময় আবুটা, ওয়েবক...

প্রাক্তন উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের মেয়াদ শেষ হয়েছিল আগেই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য আসার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ঘটে গেল ছাত্রমৃত্যুর মতো ভয়ঙ্কর ঘটনা। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়দায়িত্ব নিয়ে তুলে দিয়েছে বড়সড় প্রশ্ন। বাংলা প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুন্ডুর মৃত্যুর নেপথ্যে উঠে এসেছে ব়্যাগিং তত্ত্বের কথা। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার ১৩। তার মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী থেকে বেশ কয়েকজন বর্তমান পড়ুয়াও। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সিসিটিভি বসালেই এই ধরনের সমস্যা এড়ানো যাবে কিনা তা নিয়ে যুজুধান সবপক্ষ। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় ও তার সংলগ্ন চত্বর উত্তাল হয়ে উঠেছে ছাত্রবিক্ষোভ-আন্দোলনে। এত সব হুলুস্থুলুর মধ্যেই নতুন উপাচার্য নিয়োগ হল বিশ্ববিদ্যালয়ে। যাদবপুরের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে এলেন গণিতের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউ। কিন্তু আদৌ কি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার যোগ্যতা তাঁর আছে। নাকি এক্ষেত্রে কষ্টিপাথর শুধুমাত্র বিজেপি ঘনিষ্ঠতাই, উঠেছে প্রশ্ন। 

আরও পড়ুন: রাজন্যাই তবে পারবে যাদবপুরের বাম দুর্গে ফাটল ধরাতে?

স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মনীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। যাদবপুরের প্রাক্তন উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের মেয়াদ শেষ হয়েছে জুন মাসে। তার পরে এতদিন কেন অভিভাবকহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে নানা মহল থেকে। এই পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় রাজভবন। অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় বুদ্ধদেব সাউয়ের। জরুরি অবস্থায় রবিবার ছুটির দিনেই দায়িত্ব বুঝে নিতে হয়েছে তাঁকে। ওই দিনই দায়িত্বগ্রহণের কথা বিবৃতি দিয়ে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্টার স্নেহমঞ্জু বসু।

কিন্তু এর মধ্যেই মাথাচাড়া দিয়েছে অন্য প্রশ্ন। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, নয়া উপাচার্য নাকি বিজেপিঘনিষ্ঠ। খুঁজে খুঁজে বিজেপিঘনিষ্ঠ প্রার্থীকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে বসানো হয়েছে, আর তার পিছনে রয়েছে আদতে রাজনৈতিক পরিকল্পনা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো মুক্তচিন্তার শিক্ষাঙ্গনে পরিকল্পনা করেই রাজনীতি ঢোকানোর খেলা চলছে।

নতুন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বিজেপিপন্থি অধ্যাপক সংগঠনের সঙ্গে নাকি যুক্ত। জাতীয়তাবাদী শিক্ষক এবং অধ্যাপকদের সংগঠন ‘অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শিক্ষক মহাসঙ্ঘ’-এর সভাপতি তিনি। শুধু কি তাই এক সময় আবুটা, ওয়েবকুপার সঙ্গেই থেকেছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, যাদবপুরে অল বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (আবুটা)-র হিসাবরক্ষক (ট্রেজ়ারার) পদে রয়েছেন বুদ্ধদেব। এরসময় ওয়েস্ট বেঙ্গল কলেজ ইউনিভার্সিটি প্রফেসর্স অ্যাসোসিয়েশন (ওয়েবকুপা)-এরও হিসাবরক্ষক পদেও ছিলেন তিনি। এখন অবশ্য আর তেমন সক্রিয়তা নেই। রাজনৈতিক পরিচয় তো নাহয় হল!শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক দিয়েও কি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার যোগ্য তিনি? প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও।

আসুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক, বুদ্ধদেব বাবুর শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবনের পথচলা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করার পর ১৯৯৫ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন তিনি। এরপর ২০০০ সালে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট  থেকে এমটেক পাশ করেন বুদ্ধদেববাবু। ২০১২ সালে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই পিএইচডি শেষ করেন তিনি। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে তাঁর কাজের জীবনও। ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘লেকচারার’ ছিলেন তিনি। এর পরে তিনি সিনিয়র লেকচারার হন। ২০০৯ সাল পর্যন্ত সামলেছেন সেই দায়িত্ব। পরের তিন বছর রিডার হিসাবে ছিলেন যাদবপুরে। এর পর ২০১২ সালে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হন বুদ্ধদেব। ২০১৫ সালে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর থেকে প্রফেসর পদে উন্নীত হন বুদ্ধদেব। যদিও পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের একাংশের দাবি, ‘অ্যাকাডেমিক কেরিয়ার’ যথেষ্ট দুর্বল হওয়ার কারণে তাঁর নামে অনুমোদন দিচ্ছিল না প্রফেসর সিলেকশন কমিটি। কেউ কেউ জানিয়েছেন, এইচ ইনডেক্স পয়েন্ট ৯, এমনকী আই-তেন ইনডেক্সও ৯। অ্যাকাডেমিক্সের ক্ষেত্রে যে নম্বর খুব একটা সন্তোষজনক নয়। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাথা হওয়ার পক্ষে বুদ্ধদেববাবুর যোগ্যতার ব্যাপারে সওয়াল করেছেন বহু পক্ষই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে গত ৩১ মে ইস্তফা দেন সুরঞ্জনবাবু। আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এর পরে ওই পদে অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক অমিতাভ দত্তকে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। গত ৪ অগস্ট রাজ্যপালের নির্দেশে ওই পদ থেকে ইস্তফা দেন অমিতাভবাবুও। কিন্তু তার পরে আর নতুন করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী ভাবে আর কাউকে নিয়োগ করা হয়নি। ফলে এতদিন ধরে অভিভাবকহীন অবস্থায় পড়েছিল যাদবপুর। এই পরিস্থিতিতে অধ্যাপকদের একাংশের দাবি, অনেকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় অভিভাবকহীন। এ সময় এমন কাউকে দরকার ছিল উপাচার্য হিসেবে, যিনি সত্যিই পথ দেখাতে পারবেন। এতদিন ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের দিকে ফিরে তাকালে তাঁদের নিরিখে নয়া উপাচার্য অনেকটাই পিছিয়ে বলে মনে করছেন তাঁরা।

কিন্তু এ সমস্ত অভিযোগের ভিড়েই নিজের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন নয়া উপাচার্য। তাঁর সাফ বক্তব্য, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তো থাকেই মানুষ। তবে এখানে সেই পরিচয় না এনে তাঁকে শিক্ষক এবং সর্বোপরী একজন মানুষ হিসেবে দেখাই বোধহয় কাজের কথা। শিক্ষাক্ষেত্রের মতো পবিত্র জায়গায় রাজনীতির রং না চড়ানোই ভালো।

যদিও উপাচার্য যতই রাজনৈতিক পরিচয়ের কথা ধামাচাপা দিন না কেন, বিষয়টি নিয়ে তোপ দাগতে ছাড়েননি বিরোধী দলগুলি। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, ১০ বছরের অভিজ্ঞতা নেই এমন একজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলার করা হয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও তাঁর অন্য যোগ্যতা রয়েছে বলে খোঁচা সুজনবাবুর। অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শিক্ষক মহাসংঘের প্রেসিডেন্ট বুদ্ধদেববাবু। পাশাপাশি ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলের লোক খুঁজবেন, আর রাজ্যপাল বিজেপির লোক খুঁজবেন। বিশ্ববিদ্যালয়কে কি রাজনীতির আখড়া করে ছাড়বেন?" এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের বক্তব্য,উপাচার্যের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক মতামত থাকতেই পারে, কিন্তু তা যদি যাদবপুরের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন অবশ্যই তার প্রতিবাদ হবেই।" যদিও বুদ্ধদেববাবুর বিজেপি-যোগের অভিযোগকে আমল দিতে চাননি রাজ্যের বিজেপি নেতা শমিক ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে কাকে নিয়োগ করবেন তা একেবারেই রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত, এবং তা তাঁর স্বাধিকারের মধ্যেও পড়ে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়েই একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা জানান বুদ্ধদেব বাবু। তাঁর কথায়, "কোথায় কোথায় দুর্বলতা আছে দেখতে হবে। সব জায়গাতেই উন্নতির পরিসর থাকে।" প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিনটি স্তম্ভ রয়েছে— প্রশাসন, ফ্যাকাল্টি (বিভিন্ন বিভাগ) এবং পড়ুয়ারা। তাঁর মতে. "শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য প্রতিটি স্তম্ভেই সমান জোর দিতে হবে। এর মধ্যে একটি স্তম্ভ নড়ে গেলেই বিপদ। উন্নতির জন্য প্রতিটি স্তম্ভকে দায়িত্ব নিতে হবে। রিসোর্স ইউটিলাইজেশন অত্যন্ত জরুরি।"

অন্যদিকে, এসবের মধ্যেই যাদবপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নতুন চেয়ারপার্সন হিসেবে মনোনীত হয়েছেন রাজন্যা হালদার। আর পদে এসেই ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। আর সেই বিতর্ক ঘিরেই উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানোর বিরুদ্ধে সওয়াল করেছেন ছাত্রছাত্রীরা। ছাত্রছাত্রীদের সুরেই সুর মিলিয়েছেন নবনিযুক্ত উপাচার্য। ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানোর উপরে তেমন জোর দিচ্ছেন না আপাতত তিনি। বুদ্ধদেববাবু মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। শুধু সিসিটিভি বসানো লক্ষ্য নয়। ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তাতেই জোর দিতে হবে। সেটাই মূল লক্ষ্য। নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। সেটা সিসিটিভি না দিয়েও অন্য কোনও রাস্তাও হতে পারে। তবে প্রথমেই খুঁজে বের করতে হবে কোথায় আসল সমস্যা। পাশাপাশি, সুস্থ চিন্তাভাবনার পরিবেশ যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ষা করা যায়, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এখানেই শেষ নয়, হস্টেলের সংখ্যা বাড়ানোর দিকে মন দিতে চান নতুন অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য। ফুল রেসিডেন্সিয়াল বা পুরোপুরি আবাসিক করারও পরিকল্পনা রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে। নিজেও অ্যান্টি ব়্যাগিং স্কোয়াডের সদস্য বুদ্ধদেববাবু। তাঁর অভিযোগ, প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের হস্টেল আলাদা করার কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি।

অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে বুদ্ধদেববাবু দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পরেই পদত্যাগ করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ডিন। এদিকে, তাঁর নেতৃত্বই গড়া হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তকমিটি। ডিন অব সায়েন্স সুবিনয় চক্রবর্তীর ইস্তফা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। যদিও ব্যক্তিগত কারণেই এই ইস্তফা বলে দাবি সুবিনয়বাবুর। স্বপ্নদীপ-মৃত্যুর তদন্তে ইতিমধ্যেই বেশ খানিকটা এগিয়েছিলেন সুবিনয়বাবু। গিয়েছেন একাধিক বার হস্টেলে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। তাঁর পদত্যাগের জেরে সেই তদন্ত ধাক্কা খাবে বলেই মত অভিজ্ঞদের। পাশাপাশি এই পদত্য়াগের নেপথ্যে বড় কোনও ষড়যন্ত্রের গন্ধও পাচ্ছেন কোনও কোনও মহল।

আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্গতি হতে চলেছে প্রেসিডেন্সির মতোই

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে নয়া উপাচার্যের কয়েকটি পুরনো ফেসবুক পোস্ট। যা ঘিরে তাঁর যোগ্যতা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। একটি পক্ষের দাবি, বিজেপি সেলের প্রতিনিধিকে যাদবপুরের মতো বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের মাথায় বসিয়ে আদতে যাদবপুর-গৈরিকীকরণের চেষ্টা চলছে। তবে সেই সব রুচিহীন পোস্টগুলি আদৌ বুদ্ধদেব সাউয়েরই করা কিনা, তা খতিয়ে দেখেনি ইনস্ক্রিপ্ট ডট ইন। তা এ হেন বুদ্ধদেব সাউ কি উপাচার্য হিসেবে আদৌ পারবেন উত্তপ্ত যাদবপুরকে ঠান্ডা করতে! কবে শান্ত হবে অশান্ত যাদবপুর। সেই প্রশ্নটাই ঘুরছে এখনহাওয়ায়। পাশাপাশি উপাচার্য হিসেবে বুদ্ধদেব বাবুর ভূমিকা কেমন হবে? সুরঞ্জন দাস কিংবা যাদবপুরের অন্যান্য প্রাক্তন উপাচার্যের মতোই তিনিও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেই থাকেন, না তার মধ্যে কথা বলে তাঁর ব্যক্তিগত রাজনৈতিক পরিচয়, সেটাই এখন দেখার।

More Articles